দীর্ঘ ৪১ বছরের কর্মময় জীবন শেষে মসজিদের
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানালেন গ্রামবাসী। সে সাথে তার হাতে তুলে দিলেন নগদ
পৌনে এক লাখ টাকা এবং উপহার সামগ্রী।
শুক্রবার (৩১ মে) জুমার নামাজ শেষে
ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামে। বিদায়ী ইমাম
মো. মুনসুর আলী পার্শ্ববর্তী শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, ক্ষিদ্রমালঞ্চি কেন্দ্রীয়
জামে মসজিদের ইমাম মো. মুনসুর আলী ১৯৮৩ সালে ইমামের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। একই মসজিদে
দীর্ঘ ৪১ বছর দায়িত্ব পালনের পর বয়সজনিত কারণে তিনি অবসর নেন। আর প্রিয় ইমামের অবসরজনিত
বিদায় জানাতে গ্রামবাসীরা ওই মসজিদে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির
সভাপতি আরশেদ আলীর সভাপতিত্বে এবং আব্দুল হালিমের পরিচালনায় ইমাম মুনসুর আলীর কর্মময়
জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন মসলেম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, আসমত আলী, সেলিম রেজা,
আব্দুল আজিজ, সাইদুর রহমান প্রমুখ। শেষে ওই মসজিদসহ আশেপাশের ৫ মসজিদের অধীনের গ্রামবাসীরা
পৌনে এক লাখ টাকা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। এছাড়াও ইমামের বিদায় উপলক্ষে মসজিদে
উপস্থিত মুসুল্লিদের মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে পুরো এলাকা
ঘুরিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় ইমাম মুনসুর আলীকে। এসময় গ্রামের সকল নারী-পুরুষরা রাস্তার
পাশে দাঁড়িয়ে বিদায় জানান প্রিয় ইমামকে। ব্যক্তিগত জীবনে মুনসুর আলী ৩ কন্যা ও ২ ছেলের
পিতা।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি আরশেদ
আলী বলেন, অন্যান্য চাকরি শেষে চাকুরিজীবীদের জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় দেওয়া
হয়। তাছাড়াও তারা পেনশন পান। কিন্তু মসজিদের ইমামের বিদায়ে তা করা হয় না। এ কারণেই
গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ইমামের বিদায়ে এই আয়োজন করা হয়েছে।
বিদায়ী ইমাম মো. মুনসুর আলী বলেন, জীবনের
শুরুতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরীর কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুই-তিন দিন পর ভালো
না লাগায় সেকাজ ছেড়ে এসে এই মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। দীর্ঘদিন পর অবসর নেওয়ায় গ্রামবাসীর
এমন বিদায়ে তিনি মুগ্ধ।
তবে তিনি কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন
গড়া এবং ইমান ও আমলের ওপর জীবনকে পরিচালিত করার আহবান জানান।
মন্তব্য করুন
মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে ২টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে হুরমত আলী (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপি বীজ খামারের সামনে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিহত হুরমত আলী।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া।
মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সার বিষ কেনার জন্য মোটরসাইকেলযোগে মেহেরপুর শহরে আসছিলেন নিহত হুরমত আলী। আমঝুপি বীজ খামারের নিকট এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে রাস্তার পাশে পড়ে যায় হুরমত আলী। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক হুরমত আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় বাস-পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনা ঘটে।
মুখোমুখি এ সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
নিহতদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা এ.জেড. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদের ফ্যামিলির সদস্য মা, বড় মেয়ে, ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েসহ মোট ৬ জন রয়েছে তবে বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে।
মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনা নিয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে এক কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
সোমবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
ও আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্ত এলাক থেকে এসব মালামাল আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা সীমান্ত এলাকার নোয়াপুর কাচিগাং মাঠ থেকে মালিক বিহীন অবস্থায় ৫২ লাখ টাকা মূল্যর অবৈধ ১২১টি মোবাইল ফোন আটক করে।
অন্য অভিযানে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৬ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকার বাজি, শাড়ীসহ অন্যান্য চোরাচালানী পণ্য আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরিদের বাড়ির পাশের কলাবাগান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত শিউলী বেগম বোগদহ সদর কলোনি এলাকার ড্রাইভার শরীফ মিয়ার মেয়ে। প্রায় ১২ বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ফরিদ উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফরিদের প্রথম স্ত্রীর ঘরেও দুটি সন্তান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিয়ের পর থেকেই শিউলীকে নানা কারণে নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে ফরিদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিউলীর গলা ও শরীরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাড়ির পাশের কলাবাগানে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
শিউলীর স্বজনদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পালিয়েছে ফরিদ। তারা দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তারা।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ফরিদকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে রাখায়, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএসিসি)।
অভিযানে সাদেক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভিতরে থাকা পশু ফার্মটি থেকে। বুলদোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের অবৈধ অংশের স্থাপনা। অভিযানটি পরিচালনা করছেন ডিএনসিসির মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন ডিএনসিসির প্রচুর পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
স্থানীয়রা জানান, সাদিক অ্যাগ্রোর বেশ কিছু গরু-ছাগল বুধবার রাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাস্তার ওপরে তাদের প্যান্ডেলসহ অস্থায়ী স্থাপনা ছিল সেগুলোও সরিয়ে নিয়েছে তারা।
আলোচিত এই সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশু খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫৫ কেজি গাঁজা ও একটি অটোরিক্সাসহ
৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি), কুমিল্লা।
গতকাল (১১ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লা কোতয়ালী
মডেল থানার পূর্ব ভাটপাড়া এলাকায় একটি অটোরিক্সা তল্লাশি করে ৫৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জহির, রনজিৎ
চন্দ্র শীল, মোঃ ফয়সাল ও আহসানুল হককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো-
১। মোঃ জহির (৩৫), পিতা-আব্দুল আলী,
মাতা-কুসুম বেগম, গ্রাম-খারেরা ,থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
২। রনজিৎ চন্দ্র শীল (২৫), পিতা- জিতেন্দ্র
চন্দ্র শীল, মাতা-লিপি বালা শীল, গ্রাম-খারেরা, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ ফয়সাল (২২), পিতা-আব্দুস সালাম,
মাতা- তফুরা বেগম, গ্রাম- লোহাইমুড়ি , থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৪। আহসানুল হক (২৩), পিতা-ইমাম হোসেন,
মাতা- মায়া বেগম, গ্রাম-লোহাইমুড়ি , থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায়
মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, যেখানেই চাঁদাবাজি, সেখানেই আপনারা প্রতিরোধ করুন। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে একটা ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েম করার জন্য, চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। আপনারা কোন ভাবেই চাঁদাবাজিকে সহ্য করবেন না। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সব সময় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে।
আজ
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের জামতলী বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রফেসর ড.
মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মানুষ শান্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছে। গত ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সরকার যতই দিন যাচ্ছে ততই জনপ্রিয় হচ্ছে। আস্তে আস্তে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে, আস্তে আস্তে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের মনে ভয়ে কাঁপুনি ধরছে, আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের মান মর্যাদা উঁচু থেকে উচ্চতর অবস্থানে পৌঁছাচ্ছে। এই রমজানে লোডশেডিং এর সমস্যা হয়নি। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন।
গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, এনসিপি নেতা মাইন উদ্দিন, খন্দকার ওমর ফারুক, জালাল আহমেদ, আবুল কাশেম, আসাদুজ্জামান মিলন, কবির হোসেন, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, ইঞ্জিনিয়ার রাসেল সিদ্দিকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমাই উপজেলা শাখার আহবায়ক নোমান হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মারুপ সিরাজী, কবি খান মোহাম্মদ রুবেল ও জুলাই আন্দোলনে পুলিশের ছোররা গুলিতে আহত মেহেদী হাসান শুভসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
এর আগে এনসিপি নেতা শিশির দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা, লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম ও সেকেন্ড অফিসার আবদুল্লাহ আল ফারুকের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি ইউএনও এবং ওসিকে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, অবৈধভাবে মাটি বিক্রিসহ সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ভাত খাওয়ার
জন্য সৎ মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল ৯ বছরের শিশু আবদুল্লাহ। তাতে সৎমা ফারজানা বিরক্ত
হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে শিশুটির। এ ঘটনায় সৎমাকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে
উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত শিশু মো: আব্দুল্লাহ উপজেলার ইউসুফপুর
গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ঘোড়া গাজী সরকার বাড়ির আমানউল্লাহর ছেলে। সে একই গ্রামের একটি
স্কুলে ২য় শ্রেণিতে ছাত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার
ওসি মো: নয়ন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে আবদুল্লাহর
বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডিভোর্স হয়। পরে ফারজানা আক্তারকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ফারজানার
আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফারজানার নিজের ছেলে সন্তান হওয়ার পর সৎ ছেলে আবদুল্লাহকে
সহ্য করতে পারছিলেন না। প্রায়ই শিশু আবদুল্লাহকে মারধর ও নির্যাতন করত ফারজানা। শনিবার
সকালে আবদুল্লাহ ফারজানার কাছে ভাত খেতে চাওয়ায় বিরক্ত হয়ে শিশু আবদুল্লাহর গলায় ওড়না
পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বাড়ির উঠান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায়
নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি উঠানে আবদুল্লাহর লাশ পড়ে আছে। গলায় কয়েকটি দাগ পাওয়া
গেছে।
দেবিদ্বার
থানার ওসি নয়ন মিয়া বলেন, নিহত আবদুল্লাহর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ফারজানাকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
বুধবার (৮ মে) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমড়াতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নাজমুল (২৪) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ নাজমুল (২৪) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার রঘুরামপুর গ্রামের মোঃ এসহাক মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
বুধবার (২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে। সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপ রেখা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই ও তারপরে নতুন যোগদান করবেন তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভূক্ত করেছে সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৩ মার্চ জারি করা এসআরও (নং-৪৭-আইন/২০২৪) এর মাধ্যমে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভূক্ত করেছে সরকার।
এছাড়া ১৩ মার্চ জারি করা এসআরও (নং-৪৮-আইন/২০২৪) এর মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপ রেখা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে।
তবে, যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান দেওয়া কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কম সংখ্যক স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। উক্ত ব্যবস্থায় কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসাবে এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন, কিন্তু মাসিক কোনো পেনশন প্রাপ্য হন না।
ফলে অবসরোত্তর জীবনে প্রায় ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। কর্মচারীদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করেছে। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, যাহা কম হয় তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে।
এরপর উভয় অর্থ ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং ওই ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসাবে জমা করা অর্থের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদ্যমান সিপিএফ ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ প্রদান করে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১.৬৭ শতাংশ বেশি। প্রত্যয় স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক দুই হাজার ৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর চাঁদা প্রদান করলে তিনি অবসর গমনের পর অর্থ্যাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা হারে পেনশন প্রাপ্য হবেন।
তবে এ ক্ষেত্রে ৩০ বছর ধরে মাসিক দুই হাজার ৫০০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ নয় লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ নয় লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী মিলিয়ে সর্বমোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। তিনি যদি ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তবে ১৫ বছরে পেনশন প্রাপ্য হবেন এক কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। যা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ জমার ১২.৪৭ গুণ।
মন্তব্য করুন