

কুমিল্লায়
৬৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।
আজ
(১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণপাড়া
থানায় কর্মরত এসআই শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ১নং মাধবপুর ইউপিস্থ মাধবপুর বাজার এলাকায় কুমিল্লা টু সিলেট
মহাসড়কের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ১টি পিকআপ গাড়ি থেকে
৬৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ওয়াহিদুন নবী ও মোঃ তপন মিয়া কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো:১. ওয়াহিদুন নবী (২৭), পিতা-মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সাং-মাধবপুর(দক্ষিণপাড়া),
থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা। ২. মোঃ তপন মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ কানু মিয়া, সাং-মাধবপুর,
পোঃ-মাধবপুর, ১নং মাধবপুর ইউপি, উপজেলা/থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় ব্রাহ্মনপাড়া থানার মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন


মো. মিজানুর রহমান মিনু :
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ সিএনজি অটো-রিকসা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উদ্যোগে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন, মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম লোকমান হোসাইন। এ সময় থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শকবৃন্দ সহ পুলিশের পৃথক দু’টি টিম। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার ও মিয়াবাজার এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সিএনজি অটো-রিকসা, থ্রি-হুইলার সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটক করে। এ সময় আটককৃত গাড়ীগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
ভাই-বোনের সম্পর্ক মজবুত করতে রাখতে থালায় রাখি, মিষ্টি, প্রদীপ, সিঁদুর, লাল সুতো, ধান ও দূর্বা দিয়ে সাজিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতে জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর বাসায় ঘরোয়া পরিবেশে এ উৎসব পালিত হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়- জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার রাখি বন্ধনের মাধ্যমে তাঁর ছোটভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন। তদ্রুপ ভাইও বোনকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন পরিবারের সকলে একত্রে মিলিত হয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দাবার ও উপহারের ব্যবস্থা করা হয়। রাখি উৎসবকে ঘিরে পরিবারের সব্বাই মিলে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে।
জানা যায়- প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুক্লা পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মে ভাই-বোনের ভালবাসার প্রতীক এই উৎসব। এই পবিত্র দিনে বোন ভাইকে রাখী বেঁধে দেয় এবং ভাই বোনকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরফলে ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও স্নেহের বন্ধনকে দৃঢ় শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে ভাইদের পাশাপাশি বোনরা নতুন পোশাক পরিধান করে এবং মিষ্টি মুখ করানোর মধ্যদিয়ে ভাইয়ের হাতে রঙ বেরঙের সুতো বা রাখি বেঁধে দেয়। পরিবর্তে ভাই বোনদেরকে উপহার দিয়ে থাকে। এই দিনে ভাই-বোনের সম্পর্ক আজীবন রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে বোনেরা পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়।
আরও জানা যায়- রাখি বন্ধন বা রাখি পূর্ণিমা উৎসবটি ভাই-বোনদের পবিত্র সম্পর্কের এক নিবিড় উদযাপন। তবে বর্তমানে শুধুই ভাই-বোনদের মধ্যে এই উৎসব সীমাবদ্ধ নেই। জাতি বর্ণ ধর্ম র্নিবিশেষে পারষ্পারিক সৌহার্দ্য-সৌভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির জন্যেও রাখি পূর্ণিমা পালিত হয় থাকে। রাখি পূর্ণিমার ঠিক পাঁচদিন আগে ঝুলন পূর্ণিমা শুরু হয় এবং রাখি পূর্ণিমার সাতদিন পর জন্মাষ্টমী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের এই দুই লীলার মাঝে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রাখি পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় বলে এর আরেক নাম শ্রাবণী পূর্ণিমা। এই দিনটির জন্য প্রত্যেক ভাইবোন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। বোন ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেয় আর ভাই বোনকে রক্ষার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়। এই ভাবেই এই অনুষ্ঠিত যুগের পর যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে। রাখি বন্ধন মূলত বিহারী সংস্কৃতি হলেও পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠান বাঙালি সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পরে।
মহাভারতে বর্ণিত, এক যুদ্ধে কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পঞ্চপাণ্ডবের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। ফলতু দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোনের মর্যাদা দেন। এই উৎসবটি ভাই-বোনের সম্পর্ককে আরও মধুর করে তোলে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চান্দিনায় সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাহিন মুন্সি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতা হালিমা খাতুন (৩৪) সব্দলপুর গ্রামের এমদাদুল হক মুন্সির (৭৫) দ্বিতীয় স্ত্রী। গতকাল বুধবার গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার ( ৩০ অক্টবর ) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত শাহিন মুন্সি মৃতার সৎ ছেলে এবং এমদাদুল হক মুন্সির চতুর্থ ছেলে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এমদাদুল হক মুন্সির প্রথম স্ত্রী মারা যান প্রায় ৩ বছর আগে। তার চার ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। যারা সবাই বিবাহিত এবং ৪ ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী। ছোট ছেলে শাহিন মুন্সি প্রায় আট মাস আগে দেশে ফেরেন। দুই মাস আগে এমদাদুল হক মুন্সি দাউদকান্দি উপজেলার জয়নগর গ্রামের হালিমা খাতুনকে বিয়ে করেন।
এমদাদুল হক মুন্সি জানান, ‘গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে আমি শৌচাগারে যাই। তখন আমার স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, পাশের কক্ষে ছোট ছেলে শাহিন ছিল। ঘরে ফিরে দেখি স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় কাতরাচ্ছেন। চিৎকার দিলে পুত্রবধূসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে অ্যাম্বুল্যান্সে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তৃতীয় পুত্রবধূ শিরিনা আক্তার জানান, ‘আমরা অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। শ্বশুরের চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি শাহিন ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, শ্বশুর কান্নাকাটি করছেন। সৎ শাশুড়ি তখন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিলেন।’ বাতাঘাসী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘এমদাদুল হক মুন্সি আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। দ্বিতীয় বিয়েতে পরিবারের কারোর আপত্তি ছিল না। কী কারণে শাহিন সৎ মাকে হত্যা করেছে, তা কেউ বলতে পারছে না। ঘটনার পর সে পালিয়ে যায়।’
চান্দিনা থানার (ওসি) “জাবেদ উল ইসলাম” জানায়, মৃতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্বামী এমদাদুল হক মুন্সি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শাহিন মুন্সির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


৫ ই অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষক গণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন পূূর্বক এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলাতেও খুব অনাড়ম্বর ভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়েছে।
'শিক্ষকের কণ্ঠস্বর : শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার' - এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে শনিবার ৫ই অক্টোবর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিশ্বশিক্ষক দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কুমিল্লা শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিস্বরূপ শিক্ষকগণ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় শিক্ষকগণ শিক্ষকতা পেশার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং তাঁদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি শিক্ষকগণের তুলে ধরা বিভিন্ন মতামত এর উপর আলোকপাত করে তার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যতের দিনগুলোতে শিক্ষকতা পেশার চলমান বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
নগরীর কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ তিনজনকে
গ্রেফতার করেছে।
আজ
মঙ্গলবার ( ৮ এপ্রিল) পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের শাফায়াত (২৭), নগরী কাপ্তান বাজার এলাকার
মো. জিহাদ (২১), নগরী শাসনগাছা এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে আসলাম (২১)।
এর
আগে গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে একটি
বিক্ষোভ মিছিল থেকে নগরীর রাণীর বাজার এলাকায় অবস্থিত কেএফসিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে রেস্টুরেন্টের কাঁচ ভাঙচুর করে এবং নিচ
থেকে ইট-পাটকেল ছুড়ে ক্ষতি করে।
কুমিল্লা
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর কুমিল্লা
নগরীতে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তিনজনকে আটক করেছি। বাকিদের আটক করতে বিশেষ
অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার তিন উপজেলার পৃথক স্থান থেকে বীমা কর্মীসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আবাসিক ড্রিম হোটেল থেকে এক বীমা কর্মী এবং রবিবার
রাতে সদর দক্ষিন ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে এক নারীসহ আরো
দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত
করেন।
লাকসাম থানা পুলিশ ও স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আবাসিক ড্রিম হোটেল থেকে আলতাফ হোসেন (৩৭) নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি প্রগতি ইন্সুরেন্সের রায়পুর শাখার ইনচার্জ ও হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার ষোলনল শাকচর গ্ৰামে।
অন্যদিকে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশে স্থানীয় কমলা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর স্ত্রী। রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বান্দুইয়ান গ্রামের সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার জেলখানা বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি খাল থেকে অজ্ঞাতনামা এ পুরুষের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উদ্যোগে পৃথক পৃথক স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেইসকোর্স ও শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর।
আশা আড়াইওড়া সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম ইবনুল আবিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, আশার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দিন, জেলা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহাসহ আরো অনেকে।
পরে দুইটি ক্যাম্পে বিনামূল্যে এক শতাধিক রোগীর ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ২শ রোগীকে ফিজিওথেরাপী দেওয়াসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্লাড সুগার পরীক্ষাসহ কিছু রোগীকে ব্লাড প্রেসার নিরুপণের মেশিন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সফিকুল হক চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
চট্টগ্রাম
বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠলো কুমিল্লা জেলা দল। ১১ মে
ফাইনালে কক্সবাজার জেলা দলের সাথে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
আজ
সোমবার বিকেলে ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ
জোন ফাইনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে ১-০ গোলে হারায় কুমিল্লা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ
জোন ফাইনালে প্রথমার্ধের খেলা গোল শূন্য ড্র ছিলো। পরে খেলার ৭৫ মিনিটে স্বাগতিক দলের
পক্ষে মোহাম্মদ মামুন জয়সূচক গোলটি করেন। খেলায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ বিবেচিত হন গোলদাতা
মামুন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ
বড়ুয়া।
উল্লেখ্য
বিভাগের ১১ জেলা দল নিয়ে দুটি জোনে ভাগ হয়ে ২৪ এপ্রিল টুর্নামেন্টটি শুরু হয়। ১১ মে
কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামে রাঙ্গামাটি জোন চ্যাম্পিয়ন কক্সবাজার জেলা দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
পূর্ণ ফাইনালে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যোগে যাকাত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) বিকাল ৪ টায় নগরীর গোল্ডেন স্পুন অডিটরিয়ামে মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড.আবরার আহমেদ।বিশেষ আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন ড.মাসুদুল হক চৌধুরী,আড়াইবাড়ী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতী আমিনুল ইসলাম।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে সেক্রেটারী মু.মাহবুবর রহমান এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন,মহানগর জামায়াতে নায়েবে আমীর যথাক্রমে মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন,অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন,মহানগর জামায়াতে কর্মপরিষদ সদস্য এড এয়াকুব আলী চৌধুরী,অধ্যাপক মজিবুর রহমান,কাজী নজীর আহম্মেদ,অধ্যাপক জাকির হোসেন,কাজী মোতাহের আলী দিলাল প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে। আল্লাহতাআলার আইন দিয়ে দেশ না চললে কেউ সুখ শান্তি পাবে না। এখানে চুরি, হত্যা রাহাজানিসহ যতধরনের অপকর্ম চলতে থাকবে। ইসলাম মানেই সুবিচার, ইসলাম মানলেই সুবিচার হবে। ইসলাম যতদিন না থাকবে কোথাও সুবিচার কায়েম হবে না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমেই সমাজের সকল স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সমাজ, রাষ্ট্র ও বিচার বিভাগ চালাবে না তারা কাফের, ফাসেক ও জালেম।
সেমিনার সম্মিলিত সকলের অংশগ্রহণে ইফতার করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার আদর্শ সদরে সীমান্ত রক্ষী
বাহিনী বিজিবি (১০ ব্যাটালিয়ন) অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক চোরাকারবারিকে
আটক করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায়,
কুমিল্লা সদরের পালপাড়া এলাকায় অভিযানটি পরিচালিত হয়।
আটককৃতরা হলেন, কালীকৃষ্ণনগর গ্রামের
বাসিন্দা আবু ইউসুফের ছেলে মো. রাসেল (২২) এবং একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে মো. বাহার
মিয়া (২০)।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিজিবি কুমিল্লা
১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইফতেখার হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ব্যবহৃত
একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং সিএনজির মোট
বাজারমূল্য প্রায় ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের
প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় মাদক এবং চোরাচালান দমনে বিজিবির এমন অভিযান
নিয়মিত চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন