মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তিনটি চোরাই টিউবওয়েলসহ আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামের মোঃ কামালের ছেলে মোঃ সাগর ও শুভপুর ইউনিয়নের যশপুর ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল কাদেরের ছেলের মোঃ শাহজাহান।
রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা। চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামের মঞ্জু বেগমের মা ছালমা বেগম শনিবার রাত ১০ ঘটিকায় প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
রোববার ভোরে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন একই গ্রামের সাগর তাদের টিউবওয়েল নিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক শোর-চিৎকার করলে আশ-পাশের লোকজন এসে টিউবওয়েলটিসহ সাগরকে আটক ও মারধর করে। ঘটনাটি থানায় অবহিত করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সাগরকে হেফাজতে নেয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
১৭ টি উপজেলা এবং
মহানগরের সংগঠকদের নিয়ে আয়োজিত হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেন
পার্টি - এনসিপি) কুমিল্লা জেলা পর্বের প্রস্তুতি সভা।
বুধবার (১৪ মে) নগরীর কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট
অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় আড়াইশো সংগঠক
এখানে অংশগ্রহণ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে
পরীক্ষিত যারা দলীয় রাজনীতিতে আসতে চান এবং এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর থেকে যারা
প্রান্তিক পর্যায়ে দলের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করছেন তাদের নিয়ে এই সাংগঠনিক
প্রস্তুতি সভা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের
সদস্যরা এবং আহত কয়েকজন বিপ্লবী।
এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে উক্ত সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও কুমিল্লা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য হাফসা জাহান। প্রতিটি উপজেলা থেকে আসা সংগঠকদের বক্তব্য তারা শোনেন এবং উত্তরে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত
কামনা করা হয়। পরবর্তীতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয় এবং সকলের মধ্যে পরিচয়
বিনিময় হয়। গত এক মাস কুমিল্লা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যারা আওয়ামী
লীগের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছিলেন তাদের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে শহরের টমছম ব্রিজ
ও ইপিজেড এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা
হয়েছে।
আজ
বুধবার (৬ নভেম্বর) অভিযানে ৪টি দোকানের বিরুদ্ধে ৪টি মামলায় মোট ২০,০০০ টাকা জরিমানা
আদায় করা হয় এবং এ সময় প্রায় ৩৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়।
মোবাইল
কোর্টে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী রতন কুমার দত্ত।
প্রসিকিউশন
প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক জোবায়ের হোসেন। অভিযানে
সহযোগিতা করেন হিসাবরক্ষক তোফায়েল আহমেদ মজুমদার এবং জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
এই
অভিযানের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহারের বিরোধিতা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে
লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে
জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও নগদ অর্থসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করা হয়।
বুধবার (২ অক্টোবর) যৌথবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত
অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (২৭), মোঃ মিতন মিয়া (২৫), মোঃ মাহফুজ মিয়া
(৩৫), মোছাঃ সুলতানা বেগম (৪৭) ও মোছাঃ ফাতেমা বেগম (৪৫) নামক ৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
আটক করা হয় ।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৪৭ বোতল হুইস্কি, ১৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি গাঁজা, ৬২০টি ফয়েল
পেপার, ৫টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ও নগদ ৩২ হাজার ১৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত মাদক বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অবৈধ
অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে
বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় পৃথক দুইটি অভিযানে ২০ কেজি
গাঁজা ও ৯০৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
৩ জুলাই রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি
বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নালনগর
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মনির হোসেন নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি
সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে ৩ জুলাই রাতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পান্ডানগর এলাকা থেকে আসামী মোঃ আনিছুর রহমান
তুষার নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৯০৫ পিস ইয়াবা
ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মনির হোসেন
(৩২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার তেলিহাটি গ্রামের মৃত নজির ইসলাম এর ছেলে এবং
২। মোঃ আনিছুর রহমান তুষার (২৮) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সুবর্নপুর গ্রামের
মৃত জাকির হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
আজ সোমবার (১০ মার্চ) সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আদর্শ সদর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজার এবং নিউ মার্কেট এলাকায় তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়। পবিত্র রমজানকে উপলক্ষ্য করে ইফতারি সামগ্রী, শসা, লেবু, মাছ, মাংস, ভোজ্যতেল ও নিত্যপণ্যের ওপর এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ব্যবসায়ীদের পণ্য ক্রয়ের ভাউচার ও বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করা হয়।
