নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে শান্ত মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তির কান কামড়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন তার স্ত্রী। শান্ত মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কানের বিচ্ছিন্ন অংশ আর স্থাপন করতে পারেনি চিকিৎসকরা। পরে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে এখানেই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের উত্তর দৌলতপুরে এ ঘটনা ঘটে। মো. শান্ত মিয়া মোহনগঞ্জ পৌরশহরের উত্তর দৌলতপুরের বাসিন্দা। শান্ত মিয়ার স্ত্রীর নাম রাহেলা বেগম।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নানা বিষয় নিয়ে শান্ত মিয়া ও তার স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া লেগে থাকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে রাহেলা ক্ষিপ্ত হয়ে শান্ত মিয়ার কানে জোরে কামড় দেয়। এতে কান প্রায় পুরোটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দ্রুত শান্ত মিয়াকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মমেক হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। এসময় বিচ্ছিন্ন কানের অংশটুকুও নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মমেকের চিকিৎসকরা চেষ্টা করে কানের অংশ স্থাপন করতে পারেননি। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার তাকে ফের মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শান্ত মিয়া বলেন, আমার কান পুরোটা কামড়ে ছিড়ে ফেলেছে। ময়মনসিংহ গিয়েও আর লাগানো যায়নি। স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ৩০ বছরের সংসার জীবন। সবসময় ঝগড়া করে। কিছুদিন আগে বড় ছেলে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি তাই তার ভালোমন্দ জানার অধিকার আমার আছে। এসব জিজ্ঞাসা করতে গেলে আমার স্ত্রী আর ছেলে মিলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইছে। এখনো থানা–পুলিশে অভিযোগ করিনি। একটু সুস্থ হই পরে যা যা করা দরকার সব করব।
মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পার্থ সরকার জানান, শান্ত মিয়ার কানের সিংগভাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুধু নিচের কিছু অংশ রয়েছে। এটা একটা অঙ্গহানির ঘটনা। মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেখানেও কানের কাটা অংশ স্থাপন করা যায়নি। এখন আর কিছু করার নেই। তার সুস্থ হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কেই এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
১
কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড
ড্রাগিস্ট সমিতি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা,
মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনো আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাই এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার
(৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে
সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন।
লিখিত
বক্তব্যে খোকন আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী
দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন- কুমিল্লায় দুই ব্যক্তির কাছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা জিম্মি ।
প্রকৃতপক্ষে চিত্রটা ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। তারা যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমাদের কোন হাত নেই। কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রয়েছে, রয়েছে প্রশাসন। তাই এখানে অন্য কেউ চাইলেও কাউকে আসামি করতে পারবে না। ফলে তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আওয়ামী দোসররা মেডিসিন ব্যবসায়ী শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই অবৈধ মেডিসিন ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাও করছেন। বিভিন্ন সময় অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, সভা- সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন। বিভিন্ন এমপি সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের ছবি রয়েছে। সেই অপবাদ ঢাকার জন্য তারা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যা নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সদ্য
ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি পদে থাকা মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ
সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপালের জনসভা এবং
স্থানীয় সাবেক কুসিক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার উপস্থিতির ছবি রয়েছে। ১৯৯৬
সালে রেইসকোর্সে অবস্থিত গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস এর ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের মূল
পরিকল্পনাকারী ও ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাকারি
আব্দুল আলীম।”
এই
কমিটির সিনিয়র সভাপতি মো: নুরুল আলম চৌধুরীর ( নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা
পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কমিটির
সহ-সভাপতি মেসার্স লাবোনি মেডিকেল হলের মালিক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান)
আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার
ও চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ
পাভেলের কাছের মানুষ ছিলেন। এই কমিটির সদস্য মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত
উল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কমিটিতে সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী
লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা পদ পান তিনি। কমিটির সদস্য মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক
মো: শামীম আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদস্য
মেসার্স নিউ মেডিকেল হলের মালিক বাবু ধনঞ্জয় কুমার দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিতেন বলে জানা গেছে।
সদস্য মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত আওয়ামী সমর্থক ছিলেন এবং
সদস্য মেসার্স রিয়া মেডিকেল হলের মালিক প্রহল্লাদ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মেডিসিন ব্যবসায়
নানা অনিয়ম করেছে।
আওয়ামী
দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিন্দনীয়।
এই ঘটনা ২৪ এর আন্দোলন কে কলঙ্কিত করেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ
সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী ও রুবেল
সহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব
উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম।
সম্মেলনে উপস্থিত গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের
জায়গা নয়। এখানে দুটি কাজ হয়, একটি জ্ঞান সৃষ্টি, আরেকটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। আজকের
আয়োজন জ্ঞান সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আমাদের ছাত্র ও উপস্থিত সকলেই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব কেবলমাত্র অতীতের উপাত্ত সংগ্রহের একটি
পন্থা নয়, বরং এটি আমাদের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিকাশের এক অমূল্য
দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা এবং তা বিশ্বমঞ্চে
তুলে ধরা আমাদের সকলের একান্ত দায়িত্ব।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, পুরনোকে নতুনভাবে উপস্থাপন
না করে, পুরনোকে পুরনোভাবে রেখে ইতিহাসকে খোঁজা, সহযাত্রী হওয়া, শিক্ষা নেওয়া, উপস্থাপন
করা, লালন করা এবং আত্মস্থ করা প্রত্নতত্ত্বের জ্ঞান। আমরা ছাত্রজীবনে এই পাঠগুলো পাইনি,
যার ফলে একটা বড় গোষ্ঠী এগুলো নিয়ে সচেতন নয়। আমরা জাতি হিসাবে পিছিয়ে আছি, কেননা আমাদের
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সচেতন নই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন জ্ঞান বিনিময় প্লাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু
গবেষণার গুণগত মানই বৃদ্ধি পাবে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশি এবং বিদেশি
গবেষকদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার কাছে মনে হয়,
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কষ্টিপাথরে যাচাই করা জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রত্নতত্ত্ব। আমরা
যদি ইতিহাসকে বিভিন্ন লেয়ারে ভাগ করি, প্রাচীণ, মধ্য, আধুনিক, তাহলে ফাউন্ডেশন লেয়ারে
আমরা প্রত্নতত্ত্বকে পাবো।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে ময়নামতি সংক্রান্ত বিষয় জানতে পারার জন্য ময়নামতির
কাছে এসে এই সম্মেলন হওয়ায় আমরা কৃতার্থ। এই যে
ল্যান্ড অফ ভ্যারাইটিজ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় আছে, সেখানে আসতে পেরে
আমরা আসলেই গর্বিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া
চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, প্রত্ন-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের
শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
রাত পোহালেই বুধবার শুরু হতে যাচ্ছে চাঁদপুরের কচুয়া ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরন করা হচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরাজমান রয়েছে।
ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা নির্বাচনী মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ১৩ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর জমজমাট প্রচারনা শেষে ২৯ মে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আহবাওয়া ও ঘূর্নিঝড়ে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
পরে ৫জুন বুধবার নির্বাচন কমিশন কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন।
কচুয়ায় ১১০টি কেন্দ্রে ১জন হিজড়া ভোটারসহ মোট ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৫শ২৫ জন ভোটার রয়েছে। তন্মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫শ ৪৬ জন এবং মহিলা ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯শ ৭৮ জন।
মন্তব্য করুন
ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২টি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭টি স্টেশনে থামবে।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৫ দিন এই রুটে অন্তত ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সড়ক পথের উপর বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা কমবে। স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা জানিয়েূছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
যে সকল স্টেশনে ট্রেন থামবে:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
পথে ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রাম অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ঈদ যাত্রায় সেটি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
ঈদে বিপুল এ যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এতে ঈদযাত্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি থামবে ৭ টি স্টেশনে ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই টিকিট মিলবে শতভাগ ।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এতে দায়িত্ব পেয়েছে কুমিল্লা কৃতি সন্তান সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী চাকসু’র সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন সরকারকে সহ-সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক, হিসাবে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দকে বৃহত্তর কুমিল্লার চাবিয়ানরা অভিনন্দন জানান।
জানা যায়, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে নগরের লালখান বাজারস্থ চট্টগ্রাম ক্লাবে এক সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।
এতে চাকসুর সাবেক ভিপি এসএম ফজলুল হককে সভাপতি এবং এনবিআর-এর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণ করা হয়।
কমিটিতে এ এস এম শামসুজ্জামান হীরা, মজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন মিয়া, স ম নজরুল ইসলাম, একরামুল করিম, চাকসু’র সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন সরকারকে সহ-সভাপতি, মোস্তফা কামাল উদ্দিন, মো. মহিউদ্দিন বাদল, খন্দকার রেজাউল করিমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহাম্মদ আসিফ চৌধুরী সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে কোষাধ্যক্ষ, সাংবাদিক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজাকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাইফুদ্দিন আহম্মদ সাকিকে দপ্তর সম্পাদক, সাবেক কাউন্সিল শামসুজ্জামান হেলালিকে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক,দিদারুল আলমকে সহকারী কোষাধ্যক্ষ, মনোনীত করা হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, উপ-উপাচার্য ড. শামীম উদ্দিন খান, প্রফেসর ড. আরিফ মঈনুদ্দিন, প্রফেসর ড. তোফায়েল আহম্মদ, লায়ন,আ ন ম সামসুল ইসলাম, মো. আসলাম চৌধুরীকে উপদেষ্টা করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. তোফায়েল আহম্মদ, চাকসু’র সাবেক ভিপি এস.এম ফজলুল হক, মজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী, রাজনীতিবিদ একরামুল করিম, সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন সরকার, সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
রুবেল মিয়া স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য
কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কবিরাজ চিকিৎসার নামে তার স্ত্রীকে সম্ভ্রমহানি
করেন। এমন সন্দেহে কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা করেন রুবেল মিয়া।
চুয়াডাঙ্গার কবিরাজ রাজ্জাক শেখ রাজাই
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি হিসেবে রুবেল ও সহযোগী হিসেবে সোহেল রানাকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য
জানিয়েছেন।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া গ্রামে কাচারীপাড়ার মরহুম দেসের
আলীর ছেলে। তিনি কবিরাজি পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং চাষাবাদ করতেন। নিহতের ভাইপো সানোয়ার
হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করে।
জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টার দিকে রাজাই কবিরাজ জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে
সদর উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা নদীর ব্রিজের পাশে পান বরজের কাছে নিয়ে যায়।
এরপর রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর রুবেল ফিরে এসে তাদের না পেয়ে
তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সেটা বন্ধ পায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫-৪০ মিনিট
পর রাজাই কবিরাজ ও তার স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে আসলে, রুবেল তার স্ত্রীকে দেখে সন্দেহ
করে। পরে রুবেল বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে কান্নাকাটি করে বলে যে,
রাজাই কবিরাজ তার সম্ভ্রমহানি করেছে। এটা জানার পর রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে নিয়ে
বাড়ি থেকে বের হয়। রাজাই কবিরাজকে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জিন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে
সুবদিয়া ভুট্টা ক্রয় কেন্দ্রের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে কালীভান্ডারদহের দিকে
নিয়ে যায়। এ সময় মোটরসাইলের পেছনে বসা রুবেল তার হাতে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে রাজাই কবিরাজের
গলায় পোঁচ দিয়ে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নির্জন রাস্তায় ফেলে দেয় এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত
করে। মরদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গাছপালা দিয়ে ঢেকে দিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়।
পুলিশের তদন্তের পর আলোচিত কবিরাজ হত্যাকাণ্ডের
ঘটনাটি গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এভাবেই তুলে ধরেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর
রহমান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকর চন্দ্র
ইউনিয়নের কালিভান্ডারদহ পিরতলি মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী (৪৮) নামের
এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের দিনই পুলিশি তদন্তে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রুবেল মিয়া ও সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা আদালতের বিচারকের
কাছে তাদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ১টায় চুয়াডাঙ্গা
পুলিশ সুপার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে
জানান, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ বিচারক রিপন হোসেনের কাছে স্বেচ্ছায়
জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আটক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া
পূর্বপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই পাড়ার আনিসের ছেলে সোহেল রানা
(২০)। এদের কাছ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত আলামত ধারাল ছুরি, ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল
ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
অটোরিক্সা চালক মেহেদী হাসান হত্যাকান্ডের মূল আসামী গ্রেফতার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
রবিবার (১৯/১১/২০২৩ইং) সকালে মেহেদী হাসান (১২) অটোরিক্সা নিয়ে তাঁর নিজ বাড়ি হতে প্রতিদিনের
ন্যায় বের হয়ে বরুড়া থানাধীন ইলাশপুরস্থ চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর
পৌঁছালে নাজমুল হোসেন (২৫) নামের একজন মেহেদী হাসান (১২)কে চাকুর ভয় দেখিয়ে তার অটোরিক্সাসহ
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন কালির বাজার হাতিগাড়া কবরস্থানে পাশে ঝোপের ভিতর নির্জন
জঙ্গলে নিয়ে যায়। গভীর জঙ্গলে নিয়ে নাজমুল হোসেন এর হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে মেহেদী
হাসান এর পেটে ও গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মেহেদী হাসান এর চালিত অটোরিক্সা
নিয়ে তার শশুর বাড়ি দাউদকান্দি থানাধীন গৌরিপুর ওগোলিয়া এলাকায় চলে যায়।
পরবর্তীতে
মেহেদী হাসান এর বাবা বরুড়া থানায় অভিযোগ করেন। অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন এর
দিক নির্দেশনায় এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম এর নেতৃত্বে বরুড়া থানার
১টি চৌকস দল বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ
পর্যালোচনা করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে দাউদকান্দি থানধীন
গৌরিপুর ওগোলিয়া এলাকায় নাজমুল হাসানের শশুর বাড়িতে থেকে নাজমুল হাসান কে আটক করেন
বরুড়া থানা পুলিশ। কোতয়ালী মডেল থানাধীন হাতিগাড়া কবরস্থানে ঝোপঝাড়ের মধ্য হতে মেহেদী
হাসান এর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার করে।
উক্ত
ঘটনায় বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে অজ্ঞাতনামা
চলন্ত গাড়ির পিছনে ধাক্কায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের আমানগন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাহাদুর মিয়া(৩২) নোয়াখালী জেলার
সুবর্ণপুর উপজেলার চড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত মিরাজ মিয়ার ছেলে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এসএম
লোকমান হোসাইন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের আমানগন্ডা এলাকায় ঢাকামুখী কাভার্ডভ্যান (ঢাকামেট্রো-ই-১১-১৫৯২) শুক্রবার
সকাল ৭টায় সামনের চলন্ত অজ্ঞাতনামা গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশ
ধুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক বাহাদুর মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে
থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক
গিয়াস উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গণপিটুনিতে নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটার কাঠালতলী ইউনিয়নের চরদোয়ানি তালিমুল কুরআন মাদরাসা ময়দানে তোফাজ্জলের জানাজা শেষ হয়।পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার মা-বাবা আর ভাইয়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজা শেষে তোফাজ্জলকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে চরদোয়ানি বাজারের প্রধান সড়কে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন পাথরঘাটার তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় এবং মা ও ভাই ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পরিবারের কোনো সদস্য জীবিত নেই। এ কারণে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
তোফাজ্জলের স্কুলশিক্ষক মিলন মিয়া গণমাধ্যমে জানান, স্কুল জীবন থেকেই তোফাজ্জল খুব মেধাবী এবং শান্ত স্বভাবের লোক ছিল। ও সবসময় শিক্ষক এবং বড়দের সম্মান করতো। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই এবং তার সঙ্গে যারা তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন করেছেন তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে তার মামাতো বোন তানিয়া জানান, আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে দোষ এড়ানোর জন্য মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত হন মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল। পরে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তোফাজ্জলের মরদেহ পাথরঘাটার নিজ গ্রাম চরদোয়ানিতে নেয়া হয়। এরপর তাকে দেখতে এলাকাবাসী ভিড় জামাতে শুরু করেন। পরে শুক্রবার সকালে তোফাজ্জলের জানাজায় অংশ নেন দূরদূরান্ত থেকে আসা ও এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লার
মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে রাহাত (১৯) ও সুজন
মৃধা (২১) নামের দুই যুবককে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার
(৪ মে) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বেগম সুফিয়া শওকত কলেজ কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ
আদালতের মাধ্যমে এ শাস্তি দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
সাকিব হাছান খান।
দণ্ডপ্রাপ্ত
রাহাত উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মো. শাহিন মিয়ার ছেলে এবং সুজন মৃধা একই গ্রামের মো.
মতিউর রহমানের ছেলে।
পাবলিক
পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন-১৯৬০ অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে মোট ৪০০ টাকা
অর্থদণ্ড এবং ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে বিকেলে পুলিশি নিরাপত্তায়
তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনার
বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খান জানান, “পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে
বহিরাগত দুই যুবক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নকল সরবরাহ করছিল। ঘটনাস্থলেই তাদের আটক করে
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি
আরও বলেন, “পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্টকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই ধরনের অপরাধ
প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে আছি।”
স্থানীয়
প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে সচেতন মহল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পরীক্ষার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর
নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন