

গাজীপুরে
বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ করার পর আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) নামের এক সাংবাদিককে কুপিয়ে
ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের
সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন ওই সাংবাদিক।
নিহত
আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে
কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে।
তুহিন পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস করতেন।
স্থানীয়রা
জানান, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ফুটপাতের অবৈধ দোকানপাটে চাঁদাবাজি নিয়ে বৃহস্পতিবার
বিকেলে ফেসবুকে তিনি লাইভ করেন। এরপর রাত ৮ টার দিকে নিজ ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট
করে লেখেন ‘যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য। এরপর তিনি মসজিদ মার্কেটের সামনে
একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে
ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
বাসন
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে
মর্গে পাঠিয়েছে। কারা বা কী কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। খুনিদের
ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
মন্তব্য করুন


আগামীকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) কুমিল্লার মুরাদনগরে নিজ জন্মভূমিতে সংবর্ধিত হবেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম এ নেতাকে বরণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার দুপুর ২টায় মুরাদনগর ডিআর সরকারি হাইস্কুল মাঠে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরপর যাবেন পৈত্রিক বাড়ি আকুবপুরে। অনুষ্ঠানে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করবেন। উপদেষ্টার আগমন ঘিরে উপজেলা জুড়ে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। তরুণ এ উপদেষ্টার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে উচ্ছ্বসিত ছাত্র সমন্বয়ক ও আয়োজকবৃন্দ।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, মধ্যাহ্ন ভোজের আগে উপদেষ্টা উপজেলার কর্মকর্তাদের সাথে একটি মতবিনিময় করবেন। এরপর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে শীত বস্ত্র বিতরণ কমসূচিও রয়েছে। মুরাদনগরবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন।
মন্তব্য করুন


সুন্দরবন থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর প্রধান “নজরুল শেখকে” (৪৮) আটক করেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ২টি একনলা বন্দুক ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আটক নজরুল বাগেরহাটের রামপাল থানার বাসিন্দা।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোরে সুন্দরবনের শিবসা নদী সংলগ্ন কালাবগী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা “লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক “।
তিনি বলেন, আটক বনদস্যু নজরুল দীর্ঘদিন যাবত তার বাহিনী নিয়ে সুন্দরবনে ডাকাতি করে আসছিলেন। এ ছাড়াও, গত ৩১ জুলাই রাঙ্গা বাহিনী সুন্দরবনের জঙ্গলবাড়ি এবং বনবিবি রিসোর্টে চাঁদা দাবি করে চিঠি দিয়ে আসে। এরপর থেকেই এ বাহিনীকে আটকের অভিযানে নামে কোস্টগার্ড।
তিনি আরও বলেন, জব্দ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং আটক ডাকাতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে মো. রেজাউল করিম লাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (৩) আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিম লাবু সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার কৈমাঝুরিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন, রেজাউল করিম লাবুর সৎমা ও মৃত ইদ্রিস আলীর স্ত্রী মোছা. রেনুকা বেগম এবং লাবুর স্ত্রী মোছা. ইসমত আরা বেগম।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোটেক আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩ মার্চ ভোর রাতে নিজের শোয়ার ঘর থেকে নিখোঁজ হন ইদ্রিস আলী। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে নিহতের ছেলে রেজাউল করিম লাবু অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর ৪ মার্চ দুপুরে অলিদহ গ্রামের ভিকটিম ইদ্রিস আলীর মরদেহ গুম করার জন্য নিহতের গলা ও পা রশি দিয়ে পেচিয়ে ওই পুকুরে ফেলে দিয়েছিল।
এ ঘটনায় রেজাউল করিম লাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বাদী রেজাউল করিম লাবু, তার সৎমা রেনুকা বেগম ও স্ত্রী ইসমত আরা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
সলঙ্গা থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ইদ্রিস হত্যা মামলাটি তদন্তকালে বাদী রেজাউল করিম লাবু, তার সৎমা রেনুকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জমি লিখে না দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছেলের স্ত্রীকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (৩) আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— সলঙ্গা থানার কৈমাঝুরিয়া গ্রামের ভিকটিম ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল করিম লাবু, দ্বিতীয় স্ত্রী রেনুকা বেগম ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছেলের স্ত্রী ইসমত আরা।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোটেক আব্দুল লতিফ বলেন, ২০২০ সালের ৪ মার্চ দুপুরে সলঙ্গা থানার অলিদহ গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভিকটিম ইদ্রিস আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রেজাউল করিম লাবু অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে পুলিশ জানতে পারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে স্বজনরাই ইদ্রিস আলীকে হত্যা করেছে। এ অবস্থায় ছেলে (মামলার বাদী) রেজাউল করিম লাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর সে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করে জমি লিখে না দেওয়ায় ২০২০ সালের ৩ মার্চ রাতে সে নিজে তার বাবাকে হত্যা করেছে এবং তার মা রেনুকা বেগম ও স্ত্রী ইসমত আরা তাতে সহযোগিতা করেছে। হত্যার পর তারা মরদেহ গুম করার জন্য নিহতের গলা ও পা রশি দিয়ে পেচিয়ে ওই পুকুরে ফেলে দিয়েছিল। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ৩জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আব্দুল লতিফ আরো বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক ভিকটিমের ছেলে রেজাউল করিম লাবুকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
এছাড়াও নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী রেনুকা বেগম ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছেলের স্ত্রী ইসমত আরাকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে ফারজানা পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রবাস ফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
আজ রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম সরকার (৩২)। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সরকারবাড়ীর বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুরাদনগরগামী ফারজানা পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে বাসের নিচে ঢুকে যায় এবং ঘটনাস্থলেই যাত্রী ইব্রাহীম সরকার মারা যান। গুরুতর আহত চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে সাময়িক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস ও সিএনজি জব্দ করেছি এবং নিহতের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ইব্রাহীম সরকার একজন প্রবাস ফেরত ছিলেন বলে জানা গেছে। বাসচালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গ্রামে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার গোমতী নদীতে ককশীট ও কলাগাছের সঙ্গে বেঁধে পাচারের জন্য ভাসিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোলাবাড়ি পোস্টের বিজিবি সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
কুমিল্লা ১০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মাদক কারবারিরা প্রতিনিয়ত কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে মাদক পাচারের চেষ্টা করে। তার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ভোরে আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকায় গোমতী নদীতে কলা গাছ ও ককশীটের সঙ্গে বেঁধে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় পানিতে ভেসে আসা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় মদ, ভদকা, বিয়ার স্কাফসহ ১০ লাখ টাকার মূল্যমানের মাদক। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মাদকদ্রব্যগুলো কাস্টমসে জমা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার
দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের মৈনগোর গ্রামের সুরুজ মিস্ত্রির ছেলে মোঃ পাবেল
(২৫) কে আটক করে ব্যাপক মারধর করে মুক্তিপণ চায় একটি চক্র। এমন খবরে স্ট্রক করে মারা
যান তার বাবা সুরুজ মিয়া ( ৬০)।
গতকাল
রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে এমন ঘটনা ঘটে। পড়ে পরিবারের
পক্ষে ৫০ হাজার টাকা দিলে চক্রটি পাভেলকে ছেড়ে দেয়।
নিহতের
পরিবার জানান, পাবেল রবিবার দুপুরে গৌরীপুর বাজারে কবুতর ক্রয় করতে যান। বাজারে পৌঁছালেই
গৌরীপুর বাজারে একটি চক্র তাকে টার্গেট করে। কিছুক্ষণ পড় ওই চক্রটি সুযোগ বুঝে তাকে
মারধর করে এক পর্যায়ে তার হাত পা চোখ বেধে কোন এক গলির বিল্ডিং এ নিয়ে যায়। পরে আটককৃত
পাভেলের ব্যবহৃত ফোন থেকে বাড়িতে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ছেলের এমন সংবাদে
পাভেলের বাবা স্ট্রক করলে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ( গৌরীপুর) নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
"ভাই
তোরা কি মানুষ? এমন নিরহ মানুষদের সাথে কেউ এইরকম করে? আজ তোদের কারনে একটা মানুষের
জীবন শেষ। এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তীব্র নিন্দা,প্রতিবাদ জানিয়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আটকৃত পাভেলের মারধরের ছবি ভাইরাল হয়ে নেট দুনিয়ায়
ছডিয়ে পড়ে।
আটককৃত
পাভেলের মামাতো ভাই মো. কাইয়ূম বলেন, পাবেল একজন সহজ সরল ছেলে। তার বাবার ব্যবসায় চক্রতলা
বাজারে ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকসপের কাজ করেন। তার শত্রু কেউ আছে বলে আমার জানা নেই। আইন-শৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাই ঘটনাটি উদ্ঘাটন করে চক্রটিকে আইনের আওতায় এনে
শাস্তি দেওয়া হোক।
এবিষয়ে
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের
আটকে পুলিশি তৎপরতা চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


এমদাদুল
হক সোহাগ, কুমিল্লা:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন খাল দিয়ে অপসারিত স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালীর তরল বর্জ্যের কারনে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীনের পাশাপাশি ফসলী জমি পতিত জমিতে পরিণত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার অন্তত সাতটি পয়েন্টে থেকে নমুনা সংগ্রহের পর সেগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা শেষে সেই তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়।
জানা যায়, কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদ নামের একটি সামাজিক সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীবকে কুমিল্লা ইপিজেড এর সাধারণ বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) এর পরিশোধিত তরল বর্জ্য এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাল সমূহের বিভিন্ন পয়েন্টের স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালী তরল বর্জ্যের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রতিনিধিদল কুমিল্লা এসে কুমিল্লা ইপিজেড এর সাধারণ বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) এর পরিশোধিত তরল বর্জ্য এবং অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নমুনা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খালের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যেমন রেইসকোর্স, টমসনব্রিজ, ইপিজেড সীমানার বাহিরের সিটি কর্পোরেশনের খাল, ইপিজেড সীমানার ভেতরের খাল, সিইটিপি আউটলেট ও সিটি কতর্পোরেশনের খালের পানির মিশ্রণের পয়েন্ট, রাজাপাড়া এলাকার ব্রীজ এর নিচ দিয়ে প্রবাহীত খাল এবং দীশাবন্দ এলাকা সহ মোট সাতটি পয়েন্ট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিনিধি দলটি। চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার বিশ্লষেণে দেখা যায়, দ্রবীভূত অক্সিজেন, সাসপেন্ডেড সলিডস,জৈবিক/বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা, রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা, বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, অ্যামোনিয়া নাইট্রোজেন, ফসফেট এর মান পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এর মৎস চাষে ব্যবহার্য ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানিতে নির্গমনের এবং পয়: নির্গমনের জন্য নির্ধারিত মান মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরীন। গত ০৬ ফ্রেব্রুয়ারী ২২.০২.১৫০০.১৮৬.০০২.১৯ স্মারকে নমুনা সংগ্রহের গুণগত বিশ্লষন ফলাফল কুমিল্লা কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।
রিপোর্ট
বিশ্লেষণে দেখা যায়, রেইসকোর্স খালে ময়লা পানিতে COD অর্থাৎ রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা
পাওয়া গেছে ২২৯, টমছন ব্রিজ এলাকায় ২০৭, ইপিজেড সীমানার বাইরে ২৭৩, ইপিজেড সীমানার
ভিতরে ৩১২, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ১৬৯, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ১৭৭ যার মানমাত্রা
৫০ এবং ১২৫ এর নিচে থাকার কথা।
BOD অর্থাৎ জৈবিক/বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ৪৯.৩, টমছন ব্রিজ এলাকায় ৪৬.১, ইপিজেড সীমানার বাইরে ৫৯.২, ইপিজেড সীমানার ভিতরে ৫২.৫, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ৩২.১, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ৩১.৫ যার মানমাত্রা ৬ এবং ৩০ এর নিচে থাকার কথা। PO4 বা ফসফেট পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ২০.২, টমছন ব্রিজ এলাকায় ১৮.২, ইপিজেড সীমানার বাইরে ১৯.৭, ইপিজেড সীমানার ভেতরে ৩২.৫, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ৫.৫, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ৯.৯ যার মানমাত্রা ০.৫ এবং ১৫ এর নিচে থাকার কথা। NH3-N মানে অ্যামোনিয়া নাইট্রোজেন পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ৩৭.৫, টমছন ব্রিজ এলাকায় ৩০.৫, ইপিজেড সীমানার বাইরে ৪১.৭, ইপিজেড সীমানার ভেতরে ৫০.৬, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ১৩.১৬, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ২৪.৯ যার মানমাত্রা ০.৩ এর নিচে থাকার কথা। এই রিপোর্ট অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থী বর্জ্যের কারনেই খাল সমূহে মাছ সহ অন্যান্য জলজপ্রাণী বেঁচে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন ( সিনিয়র সহকারী সচিব) মুঠোফোনে জানান, তিনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারীতে সিটি কর্পোরেশনে যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর তেমন কিছু জানা নেই।
কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের খালের পানির যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেটার রিপোর্ট ভালো আছে। আমাদের পানির কারনে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীন, কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে বিষয়টি ঠিক না। আপনারা এসব ভুয়া খবর কোথায় পান? রিপোর্ট আমাদের পক্ষে বলে ফোন কেটে দেন।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খালের নমুনা সংগ্রহের পর যে রিপোর্ট এসেছে তাতে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীনের প্রমাণ মিলেছে। গত ০৮ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার এর মুঠোফোনে কল করলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন এবং পরবর্তীতে কথা বলবেন বলে জানান।
কুমিল্লার
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আমরা
জেনেছি। গত আইন শৃঙ্খলা সভায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে দ্রুত স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট
প্ল্যান্ট স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় কিস্তি
নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাকে হত্যার অভিযোগে উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার
দুর্গাপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণচক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাইনুদ্দিন সরকার (৪৫) ব্রাহ্মণচক
গ্রামের রুহুল আমিন সরকারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। ঘাতক চাচার
নাম ফারুক সরকার (৫২)। তার স্ত্রী মাফিয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাইনুদ্দিন
সরকারের স্ত্রী মানছুরা বেগমের মাধ্যমে ফারুক সরকার নামের এক ব্যক্তি একটি বেসরকারি
এনজিও ব্যুরো বাংলাদেশ থেকে কিস্তিতে ঋণ নিয়েছিলেন; কিন্তু তিনি নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ
করছিলেন না। এ নিয়ে বুধবার সকালে ব্রাহ্মণচক সড়কে ভাতিজা মাইনুদ্দিন তার চাচা ফারুক
সরকারকে কিস্তি শোধের কথা বললে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা
ফারুক সরকার কিল-ঘুসি মারলে মাইনুদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে মতলব উত্তর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মাইনুদ্দিনের স্ত্রী মানছুরা বেগম
জানান, ফারুক ও তার স্ত্রী মাফিয়া বেগমের সঙ্গে কিস্তির টাকা নিয়ে কয়েকদিন ধরে ঝামেলা
চলছিল। ফারুক আমাদের বই দিয়ে কিস্তির টাকা উত্তোলন করেন। কিস্তির লোকজন টাকার জন্য
আমাদের চাপ দেয়। আজ রাস্তায় ফারুকের সঙ্গে দেখা হলে আমার স্বামী কিস্তির টাকা চাইলে
তার ওপর আক্রমণ চালায় ফারুক। পরে আমার স্বামী মারা যান। এখন আমি ছয় সন্তান নিয়ে কোথায়
যাব। আমি হত্যাকারীর বিচার চাই।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানা ওসি মো. রবিউল
হক বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক ও আর্থিক বিরোধের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড
সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ফারুক সরকারকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান
চলছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী মাফিয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের
জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
পাওনা টাকা নিয়ে সালিশি বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত
হয়েছে আরও ৩ জন। একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার
(১০ অক্টোবর) রাতে জেলার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর বাজারে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত
রাজিব হোসেন উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে।
আহতরা
হলেন, নবীপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আক্তার হোসেন (৩০)
ও জসিম উদ্দিন(৫৫)। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল
থেকে মারুফ (১৯) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক মারুফ উপজেলার
যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
আহত
আক্তার হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া জানান, তার ননদ নিলুফা বেগম উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের
শিড়িনা বেগমের থেকে ১০ হাজার টাকা ধার আনেন। ধারের টাকা দিতে না পারায় এই টাকার জন্য
বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। পাওনা টাকা জন্য গতকাল (বৃহস্পতিবার)
রাতে তার ননদ ও স্বামীকে তুলে নেয়ার জন্য শিড়িন ৮/১০ জনের একটি বখাটে দল নিয়ে আমার
শ্বশুর বাড়িতে আসে। এসময় আমাদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার
জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে নবীপুর বাজারে কামাল মাষ্টারের অফিসে সালিশ বৈঠক বসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সালিশ চলাকালে অফিসের বাইরে শিড়িনা বেগমের সাথে আসা মারুফ, মারফতসহ কয়েকজন রাবেয়া বেগমকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এসময় রাবেয়ার স্বামীর বন্ধু রাজিব রাবেয়াকে উঠাতে গেলে মারুফ, মারফত, কোমর থেকে ছুরি বের করে রাজিবের বুকে ও শরীরে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এসময় রাজিবকে বাঁচাতে আসলে তার বন্ধু আক্তার হোসেন ও তার বাবা মোজাফ্ফর এবং কাকা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা মারুফ নামের একজন হামলাকারী আটক করে এবং আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ
বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, হত্যার ঘটনায় একজনকে
আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
১০১ পিস মোবাইল ফোনসহ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউপির শংকরপুর
সাকিনস্থ আইএফআইসি ব্যাংকের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছাঁলে ডিবি পুলিশ চিনতে পেরে
আসামী একটি প্লাষ্টিকের বস্তাসহ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বস্তাসহ আটক করা হয়। বস্তুা
তল্লাশি করে ১০১ পিস নতুন-পুরাতন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: কুমিল্লা জেলা ব্রাহ্মণপাড়া থানার রানীগাছ গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া’র ছেলে
মোঃ পারভেজ মিয়া (৩০)।
গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয।
মন্তব্য করুন