ঝিনাইদহ সদরে মাছচাষি শরিফুল ইসলাম টুলু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
(৩ মার্চ)রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের একটি পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম টুলু। সে সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, জসিম, খোকনসহ আরও কয়েকজন তাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই সরফুদ্দিন বাদী হয়ে নয়জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমাণ হওয়ায় জাহিদুল ইসলাম, খোকন হোসেন, ইলিয়াস আলী, জসিম উদ্দিন ও সেলিম হোসেনকে এ সাজা দেন বিচারক।
মন্তব্য করুন
তেজগাঁও থানা পুলিশ রাজধানীতে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে । এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- আব্দুল আজিজ (২৮), মো. সাহিদুল ওরফে জাহিদুল ইসলাম (৩০) এবং মো. রমজান আলী (৪৫)। এদের মধ্যে আজিজ ও জাহিদুল সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এছাড়া রমজান ও আজিজ পরস্পর বেয়াই।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা বাদাম বিক্রির আড়ালে গাঁজা বিক্রি করতেন । বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব গাঁজা প্যাকেটজাত করা হতো ।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেফতার তিনজনই তেজগাঁওয়ের চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা শুধু গাঁজা বিক্রি করতেন। গ্রেফতার আজিজের বিরুদ্ধে ২৮টি, রমজানের বিরুদ্ধে ৭টি এবং জাহেদুলের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে।
ওসি আরো বলেন,সাধারণত বাদাম বিক্রির আড়ালেই এসব গাঁজা বিক্রি করা হয়। তারা তেজকুনি পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় গোপনে গাঁজার ব্যবসা করতেন। গাঁজা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছে সেই বাসা গাঁজার আড়ৎ নামে পরিচিত। তারা সেখানে গাঁজাকে বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব প্যাকেটজাত করে রাখতেন। এরপর খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে কিনে নিতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনুমানিক ২ কেজি পরিমাণের এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি মহসীন।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি
কুমিল্লা মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেছে ।
শনিবার বিকেলে মাদকবিরোধী এ টাস্কফোর্স অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করা হয়
।
আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো: মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর নির্দেশনায় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক কাজী দিদারুল আলম এর সার্বিক তত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন নিশ্চিন্তপুর বাজারে পরিচালিত এ টাস্কফোর্স অভিযানে ডিএনসি-কুমিল্লা, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের অংশগ্রহণে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন মোসা: মিলন বিবি (৬৩) কে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় ।
আসামীর
বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান ।
মন্তব্য করুন
পাবনায় কারাগারে থাকা কয়েদিদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
তারা হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তৌফিক ইমাম খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু, গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মুতাই এবং আসাদুজ্জামান সুইট। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি।
এ ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ পাঁচ আসামিকে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) অন্য জেলার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পাবনা জেলার জেল সুপার মো. ওমর ফারুক বলেন, কয়েকদিন ধরেই কারাগারে থাকা অন্য সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলেন তারা। সবশেষ ৩ মার্চ বিকেলে এই পাঁচ কয়েদি কারাগারের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলেন।
এ ঘটনার পরে শাস্তিস্বরূপ কয়েদি তৌফিক ইমাম, শেখ লালু ও আসাদুজ্জামান সুইটকে রাজশাহী এবং মুতাই ও অন্যজনকে নওগাঁ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
পাবনা জেলার জেল সুপার আরো বলেন, বিগত সময়ে তারা বাইরে যেমন বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলেছেন ও চলেছেন, কারাগারেও তেমনই চলছিলেন। ফলে ঝামেলাটা বাঁধে। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কারাগারে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৪ মার্চ বিকেলে তাদের রাজশাহী ও নওগাঁ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছ ধরার দায়ে অর্ধশত জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ৩১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট শওকত জামিল চৌধুরী ।
বুধবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘন্টার অভিযানে জেলেদের সাথে থাকা ৩ টি বেহুন্দিজাল, ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৭টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও ১০ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনের মামলায় বাদী নিজস্ব কোনো আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজন হয়না। কেননা ফৌজদারি কার্যবিধির
৪৯২ ধারা অনুযায়ী তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী পেয়ে থাকেন। তবে বাদী যদি নিজে আইনজীবী
নিয়োগ দিতে চান সে ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই।
বিষয়টি স্পষ্ট করতে হাইকোর্ট
বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে. এম. তোফায়েল হাসানের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যা সুপ্রিম কোর্টের
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য মতে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে
অভিযোগকারী/ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ
বিভিন্ন সমস্যা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন,
২০০০ এর ২৫ ধারায় বর্ণিত বিধানাবলী মোতাবেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে
কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির
বিধানাবলী প্রযোজ্য হয় এবং ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি
পাবলিক প্রসিকিউটর বলে গণ্য হন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী (ভিকটিম) ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং
৪৯৫ ধারার বিধানাবলী অনুসরণ করে ভিকটিম বা অভিযোগকারী তার পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী
নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন বলে বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো।
মন্তব্য করুন
১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা করে ট্রাফিক
বিভাগ। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষে শুধু মিনিবাস চালকের সাজা হয়।
ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আ.জলিলের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়, ১৯৯২ সালের ১৪
অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় তেজগাঁও পলিটেকনিকের কাছে সাতরাস্তার মহাখালী রোডে একটি মিনিবাস
দ্রুতগতিতে ও বেপরোয়াভাবে চালিত হয়ে একটি বেবিটেক্সিকে ধাক্কা দেয়। এতে বেবি চালকসহ
যাত্রীরা আহত হন। এক যাত্রী ও চালক হাসপাতালে ভর্তি হন। মিনিবাস চালক পালিয়ে
যায়।
মামলার তদন্তকালে বেবি চালক কলিমউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। তদন্ত শেষে মিনিবাস চালক
সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
সেই সাজা থেকে রেহাই পেতে আপিল ও রিভিশন করেন বাস চালক সেলিম। ৩২ বছর শেষে অবশেষে
হাইকোর্ট তার সাজা বহাল রাখেন।
২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়টি দিয়েছেন বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট
বেঞ্চ। সম্প্রতি এই রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো.আশেক মোমিন,
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার।
তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
শওকত আলীর আদালত রায় দেন। রায়ে সেলিমকে পৃথক ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক
হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। জামিনে থাকা সেলিম রায়ের সময় পলাতক
ছিলেন।
পরে মহানগর দায়রা আদালতে আপিল করা হয়। ৩৫৬৯ দিন পর এ আপিল করা হয়। ২০০৫ সালের
৩০ নভেম্বর আপিলটি গ্রহণ না করে সরাসরি খারিজ করেন মহানগর দায়রা জজ মো.মমিন উল্লাহ।
পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন সেলিম। শুনানি শেষে ২০২৩
সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে রিভিশন খারিজ করে হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বহাল রাখেন।
রায় পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আসামিকে
গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নাশকতার অভিযোগে নয়জন আটক করা হয়েছে। তবে রেলের ঠিক কোন কোন ঘটনায় তারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানায়নি র্যাব।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ বলেন, বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সম্প্রতি নেত্রকোনা থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনে আগত একটি ট্রেনের বগিতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় একজন মা-শিশুসহ ৪ জন নিহত হোন। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহযোগিতায় সন্ধ্যা থেকে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, আটকরা সামান্য কিছু উৎকোচের বিনিময়ে চলমান হরতাল অবরোধকে কেন্দ্র রেললাইন ও ট্রেনে নাশকতা করতো। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি- এরা কোন কুচক্রী মহলের হয়ে স্বল্প টাকার বিনিময়ে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে থাকে। তারা বিভিন্ন জায়গাতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক আরো বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে আমরা রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবো। যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রেনের যাত্রীরা নিরাপত্তা নিশ্চিত অনুভব না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভবিষ্যৎতে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা আছে কি না এবং বাড়তি কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মোসতাক আহমদ বলেন, প্রথমে বাস-ট্রাকের ওপরে অগ্নি-সন্ত্রাস ছিল। কিন্তু অতি সম্প্রতি সময়ে তা রেলের ওপরেও এসেছে। যার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।নাশকতাকারীরা এ ধরনের কাজ করে কখনো রেহাই পাবে না। বিভিন্ন রেলস্টেশনে আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছে। ট্রেন আসা ও যাওয়ার সময় নজরদারি করা হচ্ছে।
ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেফতার বা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করবো। সেই সঙ্গে আমাদের অভিযান অব্যাহত। আমরা মূলহোতা কিংবা অগ্নিকাণ্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করলে আপনাদের জানবো।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুন চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই রেলের যাত্রী ছিলেন। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঘটেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে বাসের চাপায় নারী-শিশুসহ চার পথচারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিল এলাকায়
মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একুশে পরিবহন নামে একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতুলী এলাকার দিলবাল নেছা (৫০), শাহিনুর আক্তার (২৪), রাইসা (১.৫), সায়মা (৩)।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি, সোমবার রাত ৮ টার দিকে মহাসড়কের পার হচ্ছিলেন যাচ্ছিলেন শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। পরে, শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
১৮মে ভোররাতে চৌদ্দগ্রাম থানায়
কর্মরত এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্সসহ চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র,
মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন ।
ডিউটি করাকালীন সময় গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার ঘোলপাশা ইশানচন্দ্রনগর দীঘির উত্তর পাড় কাশেম ষ্টোর এর সামনে চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ০১টি কাভার্ডভ্যান আসতে
দেখে সন্দেহ হলে কাভার্ডভ্যান থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ দেখতে পেয়ে কাভার্ডভ্যানের
ভিতরে থাকা অজ্ঞাতনামা চালকসহ আরও ২জন কাভার্ডভ্যান থামিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
তখন আশপাশে উপস্থিত লোকজনের
এর উপস্হিতিতে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশী করে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং কাভার্ডভ্যানটি
জব্দ করা হয়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন