

জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আফরোজা খাতুন রোমানা নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে। নিহতই ছাত্রী ওই গ্রামের আব্দুল রউফের মেয়ে।
জানা গেছে, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় রুমানা গঙ্গারহাট এম এস উচ্চ বিদ্যালয় মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। চলমান পরীক্ষাগুলো খারাপ হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার আশঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েন রোমানা, ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সবার অজান্তে সে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সংবাদকর্মীদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কনসালটেশন কর্মশালা।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) ডালিয়া ইয়াসমিন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া জামারিন আনসারী।
কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক।
আলোচনায় অংশ নেন কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, মীর শাহালম,সাদিক মামুন, কামাল উদ্দিনসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে সংক্রমণজনিত রোগের অন্যতম প্রধান কারণ টাইফয়েড জ্বর। এটি স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়, যা মূলত দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে।
টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টিসিভি টিকা কার্যকর ও নিরাপদ। সারা বিশ্বে শিশুদের এ টিকা দেওয়া হচ্ছে এবং সামান্য জ্বর, ব্যথা বা অস্বস্তি ছাড়া কোনো জটিল প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
আসন্ন জাতীয় টিকাদান ক্যাম্পেইনে দেশের প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের ইপিআই স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিসিভি টিকা দেওয়া হবে।
টিকা প্রদানের নিয়ম অনুযায়ী, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের উরুর মধ্যভাগের বাইরের অংশের মাংসপেশিতে এবং দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের বাহুর উপরিভাগে ইনজেকশনের মাধ্যমে ০.৫ এম.এল. টিকা দেওয়া হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়, তাই এ বয়সী শিশুদের এক ডোজ টিকা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। ভবিষ্যতে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস বয়সী শিশুদের এ টিকা দেওয়া হবে।
আয়োজকদের মতে, সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে টাইফয়েড প্রতিরোধে সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। তারা আশা করেন, টিকা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে পড়লে শিশু-কিশোরদের মধ্যে টাইফয়েড সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
মন্তব্য করুন


দিনাজপুরের বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামার সময় রব্বানি হোসেন(২১) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস চলন্ত ট্রেন থেকে বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে লাফিয়ে নামতে গিয়ে গোলাম রব্বানী নামের ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন ভারপাপ্ত স্টেশন মাস্টার আব্দুল আজিজ। মৃত: রব্বানি হোসেন দিনাজপুর জেলার নবাব গঞ্জ উপজেলার কুতুব গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে।
রব্বানি হোসেনের ফুপাত ভাই রাকিবুল ইসলাম রনি বলেন, রব্বানি হোসেন জয়পুরহাটে ইন্টার মিডিয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আজ সকালে বাড়ি ফেরার পথে ভুলকরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে।ট্রেনটি বিরামপুর স্টেশনে না থামলে সে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে পড়ে প্রথমে বাড়ি খেয়ে ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে যায়। এ সময় মাথায় ও বুকে আঁঘাত পেয়ে আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্টেশন নিরাপত্তায় দায়ীত্বরত জনৈক আনসার সদস্য বলেন, নিহত যুবকটি চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে এ দূর্ঘটনার শিকার হন।
এ দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে বিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত: ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের আমড়াতলী ইউনিয়নের উত্তর
রসুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মানাধীন সেপটিক ট্যাংকিতে পড়ে তিন বছর বয়সী মোছা.
নুরী নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে রসুলপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী
ইউনিয়নের প্রবাসী মোহাম্মদ রিজানের কন্যা মোছা. নুরী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক
তদন্ত শিবেন বিশ্বাস নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার
বিকালে তার মায়ের সাথে নানা বাড়ি বেড়াতে যাবার কথা ছিল। দুই মাসের বেশী সময় ধরে
উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকির জন্য গর্ত করে ফেলে রাখে
ঠিকাদার। কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনি ছাড়াই ফেলে রাখা হয় সেপটিক ট্যাংকের জন্য করে রাখা
গর্তটি। বৃষ্টির পানিতে পুরো হয়ে যাওয়ায় ওই শিশু কন্যা পড়ে যায় গর্তে। বৃহস্পতিবার
দুপুর ২টার দিকে নুরের লাশ ভেসে উঠে ওই গর্তের পানিতে।
রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ
জানান, কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই ফেলে রাখা হয় সেপটিক ট্যাংকের জন্য করে রাখা গর্তটি।
বৃষ্টির পানিতে পুরো হয়ে যাওয়ায় ওই শিশুটি পড়ে যায় গর্তে। পরে দুপুর ২টার দিকে নুরীর
মরদেহ ভেসে ওঠে ওই গর্তে।
উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. স্বপন আহমেদ জানান, আমরা বারবার ঠিকাদারকে বলেছিলাম যেন
সেপটিক ট্যাংকের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য। উনি কেন এটা করলেন না, আমার বোধগম্য
নয়। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস
দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ
পরিদর্শক তদন্ত শিবেন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আমরা পরিবারের অভিযোগের
ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উদ্যোগে পৃথক পৃথক স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেইসকোর্স ও শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর।
আশা আড়াইওড়া সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম ইবনুল আবিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, আশার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দিন, জেলা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহাসহ আরো অনেকে।
পরে দুইটি ক্যাম্পে বিনামূল্যে এক শতাধিক রোগীর ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ২শ রোগীকে ফিজিওথেরাপী দেওয়াসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্লাড সুগার পরীক্ষাসহ কিছু রোগীকে ব্লাড প্রেসার নিরুপণের মেশিন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সফিকুল হক চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি:
চাঁদপুরে কৃষিই সমৃদ্ধি এই শ্লোগানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ সার ও অর্থ বিতরণ। চাঁদপুরে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে খরিপ-২ মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে শীতকালীন হাইব্রিড শাকসবজির বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা এবং প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি ফসলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
'কৃষিই সমৃদ্ধি' এই শ্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে বুধবার দুপুরে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৭শ' কৃষকদের মাঝে শীতকালীন সবজি বীজ ও ১ হাজার টাকা এবং ৯৭০ জন কৃষকদের মাঝে রবি ফসল (গম, ভুট্টা, সূর্যমুখি, চিনা বাদাম সয়াবিন, পেয়াজ, মসুর)-এর বীজ বিতরণ করা হয়। চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন রায় সুবিধাভোগী কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন,
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। তাই কৃষি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধি করে তোলার চেষ্টা করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মকবুল হোসেন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, সুমি আক্তার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন ও সাদিকা বেগম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর দুই হাজার তেইশ-চব্বিশ সেশনের নবীন বরণ ও দুই হাজার বিশ-একুশ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং জমকালো কসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কনসার্টে অতিথি শিল্পী ছিলেন দেশের অন্যতম ব্যান্ডদল হাইওয়ে। শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস ও নেঁচে গেয়ে, দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখে।
এর আগে সকালে সিসিএন শিক্ষা পরিবারের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব ড. সানোয়ার জাহান ভূইয়া।
সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো: তারিকুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক (উপ-সচিব) কাজী ফারুক আহমদ, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো: লুৎফর রহমান। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলি মো: আমিনুল ইসলাম চৌধুরী।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় আপেল বরই কিংবা কুল চাষে সফল হয়েছেন শহীদ বেপারী। প্রথমবারই সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি। প্রতিদিন বিক্রি করছেন বাগানের বরই। কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়া উৎপাদিত এ বরইয়ের বেশ চাহিদা আছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, পালাখাল গ্রামের নয়াবাড়ির অধিবাসী কৃষক শহীদ বেপারী ২২ শতক জায়গায় গড়ে তোলা বরই বাগান পুরোটা নেট দিয়ে ঘেরা। ভেতরে প্রবেশ করে গাছে ঝুলতে দেখা যায় সবুজ-হলুদ ও লালচে থাই-বলসুন্দরী বরই। বিক্রির জন্য শহীদ বেপারীসহ কয়েকজন গাছ থেকে বরই তুলে ব্যাগে রাখছেন। আকারে বড় ও স্বাদে সুমিষ্ট হওয়ায় বাগানেই বিক্রি হয়ে যায় সব বরই।
কৃষক শহীদ বেপারী বলেন, অনেক বছর ধরে কৃষিকাজ করছি। বাড়ির পাশে প্রথমে ২২ শতক জায়গায় বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই গাছ লাগাই। সাতক্ষীরা থেকে চারা সংগ্রহ করেছি। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার বরই বিক্রি করেছি। গাছে যে পরিমাণ বরই আছে, আশা করছি লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কম খরচ ও পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়ায় বরই চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের। বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই অনেক সুস্বাদু। শহীদ বেপারী এ জাতের বরই চাষ করে প্রথম বছরই সফল হয়েছেন। বরই চাষে কোনো কৃষক আগ্রহ হলে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন


দেশ ও জাতি গঠনে সুস্থ রাজনৈতিক বিকাশ অপরিহার্য— এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণার দাবীতে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো সুধীজনের মতবিনিময় সভা।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটে এ সভার আয়োজন করে সচেতন রাজনৈতিক ফোরাম, কুমিল্লা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ড. শাহ মোঃ সেলিম।
সভায় বক্তারা বলেন— ঐতিহাসিক, ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কুমিল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই কুমিল্লাকে প্রশাসনিক কাঠামোয় বঞ্চিত রাখা হয়েছে। তাই অবিলম্বে কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার দাবি জানান তাঁরা।
এসময় কুমিল্লার উন্নয়ন ও নাগরিক স্বার্থে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা।
বক্তাদের মধ্যে ছিলেন: ২৪’ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং এনসিপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সমবায়ী ও সমবায় ব্যাংকের সভাপতি সিরাজুল হক, ড. আলী হোসেন চৌধুরী— নজরুল গবেষক ও সাহিত্যিক, সাহিত্যিক ও ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল, সাবেক সভাপতি কুমিল্লা প্রেসক্লাব, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল হাসনাত বাবুল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন— বদরুল হুদা জেনুয়া, সাইদুল রহমান তামান্না, লায়ন শেখ ফরিদ উদ্দিন, লায়ন মাহবুব আলম ইকবাল, এনামুল হক বাবলু, সাজ্জাদুর কবীর, নিখিল রায়, আবুল কাশেম, কাজী শারমিন আক্তার— শহীদ সাদমানের মাতা, মিয়া মোঃ তৌফিক, জুনায়েদ রায়হান, রাসেল খান, খায়রুল আনাম রায়হান এবং শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়নে একাত্মতা ঘোষণা করেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং ফেনী জেলার প্রতিনিধিবৃন্দ।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন— “বঞ্চিত কুমিল্লার অধিকার আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কুমিল্লার ঐতিহাসিক মর্যাদা রক্ষায় কুমিল্লা নামেই বিভাগ ঘোষণা করতে হবে।”
সভায় মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সচেতনতার সমন্বয়ে কুমিল্লাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় এ বছর ৭শ ৭৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সবচেয়ে বেশি পুজামন্ডপ রয়েছে মুরাদনগর উপজেলায় ১শ ৪৪টি। সবচেয়ে কম পূজামন্ডপ রয়েছে মেঘনা উপজেলায় ৯টি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীতে ৬৮টি পূজা মন্ডপ রয়েছে, আদর্শ সদর উপজেলায় পূজা মন্ডপ রয়েছে ২৬টি, সদর দক্ষিন উপজেলায় ৩০টি, লালমাই উপজেলা ১৮টি, বরুড়া উপজেলায় ৯১টি, লাকসাম উপজেলায় ৩৫টি, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১১টি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২২টি, বুড়িচং উপজেলায় ৩৬টি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১৩টি, চান্দিনা উপজেলায় ৬৫টি, দেবিদ্বার উপজেলায় ৯৫টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৪০টি, হোমনা উপজেলায় ৪৯টি এবং তিতাস উপজেলায় ১৩টি।
পূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছে। দুর্গোৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে আর যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে।
আর এসব বিষয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উৎসবমুখর দুর্গাপূজা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। আমি আপনাদের এই বার্তা দিতে এসেছি যে আমি আপনাদের সাথে আছি। আপনাদের সাথে সেনা বাহিনীর প্রতিটি সৈনিক আছে, প্রতিটি অফিসার আছে। আপনারা শুধু আমাদের তথ্য দিবেন-আমরা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমরা প্রতিটি জিনিস ঠিক করার চেষ্টা করবো। এ সময় জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলার পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় আগত অতিথিরা সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পুজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পরামর্শ ও নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দুর্গোৎসব সবার মাঝে আনন্দ আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বাড়িয়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা সবার।
মন্তব্য করুন


নরসিংদীর রায়পুরায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা ও চাচাতো ভাইবোনদের বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চরসুবুদ্ধি গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ফুরা মিয়া (৪০) ও শাকিল মিয়া (৩০)। রায়পুরা থানার (ওসি) “আদিল মাহমুদ” বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে সকাল থেকে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি চলছিল। দুপুর ১২টার দিকে আউয়াল, তার ছেলে শিপন, রিপন, মেয়ে শাহানা, আজিনা, আছমা, সুমাইয়াসহ ১০/১২ জন দা, লাঠি নিয়ে ফুরা মিয়াদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ফুরা মিয়া, তার ভাই শাকিল ও পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আউয়াল, রিপন, শিপনসহ অন্যরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফুরা মিয়া ও তার ভাই শাকিলসহ চারজনকে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ফুরা মিয়া ও শাকিল মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরা বেগম নামে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরিদা গুলশান আরা বলেন, বেলা পৌনে ১টার দিকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা ফুরা মিয়া ও শাকিল নামে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
(ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে দুই ভাই মারা যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন