

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে ফুয়েল লোডিং শুরু হলে চলতি বছরের শেষ দিকেই স্টার্ট-আপ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ (অর্থাৎ জ্বালানি প্রবেশ করানো) প্রস্তুতি যাচাই করতে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বায়েরা), রাশিয়ার ভিও সেফটি এবং রাশিয়ার অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দল ৭ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় বিস্তৃত পরিদর্শন পরিচালনা করে।বায়েরা চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান ২৬ নভেম্বর ইত্তেফাক ডিজিটালকে পরিদর্শন কার্যক্রমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, সাধারণত এ ধরনের পরিদর্শনের চার থেকে ছয় সপ্তাহ পরে জ্বালানি লোডিংয়ের অনুমোদন মিলতে পারে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে ইউনিট-১–এ পারমাণবিক জ্বালানি লোড করা সম্ভব হতে পারে। ফলে বছর শেষেই রূপপুর প্রকল্পের স্টার্ট-আপ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল)–এর মানবসম্পদ, প্রকল্পে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, বিভিন্ন কারিগরি সিস্টেম ও ফ্যাসিলিটি এবং পরিচালন-সংক্রান্ত নথি বিশেষজ্ঞ দল বিশদভাবে পরীক্ষা করেছে।
এছাড়া কমিশনিং অগ্রগতি, স্থাপনা পরিদর্শন, স্টার্ট-আপ প্রটোকল, সমন্বয় নথি ও সনদপত্রও তারা মূল্যায়ন করেন।
ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ প্রক্রিয়া দেখভাল করেন এনপিসিবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাসান এবং পুরো পরিদর্শন কার্যক্রম সমন্বয় করেন সংস্থার প্রধান পরিদর্শক মো. ইয়ামিন আলী।
এ পর্যায়েই প্রথমবারের মতো রিয়্যাক্টরে পারমাণবিক জ্বালানি স্থাপন করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে পাওয়ার স্টার্ট-আপ প্রক্রিয়া শুরু হয়—যার মাধ্যমে রিয়্যাক্টরের বিভিন্ন সিস্টেম পরীক্ষা, নিরাপত্তা যাচাই এবং সীমিত পর্যায়ে পারমাণবিক বিক্রিয়া চালানো হয়. এছাড়া এনপিসিবিএল ও রসএনার্গোএটম নিয়মিতভাবে স্ব-মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।বিশেষজ্ঞ দল সামগ্রিক অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আরও জোরদার করার জন্য কয়েকটি সুপারিশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন শেষ হলে প্রতিবেদন বায়েরা-কে পাঠানো হবে, যেটি সন্তোষজনক মনে হলে ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ ও ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।বায়েরা চেয়ারম্যানের মতে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অগ্রাধিকার রেখে ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ প্রস্তুতি যাচাই করা হয়েছে। রাশিয়ার রেগুলেটরি অথরিটি এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সুপারিশ পাওয়ার পরই বায়েরা চূড়ান্ত অনুমতি দেবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য বায়েরা ছাড়াও রুশ জেনারেল ডিজাইনার, রিয়্যাক্টর প্ল্যান্ট ডিজাইনার (Hydropress), রাশিয়ার জাতীয় পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ‘কুরচাতভ ইনস্টিটিউট’ এবং ভিও সেফটি-র মূল্যায়ন প্রতিবেদন অপরিহার্য।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গবনের দরবার হলে প্রায় ৪০০ অতিথির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি।
ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ।
এদিকে ঢাকার বাইরে থাকায় উপদেষ্টার শপথ নেননি তিনজন। তারা হলেন- বিধান রঞ্জন রায় (চিকিৎসক), ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) ও সুপ্রদীপ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত)।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদে যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব ও পরিচয় প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো:
১.
ড.
মুহাম্মদ
ইউনূস
ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। সেখান থেকে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। পরে ওই ব্যাংককে সাথে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেই থেকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।
২. সালেহউদ্দিন আহমেদ
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর (দরিশ্রীরামপুর) গ্রামে তার জন্ম। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স পাস করেন এবং ১৯৬৯ সালে একই বিষয়ে এমএ পাস করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে কানাডার হ্যামিল্টন শহরে অবস্থিত ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
৩. ড. আসিফ নজরুল
আসিফ নজরুলের জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৬৬। তিনি একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯৯ সালে সোয়াস (স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ) ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময় জার্মানির বন শহরের এনভায়রনমেন্টাল ল সেন্টার থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে একজন কমনওয়েলথ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯১ সালে আসিফ নজরুল একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করতেন। তিনি কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন।
৪. আদিলুর রহমান খান
আদিলুর রহমান খানের জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২। একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। আদিলুর রহমান এবং সুশীল সমাজের অন্য সদস্যরা ১০ অক্টোবর, ১৯৯৪ সালে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার কর্তৃক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২০১৩ সালের শাপলা স্কোয়ার বিক্ষোভের সময় নেতাকর্মীদের অপসারণের অভিযানে নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর’ জন্য খানের বিরুদ্ধে ঢাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
৫. এ এফ হাসান আরিফ
আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। আরিফ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
হাসান আরিফ অক্টোবর ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি জানুয়ারি ২০০৮ থেকে জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।
৬. তৌহিদ হোসেন
মো. তৌহিদ হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ সালে। তিনি একজন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন।
৭. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের জন্ম ১৫ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’ এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’ প্রাপ্ত এবং ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকীর ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী।
৮. মো. নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। নাহিদের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। তার বাবা শিক্ষক। মা গৃহিণী। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
৯. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।
১০. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
এম সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে। তিনি একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার (২০০৭-২০১২)। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত)।
১১. সুপ্রদীপ চাকমা
সুপ্রদীপ চাকমা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা। এ ছাড়া রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা ও কলম্বোতে বাংলাদেশ মিশনেও তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
১২. ফরিদা আখতার
ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক তিনি।
১৩. বিধান রঞ্জন রায়
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ছিলেন তিনি।
১৪. আ ফ ম খালিদ হাসান
আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন (যিনি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন নামে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলাদেশি সুন্নি দেওবন্দি ইসলামী পণ্ডিত। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক।
১৫. নুরজাহান বেগম
তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৬. শারমিন মুরশিদ
ব্রতী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ।
১৭. ফারুক-ই-আজম
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত ওই অভিযানিক দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান। ৬ মে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এই অবস্থায় তিনি একদিন শুনলেন, নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হবে। তিনি লাইনে দাঁড়ালেন। টিকে গেলেন। পলাশীতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১ আগস্ট অপারেশনের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়।
মন্তব্য করুন


ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।
সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সুপারিশপ্রাপ্ত এ শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত
বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও
চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ
হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লাফেভ বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন।
হেলেন লাফেভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।
‘চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়,’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি করব।’
এসময় একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ‘আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুবই গর্বিত।’
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে উত্তর আমেরিকার দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করছে।
আলোচনায় বিচারিক সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্বৈরচারী সরকার আমলে বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা, বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং শ্রম সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।
তাঁর সরকার ব্যাপক শ্রম সংস্কার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।
মন্তব্য করুন


শিক্ষাখাতে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই জাতির উদ্দেশ্যে তার প্রথম ভাষণ।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করে গেছে বিগত সরকার। আমরা তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেবো। এটা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা জানেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল, নিরাপদ ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমকেও যুগোপযোগী করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে।
তার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হবে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সবাই এ দেশের নাগরিক। সমান আইনের সুরক্ষার অধিকারী।
তিনি বলেন, তাদের সবার মানবিক অধিকারসহ অন্যান্য সব অধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য আমি উপদেষ্টা পদমর্যাদা-সম্পন্ন একজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছি, যার দায়িত্ব হবে জাতীয় সংহতি উন্নয়ন।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুক।
বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন, অবৈধ অভিবাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিমান ও নৌ খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের ইস্যু বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সময়মতোই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। গত ১৬ বছরের স্বৈরতন্ত্রের সময়ে টানা তিনটি ‘কাটাছেঁড়া’ নির্বাচনের কারণে তারা ভোট দিতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যক্রম স্থগিত থাকায় এবং পরে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে লাখো মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশে একটি ‘নতুন সূচনা’ করেছে।
ব্রিটিশ মন্ত্রী চ্যাপম্যান অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি জুলাই সনদ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপকেও ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের অপব্যবহার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তিনি নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাঁর সরকার নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আরও বেশি বাংলাদেশিকে বৈধ পথে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিতে উৎসাহিত করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুই নেতা মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ক্যাম্পের তরুণেরা আশা-আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ক্রমশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, তাদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, বঙ্গোপসাগরে গবেষণার জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা জাহাজ কিনছে।
মন্ত্রী চ্যাপম্যান দুদেশের বিমান যোগাযোগ আরও জোরদারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।
মন্তব্য করুন


দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও প্রাণ গেল ৩ জন । একই সময়ে নতুন করে ৯২৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৩৪৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৮৩ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ হাজার ৩৫৬ জন। তাদের মধ্যে ৬৬ হাজার ২৩৪ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়েন, আর মারা গেছেন ২৭৮ জন।
ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরাও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, “এখন সারা বছরই ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলেই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। তাই শুধু চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধেই জোর দিতে হবে।”
কীটতত্ত্ববিদ “ড. মনজুর চৌধুরী” বলেন, “মশা নিয়ন্ত্রণে শুধু জরিমানা বা সচেতনতা যথেষ্ট নয়। নিয়মিত জরিপ, পরিকল্পিত ব্যবস্থা আর প্রশিক্ষিত জনবল দরকার।” উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রেকর্ড ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন, মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন- যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মন্তব্য করুন


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম সকাল ১০টায় শুরু হবে ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠদান কর্মসূচি পরিবর্তন করে অফিস আদেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়, সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে আর ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা হলে ইতোপূর্বে জারি করা নির্দেশনা যথারীতি বহাল থাকবে।
গত ১৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিধায় যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, সেসব জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালকরা সংশ্লিষ্ট জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের একাডেমিক কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করতে পারবেন (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত)। আর এ আদেশের কার্যকারিতা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আদেশ জারি করে জানানো হয় যে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা যাবে।
মন্তব্য করুন


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সাথে আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি।
সাক্ষাৎকালে, সেনাপ্রধান আসন্ন ঈদে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ; লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডসমূহে নিরাপদ সেবা নিশ্চিতকরণসহ সকল সড়কে নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচল; শিল্পাঞ্চলের মালিকদের সাথে শ্রমিকদের বোঝাপড়ার ব্যবস্থাকরণ এবং সেনাবাহিনীর চলমান বিবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা'কে অবহিত করেন। এছাড়া, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে দেশের সকল সেনানিবাসে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন এবং আহত যোদ্ধা ও শহীদ যোদ্ধাগণের পরিবারবর্গকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টা'কে অবহিত করা হয়। পরিশেষে, সেনাবাহিনী প্রধান মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা'কে অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য করুন


আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে কোটচাঁদপুর শহরের বলুহর বাসস্ট্যান্ডের পাশে তালমিল এলাকায় ট্রাকচাপায় আনিসুর রহমান আনিস (৪৫) নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহত পুলিশ সদস্য্ কোটচাঁদপুর থানায় ওয়ারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার রামনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মহিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আনিস সকালে মহেশপুরে থাকা ভাড়া বাসা থেকে কোটচাঁদপুর থানায় ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তালমিল এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতব্বর জানান, দুর্ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা যাচাই করা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া ট্রাক ও এর চালককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন


বর্তমান পরিস্থিতিতে চলমান এইচএসসি
ও সমমানের অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার ফলাফল কীভাবে হবে, তা পরে
সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান
তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, এসএসসির ফলাফলের সঙ্গে সমন্বয়
করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের দাবিতে সচিবলায়ে বিক্ষোভ করেন এইচএসসির পরীক্ষার্থীরা।
সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। দুপুরের দিকে স্লোগান দিতে
দিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, বন্যা, কোটা সংস্কারসহ
নানা কারণে গত ৫ মাস ধরে পরীক্ষার মধ্যে আছেন। এ ছাড়া কোটা সমন্বয় ও সরকার পতনের এক
দফা আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। এমন পরিস্থিতিতে
বারবার পরীক্ষার পেছানোর ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাই আহতদের রেখে
এ বছর আর পরীক্ষা দিতে চান না তারা।
এ ছাড়াও তাদের এসএসসি ফলাফলের সঙ্গে
সমন্বয় করে দ্রুত এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের দাবিও জানান তারা।
মন্তব্য করুন