

কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এক শোক বার্তায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা কবির পরকালীন জীবনের শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি আরও বলেন, কবি হেলাল হাফিজ ছিলেন তারুণ্যের শক্তি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সাহসী কণ্ঠ। তার কালজয়ী কবিতার মতোই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।
মন্তব্য করুন


জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করতে পারবে বলে জানিয়েছেন- সংস্থাটির প্রধান প্রসিকিউটর (কৌঁসুলি) করিম এ এ খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর ছাত্র-জনতার বিপ্লবে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া, রোহিঙ্গা সংকট, ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে অধ্যাপক ইউনূস জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান। এ অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের নৃশংসতার শিকার হয়ে অন্তত ৭০০ মানুষ মারা গেছেন এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আইসিসি-তে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ-ভিত্তিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে। তবে আইসিসি-তে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।
বৈঠকে করিম খান অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসির রোহিঙ্গা নির্বাসন নিয়ে তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করে করিম খান বলেন, এসব প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন করে গতি আনবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন এবং সমাধানের উপায় বের করা, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের জন্য শক্তিশালী যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা এবং ২০১৭ সালে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার অপরাধের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চালানোর প্রস্তাব দেন।
এ তিনটি প্রস্তাবকে
নিখুঁত- বলে মন্তব্য করেন করিম খান।
মন্তব্য করুন


মহান
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের
জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে
তাজউদ্দীন পরিবার।
আজ
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন তাজউদ্দীনের
জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ এবং পুত্র তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস উইংএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ
সময় শারমিন আহমদের লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা’ বইয়ের একটি কপি প্রধান
উপদেষ্টাকে উপহার দেন।
মন্তব্য করুন


চব্বিশের
জুলাইয়ে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের
অন্যান্য সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলা ও তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কর্তৃক নিহতদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
আজ
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় শহীদ বুয়েট শিক্ষার্থী
আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ও মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল
হোসেন।
প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আগে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনের
দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতের তালিকা করে প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্তের অনুরোধ জানান
শহীদ আবরার ফাহাদের পরিবার।
এসময়
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারকাজ ত্বরান্বিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিতে
প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ।
মোহাম্মদ
বরকত উল্লাহ বলেন, দেশের জন্য কথা বলার কারণে তাঁকে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে
হত্যা করে। সে দেশের স্বার্থে কথা বলেছিল, অসম পানি বণ্টনের বিরুদ্ধে বলেছিল,বলেন তিনি।
আবরার
ফাহাদের বাবা আরও বলেন, তাঁর মা এখনো ছেলের জন্য আর্তনাদ করেন। আর কোনো মায়ের যেন সন্তান
হারানোর কষ্ট পেতে না হয়, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।
তিনি
আরও জানান, কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর ওপরে একটি সেতু তৈরির জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে
দাবি জানিয়ে আসছেন। সেতু না থাকায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে উল্লেখ করে
সেখানে একটি সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন মোহাম্মদ বরকত
উল্লাহ।
সকল
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানান
আবরার ফাহাদের ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ।
বুয়েটের
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো শিক্ষার্থী
বান্ধব নয়। পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব, সরঞ্জাম ও অন্যান্য ব্যবস্থার সংকট রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা চাই এ সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে
শিক্ষার্থী বান্ধব করতে পদক্ষেপ নেবে।
পাশাপাশি,
বুয়েটে র্যাগিং বন্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ জানান তিনি।
আবরার
ফাইয়াজ বলেন, বুয়েটে নিপীড়নের ঘটনা এটাই প্রথম না। আগেও ঘটেছে। আগে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে
সেগুলোর তদন্ত ও বিচার করা প্রয়োজন।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনাটি পুরো
জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হবেই। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের
আগে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনের দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতের তালিকা করে প্রত্যেকটি
ঘটনা তদন্ত করা হবে। এর পাশাপাশি তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার
করে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেগুলো নিয়েও তদন্তকাজ চলছে। সরকার ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে।
(সূত্র-
বাসস)
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের
মধ্যে নির্বিঘ্ন নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের
নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ (৭ অক্টোবর) কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর উপর বিদ্যমান পুরাতন
সেতুর পাশে ১১,৫৬০.৭৭ কোটি টাকার নতুন রেল-কাম-সড়ক সেতু প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত
চলতি অর্থবছরের (অর্থবছর ২৫) তৃতীয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন
দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের
ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, দিনের বৈঠকে
মোট আনুমানিক ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া
হয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে ৭,৭৪৬.৬৬ কোটি টাকা, প্রকল্প
সহায়তা থেকে ১৬,০১২.৩৩ কোটি টাকা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৬৫৩.৯৫ কোটি
টাকা আসবে।
অনুমোদিত চারটি
প্রকল্পের মধ্যে দু’টি নতুন ও দু’টি সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া বৈঠকে ব্যয় না বাড়িয়ে সাতটি
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়
২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রেল-কাম-সড়ক সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ।
মোট ১১,৫৬০.৭৭
কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৪,৪৩৫.৬২ কোটি টাকা আসবে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে
এবং বাকি ৭,১২৫.১৫ কোটি টাকা আসবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক
ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটিজ (ইডিপিএফ), কোরিয়া থেকে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান,
কালুরঘাটে বিদ্যমান সেতুটি পুরনো ও জরাজীর্ণ হওয়ায় এ ব্যাপারে নতুন প্রকল্পের কথা বিবেচনা
করা হয়েছে।তিনি বলেন, সরকার কক্সবাজারকে আরও উন্নত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তর
করতে চায়। এছাড়াও মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সংলগ্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের
জন্যও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। এ জন্য সরকার মনে করেছে, এ ক্ষেত্রে একটি নতুন
প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।
পরিকল্পনা কমিশনের
একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নির্বিঘ্ন
ও নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করা এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ
তৈরি করা। রেলপথ মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে পুরানো ও জরাজীর্ণ কালুরঘাট
সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারে না। এছাড়া মাতারবাড়ী
গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে, এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন চাঙ্গা হবে, তেমনি এ রুটের
গুরুত্বও বাড়বে। ইতোমধ্যেই দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালুর মাধ্যমে ঢাকা ও কক্সবাজারের
মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ফলে পর্যটন নগরীর সঙ্গে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ
নিশ্চিত করতে বিদ্যমান পুরাতন সেতুর পাশে কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন রেল-কাম-সড়ক
সেতু নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে
এবং এইভাবে কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে অনুমোদিত হয়েছে।
বর্তমানে দেশের
আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমের ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। প্রস্তাবিত
প্রকল্পটি চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে নির্বিঘ্ন
রেল যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নতুন সেতুটি নির্মিত হলে, এই অঞ্চলের বিভিন্ন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চলে অবস্থিত কল-কারখানার পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম
হবে। মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০০ মিটার রেল-কাম-রোড ব্রিজ নির্মাণ,
৬.২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ, ২.৪০ কিলোমিটার সড়ক ভায়াডাক্ট, ৪.৫৪ কিলোমিটার বাঁধ,
১১.৪৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কাজ।
অতিরিক্ত ৬,৫৭৩.৯৬
কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় সংশোধিত মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়নের অনুমোদন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা
বলেন, এটি একটি বড় প্রকল্প। প্রকল্পটির ভূ-রাজনৈতিক দিকও রয়েছে। তিনি বলেন, এই বন্দরের
অর্থায়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন,
মাতারবাড়ী বন্দরে প্রয়োজনীয় কাজ এখনো শুরু হয়নি এবং বন্দরের উন্নয়নে রাস্তা নির্মাণ
করা হবে।
সভায় অনুমোদিত
অন্য দুটি প্রকল্প হল- সাজেক রোড কানেক্টিভিটি, প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর
মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, ৩৭৬.৯৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে দ্বিতীয় সংশোধিত ও ৫,৯০১.২২২
টাকা দিয়ে রেসিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইইউটিডিপি)।
মন্তব্য করুন


আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ
ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ
রোববার ( ০৭ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশনারগণ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান।
বৈঠকে
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত
ছিলেন।
জাতীয়
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন
মিয়াও বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব
ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ
সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন
কমিশনাররা।
নির্বাচনের
প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও
প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান।
তিনি
বলেন, ইতোমধ্যে নাগরিকরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী
আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ
সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সুষ্ঠু
ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে
সরকার।’
তিনি
বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদেরকে
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে
এগিয়ে চলছি।
মন্তব্য করুন


পূর্বানুমতি
ছাড়া চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে গ্রেপ্তার না করার সুপারিশ করেছে
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।
সুপারিশে
বলা হয়েছে, বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ প্রোফেশনাল
কাউন্সিল ইত্যাদির পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা
প্রদানকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণযোগ্য হবে, তবে তা অভিযোগ দাখিলের নব্বই দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন স্বাস্থ্যখাত
সংস্কার কমিশন কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনের ১১নম্বর সুপারিশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি
তুলে ধরা হয়।
চিকিৎসা
সেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে, সেবা গ্রহীতার অভিযোগ
নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে একটি আধুনিক ডিজিটাল অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে
হবে।বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ পোফেশনাল কাউন্সিল
ইত্যাদির আইনগত ক্ষমতা ও কাঠামোকে আরও কার্যকর করতে হবে। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট
ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য মেডিকেল প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স চালু
করতে হবে, যাতে কর্মজীবনে আইনি ঝুঁকি বা অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও সামাজিক
সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
জরুরি
পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের
অধীনে একটি নির্দিষ্ট ইউনিট থাকবে যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সংরক্ষিত কিছু পুলিশ থাকবেন
(যাদের মেডিকেল পুলিশ বলা যেতে পারে) যারা জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা, হুমকি ও সহিংসতা
প্রতিরোধে এই ইউনিট কাজ করবে।
সরকার
২০২৪ সালের নভেম্বরে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রধান
হিসেবে রয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ
খান।
কমিশনের
সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও
হেলথ ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মুহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, শিশু নিউরো
বিজ্ঞান বিভাগের নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নাইলা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার
হাসপাতালের স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ
সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল
হক, আইসিডিডিআরবি’র
বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ আহসানুর রহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ওমায়ের আফিফ।
মন্তব্য করুন


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদি প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়েছেন। তিনি সেখানে লিখেছেন ‘নববর্ষের শুভেচ্ছা’।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, জাপান সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক— এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
কিমিনোরি বলেন, ‘আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর ‘দৃঢ় সমর্থনের’ কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখায় জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই সম্পর্ক সবসময় খুব শক্তিশালী ছিল।’
সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে জাপানি কোন কোম্পানিও চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।’
তিনি নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের বাড়িতে ফেরার পূর্বে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী সোমবার দুই দিনব্যাপী সিভিল
সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ মে (সোমবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর তেজগাঁওস্থ
কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে চোখের যত্ন ও পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের
প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চোখের যত্নের সেবা
সম্প্রসারণ করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আরা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
আজ শুক্রবার (২২
নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হড, অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেরেক বাংলাদেশ সফর করছেন। এখন চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেকে
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে অধ্যাপক ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
অরবিস বাংলাদেশের
কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় ডেরেকের সাথে
ছিলেন। অরবিস প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ
উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস এটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডেরেক অরবিস ইন্টারন্যাশনালের
কাজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবিহিত করেন। অরবিস ১৯৮২ সালে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি-সংরক্ষণ
কর্মসূচি শুরু করেছিল। অরবিস গত ৩৯ বছর ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সাথে কাজ করছে।
ডেরেক বলেন, এই সময়ের
মধ্যে, অরবিস এ পর্যন্ত কমিউনিটি আউটরিচ ইভেন্টে ৭.৮ মিলিয়নেরও বেশি চোখের স্ক্রীনিং
পরিচালনা করেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিকে ওষুধ ও
অপটিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করেছে, ২৫৮,০০০টিরও বেশি চোখের সার্জারি করেছে এবং বাংলাদেশের
৪০ হাজারের বেশি লোককে চোখের যত্ন নেয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে
চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে অরবিসের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রতি
তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অরবিস এখন বাংলাদেশে ১১তম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা
করছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি
অরবিসকে ভালোবাসি। আমি ফ্লাইং আই হসপিটালকে ভালোবাসি।’ তিনি উলে¬খ করেন যে, অরবিস বাংলাদেশে
চোখের স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।
ডেরেক বলেন, অরবিস
ব্যক্তি, পরিবার ও জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বব্যাপী ২ শতাধিক দেশ ও ভূখণ্ডে
দৃষ্টি সংরক্ষণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক
বিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণভাবে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নিয়ে
বসবাস করছে উলে¬খ করে ডেরেক বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিস জোরদার ও টেকসই চোখের
যত্ন ব্যবস্থা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
অরবিস প্রেসিডেন্ট বলেন, অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, গত চার
দশক ধরে অরবিস শিশুদের চোখের যত্ন, মাইক্রোসার্জারি, রেটিনাল সার্জারি, কর্নিয়ার রোগ,
প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের
স্থানীয় অংশীদারদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
ডেরেক এ সময় প্রধান
উপদেষ্টাকে আরো অবিহিত করেন যে, অরবিস সারা দেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ৪২টি দৃষ্টি
সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে চোখের যত্নের সাথে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করেছে; ১৭টি সেকেন্ডারি
হাসপাতাল, চারটি তৃতীয় হাসপাতাল, দুটি ওয়েট ল্যাব, একটি মানসম্পন্ন রিসোর্স সেন্টার
ও একটি ডিজিটাল ট্রেনিং হাব প্রতিষ্ঠা বা উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
মন্তব্য করুন