লাল শাক, লাউ ও পেয়াজের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ২।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে আটক করা হয়।
আজ (১৫ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারস্থ গাড়ীচালকদের বিশ্রামাগারের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম হতে খুলনাগামী দিদার বাসে তল্লাশি করে ৫ কেজি গাঁজাসহ মিলন মোল্লা (৩৫) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি বাগেরহাট জেলার সরণখোলা উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্লার ছেলে।
অপর এক অভিযানে ফেনী টু ঢাকাগামী স্টার লাইন বাসে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করে ৮ কেজি গাঁজাসহ মো: শিপন চৌধুরী (৫২) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। উক্ত আসামি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানাধীন দৌলতপুর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
আসামী মো: শিপন চৌধুরীর(৫২) বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার ও অপর আসামী
মিলন মোল্লা(৩৫) এর বিরুদ্ধে সহকারী
উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় বালক (অনূর্ধ্ব -১৫) ফুটবল প্রশিক্ষণের
সমাপনী ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে
আজ শনিবার (২৪ মে) বিকালে ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম কনফারেন্স কক্ষে প্রশিক্ষণের
সমাপনী ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি
২০২৪-২৫ এর আওতায় জেলা ক্রীড়া অফিস, কুমিল্লার
আয়োজনে এ প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র প্রদান
অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কুমিল্লার ৪০ জন বালক ফুটবল প্রশিক্ষণের
সুযোগ পায়। জেলা ক্রীড়া অফিসার ও সদস্য সচিব জেলা ক্রীড়া সংস্থা জনাব সুমন কুমার মিত্রের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক
কমিটির সদস্য আহসানউল্লাহ স্বপন, আরিফ খান,
কাজী গোলাম কিবরিয়া, মাহির তাজওয়ার ওহি, ক্রীড়া সংগঠক মাহবুবুল আলম চপল, জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশন এর কোষাধ্যক্ষ সাইফুল আলম বাবু,
সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন, জেলা ফুটবল দলের প্রশিক্ষক মোঃ তুহিন, ফুটনল
প্রশিক্ষক পিন্টু দাস, মাধব বণিক সহ অতিথিবৃন্দু।
জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্র জানান,
তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভার বিকাশ, বালকদের
মধ্যে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য আজকের এ আয়োজন। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হতে প্রতিভাবান
খেলোয়াড়েরা পরবর্তীতে জেলা দল, বিভাগীয় দল ও জাতীয় পর্যায়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশন বন্যাদুর্গত জেলা ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লার
বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রামে পানিতে আটকে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে ।
সেই সাথে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী ।
সেনাবাহিনীর
এই অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার
থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তিন জেলায় এ উদ্ধার অভিযানের এ তথ্য নিশ্চিত
করে সেনাবাহিনী সূত্র আরো জানিয়েছে, কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের
জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম বন্যাদুর্গত এলাকায়
উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সেনাবাহিনী
সূত্র এটাও জানিয়েছে যে, এছাড়া প্রায় ২০ জন রোগিকে হেলিকপ্টারে করে ফেনী থেকে
কুমিল্লা সিএমএইচ হাসপাতালে এনে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন প্রসূতিও
রয়েছে। তিনি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। মা ও ছেলে দুইজনেই সুস্থ্য রয়েছেন বলে
সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
১৬ কেজি গাঁজাসহ ডিএনসি-কুমিল্লার হাতে
আটক ০২ নারী।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক মো: মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে ১৪ ফেব্রুয়ারি
২০২৫ তারিখ সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার এলাকায় কুমিল্লা
টু ঢাকাগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট নামীয় বাসে তল্লাশি করে ১৬ কেজি গাঁজাসহ মোসা: রুনু
আক্তার(৩৭) ও আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া(২০) কে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামি রুনু আক্তার (৩৭) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার মুরাদপুর মৃত চারু মিয়ার মেয়ে।
অপর আসামী আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া(২০) কোতয়ালী থানার মৃত সুমন মিয়ার মেয়ে এবং রাব্বি
হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, অল্প
সময়ে অধিক উপার্জনের লোভে তারা বারবার মাদক বহনের কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল হিসেবে মহিলাদের মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করছেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মো: মুরাদ
হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা
দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ২৯ কেজি গাঁজা’সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গত ০১ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন ধানসিড়ি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে পিকআপের পিছনে কাঠের গুড়ার বস্তার মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী বশির (২০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ২৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী বশির (২০) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ এনামুল হক এর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে বি.বাড়িয়া, কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি
ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক এ এম জাবের বিন জব্বার।
তিনি বলেন, প্রথম প্রহরে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনোরা নামক স্থানে পাওয়া যায় এসব ইলিশ।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্ত
পিলার ২০৫৭২-এস হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মনোরা নামক স্থানে এসব ইলিশ পাওয়া
যায়৷ এসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিজিবি আসার খবরে এসব ইলিশ ফেলে পালিয়ে
যায় চোরাকারবারিরা।
৪৪০ কেজি ইলিশ মাছের মূল্য ৯ লাখ ৬৮
হাজার টাকা। ইলিশগুলো বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বুড়িচংয়ের আনন্দপুর
সীমান্তে সাড়ে ৬০০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছিলো বিজিবি।
মন্তব্য করুন
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস
ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে জেলা আইনজীবী
সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সকাল ১১টায় ক্যাটাগরিতে আইনজীবীদের সন্তানদের চিত্রাঙ্কন
প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন।
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র
সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে রিক্রিয়েশন, কালচারাল এন্ড সোশ্যাল
ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি এডভোকেট কাজী আবদুল কাইয়ুম মিন্টু'র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুস সা'দাত, আসন্ন জেলা আইনজীবী
সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও এডভোকেট মোঃ
কামরুল হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া ও এডভোকেট
খন্দকার মোঃ মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন পদে পদপ্রার্থী আইনজীবীরা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ আইনজীবীদের সন্তানসন্ততিরা।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগিতায়
অংশগ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম
ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ হেলাল উদ্দিন
বলেন- এধরনের অনুষ্ঠান দেখে সত্যি আমি অভিভূত। আমি আশাবাদী এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত
থাকবে। এরফলে আইনজীবীদের সন্তানদের সুন্দর মনমানসিকতা গড়ে ওঠবে।
এদিকে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
করতে প্রভাত ফেরিতে সামিল হলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির শতাধিক আইনজীবী। এরপর
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী
সমিতি ও বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। এরআগে কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে
নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালে ফুলেল শুভেচছা জানান কুমিল্লার
বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিনসহ কুমিল্লা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির
অন্যান্য বিজ্ঞ বিচারক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীগণ।
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে আন্দোলনের নামে গ্রাহক ভোগান্তি, রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ১৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিল্টন ঘোষ ওই মামলা করেন। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন করে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে লাখ লাখ গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাইমানা গ্রামের নূরুল আনোয়ারের ছেলে সহিদুল ইসলাম (২৬), চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কামানকান্দি মাথাভাঙ্গা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৮), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের সিকদার চৌধুরীর ছেলে ফয়সাল চৌধুরী (৩৭), নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পবনপুর তারাবো গ্রামে ফরিদ উদ্দিনের ছেলে তানভীর আহমেদ (৩৩), ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা সদরের খায়রুল কবিরের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (৩০)। তারা সকলে চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কর্মকর্তা।
সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় দফা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন করাকালে চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও করে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে। পরে দায়ের হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নাজমুল হুদা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনকালে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে সমিতির আওতাধীন চার উপজেলার লাখ লাখ গ্রাহকের ভোগান্তি দেখা দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করি। সন্ধ্যার পর আবারো তারা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কার্যালয় ঘেড়াও করে। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে নাশকতা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত করায় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মামলা করেন। ওই মামলায় তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, উপার্জন করতে পারেন না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেন না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই বড় ছেলে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা মায়ের ঝগড়া লাগতো। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করেন। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে এক ভারতীয় তরুণকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে মাদকসহ প্রবেশ করেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ১০ বিজিবি, কুমিল্লার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ভারতীয় তরুণের নাম মেহেদী হাসান (১৮)। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার এনসি নগর গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার ছেলে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধীন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি পোস্টের টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিজিবির টহলদল সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর নামক স্থান হতে ওই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে। মাদকসহ অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
মন্তব্য করুন