আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশের পৃথক অভিযানে ৩১ লাখ টাকার মাদকদ্রব্যসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক ।
ধামরাই থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য দেয় পুলিশ।
পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ভারত থেকে হেরোইন এনে ধামরাই থানা এলাকায় খুচরা বিক্রির জন্য এসেছিল। গ্রেপ্তাররা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গার মালবাগডাঙ্গা এলাকার মো. শরীফ (২৯), টাঙ্গাইলের নাগরপুরের সিংদাইরের মোছা. শাহিদা আক্তার (২৯) ও মিন্টু হোসেন (২৯)।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ধামরাই থানা পুলিশ কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মো. শরীফকে আটক করেন। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ২০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা।
তাছাড়া ধামরাইয়ের ঢুলি ভিটা এলাকায় পৃথক এক অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী শাহিদা আক্তার ও মিন্টু হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে আরো ১ শত ১৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১১ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ অভিযান উপলক্ষে একাধিক টিম বর্তমানে মাঠে কাজ করছে। মঙ্গলবার এসআই রহমান কালামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি সময় ওই এলাকায় মাদক বিক্রি করতে আসা মো. শরিফ হোসেনকে ২০০ গ্রাম মাদকসহ গ্রেপ্তার করেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে হেরোইন বিক্রি করতে আসা অপর দুইজনকে ১১০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করেন। সবমিলিয়ে এই ৩১০ গ্রাম হেরোইনের মূল্য অন্তত ৩১ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যাদের ধরা হয়েছে, তারা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। এর মধ্যে বড় যেসব মাদক ব্যবসায়ীকে ধরা হয়েছে, তারা ভারত থেকে হেরোইন এনে ধামরাই থানা এলাকায় খুচরা বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছি।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কৃষি জমিতে বোরো চারা রোপনে ব্যস্ততম সময় পার করছেন কৃষকরা। শীতের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে হাল-চাষ, জমির আইল নির্মাণ, সেচ, চারা রোপন ইত্যাদি কাজ। আগাম জমি প্রস্তুত করে কে বা কারা আগে ধানের চারা রোপন করবেন এমন প্রতিযোগীতা চলছে কৃষকদের মাঝে। কেউ জমিতে সার-গোবর দিচ্ছেন, কেউ শ্রমিকদের তদারকি করছেন, আবার কেউ চারা রোপন করছেন অনেকে জমির আগাছা বাছাই করে এক স্থানে স্তুপ করে রেখে তা পরিচর্চা করে জমিতে ব্যবহার করছেন।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর। এ পর্যন্ত মোট লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ আবাদ হয়েছে। তবে এখনও যেটুকু সময় বাকি আছে তাতে আশা করা হচ্ছে, এবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়াও এবার বোরো ধানের আবাদ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার প্রায় ৪ হাজার ৬শ বোরো চাষিকে বিনামূল্যে হাইব্রিড বীজসহ নানা ধরনের উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে।
দহুলিয়া ও পালাখাল গ্রামের কৃষক কাজল, জসীম উদ্দিন ও জিলহজ জানান, গত বছর ব্যাপকভাবে বোরো ফসল ফলন হলেও পানি সেচ দেয়া নিয়ে অনেক ঘাটতি হয়েছে। এজন্য এবার আগাম জমি প্রস্তুত করে ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন। যাতে আগে আগে পানি সেচ দিতে পারেন তারা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে চারা রোপন করছেন তারা। এবার উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরকারিভাবে ধানের বীজ পেয়েছেন বলে তাঁরা সকলেই জানান।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, এবারের বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৬শ’ কৃষকের মধ্যে হাইব্রীড বীজ ও উপসি বীজ সরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে। গত মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার স্থানীয় অধিকাংশ কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বন্যায় চারদিক যখন ডুবন্ত তখন এক অসহায় অন্তঃসত্ত্বাকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী কাতরাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফেনী জেলার ফুলগাজী থেকে তাকে উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টার।
পোস্টে বলা হয়েছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের অধীন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ত্রাণ বিতরণে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।
ওই নারীকে সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টারে করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পোস্টটিতে
সবশেষে বলা হয় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে আছে এবং তাদের সহায়তা
এবং উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন
জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান মালা-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে সেনাসদরের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, কুমিল্লা এরিয়ার ব্যবস্থাপনায় প্রায় দেড় হাজার অসহায় গরীব ও অসুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
সোমবার
(২৮ জুলাই) কুমিল্লা নগরীর শাকতলা এলাকার দ্যা
ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা সেনানিবাস হতে আগত মেডিসিন, সার্জারী, গাইনি, শিশু রোগ, অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ, মেডিকেল অফিসার ও প্যারামেডিক্স এর সমন্বয়ে বিশেষায়িত মেডিকেল দলের মাধ্যমে এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।
পুরুষ,
স্ত্রী ও শিশুসহ আনুমানিক প্রায় দেড় হাজার
স্থানীয় জনসাধারণকে বিনামূলো চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা
হয়েছে।
এছাড়াও একটি ফিল্ড অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাইনর অপারেশন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এই মহতী কার্যক্রমের পরিকল্পনা করায় স্থানীয় জনসাধারণ সেনাবাহিনীর প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির বিষয়ে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ৪৭ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
আজ সোমবার কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকা থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ ।
জানা গেছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। এসময় সীমান্তবর্তী চাঁনপুর এলাকায় বিজিবির অভিযান টের পেয়ে সড়কের পাশে সিএনজি ভর্তি শাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। পরে একটি সিএনজিকেসহ ৪৫৫ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ি আটক করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।
১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিজিবির উদ্ধার করা ৪৫৫টি ভারতীয় শাড়ির আনুমানিক মূল্য সাতচল্লিশ লাখ নব্বই হাজার টাকা। আটককৃত পণ্য কাস্টমস এ জমা করার প্রক্রিয়া চলমান।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রাজধানীর সচিবালয় এলাকায়
আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় সমন্বয়ক
হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছেন ।
রোববার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলে আসেন তারা।
ঢামেকের হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা নাইদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসেছেন।
তারা হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখতে ওসেকে প্রবেশ করেছেন।
রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
প্রথমদিকে
দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায়
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা
কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছে।
তারও
আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার
বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত
৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ছাদ বেয়ে নকল সরবরাহের দায়ে ইমরান হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে
ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭
এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পেরিয়া ইউনিয়নের ডা. যোবায়েদা হান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ
কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
রাফিদ খান এ দণ্ডাদেশ দেন।
এ সময় উপজেলার আরও
চারটি কেন্দ্র থেকে নকলের অভিযোগে ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি দায়িত্বে
অবহেলার অভিযোগে মৌকারা মাদ্রাসার চারজন শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
যায়, ইংরেজি ২য় পত্র চলাকালে ডা. যোবায়েদা হান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র
পরিদর্শনে যান ট্যাগ অফিসার শহীদুল ইসলাম।
এদিকে ইমরান হোসেন
ভবনের তৃতীয় তলা চাদ বেয়ে নকল দিতে যান আত্মীয়কে। যা নজরে আসে ট্যাগ অফিসার শহীদুল
ইসলামের। সঙ্গে সঙ্গে তাকে একই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আটক করা হয়। ইমরানকে উপজেলা নির্বাহী
অফিসে আনা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে নাঙ্গলকোট
দারুল আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা ৪ জন, ধাতিশ্বর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২ জন, জোড্ডা
আলিম মাদ্রাসা ৫ জন ও জোড্ডা উচ্চ বিদ্যালয় ৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
রাফিদ খান বলেন, নকল সরবরাহের সময় ইমরান হোসেনকে হাতে-নাতে ধরা হয়। পরে নিয়ম অনুযায়ী
পরীক্ষা আইন ১৯৮০ (১১-ক) ধারায় ৬ মাসের মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরীক্ষা সুষ্ঠু রাখতে
প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় নিত্যপণ্যের
বাজারে তদারকি অভিযান পরিচালনা করে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে
২টা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেট ও এর আশেপাশের এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে
চাল, ডাল, আটা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, মাংস, সবজি, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের
ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করা হয়।
এরই সাথে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সেখানে তথ্যের গরমিল আছে কিনা সেটিও যাচাই করা হয়।
পাশাপাশি অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য ও কসমেটিকস বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটিও তদারকি করা হয় ।
অভিযান পরিচালনা শেষে অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রি ও মূল্য তালিকায়
গরমিল থাকায় মেসার্স তুহিন স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, অনুমোদনহীন রং ও শিশু খাদ্য
বিক্রয় করায় মেসার্স মা-মনি স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং অনুমোদনহীন বিদেশী কসমেটিকস
বিক্রি এবং ইচ্ছেমাফিক
মূল্যের স্টিকার লাগানোর অভিযোগে মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও বুধবার আয়োজিত এ অভিযানে
ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক এখতিয়ারে
তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং তদারকি করা হয় অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
আজকের এ অভিযান পরিচালনা
করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো:
আছাদুল ইসলাম। সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন।
অিভিযান পরিচালনা করার সময়
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এ ধরণের কার্যক্রম
অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার উপজেলার গুলবাহার এলাকা থেকে কচুয়া থনার এসআই মো. এনামুল হক ও এএসআই মফিজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গাঁজাসহ আটক করে। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন মাছিমপুর গ্রামের মৃত. হোসেন আহম্মেদের ছেলে।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাসি চালিয়ে গাঁজাসহ আটকে করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী আলমীর হোসেনের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের পর চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইব্রাহিম মাসুম (২৭) নামের ছাত্রদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ
হন। আহত হন আরও ৬ জন।
ছাত্রদলের আহত নেতা
ইব্রাহিম মাসুমকে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯
অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের মহেশপুর
ও কাচিহাটা সর্দার দিঘির পাড় এলাকায় কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ হয়। খবর
পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশপুরে
জামায়াতের সমর্থক মো. সোহেলকে (৪০) ছাত্রদলের একদল কর্মী মারধর করেন। এ ঘটনার পর বিকালে
শিবির কর্মী মো. রাশেদের ওপরও হামলা চালান ছাত্রদলের কর্মীরা। এর জেরে শিবিরের একদল
কর্মী ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা সর্দার দিঘির পাড় এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের
ওপর হামলা চালান। এ সময় কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ছাত্রদলের
ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মাসুম পায়ে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।
আমানউল্যাহপুর ইউনিয়ন
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মাসুম জানান, দুপুরের দিকে একই এলাকার মো: সোহেলকে
ইয়াবা সেবনকালে ছাত্রদলের কয়েকজন হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় এলাকার মুরব্বিরা তাকে হালকা
মারধর করে তার পরিবারের কাছে সোপর্দ করেন। সোহেল একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন।
গত ৫ আগস্টের পর তিনি স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করেন। যে কারণে
জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তার পক্ষ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অতর্কিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের
ওপর হামলা চালান।
বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের
আমির আবু জাহের জানান, ছাত্রদলের কর্মীরা ৫ আগস্টের পর থেকে আমানউল্যাহপুরে আমাদের
অনেক নেতাকর্মীকে মারধর করেছেন। আজ বিনা কারণে মারধর করা হয় জামায়াতের সমর্থক মো. সোহেল
ও শিবির কর্মী মো. রাশেদকে (২৪)। হামলায় রাশেদ অচেতন হয়ে যান। আমাদের কর্মীরা যখন রাশেদের
চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত, তখন তৃতীয় কোনো একটি পক্ষ ছাত্রদলের নেতা মাসুমের ওপর হামলা করে।
তবে তারা শিবিরের কিনা, আমি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের কাচিহাটা বাজারে দুর্বৃত্তদের
হামলায় ছাত্রদলের একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো
হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মৃত্যুর আগেই নিজের চল্লিশার আয়োজন
করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন মারফত আলী (৭০) নামের এক বৃদ্ধ। মানুষ মারা যাবার পর
তার পরিবারের স্বজনরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও চল্লিশার আয়োজন
করে থাকে। কিন্তু প্রচলিত প্রথার ব্যতিক্রম ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত
ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে।
কৃষক মারফত আলী (৭০) মৃত্যুর আগেই পাঁচ
শতাধিক লোকের আয়োজনে নিজের চল্লিশা করেছেন।
গত সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর
গ্রামে বাসিন্দা মারফত আলী নিজ বাড়িতে এই চল্লিশার আয়োজন করেন।
এতে অতিথিদের খাওয়ানোর জন্য ১ লাখ ২০
হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু ও ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি খাসি জবাই করা হয়েছে।
স্থানীয় বড়হিত ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের
সদস্য মো. আব্দুস সালাম জানান, এলাকায় বিত্তশালী কৃষক মারফত আলী দুই বিয়ে করেছেন। তার
দুই সংসারে তিন মেয়ে ও ছয় ছেলে রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা
কেউ বিয়ে করে হয়েছেন আলাদা, আবার কেউ করছেন পড়াশোনা। এখন মারফত আলী তার নিজের জমি-জমা
সন্তানদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়ার চিন্তা করছেন। এর মধ্যে তার মাথায় আসে তিনি
মারা গেলে সন্তানরা যদি চল্লিশা না করেন, তাই জীবিত অবস্থায় তিনি নিজেই নিজের চল্লিশা
করেছেন। এ জন্য তিনি বাড়ির ভেতরে ডেকোরেটর দিয়ে সামিয়ানা টাঙিয়ে ৫ শতাধিক নারী-পুরুষকে
দাওয়াত খাইয়েছেন।
মারফত আলী জানান, এখন যুগ পাল্টে গেছে।
মারা যাবার পর কেউ মনে রাখে না। ইদানিং শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছি। নামাজ ছাড়া এখন
তেমন কোনো কাজকর্ম করি না। তাই মরার আগে নিজের চল্লিশা নিজেই করেছি।
দাওয়াত খেতে আসা আব্দুল কদ্দুস জানান,
জীবিত ব্যক্তি নিজের চল্লিশার আয়োজন করেছেন, এটা আগে আমি কোথায় দেখিনি। তবে খেয়ে তৃপ্তি
পেয়েছি।
মারফত আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়া জানান,
বাবার ইচ্ছা তিনি জীবিত অবস্থায় চল্লিশা করবেন। তাই আমরাও সম্মতি দিয়ে এই চল্লিশার
আয়োজন করেছি। তবে বাবা না থাকলেও আমরা তার আত্মার শান্তির জন্য এটা করতাম।
মারফত আলীর মেয়ে রেনুয়ারা জানান, তিনি
নিজেই নিজের চল্লিশার আয়োজন করে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে খাইয়েছেন। এতে আমাদের সবার
সম্মতি ছিল।
মন্তব্য করুন