

কুমিল্লায় বজ্রপাতে চার উপজেলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক সময়ে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলায় চারজনের মৃত্যু হয়।
বজ্রপাতে
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার
ধামতী গ্রামের মোখলেছুর রহমান (৫৮), চান্দিনা উপজেলার
বরকইট ইউনিয়নের কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে দৌলতুর রহমান (৪৭),বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাচোরা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার আলম হোসেন এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ার ইউনিয়নের উত্তর সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম ( ৫০) ।
সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও স্থানীয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত
করা হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া করিম ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক মিলে করিম ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার আমলী আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন চার ঘাতক।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের একমাস পাঁচদিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার (৪৮) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রীবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
গ্রেপ্তারদের জবানবন্দী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট রাতে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেন শ্যালক ইসরাফিল। সেখানে প্রথমে তিন ভাই মিলে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এ সময় তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্ত্রী তাছলিমা সেই রক্ত মুছে ফেলেন। পরে বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় প্রথমে মরদেহ বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয়। সকালে মরদেহ ভেসে উঠলে আবারও স্ত্রী এবং ভাইয়েরা মিলে খাল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে বড় ভাইয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, স্ত্রী তাছলিমার পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে ভালো ব্যবহার করে ডেকে নিয়ে তিন ভাইসহ চারজনে মিলে করিম ভূঁইয়াকে হত্যা করে। নিহতের ভাই আমির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। পরে সন্দেহভাজন আসামিদের ওপর নজরদারি ও গ্রেপ্তারের ভিত্তিতেই মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। নিহত করিম ভুইয়া প্রায় স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতেন। এতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনায় ঘরে ঢুকে তিনজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাতে উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩৫), তার ছেলে-সাহাব উদ্দিন (৯) এবং ভাগ্নি তিশা আক্তার (১৪)।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের মো: শাহপরান ঢাকায় চাকরি করেন। বুধবার রাতে তার স্ত্রী-ছেলে ও প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা ঘুমিয়েছিলেন। রাতের কোনো একসময় তাদেরকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহগুলো খাটের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা তিনজনের মরদেহ একই কক্ষে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলোর মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জের ধরে মো: নজরুল ভূঁইয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকা ও তার স্বামী। এ ঘটনায় তিতাস থানা পুলিশ প্রেমিকা স্মৃতি ও তার স্বামী মো: হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত নজরুল ভূঁইয়া উপজেলার সাহাবৃদ্দি গ্রামের মো: হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। সে পোশায় একজন ট্রাক্টর গাড়ির চালক ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগষ্ট রাত ১০ টায় নজরুল ভূঁইয়া (৩৫) দোকানে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে ৮ আগস্ট নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তিতাস থানা পুলিশ জিডি মুলে নজরুলের ব্যবহৃত মোবাইলের সিম দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করে রবিবার (১০ আগস্ট) উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মো: হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে (২৭) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ৪ টুকরো করে বস্তাবন্দি করে লাশ খালে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের হাত দুটো উদ্ধার করেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
নিহতের বাবা হানিফ ভূঁইয়া জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্যাহ বলেন, নজরুল (৬ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১০টায় ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি, পরে (৮ আগস্ট) নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছেন, তারই সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আটককৃত সৃতি আক্তারকে শনাক্ত করে তাকে এবং তার স্বামী হোসেনকে রবিবার ভোর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে চার টুকরো করে চারটি বস্তাবন্দি করে খালে ফেলে দিয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ নিহতের হাত দুটো খাল থেকে উদ্ধার করেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় বিদ্যুৎস্পর্শে
পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (২৮) ও মো: মনির হোসেন (২৩) নামে দুই শ্রমিককের মৃত্যু
হয়েছে। এ সময় আরও দুই শ্রমিক আহত হয়। আহতরা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসাধীন।
নিহত জহিরুল ইসলাম উপজেলার ইউসুফপুর
ইউনিয়নের এগারগ্রামের মো: সহিদ মিয়ার ছেলে ও মনির হোসেন মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার
থানার টনকি ইউনিয়নের সোনারামপুর গ্রামের মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে
উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মোগসাইর গ্রামের রঞ্জিত দাসের পুকুরে ত্রুটিযুক্ত সেচ পাম্পের
ইলেকট্রিক মোটর মেরামত করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে পুকুরের পানিতে বিদ্যুৎতায়িত
হয়ে ঘটনাস্থলেই জহিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ জহিরুলের
লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (১০
জুন) বিকাল ৩টার দিকে পৌরসভার চান্দিনা রোডে হিলফুল ফুজুল স্কুলের পাশে সৌদী প্রবাসী
জসিম উদ্দিনের নির্মাণাধীন ভবণের চারতলা ভবনে রশিতে লোহার রড বেঁধে উপরে তোলার সময়
পাশে থাকা ফোর ফোরটি বৈদ্যুতিক লাইনের তারে লেগে মনির হোসেনসহ আরও তিন শ্রমিক আহত হয়।
পরে তাদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
মনির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত শ্রমিক শাকিল ও সাগর বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নিহত মনিরের স্ত্রী রোজিনা আক্তার জানান,
গত ২ বছর ধরে চান্দিনা রোডের একটি ভাড়া বাসায় থেকে নির্মাণ শ্রমিককের কাজ করত আমার
স্বামী। রোববার বিকেলে কাজের ফাঁকে বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার কাজে যায়। আমার
দুই বছর ও ১০ মাসের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আমি এ সন্তানদের নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছি।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো: নয়ন মিয়া বলেন,
বিদ্যুৎস্পর্শে পৃথক দুই ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন। তাদের লাশ সুরতহাল শেষে থানায় নিয়ে
আসা হয়েছে। এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা মুরাদনগরে সংবাদ সংগ্রহকালে
সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলার প্রধান আসামি শুক্কুর আলীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (১৮ আগস্ট) র্যাবের যৌথ অভিযানে
চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার
ছেলে শুক্কুর আলী।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে তাকে
মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত
৩০ জুলাই মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের
প্রতিবাদে ছাত্র জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এ সময় মিছিলে অতর্কিত হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা।
হামলায় ৭ জন সাংবাদিক আহত হয়।
এ ঘটনায় দৈনিক খোলা কাগজের কুমিল্লা
প্রতিনিধি শাহ ইমরান বাদি হয়ে চারজনকে জ্ঞাত ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত করে মুরাদনগর থানায়
মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলার আসামী শুক্কুরকে চট্টগ্রাম থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। আজ সকালে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ কে সামনে রেখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
৮ অক্টোবর থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ১৫০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী। ইতোমধ্যে স্বেছাসেবকগণকে উপজেলা প্রশাসন, আদর্শ সদর এর আয়োজনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, "এই ধরণের জনকল্যাণমুখী স্বেচ্ছাসেবী কাজে তরুণরা এগিয়ে আসছে সেটি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। তরুণদের হাত ধরে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় একটি আমূল পরিবর্তন সূচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।"
শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ এবং তৎপরবর্তী সময়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে রাস্তার উপর থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, অটোর সংখ্যা কমিয়ে আনা, কিছু রাস্তাকে একমুখীকরণ প্রভৃতি অন্যতম।
জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা এবং ট্রাফিক বিভাগ, কুমিল্লা এর এই সমন্বিত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার ফলে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং যানজট কমে আসবে বলে মনে করেন কুমিল্লা মহানগরের অধিবাসীরা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা)নুরুল হক, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামাল পাশা, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শফিকুজ্জামান সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন


বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারালো বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার সেদিকুল্লাহ অটলকে শূন্য রানে এলবিডাব্লিউ করেন বাহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ওই ওভার মেইডেন নেন নাসুম। উইকেট হারানোর পরেও চড়াও হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে পঞ্চম ওভারে এসে সেই জুটিও ভেঙেছেন নাসুম। তার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ৫ রানে ফিরেছেন ইব্রাহিম। অবশ্য আফগানিস্তান রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। আফগান ব্যাটার কাটা পড়েন আম্পায়ারর্স কলে।
পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট নেয়ার পাশাপাশি আফগানদের চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। ৬ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ মাত্র ২৭ রান।
৮ দশমিক ৩ ওভারে এসে গুলবাদিনকে বিদায় দিয়ে আফগানদের আরও চাপে ফেলেন রিশাদ। গুলবাদিনের ফিরতি ক্যাচ নেন এই লেগি। আফগান এই ব্যাটার ১৪ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন। গুরবাজ এক প্রান্ত আগলে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালেও ড্রিংকস ব্রেকের পর রিশাদের বলে সুইপ করতে গিয়ে ৩৫ রানে কাটা পড়েন। তার ৩১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়। এটি ছিল রিশাদের দ্বিতীয় উইকেট। আফগানরা চতুর্থ উইকেট হারায় ৬২ রানে।
১৩তম ওভারে পঞ্চম উইকেটও তুলে নেয় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ নবী (১৫)। তাতে ৭৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। তবে ক্যামিও ইনিংসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ব্যবধান কমাচ্ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার ব্যাটে ১৫তম ওভারে স্কোর একশ ছাড়ায় আফগানদের। তবে এই ব্যাটারকে ৩০ রানে থামিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ওমরজাই ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
১৮ বলে যখন ৩১ রান দরকার ঠিক তখনই রান আউটের ফাঁদে করিম জান্নাত। সোহানের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হন তিনি। ১২৪ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার চেষ্টায় ছিলেন রশিদ খান। প্রথম বলে চার মারলেও ১৮ দশমিক ২ ওভারে মোস্তাফিজের বলেই ২০ রানে কাটা পড়েন তিনি। তাতে ১৩২ রানে অষ্টম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
পরের বলে নতুন নামা গজনফরকেও গ্লাভসবন্দি করান কাটার মাস্টার। তাতে জয়ের আরও কাছে চলে আসে বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে সোহানের হাতে তালুবন্দি হন নুর। এতেই ৮ রানের পরাজয় ঘটে আফগানদের।
বাংলাদেশের হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তাসকিন, রিশাদ এবং নাসুম নিয়েছেন দুটি করে। তবে চার ওভার বল করে মাত্র ১১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন নাসুম।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিমের সাথে ওপেনিংয়ে নামেন সাইফ হাসান। ভাগ্যের সহায়তা পান দুজনই। প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান সাইফ হাসান। তৃতীয় ওভারে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় তানজিদ হাসানের। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তোলে বিনা উইকেটে ৫৯।
একসময় মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ ১৭০-১৮০ রানের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু তানজিদ ছাড়া বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দল ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৪ রানের মাঝারি সংগ্রহ।
আফগান স্পিনার নুর আহমেদকে ছক্কা মারতে গিয়ে ইব্রাহিম জাদরানের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৩১ বলে ৫২ রান করেন ওপেনার তানজিদ। ২৮ বলে ৩০ আসে সাইফের ব্যাট থেকে। বাকিরা কেউই ত্রিশ পেরোতে পারেননি।
১৩ তম ওভারে তানজিদের বিদায়ের পর শেষ ৭.১ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ৫০ রান তুলতে পেরেছে। এ সময় হারিয়েছে মাত্র ২ উইকেট। জাকের আলি করেন ১৩ বলে ১২ এবং নুরুল হাসান ৬ বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর ২০ বলে ২৬ রান করে আউট হন তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ এর আগে একবারই আফগানদের ১৫৫-এর বেশি লক্ষ্য দিতে পেরেছে। ২০২২ সালে মিরপুরে সেই ম্যাচে ১৫৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে ৯৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। সেই ম্যাচেও নাসুম আহমেদ ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন। এ ম্যাচেও প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন এই বোলার।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল অভিযানে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে আদর্শ সদর উপজেলার কুমিল্লা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামের মৃত সাদেক সরদারের ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি আওয়ামী লীগপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি একাধিক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে পলাতক ছিলেন।
সেনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদে সেচ প্রকল্প সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা হাউজিং এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পলাতক আসামি মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়।তার বিরুদ্ধে কোটয়ালী মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মামলা নং ৬৯, তারিখ ২০২৫; ২৭মে ধারা ১৪৩/১১৪/১৪৭/১৪৯/৩২৩/৩০২/১০৯/৩৪ দণ্ডবিধি ১৮৬০ এবং Explosive Substances Act 1908 (ধারা ৩/৪)।মামলা নং ৪৮, তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯; মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (ধারা ৩৬(১) সারণির ১০ (ক)/৪১)।
মামলা নং ৭৭, তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫; ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯ দণ্ডবিধি ১৮৬০।সেনা সদস্যরা জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরে তাকে কোটয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।সেনা সূত্র আরও জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করা তিনটি শিক্ষাবর্ষের ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে 'ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড'।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক (সম্মান) শেষ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোট ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় । অ্যাওয়ার্ড হিসেবে শিক্ষার্থীদের নগদ ১০ হাজার টাকাসহ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ৬ টি অনুষদের ১৯ টি বিভাগ হতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসামান্য কৃতিত্ব, অনুকরণীয় নিষ্ঠা এবং একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতায় ব্যতিক্রমী অবদান রাখা শিক্ষার্থীদের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন," তোমরা চিন্তাটা সীমাবদ্ধ রাখবে না। তোমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে কিংবা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হবে এরকম চিন্তাধারা রাখিও না। এটা এক প্রকার গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থাকা। তোমাদের গণ্ডীটাকে আরো ছড়িয়ে দিতে হবে। তোমরা দেশেও থাকবে এবং বাইরেও থাকবে। প্রথমত, তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমার একটাই কথা, আমরা লেখাপড়া শিখি বা না শিখি আমাদের প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, জিপিএ নির্ভর হলে চলবে না। পেয়ে গেছি এই আত্মতুষ্টিতে নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, পথ এখনো বাকি আরো এগিয়ে যেতে হবে। "
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন," আসলে বৃত্তিটা শুধু অনুপ্রেরণা না, এটা হলো ভবিষ্যতে সত্য ও ন্যায়ের সাথে জীবন পরিচালনা করার পথ নির্দেশক। খারাপ কিছুকে ভালো কিছু দিয়ে জয় করবে। আমি আশা করবো তোমরা বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ও মহর্ষীদের জীবনিগুলো পড়বে এবং তা অনুসরণ করবে। ধর্মীয় দিকনির্দেশনাগুলো মনে চলবে।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন," তোমরা তোমাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেয়েছো আজকে। নিশ্চয় এটা তোমাদের জন্য আনন্দের। তোমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। শিক্ষাজীবনে তোমরা সফল হয়েছো এটার প্রতিফলন যাতে তোমাদের কর্মজীবনেও ঘটে।"
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন," আমি চাই, তোমরা শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডীর মধ্যে না থেকে সারাবিশ্বে তোমাদের পদচারণা থাকবে৷ যার মাধ্যমে তোমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিবে। তোমাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, তোমাদেরকে সত্য উন্মোচনের জন্য কাজ করে যেতে হবে এবং তোমরা সর্বদা ন্যায়ের পথে থাকবে।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন," আজকে যারা এখানে উপস্থিত আছেন, তারা মেধাবীদের মেধাবী। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করায় আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই। এই অ্যাওয়ার্ডকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে সামনের দিনে আরো ভালো করার চেষ্টা করবেন এই প্রত্যাশা রাখি।"
তিনি আরো বলেন," মেধাকে শুধু সিজিপিএর মধ্যে আবদ্ধ রাখবেন না। আপনাদের আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে। এ্যাভারেজ স্টুডেন্টসের থেকে আপনাদের ইউনিক হতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আশা করি আপনাদের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।"
উল্লেখ্য, মেধা বৃত্তি, অসচ্ছল ও মেধাবী স্টাইপেন্ড এবং স্পোর্টস স্কলারশীপ চলতি মাসেই প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন