

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কেরু চিনিকলের শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটক অবরোধ করেন। তারা দ্রুত শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। অবরোধ চলাকালে কারখানার ব্যবস্থাপক মো. রাব্বিক হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কারখানার ভেতরে আটকা পড়েন।
বিকেল ৫টার দিকে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
শ্রমিক, কর্মচারী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেরু চিনিকলে দুই বছর অন্তর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হয়। চলতি বছর ১৪ মার্চ ভোট হওয়ার কথা থাকলেও, ১১ মার্চ অনিবার্য কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে প্রায় আট মাস ধরে শ্রমিকরা ভোটের জন্য আন্দোলন চালাচ্ছেন। নির্বাচনের বিষয়টি কেন্দ্র করে শ্রমিক ও কর্মচারীদের মধ্যে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা দিয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন শ্রমিক নেতা, অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন কমিটির বর্তমান কিছু সদস্য।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর নির্বাচনের দাবিতে শত শত শ্রমিক মিছিল করেন এবং প্রধান ফটকের সামনে বসে ও শুয়ে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মিলের দ্বিতীয় তলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসানের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া করেন। দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতি হয়, এতে কয়েকজন আহত হন।
শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও স্থানীয় নেতারা চেষ্টা করেন, তবে শ্রমিকরা তাদেরও ধাওয়া করে। পরে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করে অবরোধ শেষ করা হয়।
সাবেক সভাপতি মো. তৈয়ব আলী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জানান, ভোটের তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা দ্রুত ভোটের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানান।
কেরু চিনিকলের এমডি মো. রাব্বিক হাসান বলেন, “শ্রমিক ও কর্মচারীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত, কেউ কারও কথা মানছে না। সকাল থেকে তারা কারখানার প্রবেশ মুখে অবস্থান নেওয়ায় আমরা ভেতরে আটকা পড়ি। বিকেল ৫টার দিকে তাদের বোঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।”
দর্শনা থানার পরিদর্শক মো. সুলতান আহম্মেদ জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত উত্তেজনা বিরাজ করছে। অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্ট দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
জানান, অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের টেলিফোন কল পেয়েছি। বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের
মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের
প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।
এছাড়াও নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের হিন্দু
সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।
ফোনে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে জানান,
অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে
অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
কথোপকথনে ড. ইউনূস ও মোদি অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের
অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে
চিন্তিত। ভারত সর্বদা বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি
শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আমরা চাই হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুলসংখ্যক ঘর-বাড়ি পুড়ে
যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ
ঘটনায় অসংখ্য পরিবারের নিঃস্ব হয়ে যাওয়াকে ‘সকলের জন্য বেদনাদায়ক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এক
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি
বলেন, ‘কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে যেসব পরিবার গৃহহীন হয়েছেন, তাদের দুঃখ-কষ্ট আমাদের সকলের জন্য বেদনার। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা
নিশ্চিত করবে।’
তিনি
জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম
জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন


১২ বছর বয়সী নুরে জারিন নুদার। বর্তমান সময়েরর ছেলে-মেয়েদের থেকে একটু আলাদা। যে বয়সে মেয়েরা মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত। ওই বয়সে ক্ষুদে এ শিক্ষার্থী হাতে কোরআন লিখে পার করছে ব্যস্ত সময়। তার গল্প শুনলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। এই মাদরাসা শিক্ষার্থীর কোনো ক্লাসে পড়তে হয়নি প্রাইভেট। মাত্র ১০ মাসে নির্ভুল ভাবে সে পুরো আল-কোরআন হাতে লিখেছেন। তার দৃষ্টিনন্দন হাতের লেখা দেখলে যে কারো চোখ আটকাবে। মনে হবে এটি কম্পিউটারে ছাপা লেখা। চোখ জুড়ানো হাতের লেখায় পবিত্র কোরআন লিখে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সে।
বর্তমানে নুদার বসুরহাট দারুল ইহসান গার্লস মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ২০২২ সালের সেপ্টম্বর মাসের ঘটনা। তখন ১০ বছর বয়সী নুদার বাড়ির পাশের ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। একদিন হঠাৎ মেয়ের সুন্দর আরবি হাতের লেখা চোখে পড়ে বাবার। এরপর তিনি মেয়েকে উদ্বুদ্ধ করেন পবিত্র কোরআন হাতে লিখতে। যে কথা, সেই কাজ। মেয়েকে প্রথমে এক রিম খোলা সাদা কাগজ এনে দেন তিনি। সেই থেকে শুরু। এরপর আস্তে আস্তে ১০ মাসে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নুদার কোরআন লিখে শেষ করেন। এরপর তার বাবা হাতে লিখা কোরআন শরীফ নিয়ে নুদারের মাদরাসার আরবী শিক্ষক মুফতি মুহা.আবদুল্লাহ আল নোমান শরনাপন্ন হন। সেই থেকে নুদারের লেখা শেষে তিনি বানান সংশোধন করে পুনঃনিরীক্ষণ করে দিতেন। তার উৎসাহে ও সহযোগিতায় নুদারের লেখা আরও গতি পায়। পরবর্তীতে পান্ডুলিপি থেকে ১০ পারা করে তিন ভাগে পুর্ণাঙ্গ কোরআন বাঁধাই করা হয়। কোরআন লিখতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬১১টি এ ফোর সাইজের সাদা কাগজ ও ৫৫টি বলপেন কলম। মেয়ের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মা-বাবা,দাদা-দাদী সহ এলাকাবাসী। মা-বাবার আশা মেয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশবাসীর কল্যাণে দ্বীনি শিক্ষা প্রসারে কাজ করবে। নুরে জারিন নুদার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মওদুদ স্কুল এলাকার ছেলামত মঞ্জিলের মো.নুরুল হুদা মামুনের মেয়ে।
নুরে জারিন নুদার বলেন, বাবা-মায়ের উৎসাহে আমি চতুর্থ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় পবিত্র কোরআন মাজিদ লেখা শুরু করি। এরপর পঞ্চম শ্রেণিতে উঠলে আমার লেখা শেষ হয়। আমার এ লেখা দেখে মা-বাবা আমাকে মাদরাসায় পড়া লেখার পাশাপাশি এখন হিফজ বিভাগে ভর্তি করে দেয়। আমি দেশ বাসীর কাছে দোয়া চাই।
নুদারের বাবা মো.নুরুল হুদা, আমি প্রথমে আমার মেয়ের সুন্দর আরবি হাতের লেখা দেখে খুব আনন্দিত হই। আমারও তার শিক্ষকদের উৎসাহে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সে কোরআন নিজ হাতে লেখা শুরু করে। যখন এক পারা লেখা সম্পন্ন হতো তখন ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার শিক্ষক মুফতি মুহা.আবদুল্লাহ আল নোমান আরবি বানান গুলো যাচাই বাচাই করে পুনঃনিরীক্ষণ করে দিতে। এভাবে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পুরো কোরআন লিখে শেষ হয়। পরে পুনরায় আবার বানান পুনঃনিরীক্ষণ করে ১০ পারা করে তিন ভাগে বাধাই করা হয়। মেয়ের এমন কাজে আমি গর্বিত। এমন কাজে অন্য ছেলে মেয়েরা উদ্ধুদ্ধ হবে বলেও আমি আশা করি।
মা বিবি ফাতেমা বলেন, আমার মেয়ে নিজ হাতে কোরআন লিখেছে, আমরা তাকে উৎসাহ দিয়েছি। লেখার সময় অনেক সময় মনমানসিকতা অন্য রকম হয়ে যেত, তো লিখবো, লিখেনা। আবার মনমানসিকতা ঠিক করে আগ্রহ দিয়ে লিখতে বসত। বিশেষ করে ভালো কাজে শয়তানের প্ররোচনা থাকে। খাতা-কলমে দাগ টানা সহ বিভিন্ন ভাবে তাকে আমি সহযোগিতা করেছি। চার বছর বয়স থেকে সে নিয়মিত নামাজ পড়ে।
ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার নাজেমে তালিমাত, মুফতি মুহা.আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, কোরআন লেখার যে প্রাচীন নিয়ম রয়েছে। সে অক্ষরে অত্যন্ত সুনিপুন ভাবে নুদার ১০ মাসের প্রচেষ্ঠায় কোরআন হাতে লিখে সম্পন্ন করেন। ওই সময় আমি তার লেখার তত্বাবধান করি। বোঝার উপায় নেই, এটি হাতে লিখা না, না কম্পিউটারে লিখা। তার লেখা কোরআন পুরোটাই আমি পুনঃনিরীক্ষণ করি।
ইকরা আরাবিয়া মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা মোতালেব হোসেন পারভেজ বলেন,নুরানী বোর্ডের সমাপনী পরীক্ষায় নুদার পুরো বাংলাদেশে দশম স্থান অর্জন করে। সে একজন মেধাবী ছাত্রী। তার স্বহস্তে কোরআন লেখার এ কৃতিত্বকে আমরা স্বগত জানাই।
বসুরহাট পৌরসভা ৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম ছিদ্দিক বলেন, পবিত্র কোরআন হাতে লেখার উদ্যোগ নিয়ে সম্পন্ন করার কাজটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এতো সুন্দর ভাবে কোরআন লিখলেন সেটি আসলেই অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। আমি তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।
মন্তব্য করুন


ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন


২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে দ্বাদশ শ্রেণির টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই পরীক্ষা নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক “এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার” স্বাক্ষরিত এক জরুরি নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস চলমান রাখতে হবে। তবে বোর্ডের পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। নির্বাচনী পরীক্ষার তারিখ ও অন্যান্য নির্দেশনা পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। বিষয়টিকে বোর্ড অতীব জরুরি বলে জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
মন্তব্য করুন


গাজীপুরের
টঙ্গী তুরাগ তীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
হয়। লাখো মুসল্লি এ জুমার নামাজে অংশ নেন।
শুক্রবার
(৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্বে জুমার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সাদ'র বড়
ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
বৃহস্পতিবার
(৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্বের
আনুষ্ঠানিকতা।
আজ
লাখো মুসল্লির সঙ্গে শরিক হয়ে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায় করতে সকাল থেকেই চারদিক
থেকে মুসল্লিরা ইজতেমার ময়দানে আসতে শুরু করেন। ময়দানে, সড়ক-মহাসড়ক, খালি জায়গাসহ
বিভিন্ন স্থানে পলিথিন, খবরের কাগজ ও চট বিছিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
যানজট
নিয়ন্ত্রণে ও মুসল্লিদের নিরাপত্তায় রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক
হাজার সদস্য।
আজ
বয়ান করেন যারা:
শুক্রবার
(৯ ফেব্রুয়ারি) ফজরের পরে বয়ান করেন মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ। তার বয়ান বাংলায়
তর্জমা করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার আগে জুমার ফাজায়েল বয়ান করেন মাওলানা
মনির বিন ইউসুফ।
জুমার
পরে বয়ান করবেন- শেখ মোফলে (আরবি) এবং বাংলা তর্জমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ
মনসুর। আসরের পরে বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ। মাগরিবের পরে বয়ান করবেন মাওলানা ইউসুফ
বিন সাদ। পরে তা বাংলায় তর্জমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম।
মুসল্লির
মৃত্যু-
বিশ্ব
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আয়োজকরা জানান, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিশ্ব
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৪ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
তারা
হলেন, শেরপুর সদর থানার রামকৃষ্ণপুর এলাকার আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোনার কেন্দুয়া
থানার কুতুবপুর এলাকার হেলিম মিয়া (৬৫), দিনাজপুরের
নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর এলাকার জহির উদ্দিন (৭০) ও জামালপুরের ইসলামপুর থানার গোয়ালের
চর এলাকার নবীর উদ্দিন (৬৫)।
রোববার
(১১ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
মন্তব্য করুন


বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা অনুদান পাবেন। তবে এ অনুদান পেতে আবেদন করতে হবে অনলাইনে ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের এ টাকা দেওয়া হবে। বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল–কলেজ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা এ টাকা পাবেন। অনুদানের টাকা বিতরণে নীতিমালা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের জন্য অনুসরণীয় নীতিমালা সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা পেতে আবেদন করতে হবে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অনুদানের টাকা বিতরণে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে । ওই দিন থেকে অনলাইনে অনুদান পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের এ টাকা পেতে আবেদন করা যাবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ–এর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ টাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ আরো জানিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি, এমপিওভুক্ত ও নন–এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা এবং শিক্ষা গ্রহণের কাজে ব্যয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, রোগগ্রস্ত, অস্বচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর এলাকার শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র সংগ্রহ, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার স্থাপন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বান্ধব করার জন্য অনুদানের আবেদন করা যাবে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার লেখাপড়ার মান ভালো থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে। আর বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক–কর্মচারীরা দুরারোগ্য ব্যাধি বা দৈব দুর্ঘটনার জন্য অনুদানের আবেদন করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


কালীপূজা
উপলক্ষে দুই দিন বন্ধ থাকছে দেশের চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। ১২ এবং ১৩ নভেম্বর
কালীপূজায় ২দিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার তথ্যটি
নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানিয়েছেন, রবিবার ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী কালীপূজা। পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে উভয় দেশের
এক্সপোর্টার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার ও ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা
সভার ভিত্তিতে এই দুদিন স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি উভয় দেশের কাস্টমস,ব্যবসায়ী সংগঠন, ও বন্দর কর্তৃপক্ষসহ
সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
থাকবে।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
নজরুল ইসলাম বলেছেন, পূজায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ
থাকবে তবে স্বাভাবিক থাকবে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিক্টোরিয়া কলেজের একজন শিক্ষার্থীর মার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্নি ডাক্তার,
ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত প্রায় এগারটায় সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ওই সময় উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা সেনাবাহিনীর দিকে ধেয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য
সেনাবাহিনী ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে উত্তেজিত লোকদের ছাত্র ভঙ্গ করে।
এতে করে দুই পক্ষের লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করতে কাজ করছে । স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।
গতকাল থেকে শুরু হওয়া উদ্ধার ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে আজ
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুটি নৌ কন্টিনজেন্ট যোগ দিয়েছে এবং আরো দুটি কন্টিনজেন্ট
ফেনীর উদ্দেশে গমন করবে।
উদ্ধারের পাশাপাশি অসহায়, গরিব ও
দুস্থ মানুষের মাঝে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ, খাবার স্যালাইনসহ মানবিক সহায়তা প্রদান করা
হচ্ছে। সেই সঙ্গে পানিবন্দি মানুষের জন্য শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবার সরবরাহ
করা হচ্ছে।
আইএসপিআর জানায়, নৌবাহিনীর ১৩ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী,
বোট, লাইফ জ্যাকেট, ডুবুরিসহ প্রায় দুই শতাধিক নৌ সদস্য উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা
করছেন।
এ ছাড়া প্রায় ১৫ হাজার মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী বোঝাই ট্রাক
ফেনীর উদ্দেশে রওনা করেছে।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এই উদ্ধার
কার্যক্রম, চিকিৎসাসেবা ও ত্রাণ সহায়তা চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন