মোঃ ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর (দিনাজপুর):
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উন্মুক্তভাবে পরিবেশনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ময়ূরাক্ষী পুকুরের পাশে নির্মিত 'মুক্তমঞ্চ' উদ্বোধন করেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিরামপুর উপজেলা পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস,পৌরসভা,থানা ও উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীজ নাজিয়া নওরিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপুল কুমার চক্রবর্তী,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শমসের আলী মন্ডল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ,এইচ,এম তৌহিদুল্লাহ,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররত জাহান, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা হানিফ উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
শেরপুর
জেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেফতার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়িয়ে
যান ওই তরুণী। তাই ১ম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে ২য় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ।
নিহত সুমন মিয়া (১৭) পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক মো: নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অভিযুক্ত তরুণী আন্নী বেগম (১৭), বাবা আজিম উদ্দিন (৪২) ও দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন (১৭)।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নী বেগমের। সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। রবিন ময়মনসিংহের একটি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পথের কাটা সুমনকে সরাতে ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমনকে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনে আন্নী ও রবিন। এরপর তাকে হত্যা করে নিজ উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে সুমনের মরদেহ।
এদিকে রাতে সুমন বাড়ি ফিরে না এলে পরদিন সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে আন্নী ও তার বাবা-মাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতে আন্নী বেগম ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। পরে আন্নীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মামলা নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আন্নী ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আন্নীর দেওয়া তথ্যমতে রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকান লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে লুন্ঠিত ৬০ ভরি স্বর্ণ, ১৬০ ভরি রুপা, স্বর্ণ বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পাইপ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার এসপি মো.শহীদুল ইসলাম। এর আগে, গত শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ভোর রাতের দিকে কবিরহাট ডাকাতির ঘঠনা ঘটে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন,গত শুক্রবার ১০-১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত ৩টার পর চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে প্রবেশ করেন। ওই সময় অস্ত্রের মুখে নৈশপ্রহরীসহ অন্যান্য চলাচলকারী লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর প্রায় দুই ঘন্টা ডাকাতি সংঘটন করে। এ সময় ডাকাত দলকে বাধা দিলে নৈশ প্রহরী শহীদুল্লাহকে মাথায় আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে একদিনে পৃথক ঘটনায়
চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই নারী
ও দুই শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে
শহরের কলাতলী সৈকতপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে একই পরিবারের ৮ জন মাঠি চাপা পড়ে। এ ঘটনায়
বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মিম নামের এক শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার
করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ আনোয়ার বলেন,
গাছ এবং পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৮ জন মাটির নিচে চাপা পড়ে। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস
এবং স্থানীয়রা মিলে ওই পরিবারের ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মিম নামের এক শিশুকে
বাঁচানো যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদরের ঝিলংজায়
লায়লা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ পাহাড় ধসে নিহত হন। তিনি দক্ষিণ মহুরিপাড়া এলাকার বজল
আহমদের স্ত্রী। এ ঘটনায় তাদের ২ বছরের শিশু মোহাম্মদ জুনায়েদ গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার
সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার দিকে
পাহাড় ধসের পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়। শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পল্যান কাটা এলাকায়
বসতঘরে পাহাড় ধসে স্থানীয় মোহাম্মদ করিমের স্ত্রী জমিলা বেগম (৩০) নিহত হয়েছেন। এছাড়া
শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের সিকদার বাজার এলাকায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সাইফুলের
ছেলে মো: হাসানের (১০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুজ্জামান বলেন, কক্সবাজারে পৃথক পাহাড় ধসের
ঘটনায় দুই নারী ও দুই শিশু নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)
সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৩৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী দুদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান
তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মধ্যরাত থেকে
কক্সবাজারে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাকখালী ও মাতামুহুরি নদীসহ বিভিন্ন ছোট বড় নদ-নদীর
পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ
এবং কক্সবাজার পৌরসভার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে পর্যটন
শহরের কলাতলী সড়কসহ অসংখ্য ছোট-বড় সড়ক, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৪ থেকে ৫ ফুট
উচ্চতায় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা, হোটেল-মোটেল জোনে
বৃষ্টির পানির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কলাতলী সড়ক, বাজারঘাটা, বাস টার্মিনাল,
উপজেলা বাজার ও লিংকরোড় এলাকায় সড়কে বন্যার পানি জমে যায়।
মন্তব্য করুন
৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবিত
রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গেলেন রেজাউল খান নামের এক কৃষক।
কৃষক রেজাউলের বাড়ি ফরিদপুর শহরতলীর
আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কাদেরের বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।
শনিবার (২২ জুন) রাতে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের
সামনে এসে জীবিত রাসেল ভাইপারটি সাংবাদিকদের দেখান কৃষক রেজাউল (৩২)।
এ সময় প্রেসক্লাবের সদস্যরাসহ ফরিদপুর
পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন তনু ও স্থানীয় অন্যান্য লোকজন
উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক রেজাউল খান বলেন, শনিবার বিকেলে
জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় এই রাসেলস
ভাইপারটি দেখতে পাই। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সাপটিকে অ্যালুমিনিয়ামের
পাতিলে ভরে ফেলি। পরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিই। স্থানীয়দের
কাছে জেনেছি, জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে ফরিদপুরের নেতারা পুরস্কার দেবেন।
এ কারণেই জীবিত সাপটি ধরে এনেছি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের
একটি মিটিংয়ে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আলোচনা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহ মো.
ইশতিয়াক আরিফ রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার একদিন পরেই সেই
অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। পরদিন ২১ জুন এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেন, সেখানে তিনি উল্লেখ
করেন, কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত ধরতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার
দেওয়া হবে।
আগের বক্তব্যটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে
বিকৃত করে প্রকাশ হয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রাম
জেলায় চর রাজিবপুর উপজেলার কাচারিপাড়া এলাকায় চর রাজিবপুর সমাজকল্যাণ সংগঠন(RPSKS)এর
পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র(কম্বল)বিতরণ করা হয়েছে।এ
সময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক
মোঃ রোকোনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চর রাজিবপুর উপজেলা সমাজসেবা
কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা(অ:দা:) মোঃ মিনহাজ উদ্দিন, চর রাজিবপুর উপজেলার সাবেক
ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা বেগম। এ সময় আরো উপস্থিত
ছিলেন, চর রাজিবপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ফিল্ড-সুপারভাইজার মোঃ আমিনুল ইসলামসহ
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মন্তব্য করুন
চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ব্যবসায়ী ইপিজেট এলাকার শাহআলম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইপিজেট পুলিশ ফাঁড়ীর এসআই (নিরস্ত্র) নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন।
গত বুধবার ২৮ ই মার্চ কুমিল্লা জেলার মাসিক অপরাধ সভায় বর্নিত হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ সকল আইনানুগ কার্যক্রম সম্পাদন করার কারনে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে তাকে পুরষ্কারের ঘোষনা দেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিপিএম।
এ সময় এসআই (নিরস্ত্র) নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁনের হাতে মামলার রহস্য উদঘাটনে শ্রেষ্ঠ অফিসারের পুরস্কার ও সম্মামনা স্বারক তুলে দেন পুলিশ সুপার, কুমিল্লা।পুরস্কার পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে এসআই (নিরস্ত্র) নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন বলেন,
ক্লুলেস মামলায় রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া এবং ইপিজেট পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃকবির হোসেন । তাদের দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছি।
আজকের এই পুরস্কার সামনের দিকে আমার কাজের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দেবে। সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যেন আগামীতে দেশ ও মানুষের মানবতার সেবায় কাজ করে যেতে পারি।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন সৎ ও সাহসি কাজের পুরুষ্কার কাজে গতিপথ বৃদ্ধি করে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসআই (নিরস্ত্র) নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন এবং তার টিমের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা নং-২৫ (০২)২০২৪খ্রি. ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড সংক্রান্ত ক্ল-লেস হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত মূল হত্যাকারী আসামী আলাউদ্দিনসহ মোট ০৪ জন আসামীকে গ্রেফতার এবং আসামী আলাউদ্দিন ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি বিজ্ঞ আদালতে গ্রহণের মাধ্যমে মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন।
এতে জনমনে কুমিল্লা জেলা পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা নগরীর বাজার মনিটরিং কাজ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন তারা। দাম বেশি নিলে করা হচ্ছে সতর্কও।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে নগরীর টমছমব্রীজ বাজার মনিটরিংয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় কাঁচামাল, মাছ, মাংস, পেঁয়াজ-রসুন, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাচাই করেন। তাদের এ কাজে সহায়তা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। কোনো পণ্যের দাম অযথা বাড়ানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বাবুল আহমেদ বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং এ প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে এবং নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, আড়ৎ, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করছি। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ কারণেই আমরা কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে
(কুবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’
ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর
১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে ১টায় শেষ হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রে
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র গুলো হল : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস,
ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, শিক্ষাবোর্ড
মডেল কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল,
বর্ডারগার্ড পাবলিক স্কুল এবং বার্ড স্কুল। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ হাজার ১৩৪ জন।
পরীক্ষা শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আজকে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হল ঘুরে দেখেছি। কেন্দ্রগুলোতেও
পরীক্ষার পরিবেশ অত্যন্ত ভাল ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল। ম্যাজিস্ট্রেট
ও পুলিশ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ছিল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস
সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী প্রত্যেকেই
নিজ নিজ দায়িত্বের প্রতি আন্তরিক ছিল বলেই ‘এ’-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন
হয়েছে। সামনের পরীক্ষাতেও সুন্দর পরিবেশ বজায়
থাকবে। পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রক্টরিয়াল বডি, কর্মকর্তা-কর্মচারী,
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট,
সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের কচুয়ায় ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী
লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলার কচুয়া
থানাধীন সাচার বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন
ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে পরিচালিত অন্য
একটি অভিযানে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন কোয়া এলাকা হতে আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে
গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ কামরুল হাসান
রিয়াদ (৩১) চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার সুয়ারুল গ্রামের আব্দুর রব পাঠান এর ছেলে এবং
২। বিল্লাল হোসেন (৪৫) একই থানার কোয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী
মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদ (৩১) কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাচার
ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি এবং ২ নং আসামী বিল্লাল হোসেন (৪৫) কচুয়া পৌর ০৩ নং ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। তারা উভয়েই লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা কার্যক্রম পরিচালনার
দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
চালের
বাজারে কৃত্রিম সংকট ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়
অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লা।
আজ
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার পারুয়া এলাকায়
একাধিক অটো রাইস মিলে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উক্ত
অভিযানে মিলগেট মূল্য ও উৎপাদনের তারিখ বিহীন চাল বিক্রি, অবৈধভাবে চাল মজুদ এবং
নামিদামি ব্র্যান্ডের ব্যাগে স্থানীয় চাল ভরে বাজারজাত করার অভিযোগে দুইটি মিলকে
মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- জাপান-বাংলা অটো রাইস মিলকে ২০ হাজার টাকা
এবং মেসার্স আব্দুল মান্নান এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা।
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.
কাউছার মিয়া অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
উক্ত
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন বুড়িচং উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দেব
নাথ, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল।
মন্তব্য করুন