

মানুষ
প্রায়ই ধরে নেয় যে বিড়াল আর কুকুর শত্রু। অবশ্য, কিছু কুকুর আর কিছু বিড়াল একসঙ্গে
না চললেও, অনেকেই আবার দারুণ বন্ধু হতে পারে। এমনকি কিছু কুকুর নিজের জীবন ঝুঁকিতে
ফেলে ফেলাইন বন্ধুকে বাঁচাতেও প্রস্তুত থাকে।
কয়েক বছর আগে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক সিটির কাছে একটি প্রতিরক্ষা শিল্প ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ও ধোঁয়া আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে, অনেক মানুষ বিপদের মধ্যে পড়ে। লোকজন জ্বলন্ত ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসার সময় তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে নিতে নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিশৃঙ্খলার মধ্যে কিছু পোষ্য পিছনে রয়ে গিয়েছিল।
বিস্ফোরণের
ধোঁয়া মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে পড়ে, আশেপাশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক মানুষকে
বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়, যার মধ্যে একজন মানুষ ও তার কুকুরও ছিল—তাদের
বাড়িতেও আগুন লেগেছিল। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কুকুরটির দড়ি খুলে দেওয়া হয়, কিন্তু
মানুষটি চিন্তিত ছিল না, কারণ কুকুরটি পালিয়ে যাওয়ার মত নয়।
কুকুরটি
কিছুক্ষণ সামনের উঠানে দাঁড়িয়ে রইল, কিন্তু তারপরই বুঝতে পারল কিছু একটা ভুল হচ্ছে।
মালিকের বিস্ময়ের মধ্যেই কুকুরটি বাড়ির দিকে দৌড়াতে শুরু করল, যদিও আগুন ক্রমেই
বাড়ছিল।
কুকুরটি
দৌড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মালিক আতঙ্কে তাকে ডাকতে লাগল। কিন্তু সাধারণত বাধ্য
কুকুরটি এবার কোনোভাবেই কথা শুনল না। সে জানত, আরও জরুরি কিছু করার আছে। কেউ কিছু বুঝে
ওঠার আগেই সে ফিরে গেল জ্বলন্ত বাড়ির ভেতরে। তখনই মালিক বুঝলেন—ঘরের
ভেতরে আরেকটি লোমশ বন্ধু রয়ে গেছে, যে হয়তো বের হতে পারেনি।
কুকুরটি
আগুন থেকে তার সেরা বন্ধুকে উদ্ধার করে । কুকুরটি যখন আগুনের মধ্যে ঢুকল, মালিক ও প্রতিবেশীরা
শ্বাস আটকে তাকিয়ে রইল। পরিস্থিতি কুকুরটির পক্ষে ছিল না, কিন্তু কেউই খারাপ কিছু
ভাবতে চাইছিল না।
কিন্তু
কয়েকটি দীর্ঘ, ভয়ঙ্কর মুহূর্তের পর কুকুরটি বেরিয়ে এলো—তার
দাঁতের মাঝে আলতো করে ধরা একটি ছোট্ট বিড়ালছানা। সে জ্বলন্ত বাড়ি থেকে বিড়ালছানাটিকে
তুলে এনে নিরাপদে নিয়ে আসে। কুকুর আর বিড়ালছানার সম্পর্ক ঠিক কী ছিল তা স্পষ্ট নয়,
তবে তারা একই বাড়ি থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া যায় যে তারা পরিবার।
সেই
ক্ষুদে বিড়ালছানাটি সত্যিই ভাগ্যবান, কারণ তার দেখভালের জন্য এমন সাহসী কুকুর ছিল।
যদি কুকুরটি নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে না ফেলত, তাহলে বাড়িটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার আগেই
বিড়ালছানাটি হয়তো বেরোতে পারত না। নিজের ছোট্ট বন্ধুকে বাঁচাতে সে প্রাণপণ চেষ্টা
করেছে। সত্যিকারের বীর সে!
মন্তব্য করুন


খেজুরের রসে মারাত্মক প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খেজুরের রস বিক্রেতাদের কাঁচা রস বিক্রি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম) ডা. শ. ম. গোলাম কায়ছার স্বাক্ষরিত জরুরি এক স্বাস্থ্য বার্তায় অধিদপ্তর জানায়, নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এই রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।
এতে বলা হয়েছে, নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ওই বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ।
স্বাস্থ্য বার্তায় আরো বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছিকে এবং জনসাধারনগণকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিজ্ঞপ্তিতে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়,নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। অধিদপ্তর জানায়, প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়। খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে বিক্রি করবেন না।
নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণ সমূহ :
১. জ্বরসহ মাথা ব্যাথা
২. খিচুনি
৩. প্রলাপ বকা
৪. অজ্ঞান হওয়া
৫. কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া
নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় :
১. খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না
২. কোনো ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাবেন না
৩. ফল-মূল পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খাবেন
৪. নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন
৫. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান মান্যবর হাইকমিশনার মিস. সুসান রাইল আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯.০০টায় রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও এক ব্রেকফাস্ট বৈঠকে মিলিত হন।
মিস. হাইকমিশনার শুরুতেই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং পরিপূর্ণ আরোগ্য কামনা করেন।
বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিন্টন পোবকে, পলিটিক্যাল ফার্স্ট সেক্রেটারি আনা পিটারসনসহ ৪ জন প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে আমীরে জামায়াতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত।
মন্তব্য করুন


খুলনার পাইকগাছায় দীর্ঘ ১৪ বছরের বিবাহিত জীবনের চাপ ও মানসিক কষ্টের পর প্রবীর সরকার (৪১) তার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন। নবপল্লী এলাকার প্রবীর দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর একাধিক সম্পর্ক ও সংসারের অশান্তিতে ভোগছিলেন।
যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রবীর এক মানত করেছিলেন: “যেদিন আমি এই মানসিক যন্ত্রণার মুক্তি পাব, সেদিন দুধ দিয়ে স্নান করব।”
সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে, প্রবীরের স্ত্রী স্থানীয় ভাড়া বাসায় কয়রা উপজেলার নিত্যানন্দ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সময় ধরা পড়েন। স্থানীয়রা কোনো সালিশ ছাড়াই তাকে নিত্যানন্দের সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই দম্পতির একটি প্রতিবন্ধী সন্তানও রয়েছে।
এই ঘটনার পর সোমবার দুপুরে প্রবীর সরকার পাইকগাছা পৌরসভার কালীমন্দিরে গিয়ে দুধ দিয়ে স্নান করেন এবং মানত পূর্ণ করেন।
প্রবীর সরকার বলেন, “আমাদের সংসারের প্রথম দুই বছর ভালোই কেটেছিল। কিন্তু পরবর্তী ১২ বছর ছিল অত্যন্ত কঠিন ও কষ্টকর। ধারাবাহিকভাবে স্ত্রীর পরকীয়া ও সন্দেহজনক আচরণ আমাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছিল। বহুবার সালিশ হয়েছে, কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমার একমাত্র বাকপ্রতিবন্ধী সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবেই সহ্য করেছি। সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমি মানত করতে বাধ্য হই।”
স্ত্রী বর্তমানে নতুন সংসারে থাকায় তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন


কুড়িগ্রামের
নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ধনী গাগলা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র
করে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
আজ
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে ১৬ শতক জমিকে কেন্দ্র করে আলতাফ হোসেন ও এরশাদ
আলীর পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র
নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা করে। এতে নিহত হন মানিক মুন্সির ছেলে এরশাদ আলী (৪২), মানিকের
বোন কুলছুম বেগম (৫৫) এবং বাচ্চা মিয়ার ছেলে কাওছার মিয়া। দু’জন
ঘটনাস্থলেই এবং একজন হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেন।
এ
ঘটনায় আহত অন্তত ১০ জনকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে। দলের দু’জন—নূর মোহাম্মদ ও তার বড় ভাইয়ের অবস্থা
আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নাগেশ্বরী
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


যৌতুকের
টাকা না পাওয়ায় ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের আসর থেকে বর নিয়ে চলে যাওয়ার
অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের বর ছিলেন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও
গ্রামের মো. শরীফ মিয়ার ছেলে মো: হাসেন মিয়া (২৫)।
এ
ঘটনায় আজ (১/১২/২৩) দুপুরে ভুক্তভোগী কনের বাবা বাদী হয়ে বর ও বরের বাবাসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত
করে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১/১২/২৩) বিকেলে নেত্রকোনার
কলমাকান্দায় রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১ সপ্তাহ আগে বামনগাঁও গ্রামের মো: হাসেন মিয়ার বিয়ে ঠিক
হয় পার্শ্ববর্তী রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে। বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়
কনের বাবা বিয়ের খরচ বাবদ বরের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে
এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর তার আত্মীয়-স্বজনসহ ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া
শেষে বিয়ের কার্যক্রম শুরু হলে বরের পক্ষ থেকে আরো ৭০ হাজার টাকা যৌতুক চাওয়া হয়। কনের
পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হলে বিয়ের আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান।
এ
বিয়ে উপলক্ষে দুই লাখ টাকা খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ
করেন কনের বাবা।
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল
কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন
পর্যবেক্ষণের সময় শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
তিনি
বলেন, যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন, অনুগ্রহ করে তারা শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবেন।
একই সঙ্গে আপনাদের পক্ষে যারা কাজ করবেন তাদেরকেও এ কথা জানিয়ে দেবেন। নির্বাচন কমিশনের
একটাই এজেন্ডা-আর তা হল জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। তাই
সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করা সকলের জাতীয় দায়িত্ব।
আজ
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর ) সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৪০টি পর্যবেক্ষক
সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান
নির্বাচন কমিশনার স্বচ্ছতার সঙ্গে সকলকে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন,
নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব সুপারভাইজারি মেকানিজম থাকবে, অফিশিয়াল মেকানিজম থাকবে। কিন্তু
আপনাদের চোখ দিয়েও আমরা এই নির্বাচনকে দেখতে চাই। যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন, তারা
নির্বাচন সংক্রান্ত কাজগুলো স্বচ্ছভাবে হচ্ছে কিনা এবং আচরণ বিধিমালা ও আইনগুলো সঠিকভাবে
পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে আমাদের জানাবেন।
সিইসি
বলেন, যাদেরকে নিয়োগ করবেন তারা যাতে দলীয় প্রচার-প্রচারণা করে কাউকে প্রভাবিত করতে
না পারেন, সে বিষয়টা খেয়াল করবেন। মনে রাখবেন, তাদের দায়িত্ব হবে পর্যবেক্ষণ করা; নির্বাচনে
হস্তক্ষেপ করা নয়।
তিনি
বলেন, আপনাদেরকে সহযোগী হিসেবে পেতে চাই। আমরা জাতিকে ওয়াদা দিয়েছি একটি সুষ্ঠু, সুন্দর
এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার। কিন্তু এটা ইলেকশন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব
নয়। অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
নির্বাচনের
প্রতিটি স্তরে পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা থাকবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রচারকালীন পরিস্থিতি,
কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বা প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের দায়িত্ব পালন এবং ভোটারদের কেন্দ্রে
আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কিনা-ইত্যাদি সম্পর্কে তারা রিপোর্ট দেবেন। তবে সেটি হতে হবে
শতভাগ সত্যনির্ভর। কেননা এই রিপোর্টের ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করবে।
এএমএম
নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে তাও সংশোধন
করা হবে। এ বিষয়েও আপনারা সুপারিশ দিতে পারবেন। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটারবান্ধব পরিবেশে
নির্বাচনের আয়োজন করতে চাই।
সংলাপে
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, আব্দুর রহমানেল
মাছউদ, তাহমিদা আহমেদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ কমিশনের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের
রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) প্রধান উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত প্লানাকে তার নিয়োগের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং তাকে বাংলাদেশে উষ্ণ
অভ্যর্থনা জানান।
বাংলাদেশের ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর চেতনার
প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি কসোভোর জনগণের স্বাধীনতা, শান্তি ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের
প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
জবাবে রাষ্ট্রদূত প্লানা কসোভোকে একটি
স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে
সশস্ত্র সংঘাতের পর কসোভোর জনগণের জীবন পুনর্গঠনে গ্রামীণ কসোভোর অবদানকে স্মরণ করেন
।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি মূল্যবান
অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি এবং আমি আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গীকারের জন্যও শ্রদ্ধা জানাতে
চাই।
আপনার গ্রামীণ ট্রাস্টের উদ্যোগ আমাদের
জাতির জন্য এক বিশাল সহায়তা ছিল। স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ
অংশীদার। যুদ্ধোত্তর সময়ে কসোভোতে বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের অবদান ও সহায়তার
জন্যও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কসোভো
বর্তমানে কসোভোর শীর্ষস্থানীয় ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, যা দেশের ২০টি পৌরসভা ও ২১৯টি গ্রামে
কাজ করছে, যেখানে ৯৭ শতাংশ ঋণগ্রহীতা নারী।
বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট এই ক্ষুদ্রঋণ
প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান।
কঠিন সেই সময়ের কথা স্মরণ করে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। যখন আমরা
সেখানে পৌঁছায়, তখন সবকিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল। পুরুষরা তখনো ফিরে আসেনি। কোনো মুদ্রা
ছিল না, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল না। তখন আমরা শূন্য থেকে সেখানে গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ
শুরু করি।’
আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর
করার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়, বিশেষ করে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের
ওপর।
প্রধান উপদেষ্টা সহযোগিতার সম্ভাবনাময়
কয়েকটি খাত তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,
পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং হালকা প্রকৌশল খাত।
তিনি কসোভোর বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত প্লানা উভয় দেশের ব্যবসায়ী
সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বাণিজ্য ও
বিনিয়োগে গতিশীলতা আনার জন্য ব্যবসা ও শিল্প চেম্বারগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান
জানান।
দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির
প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা কসোভোর বিভিন্ন খাতে আরও বেশি সংখ্যক
বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কসোভোর
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হার বাড়ানোর প্রস্তাব দেন, যার মধ্যে রয়েছে বৃত্তি, ফেলোশিপ
ও একাডেমিক অনুদান।
মন্তব্য করুন


দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রাচীর ভূমিকম্পে নয়, বরং বাড়তি কয়লার চাপে ভেঙে পড়েছে। ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ কয়লার মজুত বেড়ে যাওয়ায় আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) বাড়তি কয়লার চাপে ভেঙে গিয়েছে কয়লা খনির সীমানা প্রাচীরের প্রায় ১৬০ ফুট অংশ।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু তালেব ফরাজী জানান, খনির ইয়ার্ডে কয়লা রাখার সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ২০ হাজার টন; কিন্তু বর্তমানে কোল ইয়ার্ডে কয়লার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন।
তিনি জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খনির উৎপাদিত কয়লার একমাত্র ক্রেতা পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের মধ্যে ২টি ইউনিট বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত কয়লা ব্যবহৃত হচ্ছে না। প্রতিদিন খনিতে কয়লা উত্তোলন হচ্ছে গড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে কয়লার মজুত। ইয়ার্ডে জায়গা না থাকায় কয়লার স্তূপ বেড়ে গেছে। এ কারণেই বাড়তি কয়লার চাপেই ভেঙে গেছে খনির সীমানা প্রাচীর। প্রাচীরের ১৬টি পিলারসহ প্রায় ১৬০ ফুট প্রাচীর ভেঙে পড়েছে বলে জানান তিনি।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদিত কয়লার ওপর ভিত্তি করে খনির পাশেই ২০০৬ সালে গড়ে উঠে কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রথম অবস্থায় ১২৫ মেগাওয়াট করে মোট ২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট স্থাপন করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি ইউনিট চালু করে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২৫ মেগাওয়াট; কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিসহ নানান জটিলতায় কখনই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একসাথে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ২নং ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৩নং ইউনিটটির গভর্নর ভাল্ব স্টিম সেন্সর-এর ৪টি টারবাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গত ১৬ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিট থেকে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১নং ইউনিটটি গত ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে বয়লার পাইপ ফেটে বন্ধ হয়ে যায়। বয়লার পাইপ মেরামত করে এক সপ্তাহ পর গত ২৬ অক্টোবর রাত ৭টা ১৯ মিনিটে আবার চালু করা হয় ১নং ইউনিটটির বিদ্যুৎ উৎপাদন; কিন্তু এর একদিন পর বিয়ারিংয়ের টেম্পারেচার সেন্সর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং কিছু বাল্ব অকেজো হয়ে পড়ায় গত ২৭ অক্টোবর রাত ৯টা ১৪ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় সর্বশেষ চালু থাকা ১নং ইউনিটটি। ফলে ২৭ অক্টোবর রাত থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।
এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় উৎপাদিত কয়লা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ। কয়লা রাখার স্থান সংকুলান না হওয়ায় অব্যাহত উৎপাদন নিয়ে শংকায় পড়েছেন তারা।
খনির কর্মকর্তারা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদিত কয়লার একমাত্র ক্রেতা বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কিন্তু একের পর এক বন্ধ থাকায় খনির উৎপাদিত কয়লা ব্যবহার করতে পারছে না বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এতে মজুত অস্বাভাবিক বেড়ে কয়লা রাখার জায়গা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে খনি কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া ওরফে মাহিয়া মাহিকে ১
হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া বাজারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সিফাত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ জরিমানা করেন।
চিত্রনায়িকা
শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া ওরফে মাহিয়া মাহি রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তার প্রতীক হচ্ছে ট্রাক।
নির্বাচনি আচরণবিধি ভেঙে অতিরিক্ত মাইক ব্যবহার করে মাহির ট্রাক প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা চলছিল। এ সময় খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সিফাত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১
হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং বিল্লাল হোসেন জানান, আচরণবিধি ভেঙে একসঙ্গে ৭টি মাইক ব্যবহার করছিলেন মাহির প্রচারকাজের সঙ্গে জড়িত লোকজন। এ কারণে জরিমানা করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি নিজে উপস্থিত ছিলেন না।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপর দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সোমবার (১০ নভেম্বর) কুমিল্লা বার্ডের একটি অডিটোরিয়ামে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরুপণ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা এসব কথা বলেন কমিশনার।এসময় নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন জিহাদ ঘোষণা করেছে। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই,আসন্ন নির্বাচনে কাউকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা একটি ভালো নির্বাচন। অতীতে আমরা বহুবার কলঙ্কিত হয়েছি, এবার সেই কলঙ্ক মুছে দিতে হবে। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের আর মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিন বাকি। এরপরও কারো মনে যদি সন্দেহ থাকে নির্বাচন হবে না, তাহলে সেটি ভুল ধারণা। নির্বাচন হবেই, এবং তা হবে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ।”
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, এবং উপপ্রধান (উপ-সচিব) ও প্রকল্প পরিচালক, সিবিটিইপি প্রকল্প, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা কুমিল্লার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সময় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিটি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। ভোটকেন্দ্রই হলো গণতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি, তাই সেখানে সঠিক দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা চলবে না।শেষে প্রধান অতিথি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, ‘জনগণের আস্থা অর্জনই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। নির্ভয়ে, নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন দেশ আপনার পাশে আছে।
মন্তব্য করুন