ভোজ্যতেলের সরবরাহ, মজুদ পরিস্থিতি ও সাপ্লাই চেইন ঠিক আছে কিনা তদারকি করা হয়। অভিযানে মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করায়, পাকা ভাউচার সংরক্ষণ না করা,বেশি দামে মুরগি বিক্রি করা মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি এবং BSTI এর অননোমুদিত ট্যাংক বা সফটড্রিংক পাউডার বিক্রি করাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ৬ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদের সতর্ক করা হয়। সকাল ১১:৩০ থেকে ২:০০ টা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌহিদুল ইসলাম (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) স্যারের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে। এতে জেলা বিশেষ টাস্কফোর্স টিমের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন (মো: কাউছার মিয়া, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা, আবুল হাসনাত বাবু সাবেক সভাপতি কুমিল্লা প্রেস ক্লাব এবং আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সহসভাপতি ক্যাব কুমিল্লা) ।
অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লা
নগরীর চকবাজার ডিজেল ও অকটেন কম দিয়ে ক্রেতাদের ঠকানোর অভিযোগে দুই তেলের পাম্পকে সিলগালা
করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তেল পরিমাপের ৪টি ডিসপেন্সিং ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ
মঙ্গলবার (৬ মে) কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করেন
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বিএসটিআই
কুমিল্লা কার্যালয় প্রধান কে এম হানিফ বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযানে
মেসার্স শরীফ এন্টারপ্রাইজের দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে
১৯০ মিলি ও ২০০ মিলি তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। একই পাম্পের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং
ইউনিটেও প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২২০ মিলি তেল কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত
হয়। এই গুরুতর অপরাধে পাম্পের চারটি ইউনিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে,
একই এলাকার মেসার্স এম এ হাকিম এন্ড ব্রাদার্সের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও তেলের
মাপে কারচুপির চিত্র দেখা যায়। পাম্পটির এই দুটি ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে গ্রাহকদের
যথাক্রমে ৩৪০ মিলি ও ৩৯০ মিলি তেল কম দেওয়া হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই দুটি ইউনিটও সিলগালা
করে দিয়েছে বিএসটিআই।
বিএসটিআই
কুমিল্লা অফিসের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: লুৎফর রহমান এবং মো: হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে
এই সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালিত হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাংলাদেশ
স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই প্রসাধনী পণ্য
বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে
৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলা
সদর ও সাহেবাবাদ বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।
এতে পৃথকভাবে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম
এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা।
এ সময় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড
টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক (কুমিল্লা) কাজী মো: শাহান ও থানা পুলিশের
একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভারতীয়
ও পাকিস্তানি অবৈধ প্রসাধনী দোকানে রাখা ও বিক্রির দায়ে উপজেলার সদর বাজারের শরীফ কসমেটিকস
নামের এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা ও এমি কসমেটিকস অ্যান্ড গিফট সেন্টার নামের অন্য
এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ রিয়েজেন্ট কেমিক্যাল পাওয়ার অপরাধে সাহেবাবাদ
বাজারের আল বারিয়া বেকারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভারতীয় ও পাকিস্তানি কসমেটিক্সের
বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় অভিযান চলাকালে সদর উপজেলার দুটি মার্কেটের দুটি দোকানে
অননুমোদিত কসমেটিক্স রাখা ও বিক্রয়ের দায়ে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও
উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের এক বেকারি মালিককে নানা অনিয়মের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বর্ণাঢ্য
আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে
বেলুন উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়।
র্যালিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক ও ক্যাম্পাস
প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়,
পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার
আলী। কেক কাটার পর বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, মাননীয় ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এম শরীফুল করীম।
সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মিশন নিয়ে এসেছি। আমার মিশন হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত রেখে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে যা দরকার তা বাস্তবায়ন করা। আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকবে না, গবেষণা হবে তাদের প্রধান মাপকাঠি। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৩জনের মধ্যে ১০১জন শিক্ষকের প্রোফাইল ব্ল্যাঙ্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাজ শুধু পড়াশোনা করানো নয়। তাই আমরা সকলেই পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গিকার করি।'
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘আজকে এখানে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণ করছে, আমি স্মৃতিচারণের দিকে যাব না। আমি একজন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনের পর এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন হয়েছে। আজকে এই দিনটি দেখার জন্য আমাদের আব্দুল কাইয়ুমের জীবন গেছে এবং আরো অনেকই আহত হয়েছেন। এখন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হচ্ছে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'এবারের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের মনে বিশেষ এক অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। এই অনুভূতির জন্য আমাদেরকে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজকের এই দিনে আসতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের ত্যাগকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেই সাথে আমি প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের একটাই অঙ্গীকার হোক, আমরা সকলেই একে অপরের সহিত মিলেমিশে, কোনো বিভাজন না করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। মনে রাখবেন আপনার সন্তান যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রথম চয়েস না রাখে তাহলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা। তাই চলুন একসাথে কাজ করি, একসাথে এগিয়ে যাই।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'শুরুর দিক থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তবে গত ১৫-১৬ বছর তো আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম, সে ইতিহাস আর কী বলব। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমাদের পক্ষে মাত্র চারটি ভোট পড়তো। সবাই আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করতো, এমনকি পত্র-পত্রিকায়ও এটা নিয়ে লেখা হতো।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এক ঐতিহ্যের ইতিহাস। শুরুতে আমাদের কিছুই ছিল না, বিগত ১৯ বছরে আমাদের ইতিহাস হয়েছে, গৌরব হয়েছে। আমরা পনেরোজন শিক্ষক শুরু করেছিলাম, কারো পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। এখন প্রতিমাসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা অনেক অবহেলার শিকার হয়েছি। আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একটা নতুন মাইলফলক গড়তে চাই।'
অনুষ্ঠানে
আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন
হলের প্রভোস্টগণ সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০ টায় র্যালি, কেক কাটা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান মালার শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহবুব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী আগত অতিথি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন ও নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজকের এই দিনে আমি ঘোষণা দিচ্ছি, ২০২৫ সালের শুরুতেই দ্বিতীয় সমাবর্তন করবো। উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার। আমাদের ২৩ শতাংশ শিক্ষর্থীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো আগামী এক বছরের মধ্যেই নতুন ক্যাম্পাসের চারটি হল খুলে দেওয়ার জন্য, যেন আবাসন ব্যবস্থা কিছুটা হলেও লাঘব হয়।
সম্মানিত অতিথি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, একজন শিক্ষার্থীর জন্য তার বাবা-মায়ের যে অবদান সেটি কখনো ভুলার নয়। বিশ্ববিদ্যালয় একটা রঙিন জায়গা। একরাশ রঙিন স্বপ্ন নিয়ে তোমরা এখানে পা রেখেছো। এই রঙিন স্বপ্ন পূরণে তোমরা চলার পথে অনেক ভালো কিছু দেখবে, পাশাপাশি অনেক খারাপ কিছুও দেখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ভর্তি হয়েছো, তোমাদের এখনই লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তাহলেই তোমার চলার পথ মসৃন হবে। আমরা চাই, তোমরা নবীন শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য ঠিক করে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাও।
সবশেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
মন্তব্য করুন
গত ২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বার বাড়ীতে কলেজ শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১ টি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর অভিযানে অদ্য ০৫ অক্টোবর ভোর রাতে নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসনাবাদ গ্রামের মোঃ রিপন মিয়ার ছেলে ধর্ষক মোঃ সাকিব আহম্মেদ (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতা একজন ব্যবসায়ী। ভিকটিম দাউদকান্দি উপজেলার স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। ভিকটিম কলেজে যাওয়া আসার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী সাকিবের সাথে পরিচয় হয়। এরই প্রেক্ষিতে সাকিব ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভিকটিম উক্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে আসামী সাকিব তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি সহ অপহরণের ভয় দেখায় এবং ভিকটিমের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকায় ভিকটিম কিছু জিনিস কেনার জন্য কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আসামী সাকিব ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বারবাড়ীতে নিয়ে যায়।
সেখানে পূর্ব হতেই আসামী সাকিব একটি রুম ভাড়া করে রাখে এবং গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ হতে ২৭/০৯/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ঐ ভাড়া বাসায় আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধ’ষর্’ণ করে। একপর্যায়ে আসামী সাকিব ঐ বাসা থেকে পলায়ন করে আত্নগোপনে চলে যায় এবং ভিকটিম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাসায় যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন