

মো: মাসুদ রানা, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় মিশুক চালক সাব্বির হোসেনকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। রবিবার দুপুরে এলাকাবাসীর আয়োজনে কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কের পালাখাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাব্বির হত্যার গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত ফাঁসির কার্যকর দাবি জানাচ্ছি। কোনো ভাবে তারা যেন আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে জামিন না পায় তারও দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মা জাহানারা বেগম,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল,পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি করেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুুস,যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন,অহিদ রাজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকালে মিশুক নিয়ে সাব্বির বাড়ি থেকে বের হলেও আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে পালাখাল-সেঙ্গুয়া সড়কের পাশে ডোবা থেকে মিশুক চালক সাব্বির হোসেনের হাত পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা জাহানার বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করলে তারই প্রেক্ষিতে ৯জন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যতম ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ।
গত
১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাবের অভিযানে মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন শহরস্থ হোটেল সার্বিক
ইন্টারন্যাশনাল এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী
মোঃ আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার (৪৮), পিতা-মৃত ইউসুফ জোমাদ্দার, সাং-মহেশপুর, থানা-বাকেরগঞ্জ,
জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব
জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে
তথ্য প্রদান করে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার
চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য,
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা সহ মোট ১০ টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


তাড়াশ উপজেলায় নিজ বাড়িতে একই পরিবারে তিনজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছ ।
এ ঘটনায় সিআইডি ও পিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিউল আলম ঘটনাস্থলে থেকে সার্বিক বিষয় তদারকি করছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর শহরের বারোয়ারী বটতলা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও তাদের মেয়ের (তিন জনের) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকাল ৮টায় নিহতের বাসায় তারা উৎসুক জনতার প্রবেশ সংরক্ষিত করে এ কার্যক্রম শুরু করে।
নিহত বিকাশ সরকার (৪৫) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তাড়াশ উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ ও তাড়াশ গোপাল জিউ বিগ্রহেরও কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। আর নিহতের বড়ভাই প্রকাশ চন্দ্র সরকার তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তারা দুই ভাই পৃথকভাবে ওই বাসার তৃতীয় তলার আলাদা দুটি ফ্লাটের বসবাস করতেন।
তাদের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
উল্লেখ্য, এলাকাবাসী জানায়, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে গোপনে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে হত্যার পর লাশ ফেলে, ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্বজনরা দুদিন ধরে তাদের খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশগুলো উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন


ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা গ্রামে ফেসবুকে মন্তব্য (কমেন্ট) নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে নিজকুঞ্জরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে। আহতরা সবাই ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
আহতরা হলেন— জাহিদুল ইসলাম সামিম (১৭), ইমরান হোসেন (১৮), আরমান হাসান (১৭), রাফি, আরাফাত ও অনিক। এদের মধ্যে সামিম, ইমরান ও আরমানকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সামিমের পেটে ও বুকে সাতটি, ইমরানের শরীরে ১৮টি এবং আরমানের শরীরে নয়টি সেলাই দিতে হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, স্থানীয় মহিপাল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাহাত উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার সহযোগীরা এ হামলার নেতৃত্ব দেন।
তারা জানান, কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। সেখানে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন, যিনি রাহাতের ছোট ভাই, একটি আপত্তিকর মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ফাহাদ ফোনে বড় ভাই রাহাতকে বিষয়টি জানায়।
রবিবার দুপুরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডাকা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই রাহাত ও তার কয়েকজন সহযোগী ছুরি, খুর ও ছাপাতি নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে অন্তত ছয়জন আহত হন।
ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়। সেখানে প্রত্যেক আহতকে চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং মামলা না করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
একজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সভায় বলা হয় যেহেতু ঘটনাটি স্কুলের ভেতরে ঘটেছে, তাই বিষয়টি এখানেই মীমাংসা করা হোক। পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।”
আহত সামিম বলেন, “আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম কেন বাজে মন্তব্য করেছ। কিন্তু স্কুলে গিয়ে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে বারৈয়ারহাট হাসপাতালে নেয়নি, শেষে ছাগলনাইয়ায় চিকিৎসা নিতে হয়।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, “সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষার্থীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই ঘটনাটি ঘটে। উভয় পক্ষের অভিভাবক ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। ফাহাদের বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।”
তবে আহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে দাবি করেন।
ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লুৎফুল কবির বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। স্কুলের অফিস কক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাহাত উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “ঘটনাটি ছোটদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও স্কুল প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়েছে। আমি কোনো হামলার নেতৃত্ব দিইনি।”
তবে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, “বিষয়টি এখনো জানি না। এ ধরনের ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৪ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল
ও ২৪ ক্যান বিয়ারসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ জহিরুল
ইসলাম কামরুল এবং ২। মিজান নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ৪ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ২৪ ক্যান বিয়ার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত
একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ জহিরুল ইসলাম
কামরুল (২৪) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার টামটা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্না এর ছেলে
এবং ২। মিজান (৩১) একই গ্রামের মৃত সামসু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা, ফেন্সিডিল ও বিয়ার সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
নগরীর কাটাবিল এলাকার দুই ভাইয়ের এক ব্যাতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুন্নতে খতনা
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার
রাতে কাটাবিল এলাকার মো: রুবেল গাজির ২ ছেলে আব্দুল্লাহ গাজী ( ৯) এবং আব্দুর রহমান
গাজী ( ৭) এর সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
রুবেল
গাজীর ২ ছেলের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে সাউণ্ড বক্স দিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজনা, নাচানাচি,
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান না করে কোরআন তেলাওয়াত, গজল – ক্বাসিদা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
করে এলাকাবাসীকে নিয়ে ছেলেদের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান পালন করেন।
সোমবার
(১৫ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা কাটাবিল জামে মসজিদ
কমিটির সহ-সভাপতি আহমেদ জোরফান বেলাল।
আহমেদ
জোরফান বেলাল জানান, কুমিল্লা নগরীর প্রায় সব এলাকায় বিয়ে, সুন্নতে খতনা এবং জন্মদিনের
অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে গান বাজনা করা, ডিজে পার্টি করা এবং নাচানাচি করার প্রবণতা দেখা
যায়। সেখানে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল
এবং গজল দিয়ে সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠান করা
এখন এ সমাজে বিরল।
মো:
রুবেল গাজী বলেন, আমার সন্তানদের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে সাউণ্ড বক্সে উচ্চ শব্দে
গান বাজনা ডিজে অনুষ্ঠান এজন্য করিনি কারণ সুন্নতে খতনা আমাদের নবীজীর একটি সুন্নত
তাই এখানে সুন্নত বিরোধী কাজ না করে মিলাদ মাহফিল ও গজলের অনুষ্ঠান এলাকা বাসীকে নিয়ে
একসাথে পালন করেছি। শুক্রবারে আমাদের মসজিদের
ইমাম সাহেব খুৎবাতে বিয়ে, জন্মদিন, সুন্নতে খাৎনায় ডিজে পার্টির মত শরিয়ত বিরোধী কাজ না করে কোরআন তেলাওয়াত, গজল ও মিলাদ মাহফিলের
মাধ্যমে আয়োজন করার জন্য বলেন। ইমাম সাহেবের সে বক্তব্য থেকে আমি অনুপ্রানিত হয়ে এমন
অনুষ্ঠান করেছি।
কাটাবিল
জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা হাফেজ বাইজিদ রাজা রজবি আলক্বাদেরী বলেন, আমি শুক্রবারের
বাংলা খুৎবাতে জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান এবং সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠানে শরিয়ত বিরোধী
উচ্চ শব্দে গানবাজনা এবং ডিজে পার্টি না করার জন্য কোরআন হাদিস ও ইসলামী শরীয়তের আলোকে বক্তব্য রেখেছি। আমার এ আহবানে সাড়া দিয়ে রুবেল গাজী তার নিজের ২
ছেলের অনুষ্ঠানে এরকম ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠান করেছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ৫২০ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্ট এর টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮১/৪-এস হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর বড়বাড়ী নামক স্থান হতে ৫২০ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১০ কেজি গাঁজা আটক করে। আটককৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ২,৪৩,০০০/- (দুই লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার) টাকা।
মন্তব্য করুন


অভিনব
কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৪২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
২ ডিসেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে পিকআপ
ভ্যানের বডির ভিতরে গোপন প্রকোষ্ঠ বানিয়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। আলী
করিম রিয়াদ এবং ২। মোঃ জাকির হোসেন রানা নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৪২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। আলী করিম রিয়াদ (৩৩) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন
এর ছেলে এবং ২। মোঃ জাকির হোসেন রানা (৩৭) একই থানার ছাঁন্দকরা গ্রামের মৃত দেলোয়ার
হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ এর বিশেষ অভিযানে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোশাইয়াম পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ৩৩৫ বোতল স্কাফসহ মো. আসিফ (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদক পরিবহণে ব্যবহৃত একটি সিএনজি-অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মো. আসিফ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার মাহাজনবাড়ি এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ স্বীকার করেছে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্কাফ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করতো।
র্যাব আরও জানায়, মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে তাদের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রায়হান খান (২২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এতে এ ঘটনায় মোট দুজনের মৃত্যু হলো।
নিহত রায়হান খান (২২) চরডুমুরিয়া খানবাড়ির রুস্তম খানের পুত্র।
এর আগে গত সোমবার ভোরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ রায়হান পক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম মোল্লার সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে নিহত হন বিএনপি কর্মী আরিফ মীর (৩৮) নিহত হন। এ সময় ইমরান ও রায়হান খানসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও কয়েকজন আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও একজনের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, এর আগে একজন নিহতের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ঘটনাস্থল ও আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মোঃ সুমন ভূঁইয়া, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় রহস্যজনক আগুনে ১ হাজার ৫০০ শ' পোল্ট্রি মুরগিসহ একটি খামার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এখনো অগ্নিকান্ডের কারণ জানাতে পারেনি সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তারা। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোর রাতের দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নলপুর গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো.আবদুল হালিম শাকিল বলেন, ভোর রাতের দিকে স্থানীয় লোকজন আবদুর রহীমের মুরগির খামারে আগুন জ্বলতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে তারা সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্থ মালিকের বরাত দিয়ে তিনি দাবি করেন এতে প্রায় ২ হাজার ৫শ' পোল্ট্রি মুরগি আগুনে পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে খামার মালিক আবদুর রহীমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, আগুন লাগার কারণ এখনই বলা যাবে না। তদন্ত সাক্ষেপে তা বলা যাবে। ধারণা হচ্ছে ১ হাজার অধিক মুরগি আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করে নি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন