

শ্রীপুরের সাটিয়াবাড়ি এলাকায় একটি মোজা তৈরির কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, সাটিয়াবাড়ি এলাকায় গ্লোব গ্লোভস ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড নামে একটি মোজা কারখানায় আগুন লেগেছে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল। পরে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। আগুন কারখানার ৩ তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। শ্রীপুর, রাজেন্দ্রপুর, কাপাসিয়া ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক–সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন যে সরকার এখন প্রবাসীদের নিজস্ব ব্যবহারযোগ্য ফোন ছাড়াও বিদেশ থেকে অতিরিক্ত দুইটি নতুন মোবাইল আনার সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ফোন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কোনো নতুন আইন করা হয়নি, অথচ সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। গুজব ও ভিত্তিহীন প্রচারণা থেকে দূরে থাকতে তিনি প্রবাসীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।
সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি ব্যাখ্যা দেন যে, বিদেশ থেকে একাধিক ফোন আনলেই ট্যাক্স দিতে হবে—এমন কোনো নতুন নিয়ম চালু হয়নি। পূর্বের সরকার যেখানে প্রবাসীদের ব্যবহৃত ফোনের সঙ্গে মাত্র একটি নতুন সেট আনতে দিত, বর্তমান সরকার সুবিধা বাড়িয়ে দুইটি নতুন সেট আনার অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ, প্রবাসীরা এখন ব্যক্তিগত ফোনসহ মোট তিনটি ডিভাইস আনতে পারবেন। তবে যদি দুইটির বেশি নতুন ফোন আনা হয়, তাহলে শুধু অতিরিক্ত সেটের জন্যই শুল্ক দিতে হবে। এনবিআর ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমেই এই নতুন সুবিধা কার্যকর হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এই সুবিধা কেবল তাদের জন্য যারা বিএমইটি (প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়) থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে গেছেন। অন্য যাত্রীদের ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়মই বহাল থাকবে।
ফোন রেজিস্ট্রেশন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, নতুন কোনো আইন না হলেও ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে যে কেউ নতুন মোবাইল ব্যবহার করলে ৬০ দিনের মধ্যে সেটি নিবন্ধন করতে হবে—এটি দেশের সব নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। অপহরণ, হুমকি, চাঁদাবাজি কিংবা অবৈধ অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণের মতো অপরাধ ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য কাউকে হয়রানি করা নয়, বরং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুজব ও গিবত ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক পাপ। কেউ কেউ মিথ্যা প্রচার করছে যে প্রবাসীরা নাকি দেশে সর্বোচ্চ ৬০ দিন থাকতে পারবেন—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি এসব অসত্য ও কুৎসামূলক প্রচারণা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত হোটেল ইছাকী এমোস থেকে মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমার সাহা ওরফে মো. সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসময় আসামির কাছ থেকে চোরাইকৃত ২টি মোটর সাইকেল এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মাস্টার কি (চাবি) উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৯ জুন) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত হোটেল ইছাকী এমোস থেকে মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা কিশোরগঞ্জ জেলার হারাধন সরকার প্রকাশ জাকির খানের ছেলে মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমার সাহাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামির দেওয়া তথ্য মতে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনাস্থ হোটেল ইছাকী এমোসের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে দুটি মোটরসাইকেল ও চুরির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোরের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন থানায় ২০টি চুরির মামলা রয়েছে। তিনি একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করেন। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ঠিকানা রয়েছে। তদন্ত করে তার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা বের করা হবে। মিল্টন বর্তমানে চট্টগ্রামের দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, মোটরসাইকেল চোর মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমারকে আজ রোববার (৯ জুন) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আটককৃত চোর মিল্টনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানান শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।
মন্তব্য করুন


আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে হতে পারে বজ্রবৃষ্টিও।
আজ রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এমন কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া। সেইসঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি। তাই ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সীমিত ডিকার্বনাইজেশন সক্ষমতা সম্পন্ন
বেশিরভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সবুজ শিল্প বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত
সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও রেয়াতি ডিকার্বনাইজেশন
ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে ক্লাইমেট ক্লাবের সাথে কাজ
করতে ইচ্ছুক।
এখানে
প্রাপ্ত একটি বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে
জার্মানি ও চিলি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ক্লাব নেতাদের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন আরো বেশি দ্রুত
ও টেকসই উপায়ে হ্রাস এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৩ শতাংশ
কমাতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্যে পৌঁছানোর জন্য উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
সীমাবদ্ধ করতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি
বিশেষ করে উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রমাণিত কম নির্গমন প্রযুক্তি
প্রদর্শন ও স্থাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, অনেক ডিকার্বনাইজেশন প্রযুক্তির জন্য উলে¬খযোগ্য অগ্রিম বিনিয়োগের প্রয়োজন। অর্থায়নের
সীমিত সুযোগ রয়েছে এমন দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সবচেয়ে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে
এ ধরণের অধিক মূলধন বিনিয়োগ করা শিল্পের জন্য একটি বাধা হতে পারে।
প্রধান
উপদেষ্টা বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের শিল্পের জন্য
রেয়াতি অর্থের সুযোগ লাভকে উৎসাহিত করে শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের ক্ষেত্রে অর্থায়নের
জন্য আর্থিক ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি
বলেন, প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬.৮ এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি
এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আমদানিতে
সুষম কার্বন খরচ আরোপ করে একটি সুষম ক্ষেত্র তৈরি করতে কার্বন মূল্য নির্ধারণ বা সীমা
সমন্বয় করের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তির উপর জোর দিয়ে, ২০০৬ সালের নোবেল পিস লরিয়েট বলেন,
স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার প্রেক্ষিতে
অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।
শিল্পের
ডিকার্বনাইজেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমন বিশ্বব্যাপী স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তি
ভিত্তিক উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে, কারণ কিছু খাত টেকসই ব্যবস্থা অনুশীলনের
তুলনায় ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, ‘এসব ঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে ডিকার্বনাইজেশন
প্রচেষ্টার ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্বন সীমা সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো নীতিগুলি
অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে, এসব নীতি বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলির প্রতিযোগিতামূলকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অধিক নির্গমন নীতির কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তাদেরকে কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
তিনি
আরো বলেন, ‘অতএব, স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার
কারণে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, খণ্ডিত উপায়ে উচ্চাভিলাষী প্রশমন নীতিগুলো শিল্প কর্মকা-কে এমন অঞ্চলে
নিয়ে যাচ্ছে যেখানে কার্বন মূল্যের কোনো নীতি নেই বা কম কঠোর, যা কার্বন নির্গমনের
দিকে ধাবিত করে এবং এইভাবে সামগ্রিক বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের বৈশ্বিক লক্ষ্যকে
বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি
বলেন, ইইউ প্রস্তাবিত কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম) রপ্তানিকৃত
পণ্যগুলোতে নির্গমনের মান পরোক্ষভাবে প্রয়োগ করে এবং কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ করে সংশ্লিষ্ট
দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু নীতি শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করতে পারে।
তিনি
আরও বলেন, একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবর্তনকে সমর্থন করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও উদীয়মান বাজারে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন


আসন্ন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীরা দেশের ভোটারদের চেয়ে ২০ দিন আগে
ভোট দেবেন এবং ভোট দিয়ে ব্যালট ফেরত পাঠাতে হবে অন্তত ১৭ দিন আগে।
আজ
সোমবার (১০ নভেম্বর ) নির্বাচন ভবনে অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন
কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। এ সময় নির্বাচন
ভবনে ইসি সচিব ও জাতীয় পরিচয়
নিবন্ধন অনুবিভাগে মহাপরিচালকও উপস্থিত ছিলেন।
আবুল
ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, কোনো পরীক্ষা ছাড়া প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট নিতে যাচ্ছে ইসি। এটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি
বলেন, ১৮ নভেম্বর পোস্টাল
ব্যালটে ভোটদানের জন্য অ্যাপ চালু হবে। এরপর অনলাইনে যে ফর্মটা পাওয়া
যাবে সেটা ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে প্রার্থীর তালিকা হয়ে যাবে। এরপর ভোট দিয়ে নিকটস্থ পোস্ট বক্সে ড্রপ করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের অন্তত ১৭ দিন আগে
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়ে তা পাঠিয়ে দিতে
হবে। না হলে নির্বাচনের
পরে ভোট পৌঁছাতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোটটি নেওয়া যাবে না। ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে হবে।
আগামী
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করায় লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে কমিশন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য ঋণ সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এসময় বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান বলেন, চলতি অর্থবছরে তার সংস্থা বাংলাদেশের জন্য দুইশ’ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন অর্থায়ন করতে পারবে। এই অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বন্যা মোকাবিলা, দূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বায়ুর মান বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।
জরুরিভাবে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে এমন ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে উল্লেখ করে আবদৌলায়ে সেক বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব আপনাদের সহায়তা করতে চাই।
বৈঠকে নতুন ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংস্থাটি সরকারের চলমান বিদ্যমান প্রকল্পে প্রায় একশ’ কোটি ডলারের অতিরিক্ত একশ’ কোটি ডলারের তহবিল পুনর্বিন্যাসের কথা উল্লেখ করা হয়।
বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান জানান, অতিরিক্ত ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক এবারের অর্থবছরে বাংলাদেশকে সহজশর্তে ঋণ এবং মঞ্জুরি মিলিয়ে প্রায় তিনশ’কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করবে, যার মাধ্যমে বিদ্যমান প্রকল্পসমূহের তহবিল পুনর্বিন্যাসও করা হবে।
সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন বাংলাদেশের তরুণ সম্প্রদায় এবং দেশটির জন্য ‘মহৎ কাজ’হবে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান বলেন, প্রতিবছর যে ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে, তারাও এর সুফল পাবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরক্টেরকে উদ্দেশে করে বলেন, ১৫ বছরের অপশাসন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা যে নতুন যাত্রার সূচনা করেছি তাকে এগিয়ে নিতে এবং সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাংকের ঋণ তহবিলসমূহের শর্তাবলী নমনীয় হতে হবে। আমাদের ধ্বংসাবশেষ থেকে নতুন কাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে। আমাদের এখন বড় ধাক্কা দেওয়ার প্রয়োজন এবং ছাত্রদের যে স্বপ্ন রয়েছে তা পূরণে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন,
আমি আপনাদের বলবো- আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের টিমের অংশীদার হোন। গত ১৫ বছরে শেখ
হাসিনার শাসন আমলে দুর্নীতিবাজরা অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে কয়েক বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। পাচার হওয়া এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে তিনি বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সহায়তা করতে সম্মত হন। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সাহায্য করতে পেরে খুশি হবো। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে পরিসংখ্যানগত তথ্যের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি, কর আহরণে অটোমেশন চালু এবং আর্থিক খাত সংস্কারে সহায়তা করতে চায়। বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত এবং মোটা দাগের সংস্কার করার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। একবার এ সুযোগ হারালে কখনো তা আর ফিরে আসবে না।
আবদৌলায়ে সেক জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা বর্ণিল গ্রাফিতি ও ম্যুরাল দেখে মুগ্ধ হয়েছেন উল্লেখ করে বলেছেন, ৩০ বছরের চাকরি জীবনে অন্য কোথাও এমন দেখিনি।
মন্তব্য করুন


আওয়ামীলীগকে
নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ
সমাবেশ। মানুষের ঢল নেমেছে বিক্ষোভ সমাবেশে।
আজ
শুক্রবার (৯ মে) জুমার নামাজের পর এই কর্মসূচি শুরু হয়। সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক
পার্টি (এনসিপি)।
দলটির
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজ বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ
কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নেয়।
রাজনৈতিক
দলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে সমাবেশে এসে অবস্থান নিচ্ছেন। আর এখনও অর্ধশতাধিক মানুষ
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী
লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানী ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন,
রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। জুমার নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন
এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে
জড়ো হতে শুরু করেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
এর
আগে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার
সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।
মন্তব্য করুন


মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়ায় ওই নবজাতককে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা নবজাতককে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওই ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বিষয়টি জানাজানি হয় বিকেলে।
নবজাতক রেখে পালিয়ে যাওয়া দম্পতি হলো আলমগীর হোসেন ও পাপিয়া খাতুন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নবজাতককে মা-বাবা।
নিজেদের সন্তান হাসপাতালে ফেলে পালানোর বিষয়ে জানা যায়, তিন মেয়ের পর এবার ছেলেসন্তানের আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ দম্পতি। ফের কন্যাসন্তান হলে স্ত্রী পাপিয়াকে তালাকের হুমকিও দেন আলমগীর! কিন্তু এবারও কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন পাপিয়া। তাই তারা হাসপাতালে সন্তান রেখেই পালিয়ে গেছেন।
হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, প্রসব বেদনা উঠলে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে পাপিয়া খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন পাপিয়া। পরে তাকে ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পর নবজাতককে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে রেখে পালিয়ে যান ওই নবজাতকের মা-বাবা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী।
পরে নবজাতকটিকে সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা ওই নবজাতকের নাম রাখেন ‘পুষ্প’।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ওই দম্পতি হাসপাতালে যে নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন তা যাচাই করা হয়েছে। তারা ভুল তথ্য দিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ছবি দেখে ওই নারী ও তার স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
নবজাতকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
মন্তব্য করুন


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে পাঠানোর চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে। নোট ভারবালের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি এখনো পাঠানো হয়নি। তবে চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে। আজকেই পাঠানো হতে পারে। রায়ের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠাবে না। শুধু নোট ভারবালের মাধ্যমে রায়ের বিষয়টি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ করা হবে। এর আগে গতকাল সোমবার তিনি জানিয়েছিলেন, দুই আসামিকে ফেরাতে রাতে বা মঙ্গলবার সকালে চিঠি পাঠানো হবে। এর আগে হাসিনাকে ফেরাতে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব আসেনি। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের (ভারত) সঙ্গে আমাদের চুক্তিও আছে। তাকে ফেরত আনতে অফিসিয়ালি আমরা চিঠি দেব।
মন্তব্য করুন


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের দায়িত্বশীল বৈশ্বিক
ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এতে গণতান্ত্রিক শাসন, মানবিক সংহতি ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে
পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার ইউএনজিএ সফরের সাফল্যগুলো তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ড. ইউনূস গত
সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ-র উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব
দেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনেতাদের
সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং গণতন্ত্র, মানবিক নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতা
নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। ইউএনজিএ-র ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
করেন। তিনি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক
মহলকে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ জনগণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের লালিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
রক্ষায় প্রস্তুত।
শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে
তিন রাজনৈতিক দলের ৬ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটাই প্রথমবার এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ
প্রতিনিধিদল একসঙ্গে সফরে যোগ দিল। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের
সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব যোগাযোগ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে গোটা
বাংলাদেশই গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একসঙ্গে এগোচ্ছে।’
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কৌশলগত বৈঠক
প্রসঙ্গে আলম বলেন, অধ্যাপক ড. ইউনূস উচ্চপর্যায়ের একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও যৌথ অগ্রাধিকারের প্রসারে ভূমিকা রাখে।
তিনি জানান, ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান,
অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্য,
জলবায়ু সহনশীলতা ও মানব উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পায়।
আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও
গুতেরেস, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল,
জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা,
নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা এবং আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার
সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া অধ্যাপক ড. ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের
বিশেষ দূতের সঙ্গেও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বহুপাক্ষিক
কূটনীতিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভূমিকা উঠে আসে।
রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আলম বলেন,
প্রধান উপদেষ্টার সফরের মূল বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। সেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া
এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া
যায়। জাতিসংঘ সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ, স্বেচ্ছায়
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংকট যেন বৈশ্বিক মনোযোগ থেকে
হারিয়ে না যায় সে আহ্বান জানান। প্রেস সচিব জানান, এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি আনতে সক্ষম হন।
শফিকুল আলম বলেন, জবাবদিহি ও উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি
তুলে ধরতে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি)
থেকে উত্তরণের অগ্রগতির একটি স্বাধীন মূল্যায়ন পরিচালনা করতে। এ অনুরোধ ঢাকার অর্থনৈতিক
যাত্রাপথে আস্থা ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক মূল্যায়নের প্রতি উন্মুক্ততা প্রকাশ করে।
প্রেস সচিব জানান, ইউএনজিএ সফরে বিদেশে কর্মসংস্থান
ও শ্রমশক্তি রপ্তানির নতুন সুযোগও উন্মোচিত হয়। কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের আরও কয়েকটি
দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার সম্প্রসারণের
বিষয়ে সম্ভাবনা খোঁজা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব সুযোগ প্রবাসী আয় বাড়াতে ও নতুন অংশীদার
দেশের সঙ্গে জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন