ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, এক লাখ টাকা জরিমানা

ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, এক লাখ টাকা জরিমানা
সংগৃহীত

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।


সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদর এলাকায় মুরাদনগর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা অভিযানের নেতৃত্ব দেন। 


এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. জয়ন্ত, মুরাদনগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন ও মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি টিম।


এ নিয়ে জানা গেছে, মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন (লাইসেন্স) বিহীন। এখানে চিকিৎসা সেবা ও রোগ নির্ণয়ের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার নামে নেওয়া হতো অতিরিক্ত টাকা। কেবল তাই নয়, দক্ষ টেকনিশিয়ানও নেই প্রতিষ্ঠানটিতে।এছাড়া ব্যবহার করা হতো মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট।


সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযানে গিয়ে ওইসব অনিয়ম দেখতে পায়। নিবন্ধন না নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও গেলে করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।


মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর
সংগৃহীত

সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতায় ঢাকাসহ সারাদেশে মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি ও হত্যার ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, অপরাধের হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। হটস্পটগুলো সার্বক্ষণিক ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

সারাদেশে মব জাস্টিসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু মব জাস্টিস নয়, চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও হত্যা আগের চাইতে কমেছে। গত দুই মাস আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ২৫০টি, কিন্তু বর্তমানে কমে ১২০টিতে নেমেছে। চুরি ৮৫০টির মতো হতো, বর্তমানে ৬০০টির নিচে নেমে এসেছে। হত্যা সাড়ে তিনশো ছিল, বর্তমানে ১২০-তে নেমেছে। সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আর যারা অবসরপ্রাপ্ত সদস্য তাদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে। কোনো অন্যায়কে সেনাবাহিনী কখনো প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী সবসময় সততার সঙ্গে আছে এবং থাকবে। জনগণের আস্থার জায়গায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পাবেন।

সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করতে গিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কোনো চ্যালেঞ্জ ফেস করছে না। তবে আমরা দীর্ঘ ছয় মাস বাইরে নিয়োজিত রয়েছি। অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।

তিনি বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।

এই সময়কালে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে (মূলত গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায়) ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত ৩০বার মূল সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৯৭টি পোশাক কারখানার মধ্যে গুটিকয়েক (বেক্সিমকো গ্রুপ, সাউদার্ন ডিজাইনার'স লিমিটেড, স্বাধীন গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং সেলফ ইননোভেটিভ ফ্যাশন লিমিটেড) ছাড়া সকল কারখানাই চালু রয়েছে।

শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গত এক মাসে ৪২টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪টি, সরকারি সংস্থা/অফিস সংক্রান্ত তিনটি, রাজনৈতিক কোন্দল ৯টি এবং অন্যান্য ঘটনা ছিল ১৬টি।

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইজতেমা ময়দানে তুরাগ নদীর ওপর ৫টি ব্রিজ স্থাপন, বোম ডিসপোজাল দলসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল মোতায়েন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনাসদস্য যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর সংস্কার কর্মকাণ্ড যেমন- অ্যান্টি পলিঘিনি অপারেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পরিচালিত খাল পুনরুদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে।

সেনাসদরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময় যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী আজ পর্যন্ত তিন হাজার ৮৫৯ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৪১ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে এ সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।

 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারণায় জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা

চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারণায় জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা
সংগৃহীত

বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।


চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পর পড়ে প্রতারণায় জড়ানো তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রাতুল (২৪), আসাদুজ্জামান রাজু (২৯) ও মামুন হাওলাদার (২৭)।


দেশে অবস্থান করা এই চাইনিজরা পেতেছেন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থীরা চীনে পড়তে যান, তাদের নিয়ে প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলছেন সেই সব চীনা নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন অ্যাপস খুলে, জুয়ার সাইট চালিয়ে এবং অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।



শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।


ডিবি জানায়, ভুয়া সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া চক্রের দুই চাইনিজ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেটির তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে এই চক্রের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তার তিনজন জানিয়েছেন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে অ্যাপ খুলে জুয়ার সাইট চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে জড়িয়েছিলেন তারা।


শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চীনে মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের একটা বড় অংশ চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠে এবং চাইনিজ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। আর এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা। তারা ভালো বাংলা বা ইংরেজি বলতে পারেন না। তখন চীনে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেন। তারা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার কাজটি করে আসছেন।


তিনি বলেন, অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে, অ্যাপ ও জুয়ার সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। কারণ প্রত্যেকটি প্রতারণার সাইটের অ্যাডমিন চীনে।


চক্রটি চীনেও এসব প্রতারণায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগায়। আবার কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা শিখিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেসব শিক্ষার্থীরা বেনামি সিম সংগ্রহ করে বিকাশ নগদসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়।


এ প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী দুই চাইনিজ গাগা ও চিং চং (Gaga, Chig Chog)। তারা প্রতারণার জন্য চীনে একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। আর সেসব প্রতারণার টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে।


গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল, রাজু, মামুন বাংলাদেশ থেকে পড়ালেখার জন্য চীনে গিয়ে চাইনিজ ভাষা শিখে প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চীনারা তাদের বলে যে তারা কিছু অ্যাপস তৈরি করেছেন। অ্যাপস ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাদের সেই কার্যক্রমে কিছু বাংলাদেশি সিম, বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জনের আশায় এই প্রতারণায় যুক্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি সিম বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে।


প্রতারণার প্রক্রিয়া সম্পর্কে হারুন বলেন, রাতুল, রাজু, মামুন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, অনলাইন ফিনান্সিং, বেটি সাইট, সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা চাইনিজ প্রতারক চক্রের হয়ে বাংলাদেশি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল। চক্রটি মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা পার্টটাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার
সংগৃহীত

যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ (শনিবার) পর্যন্ত অভিযানে এসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ  পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্যান্য এলাকা  টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট হতে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। 

পাশাপাশি অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্য তেল ও নকল  ফলের জুস এর কারখানা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালা সহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।  আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

বিয়ে বাড়িতে হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার কনের বাবা-মা

বিয়ে বাড়িতে হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার কনের বাবা-মা
সংগৃহীত

জেলার মোল্লাহাটে বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহতের ঘটনায় কনের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামে কনে পক্ষের হামলায় বরের দুলাভাই নিহত হন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আংড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামের শাহদাত মুন্সি ও তার স্ত্রী পপি বেগম। নিহত আজিজুল হক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে এবং বরের ভগ্নীপতি।

পুলিশ জানায়, মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলের সঙ্গে আংড়া এলাকার শাহাদাত মুন্সির মেয়ের বিয়ের কথা হয়েছিল। বরের পছন্দ হলে বিয়ে হবে এই শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বর পক্ষ। দাতে সমস্যা থাকায় মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বর হাফিজুর রহমান গাজীসহ অন্যরা চলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহত হন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শীলা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বরের বাবা মোহাম্মাদ আলী গাজী বলেন, মেয়ে পক্ষের সঙ্গে কথা ছিল ছেলের যদি মেয়ে পছন্দ হয় তাহলে বিয়ে করবে। ছেলের যখন মেয়ে পছন্দ হয়নি, তখন চলে আসছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমার বড় জামাতা নিহত হয়েছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।

বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।  

নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

টাঙ্গাইলে নিখোঁজ শি-শুর বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত লা-শ উদ্ধার

টাঙ্গাইলে নিখোঁজ শি-শুর বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত লা-শ উদ্ধার
নিখোঁজ শি-শু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের ভূঞাপু‌রে মাদরাসার শিক্ষার্থী নিখোঁজের ৯ দিন পর বা‌ড়ির পা‌শের ধান ক্ষেত থে‌কে বস্তাব‌ন্দি দ্বিখণ্ডিত গলিত লাশ উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি পচে যাওয়ায় মাথার খুলি শরীরের হাড়গুলো বস্তায় পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাচ্ছে না এটা ওই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ কিনা।

সোমবার (৩ জুন) সকা‌লে উপ‌জেলার গো‌বিন্দাসী ইউনিয়‌নের চিতু‌লিয়াপূর্বপাড়া এলাকার এক‌টি ধান‌ক্ষেত থে‌কে বস্তাব‌ন্দি মর‌দেহ উদ্ধার করা হয়। 

এরআগে ওইগ্রা‌মের সুমন মিয়ার মে‌য়ে এবং স্থানীয় হাফি‌জিয়া মাদরাসা ও নুরানী কিন্ডারগা‌র্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নও‌শিন ইসলাম শ‌র্মিলা (১০) গত ২৬ মে দুপু‌রে নি‌খোঁজ হয়। ওই শিক্ষার্থী নি‌খোঁজ হওয়ার পর তা‌কে উদ্ধা‌রে থানায় সাধারন ডায়রী ক‌রেন শ‌র্মিলার বাবা সুমন মিয়া। 


এদিকে ধানক্ষেতে শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাব‌ন্দি দ্বিখ‌ন্ডিত গলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবরে আশপা‌শের শতশত মানুষ সেটি দেখ‌তে ভীড় করেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল প‌রিদর্শন ক‌রে‌ছেন জেলা পু‌লিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ জেলার উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।

শর্মিলার চাচা কাইয়ুম মিয়া জানান, এটি শর্মিলার লাশ কি না আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। লাশের অধিকাংশ পচে গেছে, কুকুরে টানাটানি করে সমস্ত দেহ লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। তবে তার পড়নের লাল পায়জামার অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটিই শর্মিলার দেহ।

নিহত শ‌র্মিলার বাবা সুমন মিয়া ব‌লেন, কা‌রোর সা‌থে কোন শত্রুতা নেই। কেউ টাকা পয়সাও পায় না। মে‌য়ে নি‌খোঁজ হওয়ার পর কেউ মু‌ক্তিপণ বা টাকা পয়সা চায়‌নি। বা‌ড়ির আশপাশসহ বি‌ভিন্ন আত্মীয় স্বজ‌নের বা‌ড়ি‌তে খোঁজ ক‌রেও তার সন্ধান পায়‌নি। এরপর ৩ জুন সকা‌লে বা‌ড়ির পা‌শে ধান ক্ষে‌তে বস্তাব‌ন্দি মর‌দেহ দে‌খে লোকজন খবর দেয়। এরআগে ওই বস্তা‌টি কুকুর টানাটা‌নি কর‌ছিল। যে নৃশংস হত‌্যাকান্ড ঘ‌টি‌য়ে‌ছে তার ক‌ঠোর শা‌স্তি দাবী ক‌রি।


এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ জানান, বন্তাব‌ন্দি একটা মর‌দেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। ফ‌রেন‌সিক টিম ঘটনাস্থল প‌রিদর্শন ক‌রে‌ছে। তদন্ত চল‌ছে। 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান
সংগৃহীত

রোজায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।

সোমবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।

এসময় রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ বিভিন্ন পণ্যের  ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।


এসময় ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা না করা হয় ।

জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। 


একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।





অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নব্য নিয়োগপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নব্য নিয়োগপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম
সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য জানিয়ে বলা হয় যে, তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয় যে, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন।

এতে পরিশেষে আরো বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা : জালিয়াতি চক্রের ৩জন গ্রেফতার

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা : জালিয়াতি চক্রের ৩জন গ্রেফতার
সংগৃহীত

জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে । 


আগামীকাল দ্বিতীয় ধাপের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০-২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে টিকিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেন তারা।


গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন-জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুস্তম আলী, মো. ইশান ইমতিয়াজ, গোকুল, বগুড়া সদর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রোকনুজ্জামান। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত লিখিত পরীক্ষার প্রাক্কালে জালিয়াতিচক্রের এ ধরনের প্রলোভনে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। জালিয়াতি চক্রের কোনো তৎপরতার সন্ধান পাওয়া গেলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তিনি। 


তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্বের পরীক্ষার সময়ও এ ধরনের চক্র সক্রিয় ছিল। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সজাগ ও সতর্ক ভূমিকার কারণে তাদের অপপ্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

বাদামের আড়ালে গাঁজা বিক্রি

বাদামের আড়ালে গাঁজা বিক্রি
সংগৃহীত

তেজগাঁও থানা পুলিশ রাজধানীতে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে । এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।


গ্রেফতাররা হলেন- আব্দুল আজিজ (২৮), মো. সাহিদুল ওরফে জাহিদুল ইসলাম (৩০) এবং মো. রমজান আলী (৪৫)। এদের মধ্যে আজিজ ও জাহিদুল সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এছাড়া রমজান ও আজিজ পরস্পর বেয়াই।


পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা বাদাম বিক্রির আড়ালে গাঁজা বিক্রি করতেন । বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব গাঁজা প্যাকেটজাত করা হতো ।


শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেফতার তিনজনই তেজগাঁওয়ের চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা শুধু গাঁজা বিক্রি করতেন। গ্রেফতার আজিজের বিরুদ্ধে ২৮টি, রমজানের বিরুদ্ধে ৭টি এবং জাহেদুলের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে।


ওসি আরো বলেন,সাধারণত বাদাম বিক্রির আড়ালেই এসব গাঁজা বিক্রি করা হয়। তারা তেজকুনি পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় গোপনে গাঁজার ব্যবসা করতেন। গাঁজা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছে সেই বাসা গাঁজার আড়ৎ নামে পরিচিত। তারা সেখানে গাঁজাকে বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব প্যাকেটজাত করে রাখতেন। এরপর খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে কিনে নিতেন।


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনুমানিক ২ কেজি পরিমাণের এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি মহসীন।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০