সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পিতবার (২৪ অক্টোবর) এই সিদ্ধান্ত হয়। উক্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
''শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার" এই প্রতিপাদ্যটিকে গুরুত্ব দিয়ে আইসিটি ফর এডুকেশন জেলা অ্যাম্বাসেডর ফোরাম নাঙ্গলকোটের উদ্যোগে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। করাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ আইসিটি ফর এডুকেশন অ্যাম্বাসেডর শিক্ষকদের সংবর্ধিত করা হয়।
সংবর্ধিত শিক্ষকরা হলেন- উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক বড় সাঙ্গীশ^র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফখরুল জসিম, শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষক (মাধ্যমিক) সঞ্জিত কুমার পাল সহকারী শিক্ষক চান্দগড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পক্ষে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদ উল্ল্যাহ।
চাটিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমাম হোসেনের সঞ্চালনা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরীফ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আনিসুর রহমান। এতে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন ঝিকুটিয়া ইসহাক মজুমদার আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আইসিটি ফর এডুকেশন এর অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চান্দগড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর লিটন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, হুসাইন আহমদ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পানকরা হাফেজা উচ্চবিদ্যালয় এর সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান, নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি অনার্স কলেজের প্রভাষক (আইসিটি) আনোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াছিন বাবুল, তাজুল ইসলাম মিলন, কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, নাজমা সুলতানা, আলমগীর হোসেন, ওমর ফারুক, রহিমা আক্তার, মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান।
আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
মন্তব্য করুন
জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান মালা-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে সেনাসদরের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, কুমিল্লা এরিয়ার ব্যবস্থাপনায় প্রায় দেড় হাজার অসহায় গরীব ও অসুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
সোমবার
(২৮ জুলাই) কুমিল্লা নগরীর শাকতলা এলাকার দ্যা
ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা সেনানিবাস হতে আগত মেডিসিন, সার্জারী, গাইনি, শিশু রোগ, অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ, মেডিকেল অফিসার ও প্যারামেডিক্স এর সমন্বয়ে বিশেষায়িত মেডিকেল দলের মাধ্যমে এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।
পুরুষ,
স্ত্রী ও শিশুসহ আনুমানিক প্রায় দেড় হাজার
স্থানীয় জনসাধারণকে বিনামূলো চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা
হয়েছে।
এছাড়াও একটি ফিল্ড অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাইনর অপারেশন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এই মহতী কার্যক্রমের পরিকল্পনা করায় স্থানীয় জনসাধারণ সেনাবাহিনীর প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির বিষয়ে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান,
ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি; নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ওএসপি,
এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান
মাহমুদ খান, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রমনা
কালী মন্দির পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান দুর্গাপূজা
উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন,
"বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশব্যাপী পূজামন্ডপসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য
সবসময় প্রস্তুত ও তৎপর রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য
নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ যেন
উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে, সেটি আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
আমরা অতীতের মতোই সকল ধর্মের মানুষদের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখব এবং
দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।"
নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান
বক্তব্যের শুরুতেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী পূজামন্ডপের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সকলের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ
পূজা উদযাপনের প্রত্যাশা করেন।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান
মাহমুদ খান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে
বিমান বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্কতায় দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি সকল ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সহযোগিতা ও
সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সেনাবাহিনী প্রধানের পত্নী সারাহনাজ কমলিকা
জামান পূজা উপলক্ষে উপস্থিত অন্যান্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সাথে
শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পূজামন্ডপ পরিদর্শনের সময় তিনি উপস্থিত সকলকে শারদীয়
শুভেচ্ছা জানান এবং পূজার আনন্দ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে একসাথে সময় কাটান।
পরিদর্শনকালে সশস্ত্র বাহিনী ও অসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধান কার্যক্রম
জোরদার করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, উচ্চশিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত
করা খুবই জরুরী। দেশব্যাপী উচ্চশিক্ষা বিস্তারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
সার্বিক তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাত
হয় ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের
প্রতিনিধিদলে ছিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ,
ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার এবং রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস
সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা
কার্যক্রমসহ নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
প্রেস সচিব আরো জানান, প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে
যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা যাতে উচ্চতর
ডিগ্রি অর্জন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই
লক্ষ্যে রাষ্ট প্রধান আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা
কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এরই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণে
কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি
দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মসূচি চালু করার ও পরামর্শ দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের
সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চার দিনব্যাপী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চারদিনের সম্মেলনে দুই দেশ সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। অপর দিকে বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশসহ হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহ্বান জানান। এ ছাড়া আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে সীমান্তে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সম্মেলনে যেসব বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ একমত হয়েছে, সেগুলো হলো—
১. সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা, আহত বা মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে, এমন তাৎক্ষণিক এবং আগাম গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের আর্থসামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং সীমান্তে যেকোনো হত্যা সংঘটিত হলে তার যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২. আলোচনায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা, কাঁটাতারের বেড়া, প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয়, এমন কোনো স্থাপনা বা বাংকার নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শক দলের পরিদর্শন এবং যৌথ আলোচনার দলিলের ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে যথোপযুক্ত পর্যায়ে জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের (যৌথ যাচাই) মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে।
৩. বিভিন্ন ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন, বিশেষ করে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও গবাদিপশু পাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধ এবং এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করা হবে।
৪. আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিক ও বাহিনীর সদস্যদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের ফলে সৃষ্ট ভুল–বোঝাবুঝি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে উভয় বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
৫. মানব পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশেষ করে মানব পাচারের মতো অমানবিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত উভয় দেশের অপরাধী বা দালালচক্রের কার্যক্রম প্রতিরোধে পরস্পরকে সহায়তা এবং মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত দেশের আইন অনুযায়ী উদ্ধার ও পুনর্বাসন করা হবে।
৬. উভয় পক্ষ ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার’ আওতায় পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ আগামী দিনে যৌথ খেলাধুলা, জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
৭. এ ছাড়া আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন, জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান এবং তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের দেখাশোনাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাইপাইলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত মো. রমজান আলীর পরিবারের সাথে সাক্ষাতকালে তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন,গণঅভ্যুত্থানের সময় যেভাবে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিলো, তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি, বাক্স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা শহীদ রমজান আলীর পরিবারের খোঁজখবর নেন। তাদেরসহ সব শহীদ পরিবারের মাসিক ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় শহীদ রমজানের পরিবার থেকে তার বাবা ও ছোট বোন উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ রমজান আলী নাটোরের সিংড়ায় স্নাতক শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। তার পরিবারের কেউ উপার্জনক্ষম না থাকায় বাইপাইলে একটি মাছের আড়তে কাজ করে তিনি পুরো পরিবারের খরচ চালাতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন তিনি আন্দোলনে অংশ নেন এবং ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
মন্তব্য করুন
তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, গোপালগঞ্জের বহু মানুষ আ. লীগ আমলে নিপীড়িত-বঞ্চিত
হয়েছেন।
আজ
শনিবার (১৯ জুলাই) তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে
এ আহ্বান জানান।
তথ্য
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারে সহযোগিতা করুন। কিন্তু,
নাগরিক হিসাবে সকলের মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন। কোনো এলাকাকে ঘেটো (একঘরে) বানানোর
চেষ্টা করবেন না। গোপালগঞ্জের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক
মানুষ নিম্নবর্গের হিন্দু। তারা লীগের আমলে নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছেন। আমাদের উচিত,
বাংলাদেশজুড়ে লীগের হাতে নিপীড়িত ও বঞ্চিতদের সাথে মৈত্রী করা। হাসিনার পরাজয় রাজনৈতিক না কেবল, নৈতিক ও বটে। নৈতিক
পরাজয়ের পর তার রাজনৈতিক পরাজয় ঘটেছিল। ফলে, আমরা হাসিনার বিরুদ্ধে গিয়ে নৈতিক উচ্চতা
হারাতে পারি না।
তিনি
বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর নূতন বাংলাদেশে আমরা মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা আর সুবিচারের
যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য।
ঐক্যের
আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, অনেকেই এখনও ভাঙার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু গড়ার
কাজে কাউকে পাওয়া যায় না। অথচ, পুরানো বন্দোবস্ত মচকে গেছে। এখন আর এটাকে ভাঙ্গা যাবে
না বরং ভাঙ্গতে গেলে আরো বেঁকে যাবে, বেঁকে যাচ্ছে। আবার যখন সময় আসবে তখন ভাঙ্গা যাবে।
কিন্তু এক্ষণে গড়ার কাজে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত। গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের অপ্রস্তুতি
ছিল, বিহ্বলতা আর অনভিজ্ঞতা মিলে আমরা ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্তের পূর্ণাঙ্গ বিলোপ ঘটাতে
পারিনি। কিন্তু, এ সুযোগে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী আকারে নিজেদের হাজির করা ও জবাবদিহিমূলক
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজটা করতে পারলে আমরা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ
বিলোপের পথে হাঁটতে পারব।
মন্তব্য করুন
শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন । শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটে শপথ নেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে তিনি তার গাড়িবহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
এর আগে বিএনপির নেতারা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
তার আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এরপর বিমানবন্দরে ড. ইউনূস বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারও ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকব না।
নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়করা) দেশকে রক্ষা করেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি করাকে স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যেজন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বতী সরকারের
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটিও গঠন হয়ে
গেছে। প্রজ্ঞাপনে হয়তো প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরও করেছেন। আজ অথবা কালকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন
জারি হবে। আমাদের নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর)
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা আসিফ
নজরুল বলেন, সার্চ কমিটি হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এরপর ভোটার তালিকা সংশোধন
করা হবে। ভোটার তালিকা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ছিল। আগের নির্বাচনগুলো ছিল ভুয়া। ফলে ভোটার
তালিকা নিয়ে কারও কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। আমরা তো ভুয়া নির্বাচন করব না। আমরা অসাধারণ,
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। ফলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর
সঙ্গে কথা বলে প্রধান উপদেষ্টা সবকিছু ঠিক করবেন।
মন্তব্য করুন