মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাঁচটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান ও তমালিকা পাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ইটভাটাগুলো হলো: ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকস।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন। এরমধ্যে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী তিনটি ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ২টি ইটভাটা থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস, জুবায়ের হোসেন, বিএসটিআই কুমিল্লার পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ শাহান, চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান ও থানা পুলিশের একটি টিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত পাঁচটি ইটভাটাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইটভাটাগুলোতে অনিয়ম রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৩-২৪ আয়োজনের লক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ক্রিকেট কমিটি।
বুধবার সকালে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
এবারের স্কুল ক্রিকেটের আসরে কুমিল্লার ৮টি স্কুল অংশ নিচ্ছে। ক ও খ দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ৮টি স্কুল দল। ক- গ্রুপে রয়েছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল, এ্যাথনিকা স্কুল এন্ড কলেজ, ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ ও কুমিল্লা ইউসুফ হাই স্কুল।
খ- গ্রুপে রয়েছে কুমিল্লা হাই স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা পুলিশ লাইন স্কুল ও কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর ব্যবস্থাপনায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট হচ্ছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম সোহাগ, যুগ্ম সম্পাদক বাদল খন্দকার, কোষাদক্ষ আল আমিন ভূইয়া, সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির, জেলা ক্রিকেট কোচ হাবিব মোবাল্লেগ জেমস ও কোচ সারোয়ার জাহান ও অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলোর ক্রীড়া শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন জালুয়াপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ লিটন মিয়া (২৫) নামক
১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ লিটন মিয়া (২৫) কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার কেরনখাল গ্রামের মোঃ অলি মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জেলা তথ্য অফিস, কুমিল্লার আয়োজনে মঙ্গলবার দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন: ২০৪১, সরকারের অর্জিত সাফল্য ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মাদক, গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপপ্রচার,অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিনিয়র তথ্য অফিসার নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দাউদকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাকটর উম্মে কুলসুম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদা সুলতানা, দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ও দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মেছবাহ উদ্দিন সরকার। নারী সমাবেশের পূর্বে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আপনারা পাচ্ছেন। এখন স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম যেতে হয় না। বাড়িতে বসে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা চলে আসে, স্কুলে উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে চলে আসে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম, শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীর ভূমিকা অপরিসীম। অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, অপপ্রচারকে প্রতিরোধ করতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন ও বিনা মূল্যে বই বিতরণসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বক্তাগন মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ এর প্রতি জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মানুষকে এই অপারাধ গুলির বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল:
দীর্ঘ
পাঁচ বছর পর আবারও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অনুষ্ঠিত হলো বাংলা নববর্ষের বর্ণাঢ্য
আয়োজন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর, প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত
অংশগ্রহণে রঙিন হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
উৎসবের সূচনা হয় সকাল সাড়ে ৯টায়, ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে বর্ষবরণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সকাল
১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে শুরু হয় বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। ছেলেদের
জন্য আয়োজন করা হয় মোরগ লড়াই আর মেয়েদের জন্য ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা, যা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
সকাল
সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন লোকগান, নৃত্য,
কবিতা আবৃত্তি ও নাটিকা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ বাংলা নববর্ষকে ঘিরে
নিজ নিজ স্টলে পরিবেশন করে ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি — পাটিসাপটা, চিতই, দুধচিটা, মালপোয়া
প্রভৃতি।
ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, “বাংলা নববর্ষ এদেশের সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা। এটি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আয়োজন নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম ও সংস্কৃতি চেতনা জাগ্রত করবে।”
প্রো-ভাইস
চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, “বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার
দায়িত্ব আমাদের সকলের। এমন আয়োজন সেই দায়িত্ব পালনকে আরও বেগবান করে।”
ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, নতুন বছর আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে
দিয়েছে। অতীতের অন্যায়-অবিচার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রের
পথে।
প্রায়
পাঁচ বছর পর কুবিতে এই আয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা
গেছে। দিনভর চলা নানা আয়োজনে মুখর ছিল গোটা ক্যাম্পাস।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে সারা দেশের মতো কুমিল্লায়ও পালিত হয়েছে মৌন মিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি।
আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কান্দিরপাড়স্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে একত্রিত হন। পরে সেখান থেকে একটি বিশাল মৌন মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজগঞ্জ মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব ও সমাপনী বক্তব্য দেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবু। বক্তব্য দেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম। সঞ্চালনা করেনমহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমিরসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক বিএনপি কর্মী-সমর্থক।
বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী শহিদরা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রদূত। তাদের স্মরণে এই কর্মসূচি শুধু অতীতকে স্মরণ নয়, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন শপথ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৮ এপ্রিল) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উলুরচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাহ আলম (২৫) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহ আলম (২৫) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মুসাগাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি
কাভার্ডভ্যান গাড়ীসহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত ২ টা ৪৫ মিনিটে
চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
চৌদ্দগ্রাম থানাধীর সুজাতাপুর লাকি হোটেলের পশ্চিম পাশে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী মহাসড়কে
একটি কাভার্ডভ্যান তল্লাশী করে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মোরশেদ আলম
সোহেল, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মোঃ ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো-১। খাগড়াছড়ি
জেলার মানিকছড়ি থানাধীন যোগ্যছোলা ৬নং ওয়ার্ড এলাকার খোরশেদ আলম এর ছেলে মোঃ মোরশেদ
আলম সোহেল (২৫), ২। নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন সাং—মাছিমপুর, ০৪নং ওয়ার্ড, ১৬নং
নেওয়াজপুর ইউপি এলাকার হাজী তোফায়েল আহমেদ এর ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (৩৮), ৩।খাগড়াছড়ি
জেলার মানিকছড়ি থানাধীন সাং—যোগ্যছোলা, (চেয়ারম্যানপাড়া) ৬নং ওয়ার্ড, ৩নং যোগ্যছোলা
ইউপি এলাকার মোঃ সাজু মিয়ার ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৫), ৪। চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর
থানাধীন পশ্চিম সাপমারা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ ওমর ফারুক (১৯)।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম
থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ফকিরবাজার এলাকায় অপরাধী চক্রের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায় সেনাবাহিনী।
আর সে টর্চার সেল থেকে দেশীয় অস্ত্র ও এলজিসহ সালাউদ্দিন খান (৩৮) নামে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
২৩ বীর সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম স্টেশনের কর্মকর্তা মেজর মাহিন জানান, সালাউদ্দিন খানসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে জোরপূর্বক ধরে এনে টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন চালাতো। টর্চার সেলে অস্ত্র মজুত রাখা ও নির্যাতনের অভিযোগটি আগেই আমরা পেয়েছি। পরে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। রোববার রাতে উপজেলার ফকির বাজারে রিয়াজ হুসাইন কামালের ‘লন্ডন বাড়ি'র টর্চার সেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় অস্ত্রসহ মূল হোতা সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তবে সালাউদ্দিনের সহযোগীরা সেনাবাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সালাউদ্দিন খান স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মানুষকে টার্গেট করে টর্চার সেলে এনে জিম্মি করতো তারা। নির্যাতন চালিয়ে আদায় করতো অর্থ। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত সালাউদ্দিন চৌদ্দগ্রাম থানার গুণবতী কালিয়াতর (বিষ্ণুপুর) গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ সাব্বির
হোসেন সহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় পাসপোর্ট,
পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লীপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ সর্বমোট
১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে কাছ থেকে ৪ টি
পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২,৬০০ টাকা সহ পাসপোর্ট
সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ হলোঃ-
১। মোঃ সাব্বির
হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-হাড়াতলী, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২। মোঃ সাফি মাহমুদ
(২৮), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ সুজন
(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-ছোটরা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৪। তানজিদ হাসান
(৩০), পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শিকারপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৫। মোঃ জয়নাল
আবেদীন (৫৩), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৬। মোঃ ইমরুল
হক (৩২), পিতা-মোঃ মঞ্জুরুল হক, সাং-মোনসেফ বাড়ী, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৭। মোঃ আলী (২৭),
পিতা-সুলতান আহমেদ, সাং-মোহনপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা।
৮। মোঃ শাহাদাত
হোসেন প্রিন্স (২৮), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন রোমান, সাং-নতুন চৌধুরী পাড়া, থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৯। মোশারফ হোসেন
সাকিব (২০), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১০। মোঃ রনি
(২৩), পিতা-মোঃ রুক মিয়া, সাং-শংকরপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১১। ফয়সাল আহমেদ
ইমন (২১), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-রাজাপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১২। জহির আহম্মেদ
(২৬), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-দক্ষিণ ধনপুর, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
১৩। পারভেজ (২২),
পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বরহাতুয়া, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা।
১৪। সিয়ামুল ইসলাম
সৈকত (২০), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং-মানিকারচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান,
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে
সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
মূলতঃ তারা ৩টি গ্রুপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে
পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের
অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী
স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী
করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট
অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল।
উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লাস্থ নাঙ্গলকোট ফোরাম'র নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। কাজী নজির আহম্মদ সভাপতি ও সাংবাদিক সহিদ উল্লাহ মিয়াজীকে সেক্রেটারি করে ১৫ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। ৩১ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর একটি হল রুমে সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের সামনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তাগণ হলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক নাছির আহম্মেদ মোল্লা ও ডা: সিরাজুল ইসলাম। সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইছরাইল মজুমদার, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাদাৎ ইবনে সালেহ, ব্যবসায়ী নেতা মিজানুর রহমান ও মাইনুল হক মজুমদার বাবলু। সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আফসার মজুমদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শহীদ উল্লাহ মজুমদার, অফিস ও অর্থ সম্পাদক প্রভাষক মাওলানা ইব্রাহীম মুসাফির, প্রচার সম্পাদক শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম সেলিম, ক্রীড়া সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, আপ্যায়ন সম্পাদক নুরুল আমিন আজাদ ও ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মামুন।
মন্তব্য করুন