ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আয়নাঘর বলতে এখানে কোনো কিছু থাকবে না বলে বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন এখানে কোনো ভাতের হোটেলও থাকে না।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেন।
৫ আগস্টের আগে ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ইউনিটে টর্চার সেল বা আয়নাঘর ছিল, ডিবিতে এখনও কোনো আয়নাঘর আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর বলতে এখানে কোনো কিছু নেই। আর কোনো ধরনের আয়নাঘর থাকবেও না। এখন ডিবি পুকুরটা একটু ময়লা আছে। আমরা তাদের বলেছি দুপুরটা যেনো আয়নার মতো করে পরিষ্কার করা হয়। এখানে কোনো আয়নাঘর থাকবে না। এখানে কোনো ভাতের হোটেলও থাকে না বলে। এছাড়াও ডিবি পুলিশদের বলা হয়েছে, তারা সিভিল পোশাকে কোনো অভিযান বা আসামি গ্রেফতার করবে না। তারা অবশ্যই ডিবি জ্যাকেট ও আইডি কার্ড পড়ে অভিযানে যাবে। আইনের বাইরে কোনো কাজ করা যাবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, আপনারা দেখেন আমরা কোনো দুর্নীতি বা আইন বহির্ভূতভাবে কোনো কারছি না। আমরাদের কাছে যদি আমাদের কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রকাশ করে দেন। তবে অবশ্যই সত্যি ঘটনা প্রকাশ করবেন। আপনারা ভারতের বিষয়ে অনেক সত্যি সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এজন্য আপনারা ধন্যবাদ পাওয়ার উপযুক্ত। আপনাদের সত্য সংবাদ প্রকাশের কারণে ভারতের অপপ্রচার অনেক কমে গেছে। এভাবে আপনারা সত্য সংবাদ প্রকাশ করলে, আমাদের জন্য অ্যাকশন নিতেও সুবিধা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি।
ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে স্বীকার করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গত কয়েকদিনে আমরা অনেক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
লিবিয়াতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আটকে রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যারা লিবিয়া গিয়ে আটকে আছে। তারা কিন্তু আমাদের অনেক বড় সোর্স অব ইনকাম। তারা অনেক কষ্ট করে আমাদের দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। তারা আমাদের বড় সম্পদ। তাদের জন্য আমরা সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে তথ্য প্রয়োজন। ভুক্তভোগীদের আমাদের কাছে এসে অভিযোগ দায়ের করার অনুরোধ রইলো।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় যতজন অপহরণের শিকার হয়েছিল। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপনারা জানেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় দখল করে রেখেছে। সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো নিযন্ত্রণ নেই। এখন আমাদের দু'পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এখন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমরা সীমান্ত নিয়ে কোনো বৈঠকে বসতে পারছি না। আবার আরাকান আর্মি কোনো স্বীকৃতি পায়নি। ফলে আমাদের দু'পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সীমান্ত এলাকা শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের সীমান্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
সীমান্ত এলাকায় অপহরণ ও মাদক চক্র সক্রিয় আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিয়ানমার সীমানা এলাকায় অপহরণ চক্রের পাশাপাশি কয়েকটি মাদক চক্র সক্রিয় আছে। শুধু এক বদি ধরা পড়েছে। তবে বদি চক্রের অনেক সদস্য এখনও সক্রিয় রয়েছে৷ আমরা সবাইকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসছে কাজ করে যাচ্ছি বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম ।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার; ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সব পক্ষের সঙ্গে বসে পরামর্শ নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করতে চাই।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংবাদ মাধ্যমের সংস্কার: কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
আলোচনায় তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে সংস্কার সংশ্লিষ্ট প্রশ্নে করে সাংবাদিকরা। তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বসছি। সম্পাদকদের সঙ্গেও বসা হয়েছে। আজকের আলোচনাও সেটার একটা অংশ। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বসা এখনও শেষ হয়নি। সব পক্ষের সঙ্গে বসে পরামর্শ নিয়ে আমরা সংস্কার কমিশন করতে চাই।
মুক্ত আলোচনায় তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, এটা খুবই যুক্তিযুক্ত যে সাংবাদিকতা যদি পেশা হয় তাহলে আসলে কতটুকু পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমাদের দেশের সাংবাদিকরা কাজ করতে পারছে। সেই কাজ করতে যদি না পারে তাহলে তার পেছনে কারণগুলো কী এবং তার সমাধানগুলো কী। এখানে সেই কারণগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানি, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অনেক আইন-কানুন, বাধা-নিষেধ থাকে। সাংবাদিকতাকে এক ধরণের বেড়াজালে আবদ্ধ করে রাখার চেষ্টা থাকে। দ্বিতীয়ত সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক জায়গাটা তুলে ধরা হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যমে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়। সাংবাদিকতাকে যদি পেশাদারিত্বের কথা বলি সেই ধরণের পেশাদারিত্ব কালচার আমাদের দেশে অনুপস্থিত এবং মিডিয়া লিটারেসি আমাদের মধ্যে গড়ে উঠেনি।
তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমার অল্প সময়ের অভিজ্ঞতায় যেটুকু বুঝি, খুব জটিল একটি বিষয় গণমাধ্যমকে নিয়ে কাজ করাটা। এখানে নানামুখী স্টেক হোল্ডার ও পরস্পর বিরোধী পক্ষ রয়েছে। যাদের নিয়ে একইসঙ্গে মিলে আমরা যদি কাজ করতে চাই তাহলে কাজ করতে হবে এবং ঐক্যমত্যে আসতে হবে।
তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, যখন ওয়েজ বোর্ডের কথা আসে তখন সম্পাদক-মালিকরা কিন্তু এটি নিয়ে এক ধরনের বিরোধিতা করে। বিভিন্ন সময়ে শোনা যায় যে হাউজগুলোয় ঠিক মতো বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে না। সে জায়গা থেকে যারা মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিক আছে এই ধরনের ঘটনা আসলে খুবই কমন। সেক্ষেত্রে বেতনের বিষয়টা আসলে সুরাহা হওয়া উচিত। সাংবাদিকতা যদি পেশা হয় তাহলে পেশাদারিত্ব রক্ষা করতে হলে সেই মর্যাদাটা দিতে হবে। এখানে দাসসুলভ আচরণ করার কোনো সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব জানিয়েছেন, ভূঁইয়া পার্ট
টাইম হিসেবে শিক্ষার্থীরা চার ঘণ্টা করে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করবে।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর)
পহেলা নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস উদযাপন উপলক্ষে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ
সম্মেলন একথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বলেন, প্রত্যেক সেক্টরেই ছাত্রদের কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে
তাদের এখন থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। এক হাজার যুবক নিয়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক একটি
কোর্স করানো হয়। সেখান থেকেই ৭০০ জন যোগ দিচ্ছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে
৩০০-৪০০ জন নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে ৭০০ জনের নিয়োগ হবে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে
তারা কাজ করবে। সকাল এবং বিকেল এই দুই সময়ে যানজট বেশি থাকে তাই ৪ ঘণ্টা করে তারা এই
সময়ে কাজ করবেন। ছাত্রদের পড়াশোনা শেষ হলে তাদের আগ্রহ থাকলে তাদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি
বিবেচনা করা হবে। ফুল টাইম নিলে সরকারের অর্থ বেশি লাগবে। পার্ট টাইম হিসেবে নিলে শিক্ষার্থীদেরও
আয়ের ব্যবস্থা হলো। বিশ্বের উন্নত অনেক দেশেই শিক্ষার্থীদের সরকারি বিভিন্ন কাজে সুযোগ
দেওয়া হয় বলেও জানান উপদেষ্টা।
যুব উপদেষ্টা আরও
বলেন, সারা দেশে ৬৪টি খাল পরিষ্কার করবে যুব ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে
ঢাকার রামপুরা-জিরানী খাল পরিষ্কার করা হবে। সারা দেশে ২৬ লাখ গ্রাজুয়েট বেকার রয়েছে।
আর মোট বেকারের সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ। আগামী ২ বছরে ৫ লাখ যুবককে কর্মসংস্থান করার
উদ্যোগ নেবে সরকার এবং ৯ লাখ যুবককে ট্রেনিং দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে সবাইকে
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে
আবদ্ধ করা। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের
মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব
মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র
বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা
করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ
করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে,কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করব না। কাউকে ধর্মের
কারণে শত্রু মনে করব না। আমরা সবাই সমান। কেউ কারো ওপরে না এবং কেউ কারো নিচে না এই
ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত
বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের
সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন এই
দেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি মানবিকও
কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব।
আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাসও সহযোগিতা। জলবায়ু
সংকট মোকাবিলায় এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করণে আমাদের একত্রে কাজ করতে
হবে। তাই, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ
করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেন
মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে আমাদের
সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের
আগে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিন বাহিনী প্রধান।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বিজিবির সঙ্গে স্থানীয় জনগণের শক্ত অবস্থানের কারণে সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা জানান।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি সীমান্তের ৫টি জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ শুরু করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে স্থানীয় জনগণের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত ওইসব স্থানে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। এ মুহূর্তে কাজ বন্ধ আছে। ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়টি জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন
গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র
থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর
নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি
যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক
রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র চেনার দিন। তেমনি ২০২৪
সালের ৫ আগস্ট ছিল শত্রু চিহ্নিত করার দিন। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে
আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না। রাজধানী ঢাকার রাজপথে আজ লাখো জনতার
মিছিল। দেশের পক্ষের শক্তিকে ৭ নভেম্বরের অন্তর্নিহিত শিক্ষায় দীক্ষিত করার মিছিল আজ।
লাখো জনতার আজকের এ মিছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত অসংখ্য ছাত্র-জনতা এবং হাজারো
শহীদের স্বপ্নের একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ী মিছিল।
বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তি জেনে রাখুক, রাজধানীর রাজপথে আজ কারো বিরুদ্ধে প্রতিবাদের
ঝড় তোলার মিছিল নয় বরং বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল। নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার
আদায়ের মিছিল। বাংলাদেশে আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য
প্রত্যেক নাগরিকের সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সক্ষমতা অর্জন জরুরি। স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নির্বাচিত
হতে ইচ্ছুক জনপ্রতিনিধিদের যতক্ষণ জনগণের ভোটের প্রতি মুখাপেক্ষী না করা যায়, ততক্ষণ
পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত করে যতক্ষণ পর্যন্ত
জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে না আনা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না।
গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশে-বিদেশে, প্রশাসনে তারা চক্রান্ত
চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইকরামুল
হক সাজিদ মারা গেছেন। নিহত সাজিদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায়।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকাল সোয়া ২টায়
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, সাজিদ গত ৪ আগস্ট মিরপুরে
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘ
১০ দিন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মারা যান
তিনি।
সাজিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী ও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও তার রুহের মাগফেরাত
কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
আজ
(২ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকলো
বাংলাদেশ। সাগরীকা দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন।
ম্যাচপূর্ববর্তী
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছিলেন, ১ম ম্যাচে জয় নিশ্চিত
করে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে চান। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছেন মাঠে।
ম্যাচের
শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে আধিপত্য
বিস্তার করে খেলে পুরোটা সময়। এই ম্যাচে সাগরীকা নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন।
ম্যাচের
৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। স্বপ্না রানির ফ্রি-কিক গোলরক্ষক ঝাপিয়ে রক্ষা
করেন। নেপালের গোলরক্ষক সুজাতাতামাংয়ের হাতে লেগে দিক বদলে বারে প্রতিহত হয়। ফিরতি
বলে মুনকি আক্তার বল জালে জড়াতে চেষ্টা করলেও তার শট ডিফেন্ডাররা আটকে দেন।
২
মিনিট বাদেই আবারও আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মুনকি আক্তার। তবে
নেপালের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে তাকে থামান। ম্যাচের ১৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পান পূজা
দাস। তার মাটি কামড়ানো শট অল্পের জন্য পোষ্ট ঘেঁষে বেড়িয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া পূজার বা পায়ের
শট ক্রসবার ঘেষে বেড়িয়ে যায়।
৩৮
মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। গোলকিক থেকে বল পান স্বপ্ন রানী। তার হেডে বক্সের
কাছাকাছি ২ ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরীকা।
২ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের উপর দিয়ে চিপ শটে বল জালে জড়ান সাগরীকা।
ব্যবধান
২গুন করতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ ৪২ মিনিটে মুনকি আক্তারের দর্শনীয় গোলে ২-০ গোলের লিড
নেয় বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে এগিয়ে আসেন নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা। তবে
তার ক্লিয়ার করা বল পান ইতি খাতুন; ক্রস দেন মুনকি আক্তারকে। তিনি বুদ্বিদীপ্ত শটে
গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান। প্রথমার্ধে
ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো বাংলাদেশের। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ।
বক্সের ভেতর সাগরীকাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল
করতে পারেননি আফঈদা খন্দকার। তার শট পোস্টে লাগে। তবে ফিরতি বলে শট নেন সাগরিকা। তবে
নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা গ্লাভস বন্দী করেন। শেষ পর্যন্ত ২ গোলের লিড নিয়েই বিরতীতে
যেতে হয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের।
দ্বিতীয়ার্ধে
আক্রমণের ধার বাড়ায় ২ দলই। ৫২ মিনিটেই এক গোল শোধ করে ম্যাচে ঘুড়ে দাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়
নেপাল। সুকরিয়া মিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল। তবে লিড বাড়িয়ে নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি
বাংলাদেশ। ৫৬ মিনিটে সাগরিকার গোলে ব্যবধান ৩-১ করে সাইফুর বারী টিটুর শিষ্যরা।
পরের
ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
মন্তব্য করুন
বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের
ছাত্রদের ভেতরে বহিরাগত প্রবেশ করছে এমন অভিযোগ আসছে। তাই কোনো ধরনের উসকানির ফাঁদে
না পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন
সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। সকালে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের
বৈঠকে হওয়ার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যখন সাত
কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করল, তখন তাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের শিক্ষা উপদেষ্টা
এবং আমি সেই আলোচনায় ছিলাম। সেখানে যথেষ্ট ভাল আলোচনা হয়েছে এবং তারা সন্তুষ্ট ছিল।
সেখানেই বিষয়টি শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে সমাধানের পথটা দেখানো হয়েছিল। এ দ্রুত শিক্ষার
ব্যাপারে এমন দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেই জায়গা থেকে তাদের সঙ্গে একটা কনসালটেশন
হয়েছিল।
তিতুমীর কলেজের আন্দোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, তিতুমীর কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা বলছেন অনুপ্রবেশকারীরা,
আমরা দেখেছি কীভাবে ট্রেনের ভেতরে পাথর ছুড়ে একটা বাচ্চার পর্যন্ত মাথা ফেটে গেছে।
এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। আজও ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখনও স্পষ্ট
না কি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ অঞ্চলটাতে প্রায়ই এমন ঘটনা দেখে থাকি।
এক্ষেত্রে ছাত্রদের প্রতি আহ্বান থাকবে কোনো ধরনের উসকানির ফাঁদে না পড়ার, যেন আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি বজায় থাকে। আহ্বান জানাচ্ছি, ছাত্ররা যেন নিজেদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করে।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছে ছাত্ররা। তাই তাদের মধ্যে
অনেক আশঙ্কা রয়েছে। তাদের দাবির প্রতি আমরা সহনশীল। তবে সেই দাবি দাওয়া নিয়ে আমাদের
সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানাই। চাইলে সমাধান করতে পারি। সরকার এ ব্যাপারে খুব পজিটিভ।
আসুক কথা বলব। সরকার কথা শুনছে চাইলে সমাধান করা যায়। যারা আন্দোলন করছেন তাদের কাছে
দাবি থাকবে আপনারা আসুন, আলোচনা করি। কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। সরকার আপনাদের শুনতে
ইচ্ছুক। যেহেতু ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থান সফল করেছে আমি মনে করি ছাত্ররা দায়িত্বশীলতার
পরিচয় দেবেন।
এ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
বলেন, রাতারাতি এক কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেলার জন্য রাস্তা বন্ধ করে জনমানুষের
ভোগান্তি তৈরি করবেন, এটা কতটুকু সমীচীন, সেটা একটু বিবেচনা করে দেখতে ছাত্রদের প্রতি
আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটের জন্য এবার এলো নতুন ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস । প্রথম ট্রেন যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে চলবে দ্বিতীয় ট্রেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার নিশ্চিত করেছেন নতুন এই আন্তঃনগর ট্রেনের ৪ দিনের আগাম টিকিটের বিক্রি শুরু হয়েছে। ১০, ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারির টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন ও টিকিট কাউন্টারে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ সকাল ৮টা থেকে কক্সবাজার রুটের নতুন আন্তঃনগর ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের ক্ষেত্রে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে, সেই হিসাবে সময় অতিবাহিত হওয়ায় আজ ১০, ১১ ও ১৩ জানুয়ারির আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য সদ্য আমদানি করা নতুন করিয়ান কোচ দিয়ে একজোড়া ননস্টপ আন্তঃনগর (পর্যটক এক্সপ্রেস) ট্রেন পরিচালনার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন ট্রেন সম্পর্কে বলা হয়, নতুন এ ট্রেনের নাম্বার হবে ৮১৫ এবং ৮১৬। ট্রেনটি ৩২টি বগির ওপর ১৬টি কোচ নিয়ে চলবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৭৮০টি। রোববার থাকবে ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ।
পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি হলো :
ট্রেনটি (৮১৫) কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে এবং ছাড়বে ১১টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ও ছাড়বে ৩টা ৫৩ মিনিটে এবং ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৪টায়।
অন্যদিকে ৮১৬ নাম্বার ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছাবে ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে ও ছাড়বে ৬টা ৪৩ মিনিটে, চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ও ছাড়বে ১১টা ৪০ মিনিটে এবং কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ৩টায়।
মন্তব্য করুন