প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরে অভিবাসন ও বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আগামীকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সফর। এই সফরে অনেকগুলো সমঝোতা স্বাক্ষর হবে। এই সফরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হবে। সফরের মূল ফোকাস অভিবাসন নিয়ে আলাপ, দ্বিতীয় ফোকাস হচ্ছে বিনিয়োগ।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচবি শফিকুল আলম বলেন, মালয়েশিয়া আমাদের জনশক্তি খাতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। আমরা আমাদের অভিবাসন এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারি-যাতে মালয়েশিয়া আমাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক জনশক্তি নেয়। এগুলো নিয়ে কিছু আলাপ হবে এবং এটার আলোকে কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তিনি বলেন,মালয়েশিয়ার বড় বড় যেসব কোম্পানি আছে—তাদের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা হবে। আগামী ১২ আগস্ট একটি বিজনেস কনফারেন্স আছে। এরপর ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাকে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম) সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। এই অনুষ্ঠানে আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম উপস্থিত থাকবেন । মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১২ আগস্ট একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আছে। সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে সুসম্পর্ক আছে, সেটা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক শাহ আসিফ রহমান বলেন, আগামী ১১ থেকে ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল যাচ্ছেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বিন হারুন।
তিনি আরও জানান, সফরের প্রথম দিন প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে, সেখানে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল প্রধান উপদেষ্টাকে গ্রহণ করবেন। ১২ আগস্ট পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। বৈঠকের পর দুদেশের প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হবে তা হলো প্রতিরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতা; এলএনজি ও পেট্রোলিয়াম সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণসহ জ্বালানি সহযোগিতা; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ মালয়েশিয়া (আইএসআইএস); বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) ও চিপ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মিমোস (এমআইএমওএস) এর সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক চেম্বার এফবিসিসিআইর সঙ্গে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়িক চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা।
সম্ভাব্য এক্সচেঞ্জ নোটগুলো হলো হালাল ইকোসিস্টেম, দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং উচ্চ শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ক নথি সই।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ
আলম বলেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলচ্চিত্র সংরক্ষণে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে উদ্যোগ
নিতে হবে। এর জন্য প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ
ফিল্ম আর্কাইভ পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সম্ভাবনার
কথা উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক দলিলাদি এবং দেশি বিদেশি
চলচ্চিত্র সংরক্ষণে ফিল্ম আর্কাইভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রামাণ্যচিত্র সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিল্ম আর্কাইভকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি কেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র
সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। আর্কাইভে মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের সাক্ষাৎকার
ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র সংরক্ষণেরও তাগিদ দেন তিনি।
ফিল্ম ম্যাগাজিন সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ
করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন
গ্রন্থাগার থেকে গত ৫০ বছরের ফিল্ম ম্যাগাজিন
সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা
অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন থেকেও চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট প্রমাণক
সংগ্রহ করতে হবে।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, বর্ষীয়ান
ও গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের লেখা ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। আর্কাইভে
সংরক্ষিত সকল ফিল্মের ডিজিটাল ক্যাটালগ প্রস্তুত করতে হবে। এর ফলে চলচ্চিত্র গবেষক
ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। উপদেষ্টা ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের পক্ষ
থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল। বক্তব্যে তিনি ফিল্ম আর্কাইভের
কার্যক্রম, সীমাবদ্ধতা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
উক্ত সভায় ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক
ফারহানা রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভার পূর্বে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হল, ফিল্ম মিউজিয়াম, ফিল্ম হাসপাতাল, ফিল্ম ভল্ট ও লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর
যাত্রাবাড়ি এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ,
কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীর মধ্যে হামলা, মারধর ও
সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন,
‘ভাঙচুরসহ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারা জড়িত, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং
আগামীতে এ ধরনের ঘটনাকে কোনোভাবেই টলারেট করা হবে না। সংঘর্ষ এড়াতে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কোনোভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ না হয়,
সেজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু কোনোভাবেই সংঘর্ষ এড়ানো
যায়নি।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি
এসব কথা বলেন।
এ
সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল
আলম উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের
মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, সামাজিকমাধ্যমে
বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা দেখেছি,
তিনজন নিহত হওয়ার একটি খবর রটেছিল। তবে এখন পর্যন্ত কারও নিহত হওয়ার কোনো
সংবাদ আমরা পাইনি। নানা মাধ্যমে চেষ্টা করেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠিত কোনো
গণমাধ্যমেও এ ধরনের খবর আমরা পাইনি।
তিনি
বলেন, তবে
অনেকেই আহত হয়েছেন, হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছেন। এটি আমরা জানতে পেরেছি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি
উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা
বলেন, আমরা
বারবার আহ্বান জানাচ্ছি ছাত্ররা যেন কোনো প্রকার উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য সহকারে
তাদের যেকোন সমস্যা কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে। কিংবা প্রয়োজন হলে
সরকারও এর মধ্যে অংশীভূত হতে পারে।
মাহবুবুর রহমান কলেজের হামলার ঘটনা নিয়ে কাজ করার সময় জানতে পারলাম যে ৬ দিন
আগ থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। একজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সঠিক
চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগে এই ঘটনা শুরু হয়,
অভিযোগ ছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখানে সোরহাওয়ার্দী কলেজ
কীভাবে এলো সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এক
প্রশ্নের উত্তরে আসিফ মাহমুদ বলেন,
বিগত দিনগুলোতে পুলিশ যেকোন সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য রাবার বুলেট বা গুলি ছুড়তো।
এটা কোনো আন্তর্জাতিক প্রাকটিস না। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
অপর
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,
কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পেছনে কারা জড়িত এ বিষয়ে অনেক ধরনের
তথ্য আসছে। জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানাতে পারবো কারা এর
পেছনে জড়িত আছে।
দেশে অস্থিরতা তৈরির জন্য পরিকল্পিতভাবে যড়যন্ত্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার সফলভাবে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাক, এটা তো অনেকে চাচ্ছে না, বিশেষ করে বিগত দিনের ফ্যাসিস্ট সরকার নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি
বলেন, সরকারের
কার্যক্রম নস্যাত করতে এবং সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য
এসব করা হচ্ছে।’ তবে
যারা দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে এসব করছে তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে
বলে তিনি জানান।
পরিকল্পিত
যড়যন্ত্র ও অপপ্রচার রুখে দিতে বিল্পবী চেতনার রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে
দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের কাছে
আহবান থাকবে যেহেতু আমরা একটা অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে আছি। সকলের ভেতরে
বিপ্লবী চেতনা আছে, উত্তেজনা
আছে সেটা যেন আমরা ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করি।'
তিনি
আরো বলেন, 'আমরা
সচেতনতা সবদিক থেকে তৈরি করি এবং রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এখানে অনেক
ভূমিকা নেওয়ার আছে। গণঅভ্যুত্থানে যেমন আমাদের মধ্যে ঐক্য ছিল- আমরা মনে করি
বর্তমান পরিস্থিতিতেও সকলের ঐক্যের ভিত্তিতে এসব রুখে দিতে হবে। মিথ্যা
প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে রাজধানীতে জড়ো করা
হয়েছিল। যে সংগঠনের ব্যানারে সাধারণ মানুষ ঢাকায় আনা হয়েছিল, সেই সংগঠনের
প্রধানকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে।
মন্তব্য করুন
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, মাগুরার সেই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচার আগামী সাতদিনের মধ্যে শুরু হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা জানান।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক আয়ুবের্দিক চিকিৎসকের মৃত্যু ঘটে।
নিহত চিকিৎসক আবু নুর মোহাম্মদ মাসুম (৩৮) লক্ষীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। এ দুর্ঘটনায় নিহতের ভাই মাসুদ রানা (৫০) আহত হয়।
আজ সকালে নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মাসুমের অনেক জায়গায় আয়ুবের্দিক চিকিৎসার চেম্বার ছিল। সকালে তারা দু'ভাই অ্যাম্বুলেন্সযোগে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে অ্যাম্বুলেন্সটি নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সের সামনে থাকা ব্যানারটি তাদের গাড়ির চাকায় পেঁচিয়ে পুরো রাস্তাজুড়ে মাঝামাঝি ভাবে দাঁড়িয়ে যায়। ওই সময় পিছনে থাকা ক্যাভার্ড ভ্যানটি তাদের অ্যাম্বুলেন্সে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে অ্যাম্বুলেন্সটি উড়ে গিয়ে রাস্তার উল্টো পাশে পড়ে নোয়াখালী মুখি হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্র হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন ঘটনার পরপরই ঘাতক কাভ্যার্ড ভ্যানটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বলেছেন, লেখাপড়া করে মেধার ভিত্তিতে যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী, অর্কিটেক্ট হতে হবে তেমনি
পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পী তৈরী করতে হবে। কারণ,একজন পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পীও
তার পেশার মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) লালমনিরহাটের
বড়বাড়ীতে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল
প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এটি ছিল ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল
টুর্নামেন্ট’র
৬ষ্ঠ তম আসর।
তারেক রহমান বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচার
বিদায় করেছে। এখন দেশ গড়ার পালা। এ প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ গড়তে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। দেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র
হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আগামীদিনে পেশাদার খেলোয়াড় তৈরী করতে
হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশপাশি ভাল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পী তৈরির কাজ
করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে জনপ্রিয় খেলাগুলো বাছাই করে আমরা দেশের তরুণ সমাজের
মধ্যে থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করবো। বাইরের দেশের খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীলতা
কমাতে হবে। সবকিছু হবে সরকারিভাবে।
এ প্রসঙ্গে, উদাহরণ হিসেবে শহিদ জিয়ার
আমলের ‘নতুন কুড়ি’
অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাল সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্ব এবং ভাল শিল্পী বের করে আনা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী
বেবী নাজনীন ‘নতুন কুড়ি’-ই
ফসল।
তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবে ভাল খেলোয়াড়
বের করে আনতে আমাদেরকে ৮ থেকে ১০ টি খেলা পছন্দ করে এসব খেলার ওপর জোর গুরুত্ব দিতে
হবে। যিনি যে ধরণের খেলায় ভাল করবেন, তাদেরকে সেই খেলায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। যাতে
করে আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে আমাদের খোলোয়াড়রাও ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে।’
বিএনপি’ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যার বলেন,‘জনগণের ভোটে যদি ক্ষমতায় আসতে
পারি তাহলে আমরা সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজের সাথে-সাথে খেলাধুলা
ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ওপরও জোর দেব। মেধাবী ডাক্তার, প্রকৌশলী, আর্কিটেক্ট বানানোর
পাশাপাশি ভালো রাজনীতিবিদ, ভালো খেলোয়াড় ও শিল্পী তৈরী করতে পারি সেই চেষ্টা করবো।
তারেক রহমান আরও বলেন, যে ব্যক্তি যে
বিষয়ে মেধাবী, তার মেধাকে মূল্যায়ন করে সেই বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। সবাইকে নিয়ে নতুন
বাংলাদেশ তৈরি করবে বিএনপি।
‘আমরা যদি বিভিন্ন খেলায় পেশাদার খেলোয়াড়
এবং ভালো সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পী তৈরী করতে পারি’ তাহলে ওইসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে বলেও
তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ
আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে গত ১২ নভেম্বর শুরু হয় শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট। বিএনপির
রংপুর বিভাগের ১০টি সাংগঠনিক দল এতে অংশগ্রহণ করে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পঞ্চগড় বিএনপি
একাদশ ও রংপুর মহানগর বিএনপি একাদশ’র
মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারে এক শূন্য গোলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি একাদশ
বিজয় লাভ করে।
‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র
রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পদক আসাদুল হাবিব দুলু।
অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী
এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ ও ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনুষ্ঠানে
বক্তৃতা করেন ।
মন্তব্য করুন
নারী ও শিশু নির্যাতন
আইনে ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়ার অধিকার রাখবো না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ রবিবার (৯ মার্চ)
আইন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ
নজরুল বলেন, ধর্ষণ মামলায় যদি ৯০ দিনের মধ্যে বিচার না হয়, তাহলে এই মামলায় কাউকে জামিন
দেওয়া যাবে না। আগে ছিল ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিন দেওয়া যেতো। এখন থেকে ধর্ষণের
মামলার ক্ষেত্রে কোনো জামিন দেওয়া হবে না। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে যদি কোনো রকমের
গাফলতি থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন নেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন
সংযোজন করা হবে। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে ডিএনএ
সার্টিফিকেট লাগতো। আমাদের দেশের সব জায়গায় ডিএনএ সার্টিফিকেট দেওয়ার সুবিধা নেই। এজন্য
ধর্ষণ মামলার বিচার অনেক দেরি হতো। এজন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে একটা সংশোধনী
আনবো যে, উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করে যে শুধু মাত্র মেডিকেল সার্টিফিকেটই
মামলার বিচার ও তদন্ত কার্যক্রম চালানো সম্ভব তাহলে সে রকম ব্যবস্থা নিতে পারবে, বলেন
উপদেষ্টা।
আইন উপদেষ্টা আর বলেন,
যেসব স্থানে আসামিরা হাতেনাতে ধরা পড়বে সেখানে ডিএনএ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য সময়ক্ষেপণ
রোধকল্পে এই পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি। অতিদ্রুত জেলা পর্যায় ডিএনএ টেস্ট নেওয়ার জন্য
ল্যাবরেটরি তৈরি করা হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। অতঃপর তিনি আর্মি মেডিকেল কলেজের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনসহ বৃক্ষরোপণ করেন। পরে তিনি সকল পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন। এসময় তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের শুরুতেই শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশমাতৃকার সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁর জন্য গর্বিত। এরপর সকলের উদ্দেশ্যে দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের আস্থার প্রতীক। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি সততা, সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি রিজিয়নের নানিয়ারচর জোন সদর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা প্রদানসহ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী প্রধানের আগমন পার্বত্য চট্টগ্রামে মোতায়েনরত সেনাসদস্য এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মনোবল উঁচু করেছে। এছাড়াও তিনি পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ অসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, সেনাসদরের চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসি'সহ সেনাসদর ও চট্টগ্রাম এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আগামী সোমবার বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান
ঈদের জামাতে সর্বস্তরের শত শত মুসল্লিদের সাথে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো: জয়নাল আবেদীন আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্রপতি তার পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তাদের নিয়ে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার নামাজ জাতীয় ঈদগাহে
সকাল সাড়ে ৭টায় আদায় করবেন।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি,
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ
বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
সোমবার রাষ্ট্রপতি ঈদগাহে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের
(ডিএসসিসি) মেয়রসহ সংশ্লিষ্টরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপ্রধান ঈদগাহে মুসল্লিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
তবে প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব
না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন আর
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় ঈদগাহে নারীদেরও ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা সকাল সাড়ে
১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
করবেন।
বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাবেন তিনি। পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটাবেন।
মন্তব্য করুন
আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সেনাসদরে
সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি
দল।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব 'শুভ প্রবারনা' অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিবর্গ উৎসবটি অত্যন্ত ধর্মীয় মর্যাদায়
ও ভাবগম্ভীর্যে উদযাপন করে থাকেন। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৌদ্ধ পল্লী, জনপদ
ও বিহার গুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিবিধ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। উক্ত উৎসব চলাকালীন শান্তি-শৃঙ্খলা
ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি
দল সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য সেনাবাহিনী
প্রধানকে আমন্ত্রণ জানান। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে
'শুভ প্রবারনা' ও 'কঠিন চীবরদান' উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের
অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব সমূহ
পালন করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান
করেন এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বর্তমানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থেকে পূজামন্ডপ সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশী তার নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসবসমূহ অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করবেন- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন
আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে
সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির
সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি
বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ (বুধবার) দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড
নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট
হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ড গঠন
করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে যেহেতু
একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি
সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন
আইন তা অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন
করবো। ২০২৩ সালে যে আইন রয়েছে সেটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে।
সেই আইনটিও নানা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করবো। সে প্রস্তাবনা
তৈরি করা হবে। যেহেতু প্রচুর সিনেমা পেন্ডিং রয়েছে সেগুলোকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা
করার জন্যই যে সার্টিফিকেশন বোর্ড সেটি পুনর্গঠন করা হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন
আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে একটা সার্টিফিকেশন
বোর্ড করবো, সেন্সরবোর্ডকে পুনর্গঠন করে।
কেন এটি পরিবর্তন করতে হচ্ছে জানতে
চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের যারা আছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরশিপের
বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। তাদের এক ধরনের একটিভিজমের জন্যই কিন্তু সার্টিফিকেশন আইনের
কথা ভাবা হয়েছিল বিগত সময়ে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা ছবি পরিচালনার কাজগুলো চলমান রাখবো।
মন্তব্য করুন