জিয়াউর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলমের আদালতে ডিবি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৯ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন। আজ এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। তবে আদালত এ বিষয়ে আদেশ না দিয়ে, অভিযোগপত্র আমলে না নিয়ে—তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা’ বলে ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।
২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপ-পরিদর্শক হাসানুজ্জামান
আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লন্ডনে আয়োজিত এক কর্মিসভায় বক্তব্যের একপর্যায়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আজ এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন, আজ এই সভায় ক্যামেরার মাধ্যমে, প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কি আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি— আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা? আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যত জাতি বাস করে, যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করে, যারা নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেয়, সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জাতির পিতা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজ সবাই মিলে এই প্রস্তাব নিতে পারি? তাহলে আজ থেকে সিদ্ধান্ত হলো- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা।’
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কর্মিসভায় তারেক রহমান বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য-সংবলিত উদ্ভট যুক্তি দেন। তিনি জাতির পিতাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছেন।
মন্তব্য করুন
তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের
রক্ষাকবচ।
তিনি
তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ‘কয়েকটি কথা’শিরোনামে
আজ (৯ মে) একটি পোস্টে এই কথা বলেছেন।
তিনি
সেখানে লিখেছেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে
ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার।
আমি স্পষ্টভাবে এই আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে
ছিল স্বভাবতই। দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন উপদেষ্টার জবাব ছিল
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মত পশ্চাৎপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কি-না। এই যুক্তি যিনি
দিয়েছিলেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা আজ সমানে তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রদের
কুপোকাত করতে। অথচ, উনার সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। মিছে বিরোধ লাগানোর অপচেষ্টা
করে কোনো লাভ নেই।
বলে
রাখা ভালো, দু’জন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের
উপদেষ্টা (একজন ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন) ও আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও
পক্ষে ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন
অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন উক্ত উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।
মিথ্যা
বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের
দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন।
সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দিবেন না। দোষ আমাদেরও
কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।
পুনশ্চ:
আমরা নির্বাচন পেছাতে চাইনা। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই।
আপনারা
যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান
থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি। তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের
ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন। সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি,
সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের
সাথেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!
আমরা
উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই। উক্ত দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের
মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা
রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল
ছাত্রদের সাথে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের
নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসাবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সাথে চলবেন।
ঐক্যবদ্ধ
হোন। নেতৃত্ব দিন। এই প্রজন্মকে হতাশ করবেন না।‘এই
প্রজন্ম দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।’
মাহফুজ
আলম ২০২৪ এর জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম
সংগঠক ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির একজন সমন্বয়ক ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলন থেকে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে-বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে তাদের
নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। এজন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার
ততটুকু সময় পেতে পারে।
আজ
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিরতিতে এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন এমন কথা বলেন।
আখতার
হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান রোডম্যাপ সরকারকে উপস্থাপন
করতে হবে। আমরা নির্বাচন প্রলম্বিত করার পক্ষে নয়, তবে তার আগে বিচার এবং সংস্কারকে
যেন অবশ্যই দৃশ্যমান করা হয়। সে ব্যাপারে আমরা জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। আমরা
এখন পর্যন্ত সংবিধানের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন,
জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের মতো বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারিনি। তবে
পুলিশ সংস্কার কমিশিনের রিপোর্ট কেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি সে বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন
করেছি। আমাদের মতামতগুলো জানাতে চেয়েছি।
বর্তমান সংবিধানের অধীনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত সম্ভব
নয় উল্লেখ সম্ভব নয় উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র
ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সাংবিধানিকভাবেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ
তৈরি হয়েছে। আমরা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেছি এবং সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের কথা
আমরা বলেছি। কীভাবে নতুন একটি সংবিধান পুনর্লিখন করা যায়। গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা
নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
এনসিপি’র
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি বিষয়ের মধ্যে
১২৯টি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেসব বিষয়ে আমাদের অবজারভেশন
রয়েছে। এসব বিষয়ে সংযোজন, বিয়োজনের নোট আমরা ঐকমত্য কমিশনে দিয়েছি। আমরা মূলত এখন পর্যন্ত
তিনটি বিষয়ে কথা বলেছি। প্রথমত, প্রটেকশন অব সিটিজেন (নাগরিকদের নিরাপত্তা)। আমরা দেখেছি,
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রে নাগরিকদের নিরঙ্কুশ অধিকার কখনো স্বীকৃত হয়নি। সেসব
বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছি।
দ্বিতীয়ত,
আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কথা বলেছি। আমরা প্রতিনিয়ত দেখেছি, যখনই ক্ষমতা
হস্তান্তরের একটি সময় এসেছে তখনই দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একটা সরকার
থেকে অন্য সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর কীভাবে হবে এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা
হচ্ছে।
তৃতীয়ত,
সংসদের স্থিতিশীলতার নামে আর্টিকেল ১৭ দিয়ে আমাদের কন্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে- এ বিষয়ে
কথা হয়েছে। আমাদের সংসদকে আরো বেশি কীভাবে কার্যকর করা যায় ওই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা
হয়েছে।
উক্ত বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এনসিপি’র
পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক
সরোয়ার তুষার, জ্যেষ্ট যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী,
মুখ্য সংগঠক (দাক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে
পারবে না।
আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’
শীর্ষক জাতীয় সংলাপে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আপনারা এই সংলাপে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন; ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’।
সংস্কার বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি
সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে
নিতে পারবে না।
সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই
সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের
প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ
করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন
তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে
নিয়োজিত করুন। সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের
জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছিলাম। তাদের প্রতিবেদন জানুয়ারি
মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত
করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের
মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কীভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে
দেওয়া, নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা সহজ করে দেওয়া। কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ
করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এজন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয়
ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন একটা উদাহরণ দেই। কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার
হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন
নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে না-ও হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ধরুন আমি
তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি-এই
হলো আমার যুক্তি। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ
নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।
নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ
মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।
সবকটা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি
যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত করে সংস্কারের কাজগুলো
করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই।
মন্তব্য করুন
জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার
আজ বুধবার (২৫ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশে তাঁর চার বছরের কূটনৈতিক
কর্মজীবনের শেষ কার্যক্রম।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত
ট্রস্টারকে তাঁর দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-জার্মানি
সম্পর্ক জোরদারে তাঁর অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, জার্মানি আমাদের উন্নয়ন যাত্রার নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার বাংলাদেশে তাঁর
সময়কাল সম্পর্কে আবেগভরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমার কর্মজীবনে অনেক আকর্ষণীয়
পোস্টিং ছিল, তবে বাংলাদেশ সত্যিই অনন্য। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা ছিল অভূতপূর্ব,
আমি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “বিনিয়োগ সম্মেলন ছিল
একটি ভালো উদ্যোগ। আমি বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানাই এবং আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া সফল হবে। পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে বলেও আমি আশাবাদী।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইউরোপে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ
বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে জার্মানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশটি যে অব্যাহত
উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়।
তিনি বিশেষভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য জার্মানির
মানবিক সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “সংকটময় মুহূর্তে
বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আপনার দেশের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
আরও বলেন, আপনার বিদায়ের পরও আমরা আপনার মতামত শুনতে চাই ু তা ইতিবাচক হোক অথবা সমালোচনামূলক। কারণ আপনার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের কাছে
গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাকে বাংলাদেশের একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করি।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম
ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তৃতীয় দিনের মতো সোমবার(২০ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলছে। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৩৫টি ফরম বিক্রি হয়েছে। এতে দলের আয় হয়েছে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।
এই সময়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রামে ৮২টি, ময়মনসিংহে ২৯টি, সিলেটে ১৫টি, খুলনায় ৪৫টি, বরিশালে ৪০টি, রাজশাহীতে ২৯টি এবং রংপুর বিভাগে ৪০টি ফরম বিক্রি হয়।
এছাড়া বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে মোট ৫৮টি ফরম বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে বিক্রি হয় মোট ২৯ লাখ টাকার ফরম।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রি শেষ হওয়ার পর দলের মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই শেষে ৩০০ আসনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।
গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রথমদিনেই আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে এক হাজার ৭৪টি । এতে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় হয় ।
মনোনয়ন ফরম বিক্রি এবং জমা নেওয়ার কার্যক্রম চলবে ২১ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে
নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন, সব ধরনের প্রস্তুতি
নেওয়া আছে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী।
তিনি
বলেন, যে সময় নির্বাচন হবে, সে সময়ের জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি দরকার আমরা সেই ধরনের
প্রস্তুত রয়েছি।
আজ
শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে র্যাব-১ অফিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এটা আপনারাও বলছেন। গত ১১ মাসে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশটাকে নতুন করে সাজাতে হবে। আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি কেউ আঙুল তুলতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাদের জানমাল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের। দয়া করে কারও সঙ্গে ঝগড়া, বিবাদ করবেন না।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার প্রাক্কালে বিমানবন্দরে নেমে শহীদ স্মরণীতে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ, তারপরও বলেছেন, হিংসা নয়, প্রতিহিংসা নয়, প্রতিশোধ নয়, আমরা ভাইয়ের মতো শান্তিময় বাংলাদেশ উদযাপন করব।
তিনি বলেন, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি যেন না হয় যাতে অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে যায় কেউ।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দপুর জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি ও সুমিত কুমার আগারওয়াল, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার, সহ-সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিকসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল
হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে
বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। এর আগে তিনি
ওই ঘটনায় গুরুতর আহত কয়েকজনকে দেখতে ঢামেকের জরুরি বিভাগে আসেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের কোনো ছাড় নয়। এটার ক্ষেত্রে
আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা তো নিচ্ছিই, যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনা হবে।
তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় এ ব্যবস্থা করা হবে। এর আগে হাসপাতাল ঘুরে আহত ছাত্রদের খোঁজখবর নেন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইজিপি বাহারুল আলম ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
আলী।
তারা সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢামেকের
অর্থোপেডিক বিভাগ ও বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ৬ষ্ঠ তলার ৬১৭ নং ওয়ার্ডে
আহতদের দেখতে যান এবং তাদের খোঁজখবর নেন। পরে পৌনে ১১টার দিকে তারা হাসপাতাল ত্যাগ
করেন।
হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত ১০ জনকে ঢাকা
মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- শুভ
শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭), হাসান (২২), রৌহান আহমেদ (২২),
ওমর হামজা (২২), ছাব্বির খান মিলন (২২) নাঈম (২১) ও ইয়াকিব (২৩)।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্তিতে দিনটিকে
স্মরণীয় করে রাখতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পৌনে ৪টায়
মার্চটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়। এর আগে বেলা ২টা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিভিন্ন হল এবং আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল
নিয়ে বিভিন্ন টিএসসির দিকে আসতে থাকে। এ সময় তাদের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বিভিন্ন
স্লোগান দিতে দেখা যায়।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
শুরু হয়ে এই মার্চ নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, ধানমন্ডি, সংসদ ভবন, ফার্মগেট,
কারওয়ান বাজার, শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ হবে।
এর আগে, গতকাল (বুধবার) দুপুরে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মার্চে শহীদদের স্মরণ
করে ছবি, উক্তিসহ বিভিন্ন স্মারক নিয়ে ছাত্র-জনতাকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেওয়ার আহ্বান
জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা নিজ
জায়গা থেকে শহীদী মার্চে অংশ নেবে।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগরসহ দেশের প্রতিটি
জেলা ও উপজেলায় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শহীদী মার্চ পালনের কথা জানান। সরকার পতনের এক
মাস পূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের শহীদদের
ছবি থাকতে পারে। যে কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, সেসব কথা প্ল্যাকার্ডে
থাকতে পারে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কী চাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
কাছে কী চাই- এসবও থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব-উত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।
এছাড়াও বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, মহাসচিব এস এন তরুণ দে, উপদেষ্টা অ্যালবার্ট পি কষ্টা, মনি স্বপন দেওয়ান, অধ্যক্ষ গণেশ হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান অর্পনা রায় দাস, নিতাই চন্দ্র ঘোষ, দেবাশীষ রায় মধুসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন