

কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজারে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি যাত্রীবাহী বাস ইউটার্ন নিয়ে উল্টো পথে ঢাকামুখী লেনে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিমেন্টবোঝাই লরি বাসটিকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। লরিটি তখন পাশেই থাকা একটি প্রাইভেটকার ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চালকসহ চার যাত্রী নিহত হন। নিহতরা হলেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মো. ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০) এবং আরেক ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। নিহত আবুল হাশেমই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন।
এছাড়াও সিএনজিতে থাকা তিনজন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “নিহতদের সবাই একই পরিবারের সদস্য। দুর্ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মায়ের অভিযোগে তানভির হাসান হৃদয় (২৯) নামে এক মাদকসেবীকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ শত টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (৭ অক্টোবর ) দুপুরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারহানা পৃথা তাকে কারাদন্ড দেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাইঘর গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে তানভির হাসান হৃদয় মাদক খেয়ে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় পিতা-মাতা ও ভাইকে মারধর করে এবং বিরক্তকর আচরণ করায় তাকে হাতেনাতে আটক করে।
এসময় তার মা রাশেদা বেগম উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারহানা পৃথা উপস্থিত হয়ে মাতাল তানভির হাসান হৃদয়কে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ২শত টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৫৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ বাজি উদ্ধার করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লা সদর উপজেলার রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এসব বাজি উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ।
বিজিবি জানিয়েছে, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধের পাশাপাশি নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ টহল দল একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত বিশেষ টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালায়। এই অভিযানে ২ লাখ ৮ হাজার ১০০ পিস বিভিন্ন প্রকার অবৈধ ভারতীয় বাজি মালিকবিহীন অবস্থায় আটক করা হয়, যার সর্বমোট মূল্য ৫৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা। জব্দকৃত চোরাচালানী মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা করা হবে।
এ বিষয়ে ১০ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে তারা সর্বদা সজাগ রয়েছে এবং নিয়মিত টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলাধীন ডুমুরিয়া গ্রামের সন্তান অমিত কুমার সরকার। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় অমিত। ছোটভাই আশিক সরকার গেলো তিন বছর আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বাবা দিলীপ সরকার একজন প্রবাসী এবং মা রাধা রাণী সরকার গৃহিণী। তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন অমিত। তাকে আঁকড়ে ধরে ছোট ছেলের শোক প্রতিনিয়ত ভুলার চেষ্টা বাবা-মার।
এদিকে, একমাত্র ছেলে অমিতকে ধুমধাম করে বিয়ে করানোর স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছরের প্রবাসী জীবনের ইতি টেনে দেশে ফেরেন বাবা দিলীপ। অবশেষে বিয়ে ঠিক হয় নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের ভিংরাব গ্রামে।
পঞ্জিকার তিথি অনুযায়ী ১৫ শ্রাবণ (৩১ জুলাই ২০২৫) বৃহস্পতিবার অমিতের বিয়ের দিন পাকা হয় গত তিন মাস আগে। সেই অনুযায়ী বুধবার গ্রামের বাড়িতে চলে অমিতের গাঁয়ে হলুদ। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ে বাড়িতে বাদ্যযন্ত্রের সাথে সানাইয়ের সুর। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অতিথিদের উপস্থিতিতে যেন ভরপুর ছোট্ট বাড়ি।
বিকেলে মঙ্গল ঘট স্থাপন করে সন্ধ্যায় ধুতি ও পাঞ্জাবির সাথে মাথায় মুকুট পড়ে চন্দনের ফোঁটায় বর সেঁজে মায়ের কোল ছেড়ে রওয়ানা হন অমিত। বরযাত্রী নিয়ে রূপগঞ্জের উদ্দেশে ছুটে অমিতের গাড়িবহর। নতুন বউ নিয়ে ছেলে বাড়ি ফিরবে এ স্বপ্ন নিয়ে বসে প্রহর গুণছেন মা রাধা রাণী।
রাত তখন ১০টা। বরযাত্রীর গাড়িবহর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার গৌরীপুর পৌঁছার পর বুকের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয় অমিতের। দ্রুত গৌরীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রাত ২টার দিকে কনে বাড়ি পৌঁছার আগেই পরপারে পাড়ি জমান অমিত।
অপরদিকে, কনে বাড়িতে চলছিল বিয়ের ব্যাপক আয়োজন। বরযাত্রী আসছে সেই অপেক্ষার প্রহর গুণছে কনেসহ সবাই। রাত গভীর হওয়ার সাথে বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু হয় সবার। মোবাইলফোনে কল আসতে থাকে কনের অভিভাবকদের কাছে।
ওপাশ থেকে কান্নার ভারী কণ্ঠ। নেই অমিত। নিস্তব্ধ গুটা পরিবার। গুটগুটে অন্ধকারে যেন মিশে গেছে শোকের কালো ছায়া। নিমিষেই গড়িয়ে পড়ে কনের দু’চোখ বেয়ে শত ফোটা আর্তনাদ।
সব কিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে সুসজ্জিত প্রাইভেটকারযোগে নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফিরতো অমিত। মা-বাবার দেখা হতো আদুরি বউয়ের মুখ। কিন্তু নিয়তির নির্মমতায় শুক্রবার ভোরে সুসজ্জিত প্রাইভেটকারের জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিথর দেহে একাই বাড়ি ফেরেন অমিত! তখনও মুছেনি কপালে থাকা চন্দনের ফোঁটা। বরবেশে ছেলের সাদা কাপড়ে মোড়ানো দেহ দেখে বাকরূদ্ধ বাবা-মা। শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার।
দুপুরে অমিতকে শেষবারের মতো বিদায় দিতে করানো হয় গোসল। আবারো সাজানো হয় নতুন সাজে। ধর্মীয় রীতি অনুস্মরণ করে পারিবারিক সমাধিস্থলে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।
তিন বছরের মধ্যে দুই ছেলেকেই হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা রাধা রাণী। আর্তনাদের চিৎকারে বলছেন, ‘বাবা তোরা আমাকে কোথায় রেখে গেলি। আমরা এখন কারে নিয়ে বাঁচবো। কী অপরাধ ছিল আমাদের, কেন বুকের ধনকে কেড়ে নিল!
এদিকে, অমিতের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আবেগতায়িত হয়ে পড়েন স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা। একই বাড়ির গুরুপদ সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘বরযাত্রীর গাড়ি বহরে আমিও ছিলাম। বরের গাড়ি অতিক্রম করে আমরা সামনে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর বরের প্রাইভেটকারচালক আমাদের গাড়ি চালককে কল করে বলেন গাড়ি ঘুরিয়ে গৌরীপুর আসতে। বর অসুস্থ। রাজধানীর ল্যাবএইডে নেয়ার পর আর বিয়ে বাড়িতে যাওয়া হয়নি...!
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে পদুয়ার বাজার এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি কাভার্ডভ্যান চালক মো. আরিফ হোসেন (২৩) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ইউটার্নে এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নূরজাহান বেগম (৬৫) এবং দুই ছেলে আবুল হাসেম (৫০) ও আবুল কাশেম (৪৫)।
এ ঘটনায় একই দিন সদর দক্ষিণ থানায় সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় মামলা (নং-৩৩, তারিখ: ২২/০৮/২০২৫) দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, কাভার্ডভ্যান (চট্ট মেট্রো-৮-৮১-১৪৪৩) চালক আরিফ হোসেন দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদারের নেতৃত্বে একটি টিম ফেনী সদর থানাধীন ফতেপুর স্টার লাইন ফিলিং স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আরিফ হোসেন নোয়াখালীর সুধারাম থানার চন্দ্র ভল্লব গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই গাড়িতে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন


মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।
মজুরি ঘোষণার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, বিকেএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার
যুবলীগ কর্মী, কিশোর গ্যাং ও চোর-ছিনতাইকারি চক্রের সক্রিয় ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার
রাতভর নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানান, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খানের নির্দেশে
নগরীতে অপরাধ দমনে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে থানা পুলিশের একাধিক টিম শুক্রবার রাতভর নগরের বিভিন্ন
স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
এ
সময় পুলিশ কিশোর গ্যাং ৮ সদস্য সহ ও চোর ছিনতাইকারী
চক্রের সক্রিয় ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে -নয়ন, ফয়সাল, তাসকিন,
প্রান্ত, সাগর, ইফতেখার, মকবুল, আরাফাত, যুবলীগ কর্মী টিপু, চাঁদাবাজ শাহজাদা সহ চোর
ছিনতাইকারী চক্রের ১৫ সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের
শনিবার আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত সিসিএন শিক্ষা পরিবার তথা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, সিসিএন মডেল কলেজের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুইদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দেয়া হয়েছে। দেশে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে দূর্গত অঞ্চলের মানুষের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই অনুদান প্রদান করা হয়েছে। জানা যায়, সিসিএন পরিবারের প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একদিনের বেতন বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং এই বিষয়ে সিসিএন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী কে অবহিত করেন। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যোগ করার ঘোষণা দেন। এদিকে কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকেই সিসিএন শিক্ষা পরিবারের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীরাও বন্যা দূর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে। তারা ত্রাণ সরবরাহ, বন্যা দূর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছে দেয়া, জরুরী চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রক্টরিয়াল টিম ও শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জেলার বন্যাদূর্গত উপজেলা চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা সহ অন্যান্য এলাকায় সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা তিতাসে সাময়ন আরিয়ানকে হত্যা অভিযোগে একজনকে মৃত্যুদণ্ড; আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিল্লাল পাঠান হলেন- কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বিরামকান্দি পাঠান বাড়ী'র মোঃ খেলু পাঠানের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি শেফালী আক্তার (৪৩) হলেন একই উপজেলার কলাকান্দি উত্তর পাড়া মাষ্টার বাড়ীর জামাল মিয়ার স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়- পূর্ব আক্রোশের বশবর্তী হইয়া আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ভিকটিম সায়মন আরিয়ান (৭) কে হত্যা করিয়া কলাকান্দি বালুর মাঠে (কাঁশ বনে) লাশ গুম করে।
জানা যায়- ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলবেলা ভিকটিম সায়মন আরিয়ান আসামি শেফালী আক্তারের ছেলে রাফি'র সাথে খেলাধুলা করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় বাদীনি তাঁর আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি না পেয়ে বাদীনি তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং পরদিন ঘটনাস্থলে ভিকটিমের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট নিহতের গর্ভধারিনী মাতা খোর্শেদা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ নয়ন মিয়া ও সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জাহিদুল হক এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জীবন বিশ্বাস তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আসামি শেফালী আক্তার ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবন বিশ্বাস ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর আসামি বিল্লাল পাঠান ও শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আসিলে চলতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারী তাহাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্র পক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ (পাঁচ) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, "মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে গলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করা হল"।
আসামি শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ের আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, আসামি শেফালীর উভয় দণ্ড একসাথে চলবে।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, শালি-দুলাভাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখে পেলায় আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিশু সায়মন আরিয়ানকে হত্যা করে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়িতে মা, ছেলে ও মেয়েসহ তিনজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার দুই দিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন— কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদি হয়ে ৬৩ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পুলিশ শুক্রবার বিকেল ৫টার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশ তিনটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর রাত সাড়ে ৮টার পর পুলিশি পাহারায় নিহতদের বাড়ির পশ্চিম পাশে কড়ইবাড়ি কবরস্থানে লাশগুলো দাফন করা হয়। তবে এই সময় হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া তাদের জানাজায় এলাকাবাসী কিংবা আত্মীয়-স্বজন কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। পরে রাতে নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহত তিনজনের লাশ দাফনের পর রাতে রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রাতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসী একটি মোবাইল ফোন চুরি ও মাদক ‘ব্যবসার’ অভিযোগ তুলে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)। ওই সময় হামলায় আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫)। তিনি বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন