কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের পাশের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে ও মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল প্রতিরোধে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।
এ সময় মহাসড়কের পাশের ফুটপাতের অবৈধ
স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ, মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচলকারী থ্রি-হুইলার ও বৈধ কাগজপত্র
বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা
গেছে, গত সপ্তাহে মহাসড়কের পাশের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে জনস্বার্থে হাইওয়ে পুলিশের
পক্ষ থেকে বিশেষ প্রচারনা করা হয়। প্রচারনা শেষে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকাসহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা
হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন সড়ক আইন ভঙ্গের দায়ে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২৫টি মামলা
করা হয়।
যৌথ এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রিফায়েত তারেক মজুমদার, হাইওয়ে পুলিশের
সার্জেন্ট মো: হাসান, মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মো: নজরুল
ইসলাম সহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ ও মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা
পুলিশের একটি টিম।
এ অভিযানের বিষয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জসিম উদ্দিন বলেন, মহাসড়কের পাশের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত
রাখতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং থ্রি-হুইলার বন্ধে
যৌথবাহিনী সোমবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিভিন্ন অপরাধে মোট ২৫টি মামলা
দায়ের করা হয়েছে। মহাসড়ক অবৈধ দখল ও যানজটমুক্ত রাখতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১১৯ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬
ডিসেম্বর) ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে আসামী ১। মোঃ আবু এবং ২। মোঃ ইদ্রিস মিঞা নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১১৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আবু (৩৫) চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানার ফয়েস লেক গ্রামের মৃত আবুল খায়ের এর ছেলে
এবং ২। মোঃ ইদ্রিস মিঞা খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার হাতিয়াপাড়া গ্রামের আতাউর
রহমান এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও
মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আল আমিন ও তার সহযোগীকে পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
২২ নভেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন সংরাইশ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ আল আমিন এবং ২। আবুল
কাশেম নামের দুইজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেন। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১ টি পিস্তল,
১টি ম্যাগাজিন ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো: ১। মোঃ আল আমিন (৩৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সংরাইশ মধ্যপাড়া গ্রামের
মৃত ইদ্রিস মিয়া এর ছেলে এবং ২। আবুল কাশেম (৩৪) একই গ্রামের বাবুল মিয়া এর ছেলে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার উপ-পরিচালক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামী আল আমিন এর বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরীহ ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণেরও তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলায় অপারেশন ডেভিল হান্টে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আরাফাতুল।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন: ছাত্রলীগের সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি ইউনিয়নের সদস্য ফয়সাল তানভীর তামিম (১৭), মুরাদনগর উপজেলার ৫ নম্বর পূর্বধইর
(পশ্চিম) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক জীবন মিয়া (৪৫) ও দাউদকান্দি উপজেলার
সুন্দলপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য আলাউদ্দিন অজি (৪৮)।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে তামিমকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জীবন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। আর আলাউদ্দিন অজি হত্যার মামলায় এজাহারনামীয় আসামি।
মন্তব্য করুন
শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ কে সামনে রেখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
৮ অক্টোবর থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ১৫০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী। ইতোমধ্যে স্বেছাসেবকগণকে উপজেলা প্রশাসন, আদর্শ সদর এর আয়োজনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, "এই ধরণের জনকল্যাণমুখী স্বেচ্ছাসেবী কাজে তরুণরা এগিয়ে আসছে সেটি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। তরুণদের হাত ধরে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় একটি আমূল পরিবর্তন সূচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।"
শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ এবং তৎপরবর্তী সময়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে রাস্তার উপর থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, অটোর সংখ্যা কমিয়ে আনা, কিছু রাস্তাকে একমুখীকরণ প্রভৃতি অন্যতম।
জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা এবং ট্রাফিক বিভাগ, কুমিল্লা এর এই সমন্বিত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার ফলে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং যানজট কমে আসবে বলে মনে করেন কুমিল্লা মহানগরের অধিবাসীরা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা)নুরুল হক, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামাল পাশা, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শফিকুজ্জামান সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১১, সিপিসি-২।
সোমবার রাতে র্যাব -১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক
দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ধর্মপুর এলাকায় মাদক
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ জনি (২৬) ও ২। মোঃ ইমন হোসেন রিয়াদ (১৯) নামক
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ জনি (২৬) কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানার ধর্মপুর গ্রামের মৃত আব্দুল রহিম এর ছেলে এবং ২। মোঃ ইমন হোসেন
রিয়াদ (১৯) একই গ্রামের বজল আহমেদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব -১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী মোঃ জনি (২৬)
এর বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ মোট ২ টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের বাজারে
ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি অভিযান, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় সৃষ্ট বন্যার প্রেক্ষিতে শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন তথ্যা পাওয়ায় নগরীর বৃহৎ পাইকারি বাজার চকবাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ তদারকি অভিাযান পরিচালনা করা হয়। চিড়া, মুড়ি, গুড়, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্যপণ্যের দোকানে এ তদারকি কার্যক্রম চলে। অভিাযানে অনিয়ম পাওয়ায় চার প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানগুনলো যথাক্রমে বেশি দামে চিড়া বিক্রি করায় আনোয়ার স্টোরকে ১০ হাজার, ক্রয়ের ভাউচার না রেখে বেশি দামে মিষ্টি বিস্কুট বিক্রি করায় লক্ষণ স্টোরকে ৫ হাজার, বেশি দামে পেয়াজ বিক্রির প্রস্তাব করায় নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরীকে ২ হাজার এবং অতিরিক্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রি এবং মূল্য উল্লেখ না করে ইচ্ছে মাফিক দামে বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ায় শাহ পরান ট্রেডার্সকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ আজ মোট চার প্রতিষ্ঠাকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তদারকি করা হয় অন্তত অর্ধ শতাধিক নিত্যেপণ্যের দোকান। বেলা ১১টা থেকে সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলা এ তদারকি কার্যক্রমে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একেচ আজাদ এবং কোতয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মাহাবুব আলম বাবু:
৩১ জানুয়ারি শুক্রবার কুমিল্লা ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০২৫-২৬) এর নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে কুমিল্লা ক্লাব। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। অপরদিকে ভোটারগন ক্লাবের অগ্রগতির স্বার্থে দক্ষ ও অসীর আগ্রহে ভোট প্রদানের জন্য অভিজ্ঞ প্রার্থীদের বেছে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ইতিমধ্যে কুমিল্লার স্থানীয় ভোটাগণে পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বসবাসরত ভোটারগণ কুমিল্লায় আসতে শুরু করেছেন। কুমিল্লা ক্লাবের আঙ্গিনা এখন আগত ভোটারদের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। ক্লাবের এডহক কমিটির ২০১ সদস্য ফরহাদ আখতার, মো শাহরিয়ার এবং দেলোয়ার হোসেন মানিক সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯১৭ সালে তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজা বীর বাহাদুর মানিক্য এ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা।
নির্বাচন শুরুর আগে সকাল ১০টা থেকে ১ম অধিবেশনে কুমিল্লা ক্লাবের ১০৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা ক্লাবের সভাপতি জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার।
এবারের নির্বাচনে ভোট ভোটার হচ্ছেন ৫৬১ জন। বিভিন্ন পরে প্রার্থী রয়েছেন ৩১ জন। উল্লেখ্য কুমিল্লা ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মোট ১৯ তন্মধ্যে ২ জন নির্বাচন ছাড়াই প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। একজন হচ্ছেন ক্লাব সভাপতি পদে জেলা প্রশাসক এবং অপরজন হচ্ছেন টাউন হলের প্রতিনিধি। বাকি ১৭ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কমিটিতে আসেন। ১৭ জনের পদগুলো হচ্ছে- সভাপতি পদে (৩ জন), সাধারণ সম্পাদক পদে (১জন), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে (১ জন), কোষাধ্যক্ষ পথে (১জন), ক্রীড়া সম্পাদক পদে (১ জন), অতিথিশালা ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে (১জন), কল্যান সম্পাদক পদে (১ জন) এবং নির্বাহী সদস্য পদে (৮ জন)।
নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা হচ্ছেন- সহ-সভাপতি পদে মোঃ জামাল খন্দকার, কাজী এনামুল হক বাবুল, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আমিরুজ্জামান ভূঁইয়া, আলহাজ্ব মোঃ জসিম উদ্দিন, ডা. মো. আবদুল লতিফ,অধ্যাপক আলহাজ ফারুক আহমেদ।
সাধারন সম্পাদক পদে রইস আবদুর রব, আহমেদ শোয়ের সোহেল, সহ- সাধারন পদে-মেহেদী হোসেন (শাকিল), মো. মাহাবুব আলম চৌধুরী,
কোষাধ্যক্ষ পদে - মো. হুমায়ুন কবির, এম এ তাহের, মো. আতিকুল ইসলাম। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. মনিরুল ইসলাম বাচ্চু, মোহাম্মদ জহিরুল হক।
অতিথিশালা ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মোঃ ওমর ফারুক শাহীন, মোঃ তারিক ওবাইদুল্লাহ। কল্যাণ সম্পাদক পদে মাহাবুব আলম বাবু, মোহাম্মদ নামির উদ্দিন (সুমন)।
নির্বাহী সদস্য পদে- গোলাম ইউসুফ চৌধুরী, মো. ফোরকান উদ্দিন হেলাল, মাসুদ আহমেদ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো মাহবুবুর রশিদ (তুহিন), প্রকৌশলী মো. . সাইফুল ইসলাম, মো. জিয়াউল হক (লিটু), মোঃ মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ডা. মো. সফিকুর রহমান, মোঃ রেজাউনুর রহমান , ডা. মো. রাসেল আহমেদ চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
কুমিল্লায় ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক না পেয়ে
দুই সন্তানের জননী নূরজাহান বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর স্পর্শকাতর অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন
জায়গায় গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন।
বুধবার (১৯ জুন) ভোরে জেলার আদর্শ সদর
উপজেলার শীমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে নূরজাহান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
বার্ণ ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার পর বুধবার বিকেলে স্বামী খোরশেদ
আলম (৪৫) ও তার পরিবারের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর
বাবা জয়নাল আবেদীন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রধান আসামি
ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাশুর ও তার স্ত্রী এবং আরেক জা–কে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, যৌতুকের
টাকা না পেয়ে ভোর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন মিলে মারধর করে দড়ি
দিয়ে বেঁধে রাখেন নূরজাহানকে। একপর্যায়ে গরম খুন্তি দিয়ে গোপনাঙ্গ ও শরীরের বিভিন্ন
অঙ্গ পুড়িয়ে দেয় তারা। সকালে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
নিয়ে যায়।
নূরজাহানের বাবা জয়নাল আবেদীন বলেন,
শ্বশুরবাড়ীর লোকজন যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। আমি
এর আগে কয়েকবার তাদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার
হোসেন বলেন, তিন আসামিকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর আসামিদের ধরতে
অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী নারীর ৯ বছর বয়সী এক শিশুকন্যা ও ১২ বছরের একটি
ছেলে রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)
মো: কামরান হোসেন বলেন, হাসপাতালে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বক্তব্য রেকর্ড
করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামীসহ ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৩ জনকে পুলিশ
আটক করেছে। বাকিদেরও আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও মাদক বিক্রির
নগদ টাকাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের একটি চৌকস টিম।
কোতয়ালী মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মীর সিরাজুল ইসলাম, এএসআই(নি:) মোঃ ইলিয়াস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (৩ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার সময় কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন শাহপুর পূর্বপাড়া মো: সহিদ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল বিদেশি মদ, ৪৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯৩ বোতলের স্কাপসিরাপ, ৭৯ বোতল বিয়ার, ৭৭৫ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ১০,৮২,০৭০ টাকাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, কোতয়ালী মডেল থানার শাহপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো: আব্দুল সাত্তার (৫২) ও সদর দক্ষিণ মডেল থানার লালমাই দক্ষিণ কাছার গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে মোঃ পারভেজ (১৫)।
চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুল সাত্তার ও মোঃ পারভেজ এর বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন