কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বরল এলাকায় মেঘনা কোল্ডস্টোরেজ নামে একটি আলু রাখার হিমাগারে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা এর যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২১ লক্ষ পিচ ডিম এবং প্রায় ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি ও মিষ্টির সিরা উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
লাইসেন্সবিহীন হিমাগারে অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিষ্টি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয় আরও ৬০ হাজার টাকা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন,এই বিপুল পরিমাণ ডিম কোন কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং কত দিন যাবত মজুদ করা হচ্ছিল- কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। কোল্ডস্টোরেজটির কৃষি বিপণনের লাইসেন্স না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বিপণনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, আলু রাখার কোল্ডস্টোরেজে বিপুল পরিমাণ ডিম ও মিষ্টি মজুদ করে রাখা হয়েছিল। ৫ হাজার বান্ডেলে ৪২০টি করে ডিম সেখানে রাখা ছিল। এছাড়া ৮শ ড্রামের প্রতিটিতে ৩০ কেজি করে ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি রাখা হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি
কুমিল্লা মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেছে ।
শনিবার বিকেলে মাদকবিরোধী এ টাস্কফোর্স অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করা হয়
।
আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো: মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর নির্দেশনায় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক কাজী দিদারুল আলম এর সার্বিক তত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন নিশ্চিন্তপুর বাজারে পরিচালিত এ টাস্কফোর্স অভিযানে ডিএনসি-কুমিল্লা, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের অংশগ্রহণে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন মোসা: মিলন বিবি (৬৩) কে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় ।
আসামীর
বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ কেজি গাঁজা এবং ৭৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মেহেদী হাসান (২২) এবং ২। মোঃ পারভেজ (২৪) নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা, ৭৩ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ইজি বাইক (অটো) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ মেহেদী হাসান (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতরা গ্রামের মোঃ আলমগীর
এর ছেলে এবং আসামী মোঃ পারভেজ (২৪) একই গ্রামের মোঃ শাহীন এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ইজি বাইক (অটো)টি ব্যবহার করে
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা’সহ অন্যান্য জেলায়
মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১
এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের
মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
ক্লুলেস শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে
ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
২৭ মার্চ সকালে বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ শালুকিয়া এলাকায় শরীফ হোসেন(৩৫) এর মৃত
দেহ তার ঘরে মাটিতে পড়া অবস্থায় ছিলো।
মৃত
শরীফ হোসেন এর মা রৌশন আরা বেগম থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই(নিঃ)
নাজিম উদ্দিন।
ভিকটিম
শরীফ হোসেন(৩৫) এর লাশ পাওয়ার পর হতে পুলিশ সুপার, কুমিল্লার সার্বিক দিক নির্দেশনায়
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে,এম এমরানুল হক মারুফ, সদর দক্ষিণ সার্কেল, কুমিল্লার
তত্ত্বাবধানে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, এসআই(নিঃ) নাজিম
উদ্দিনসহ বরুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টীম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে
নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে হত্যাকান্ডের কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছিল
না। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের
শনাক্তের জন্য বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ টীম বরুড়া বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রমের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে জড়িত
আসামী ১। আরিফ হোসেন(২২), ২। মোঃ নাছির উদ্দিন(৪৩), ৩। মিসেস খুকী আক্তার(৩৫) কে গ্রেফতার
করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ১নং আসামী মৃত
শরীফ হোসেন এর ছোট ভাই, ৩নং আসামী মৃত শরীফ হোসেনের বড় বোন এবং ২নং আসামী ৩নং আসামীর
স্বামী।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, মৃত শরীফ হোসেন উচ্ছৃঙ্খল
জীবন যাপন করত। সে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। এলাকার লোকজন তাকে
ভয় পেতো। মৃত শরীফ হোসেন তার মাকে প্রায় সময়ই গালিগালাজ ও মারধর করত। ছোট ভাই আরিফ
হোসেনের সাথেও তার ঝগড়াঝাটি ছিল। কিছুদিন আগে আরিফ হোসেন এর একটি অটোরিক্সা শরীফ হোসেন
জোরপূর্বক বিক্রি করে। ইহাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া
মৃত শরীফ হোসেন এলাকার লোকজনের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তার বড় বোন
খুকি আক্তার এর নিকট বিচার প্রার্থী হলে বড় বোন শরীফ হোসেনকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন
কথাবার্তা বলত। ফলে মৃত শরীফ হোসেন বোনকে শক্র মনে করত। এমনকি বোনকে বিভিন্ন রকম হুমকি
দিতো। মৃত শরীফ হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বড় বোন খুকি আক্তার, বোনের স্বামী মোঃ
নাছির উদ্দিন ও ছোট ভাই আরিফ হোসেন তাদের একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে পরিকল্পনা করে যে,
শরীফ হোসেনকে মারপিট করে পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে খাওয়াইবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীগন
গত ২৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত ১টায় ঘটিকার সময় বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ
শালুকিয়া সাকিনের শঙ্কু ডাক্তারের পুকুর পাড়ে নির্জনস্থানে শরীফ হোসেনকে একা পেয়ে আসামীদের
হাতে থাকা রড, দা ও টর্চ লাইট দিয়ে শরীফ হোসেনের মাথা, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে
পিটিয়ে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত ও ফুলা জখম করে। তারপর শরীফ হোসেনের হাত পা বেধে আসামী
নাছির উদ্দিনের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেনকে আবারও মারপিট
করে। তারপর শরীফ হোসেন দুর্বল হয়ে গেলে আসামীগন হাত পা বাঁধা অবস্থায় শরীফ হোসেনকে
তার ঘরে মাটিতে ফেলে আসে। সকালে আসামীরা জানতে পারে শরীফ হোসেন মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে
আসামীরা শরীফ হোসেনকে দেখতে যায়।
হত্যাকান্ডে
আসামীদের ব্যবহৃত দা, রড, টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ১।
আরিফ, ২। নাছির এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ওরফে জাহেরকে (৬০) কুমিল্লা নগরীর সিটিকর্পোরেশন এলাকা থেকে কোতায়ালি মডেল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
জানা যায়, জাকির হোসেন জাহের এর বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা, কুমিল্লা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতার মামলাসহ কোতয়ালী মডেল থানায় ২ টি এবং বুড়িচং থানায় ৮ টি মামলা রয়েছে। জাকির হোসেন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পীরযাত্রাপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। তার আগে ২০১৬ সালে তিনি একই এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে র্যাবের পৃথক অভিযানে ১৬ হাজার ইয়াবা বড়ি ৬ লক্ষ টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোর রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার তালতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মোঃ সোহাগ মোল্লা (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১৬ হাজার ইয়াবা বড়ি ও নগদ পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে মোঃ শাহাদাত হোসেন শান্ত (২৬), হৃদয় মিয়া (২৩) এবং মোঃ শাহিন মিয়া শাকিল (২৩) নামে তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০৪টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৪০ কেজি গাঁজাসহ একটি টয়োটা মাইক্রোবাস জব্দ করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।
আজ (২০ জুন) রাতে বুড়িচং থানায় কর্মরত এসআই মোঃ নূরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা বুড়িচং থানার ১নং রাজাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত পাঁচোড়া দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া নুর মসজিদের উত্তর পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর একটি টয়োটা মাইক্রোবাসকে থামার সংকেত দিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পায়ে গাড়ী চালক ও গাড়ীতে থাকা দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়ী থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার ও উপস্থিত লোকজনের সামনে গাড়ীটি তল্লাশী করে গাড়ীর পিছনে থাকা ৭টি চটের বস্তায় ১৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় টয়োটা মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল
(২৬ জানুয়ারী) রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ও সঙ্গীয়
ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬ নং জগন্নাথপুর
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রাজম্ঙ্গলপুর সাকিনস্থ কাশফুল ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তার উপর থেকে
২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সুজন মিয়া কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: মোঃ সুজন মিয়া(৩১), পিতা-মন্তু মিয়া ,স্থায়ী-১: গ্রাম- রাজমঙ্গলপুর ( হাবিল
কবিরাজের বাড়ির পাশে ০৮ নং ওয়ার্ড) , উপজেলা/থানা- কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও নগদ অর্থসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করা হয়।
বুধবার (২ অক্টোবর) যৌথবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত
অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (২৭), মোঃ মিতন মিয়া (২৫), মোঃ মাহফুজ মিয়া
(৩৫), মোছাঃ সুলতানা বেগম (৪৭) ও মোছাঃ ফাতেমা বেগম (৪৫) নামক ৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
আটক করা হয় ।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৪৭ বোতল হুইস্কি, ১৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি গাঁজা, ৬২০টি ফয়েল
পেপার, ৫টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ও নগদ ৩২ হাজার ১৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত মাদক বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অবৈধ
অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে
বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় পৃথক অভিযানে ৬৮ কেজি গাঁজাসহ
২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ।
সোমবার ১৮ মার্চ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চিওড়া
সুজাতপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা সুপন বড়ুয়া (৩০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা ও ১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে ১৮ মার্চ রাতে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নবগ্রাম এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মনির হোসেন (৪৩) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও ১ টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সুপন বড়ুয়া (৩০)
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার ফতেহপুর গ্রামের মৃত দুলাল বড়ুয়া এর ছেলে এবং আসামী
২। মোঃ মনির হোসেন (৪৩) কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কলাকান্দি গ্রামের মৃত জাফর মোল্লা
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন