

মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাঁচটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান ও তমালিকা পাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ইটভাটাগুলো হলো: ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকস।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন। এরমধ্যে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী তিনটি ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ২টি ইটভাটা থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস, জুবায়ের হোসেন, বিএসটিআই কুমিল্লার পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ শাহান, চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান ও থানা পুলিশের একটি টিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত পাঁচটি ইটভাটাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইটভাটাগুলোতে অনিয়ম রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের এক মাস পর শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে আব্দুল করিম ভূঁইয়ার (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৩ টায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া গত ১৩ আগস্ট তিনি নিখোঁজ হলে বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের বড়শালঘর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে আব্দুল করিম ভূঁইয়া। তিনি গত ১৩ আগস্ট বাড়ি থেকে খরমপুর মাজার এলাকায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১৬ আগস্ট তার বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া দেবিদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে বুধবার নিখোঁজ আব্দুল করিমের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানায় ,তার ছোট ভাই করিমকে শশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রেখেছে। ওই ফোন কলের সূত্র ধরে আমির হোসেন ভূঁইয়া রাতেই দেবিদ্বার থানায় এসে পুলিশ নিয়ে তার ছোট ভাই আব্দুল করিম ভূঁইয়া শ্বশুরবাড়ি যান। সেখানে গিয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লাশ দেখতে পায় পুলিশ।
বিষয়টি দেবিদ্বার থানার ওসিকে জানানো হলে রাত সাড়ে ৩টায় (ওসি) শামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস ও দেবিদ্বার সার্কেলের এএসপি মো. শাহিন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। ওই সময় আব্দুল করিম ভূঁইয়ার দুই শ্যালক মোজ্জামেল ও ইসরাফিল এবং করিমের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার, বড় ছেলে তানভির, ছোট ছেলে তৌহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন।
নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গত ১৩ আগস্ট বাড়ি থেকে আখউড়ার খড়মপুর মাজার এলাকায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়। বুধবারে একটি অজ্ঞাত ফোনের সূত্র ধরে তার ভাইয়ের লাশ উদ্ধার হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তিনি ফাঁসির দাবি জানান।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি শামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, নিখোঁজের এক মাস পর একটি ফোনের সূত্র ধরে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত করিম মিয়ার দুই শ্যালক, স্ত্রী ও দুই ছেলে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
৫২ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। গতকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানায়
কর্মরত এসআই মোঃ মেহেদী হাসান, এএসআই মোঃ হারুন
অর রশিদ, এএসআই মোঃ এমরান ভুইয়া, এএসআই মোঃ
নাজমুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৬ নং ঘোলপাশা
ইউনিয়নের আমানগন্ডা সাকিনে আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ কবরস্থানের সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম
মহাসড়ক সংলগ্নে ১ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল সহ গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতেছে এবং অপর ২ জন
ব্যক্তি আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ কবরস্থানের পাশে গাঁজার বস্তাসহ লুকিয়ে আছে। অতঃপর
পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর সময়
মোটরসাইকেল সহ আসামী মোঃ বিজয় কে আটক করেন। অপর ২ জন ব্যক্তি কবরস্থানের পাশে ৩টি
বস্তা ফেলে দৌড়ে পালানোর সময় আসামী মোঃ ছালাউদ্দিন ও মোঃ সাদেক মিয়া কে আটক করেন।
এ সময় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো:
১।
মোঃ বিজয় (১৮), পিতা- সালেক মিয়া, মাতা- সাহেদা আক্তার, সাং- কাশিপুর, ইউপি- রতনপুর,
থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং- বালিনা, ইউপি- দুলালপুর, থানা- ব্রাহ্মনপাড়া,
জেলা- কুমিল্লা।
২।
মোঃ ছালাউদ্দিন (২৪), পিতা- আব্দুল মতিন, মাতা- রিজিয়া বেগম, সাং- বালিনা, ইউপি দুলালপুর,
থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা- কুমিল্লা।
৩।
মোঃ সাদেক মিয়া (২০), পিতা- মোঃ মজিদ আলী, মাতা- মোছাঃ রহিমা বেগম, সাং- কাশিপুর,
ইউপি রতনপুর, থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং- বালিনা, ইউপি দুলালপুর, থানা-
ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা- কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য
যে, গ্রেফতারকৃত ২নং আসামী মোঃ ছালাউদ্দিন (২৪) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ৩ টি মাদক মামলা
ও ৩নং আসামী মোঃ সাদেক মিয়া (২০) এর বিরুদ্ধে ২ টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন
রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
৪৩ তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় মাগুরা জেলা ক্রিকেট দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দল। এর আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ বিমানের সাথে ফাইনালে রানার্সআপ হয় কুমিল্লা। আগামী ৪মে রোববার কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে কিশোরগঞ্জ জেলা দলের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
আজ
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিং পাওয়া কুমিল্লা জেলা দলের দুই স্পিনার ইয়াসির আরাফাত এবং আশরাফুল হাসান রোহান এর ঘূর্ণি যাদুতে মাগুরা জেলা ক্রিকেট দল মাত্র ৩৮.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। মাগুরা জেলা দলের আসলাম, মোহাইমিন এবং তালহা যথাক্রমে ১৯,১৮ এবং ১৭ রান করেন। ইয়াসির আরাফাত ৫০ রানে ৫ উইকেট এবং রোহান ৩৮ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন।অপর উইকেটটি নেন পেসার সবুজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা জেলা দল ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দলের ওপেনার ইরফান তাকরির অপরাজিত ৮০ রান করেন। অপর ব্যাটসম্যানের মধ্যে রুবেল মিয়া ২৮ আবুবকর, ১৪ রান করেন।
কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ফখরুল আলম উল্লাস এবং কোচ মানিক কুমার দাস ২২বছর পর ফাইনালে উঠার সুযোগ পাওয়ায় ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ফাইনালে ভাল করার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় তদারকি অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ধনপুর ও কাশিনাথপুর এলাকায় একটি শিশু খাদ্য প্রস্তুতকারক ও একটি খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চলে।
উক্ত অভিযানে দেখা যায়, ধনপুর এলাকার মেসার্স টি জে ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠান শিশু খাদ্য জিওজিও ও ছুটি নামের দুটি ব্রান্ডের চিপস প্রস্তুত ও মোড়কজাত করছে। কিন্তু চিপসের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করছে না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ফ্লোরে বসেই উৎপাদন ও মোড়কীকরণ করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে কাশিনাথপুর এলাকায় মেসার্স হাফসা সুইটস এন্ড বেকারিতে দেখা যায়, রং মিশ্রিত করমচাকে চেরি ফল বলে কেকে ব্যবহার করা হচ্ছে, বার্থডে কেকে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের মেয়াদ নেই, অনুমোদনহীন বিদেশী উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকলেও প্যাকেটে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনুমোদনহীন পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি।
শনিবার (২১ ভোরে কুমিল্লা-বুড়িচং সড়কের কুমিল্লা সদর উপজেলার আমড়াতলীর কবিরাজ বাজার এলাকা থেকে আজাদ ও রমজান নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা ৪০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবির ওসি সাজ্জাদ করিম খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদেরে ভিত্তিতে শনিবার ভোরেসদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের কবিরাজ বাজারে বুড়িচং-কুমিল্লাগামী পাকা রাস্তার উপর পৌছিয়া ওৎপেতে থাকেন এসআই জীবন বিশ্বাস, এএসআই মোহাম্মদ ফোরকান, ডিবি সদস্য আসাদ মিয়া, সানি বড়ুয়া ও নুরুল ইসলাম একটি কার্গো ট্রাককে থামিয়ে গাড়ি বডির নিচে তল্লাশী করে স্কচটেপ মোড়ানো ৪০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এসময় গাঁজা পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়।
আসামীরা হলো: ট্রাক চালক মোঃ আজাদ মিয়া (৪৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে এবং মোঃ রমজান আলী (৫০) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে।
মন্তব্য করুন


"বিবেক" এর পক্ষ হতে গৃহহীন রুজিয়া বেগমকে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর পালপাড়া রেলগেটের পশ্চিম পাশে বসবাস করেন রুজিয়া বেগম।
সাম্প্রতিক বন্যা যার কেড়ে নিয়েছে সবকিছু। রাখেনি মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ও ।
গৃহহীন রোজিয়া বেগমকে মাথা গোঁজার ঠাই এর ব্যবস্থা করে দিতে পাশে এসে দাঁড়ালো 'বিবেক'।
শনিবার বিকেলে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রুজিয়া বেগমকে ঘর হস্তান্তর করে 'বিবেক'।
এসময় উপস্থিত ছিলেন 'বিবেক' সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান করোনা যোদ্ধা, মানবতার ফেরিওয়ালা ইউসুফ মোল্লা টিপু সহ বিবেকের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১১, সিপিসি-২।
সোমবার রাতে র্যাব -১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক
দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ধর্মপুর এলাকায় মাদক
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ জনি (২৬) ও ২। মোঃ ইমন হোসেন রিয়াদ (১৯) নামক
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ জনি (২৬) কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানার ধর্মপুর গ্রামের মৃত আব্দুল রহিম এর ছেলে এবং ২। মোঃ ইমন হোসেন
রিয়াদ (১৯) একই গ্রামের বজল আহমেদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব -১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী মোঃ জনি (২৬)
এর বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ মোট ২ টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশহিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যােগে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৩০ কুমিল্লা টাউনহলের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।এসময় নগরীর টাউন হল থেকে শুরু করে মনোহরপুর,রাজগঞ্জ,বাদুরতলা, লাকসাম রোডে বিভিন্ন পোষ্টার ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করে।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে নগর জামায়াতের সেক্রেটারী মু.মাহবুবর রহমানের পরিচালনা বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশ শুরা সদস্য ও কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুস সাত্তার,কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে মু.কামারুজ্জামান সোহেল,কাউন্সিল মোশাররফ হোসাইন, নাছির আহম্মেদ মোল্লা।মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য এড এয়াকুব আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসাইন, আমীর হোসাইন ফরায়েজী।
সভাপতির বক্তব্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা’ এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও বিচারের মুখোমুখি করা’—গণমানুষের দাবি। সরকার যদি গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন একদিনে করতে চায়, তাহলে বুঝতে হবে সরকার একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকার গড়িমসি করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করতে জনগণ বাধ্য হতে পারে। তাই সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে ৫ দফা দাবি মেনে নিতে তিনি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কুকে ডেকে পাটিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে মহাসচিবের বাসায় তাকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে সাক্কুকে নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। বৈঠকে মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা-৬ আসনের রাজনৈতিক পরিবেশ মির্জা ফখরুলকে অবহিত করেন বলে জানা গেছে।
পরে বিকেলে মো. মনিরুল হক সাক্কু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি কুমিল্লার আদি লোক। আদি বিএনপি। এখন যারা সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে মাঠে হইচই করছেন তারা বিএনপিতে আমার জুনিয়র। আগামী নির্বাচনে সদর আসনের সঠিক চিত্র কি হতে পারে, তা আমি মহাসচিবকে অবহিত করেছি। এ ছাড়াও কুমিল্লার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উনার সঙ্গে আলাপ হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বিএনপি থেকে মনিরুল হক সাক্কু আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন। এরপরও তিনি দল থেকে দূরে না সরে সব কর্মসূচি পালন করছেন। কুমিল্লার ভোটের রাজনীতিতে সাক্কু বড় ধরনের ফ্যাক্টর বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আজিম মাহমুদ খোকন (৪৪) নামে এক যুবদল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাম গ্রামে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক আজিম মাহমুদ খোকন উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শনিবার সকালে যৌথবাহিনী বাম গ্রামে (মজুমদারপাড়া) আজিম মাহমুদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার কাছে থাকা একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল জব্দ করা হয়
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে তিনি যুবদলের নাম ব্যবহার করে ব্যানার, ফেস্টুন তৈরি করছেন। তবে আজিম মাহমুদ যুবদলের সমর্থক হলে হতে পারে কিন্তু তার কোনো পদ-পদবি নেই।
নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আজিম মাহমুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন