কুমিল্লার
বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী গভর্নমেন্ট প্লিডার (এজিপি) এডভোকেট মোঃ আবু
মুছা ভূঁঞা ১৯৭৯ সালের ২৫ নভেম্বর কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার বাগমারা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি
বাগমারা দাখিল মাদ্রাসায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে মুরাদনগর
বাঁশ কাইট পীতাম্বর জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে ১ম বিভাগে মাধ্যমিক পাশ করেন।
তৎপর চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে অর্নাস করেন।
পরে উক্ত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াকালীন সময়ে
বিএনসিসি ও স্কাউট এর সাথে জড়িত ছিলেন।
অ্যাড.
আবু মুছা ভূঁঞার দাদা মনিরুল ইসলাম মাষ্টার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে
দাদা মনিরুল ইসলাম মাষ্টার এর অনুপ্রেরণায় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত হন তিনি। সেই
সুবাদে এডভোকেট মোঃ আবু মুছা ভূঁঞা ১৯৯৬-৯৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র দলের
রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে "ওয়াসিম-ছানাউল্লাহ পরিষদ" এর পাশের ক্ষেত্রে ভূমিকা
রাখেন এবং ১৯৯৯ সালে কুমিল্লা আইন কলেজে অধ্যয়নরতকালে ছাত্র সংসদ "নাজমূল-মহান
পরিষদ" এর নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ
বার কাউন্সিল থেকে সনদ প্রাপ্ত হয়ে একই সালে ৩১ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতিতে
যোগদান করে পেশাগত জীবনে আত্ম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তরুণ আইনজীবী হিসেবে জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য
হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লাস্থ দেবীদ্বার সমিতির নির্বাচন
কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেবীদ্বার সমিতির "ক্রীড়া সম্পাদক"
হিসেবে মনোনীত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এড. আবু মুছা ভূঁঞা ২০১০ সালে সর্ব সম্মতিক্রমে
দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন বিএনপির "সভাপতি" নির্বাচিত হয়ে বর্তমানেও
পুনরায় দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেবীদ্বার উপজেলা বিএনপি'র "মানবাধিকার বিষয়ক
সম্পাদক" হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে ২০২২ সালের ২৯ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
(বিএনপি)'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত কুমিল্লা উত্তর জেলার আহবায়ক
কমিটির "সদস্য" মনোনীত হন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কুমিল্লা
ইউনিটের "যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক" হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জেলা
আইনজীবী সমিতির "লাইব্রেরী সেক্রেটারি" হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার
আইনজীবী ও কুমিল্লা জেলা পিপি এডভোকেট কাইমুল হক রিংকু'র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের
মামলা পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অ্যাড. মুছা ভূঁঞা বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের
সকল প্রকার দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সরকারের পতনের পর যখন দেশের ক্রান্তিলগ্নে
অতিক্রম করে তখন ১৫নং বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও
তিনি জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ গেলো ৩রা জুন দেবীদ্বার উপজেলাধীন বাগমারা ইসলামিয়া
আলীম মাদ্রাসা'র গভর্ণিং বডির "সভাপতি" মনোনীত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ দেড় যুগেরও
বেশি সময় ধরে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে আইন পেশা পরিচালনা করে আসছেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গোমতী নদীর পাড় ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদে পরিচালিত হয়েছে মোবাইল কোর্টের বিশেষ অভিযান।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে এ অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান। অভিযানে পাউবো, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো), সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ একযোগে অংশ নেয়।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে দেখা যায়, পালপাড়া কালীমন্দির এলাকা থেকে শুরু করে বিবির বাজার স্থলবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত পাউবোর জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ কাঠামোতে পরিচালিত ১৫টির বেশি টং দোকান, মুদি দোকান ও বেশ কিছু অভিজাত রেস্টুরেন্ট।
স্থানীয়দের আড্ডা ও জমজমাট পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল এসব ব্যবসা। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল অবৈধভাবে নেওয়া—কোনো বৈধ মিটার বা চুক্তি ছাড়াই। অভিযান চালিয়ে এসব সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
পাউবো'র তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে যেসব রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:গোমতী টাচ,গোমতী বিলাস,রোজ ক্যাফে ভ্যালি,বাগান বিলাস।
এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই নদীর পাড়ে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানই জমির মালিকানা নিয়ে মিথ্যা দাবি করে আসছিল, যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় ক্ষোভ ছিল স্থানীয়দের মধ্যে।
একাধিক বাসিন্দা জানান, “গোমতীর পাড় এখন আর আগের মতো শান্তিপূর্ণ নয়। এইসব দোকানে সন্ধ্যার পর নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলত।”
অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান বলেন, “গোমতীর পাড় ঘেঁষে পাউবোর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কেউই ব্যবসা করতে পারবে না। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই অভিযান আগামীকালও চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “নদী রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ প্রভাব খাটিয়ে এসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা চালু রাখতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা'র উদ্যোগে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধিনস্থ ৬ জেলার প্রায় ৫২টি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষকদের মাঝে কর্মশালা- ২০২৪
অনুষ্ঠিত হয়।
২২ জুন শনিবার সকালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মশালায়
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ নিজামুল করিম।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমিক) ও ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়া কর্মকর্তা
মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়ার সভাপতিত্বে এবং কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের শরীর
চর্চা শিক্ষক জি এম ফারুক এর সঞ্চালনায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে দিনব্যাপী এই প্রথম
কোন কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং আলোচনা করেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মোঃ
নাজিম উদ্দিন ভুইয়া, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সাপ্তাহিক অভিবাদন এর সম্পাদক আবুল হাসানাত
বাবুল, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সঞ্চালক বদরুল হুদা জেনু।
এসময় উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠানে বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বোর্ড চেয়ারম্যান
প্রফেসর ড. মোঃ নিজামুল করিম বলেন, আজ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এই প্রথমবারের
মতো শরীর চর্চা শিক্ষকদের কর্মশালা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল শিক্ষকদের প্রতি
আমি কৃতজ্ঞ। শরীর চর্চা উৎকর্ষ সাধনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। তাই শিক্ষার পাশাপাশি সঠিক প্রশিক্ষণ
নিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চা করা অত্যাবশ্যক বলে আমি মনে করি। এ কার্যক্রমের
ধারা ভবিষ্যতে যেন অব্যাহত থাকে আমি উপস্থিত সকলের নিকট এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
মন্তব্য করুন
ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক :
কুমিল্লা লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগৎপুর এলাকা থেকে নোমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়ি থেকে একটি বানর উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী অবৈধভাবে ও অনুমতি ব্যতীত বানরটি রাখার দায়ে ওই ব্যক্তিকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি, তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ না করার শপথও প্রদান করেন।
বানরটিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বানরটি লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, জনস্বার্থে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো কুমিল্লা
জেলাতেও চলছে শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিং।
শনিবার ১১ই আগস্ট কুমিল্লা জেলা ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের নিয়ে করেছে বাজার মনিটরিং।
এদিন সকালে কুমিল্লার নিউমার্কেট এলাকায়
শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেন কুমিল্লা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সপ্তাহখানেক আগেও
কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়েছি। আজ জরুরি ওষুধ যা বন্যা পরবর্তী সময় দরকার হয় ও একদল বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণ
ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষতির পরিমাণ দেখে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে
শনিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের পর এসব কথা
বলেন তিনি। এসময় শিশু ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের হেলথ কেয়ার
প্রজেক্ট কনসালটেন্ট ডা. রেহানা খানমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বন্যায়
অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
আহত হয়ে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ৬ জনের চিকিৎসার
খোঁজ-খবর নিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে বন্যার কারণে অসুস্থদের পরিদর্শন ও
চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নিজ উদ্যোগ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন, পিএসও, এস এস
গ্রুপের ও অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় প্রায় ৭০ হাজার ওষুধ এবং ১০০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য
বিতরণ করা হয়েছে, এর মধ্যে পাউডার দুধ, চকোলেট, ম্যাংগো বার,বিস্কুট, চিপস, চানাচুর
ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম সেনা
ক্যাম্পের লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমতুল্লাহ, সার্কেল
এএসপি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদা বেগমসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা
ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা দাউদকান্দিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁশ বোঝাই মিনি ট্রাক সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা দিলে ট্রাক থেকে ছিটকে সেতুর নিচে পড়ে বাঁশ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ১১টায় (২৫আগষ্ট) ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি-গোমতী সেতুর উপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন(৪৫) গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার লাগালিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল ভুইয়ার ছেলে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী বাঁশ বোঝাই মিনি ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কায় ভিতরে থাকা ব্যবসায়ী ছিটকে সেতুর নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। আর ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর চালক পলাতক।
মন্তব্য করুন
ভাষাসৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সমাজসেবক মোঃ তাজুল ইসলাম শিকারপুরি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার হাজতখোলা এলাকার শিকারপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ অনুভব করেন এবং রাত ১২টার দিকে হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স ৯০ উর্ধ্ব। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, আট ছেলে ও তিন মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী-শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
মরহুমের ছেলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এডভাইজার এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোঃ জামাল নাছের জানান, ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তাজুল ইসলাম শিকারপুরি হাজতখোলা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শিকারপুর সেকান্দর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া লালমাই কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এলাকাবাসী জানান, শিক্ষা বিস্তারে মরহুম তাজুল ইসলাম ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। এলাকার অসহায় মানুষের জন্য তাঁর দানের হাত সবসময় প্রসারিত ছিলো। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের বীর সেনা ছিলেন। কুমিল্লা নগরীর ভাষা চত্বর শহীদ মিনারে মোঃ তাজুল ইসলাম শিকারপুরির নাম রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোক বিরাজ করছে।
পরিবার সূত্র আরো জানায়, আজ বিকাল তিনটায় হাজতখোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের প্রথম জানাযা এবং বিকেল পাঁচটায় শিকারপুর সেকান্দর আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে
সাতজন মাদক ব্যবসায়ীকে গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
আজ
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের
কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা ও ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট
উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত
আসামীরা হলো: ১। কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকার মোঃ জসিম উদ্দিন’র
ছেলে মোঃ মাসুদ রানা (২৪), ২। বুশতল এলাকার আবুল কাশেম’র ছেলে আব্দুল খালেক (১৯),৩।
২ নং বদরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম’র ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (২৭), ৪। বরুড়া থানাধীন দেওড়া
এলাকার আব্দুছ ছাত্তার’র ছেলে শরীফ হোসেন (৩৯), ৫। চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার
ছায়েদ মিয়ার ছেলে মোঃ পারভেজ (৩৫),৬। কেছকী মোড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম‘র ছেলে মোঃ
নূর নবী (২৮),৭। বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন তেরকান্দা এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেন’র
ছেলে মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম (১৯)।
র্যাব জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ধৃত আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয় করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ভাড়া বাসা থেকে মা এবং মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৪৫) এবং তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২৩)।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইফুল মালিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহতরা নগরীর সুজানগর এলাকার হলেও গত ৫-৬ বছর ধরে কালিয়াজুড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। নিহত তাহমিনার দুই ছেলে এক মেয়ে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন, ছোট ছেলে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। তাহমিনার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন।
সোমবার গভীর রাতে ছেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ভাড়া ওই বাসায় গিয়ে দেখে দুই কক্ষের বিছানার ওপর দুজনের মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশ সেগুলোর সুরতহাল তৈরি করে মরদেহগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক বলেন, ঘটনার খবর পাই আমরা রাত আড়াইটার দিকে। পরে সেখানে যাই। খাটের নীচে বালিশ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য পুরোপুরি জানা যাবে। এ ঘটনায় পুলিশি তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন
(৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে ডান হাত কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি
ওলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মহিউদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম বলেন,
আমার ছেলে মহিউদ্দিন দিনমজুর হিসেবে যখন যে কাজ পেতো, তাই করতো। আমার ছেলে রাজনৈতিক
কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তার কোনো শক্রও ছিল না। কিন্তু কে বা কারা দিনদুপুরে
বসতবাড়িসংলগ্ন মসজিদের কাছে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে
নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা: জান্নাতুল
নাঈম জানান, মহিউদ্দিনকে মৃত অবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তাঁর
ডান হাত পাওয়া যায়নি। কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হাত বিচ্ছিন্ন করার
পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন
অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ
(পরিদর্শক) রোমেন বড়ুয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জেরে এ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তের পরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের
জন্য কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক
সাইদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। হত্যাকারীরা তার
ডান হাত নিয়ে গেছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন