সিলেট সীমান্ত থেকে সাবেক বিচারপতি মানিক গ্রেপ্তার

সিলেট সীমান্ত থেকে সাবেক বিচারপতি মানিক গ্রেপ্তার
সংগৃহীত

সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় চ্যানেল আই-তে প্রচারিত টকশোতে মানিক ঔদ্ধত্য ও কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, অপমানজনক বক্তব্য ও আচরণ করেন, যা সারা দেশবাসী দেখেছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।

এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আদালতে মামলা করা হয়। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সাবেক বিচারপতি মানিক। তিনি বলেছিলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন পাকিস্তানের চর। জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর বক্তব্য দেন তিনি। যা প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। তার এমন মন্তব্যে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিশেষ করে

মামলার বাদী রবিউল হাসান পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক বিচারপতি মানিক জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তাই এই মামলা দায়ের করেছি।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।

বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।  

নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

স্বামীর থাপ্পড়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর

স্বামীর থাপ্পড়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর
সংগৃহীত

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় স্বামীর থাপ্পড়ে লাভলী বেগম (৪০) নামে ১ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী জোবায়েরকে (৪৫) আটক করেছে ।

আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের মোক্তারটারী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক জোবায়ের ওই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত লাভলী বেগম বাড়িতে চিকিৎসা করছিলেন। বুধবার দুপুরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় জোবায়ের লাভলী দম্পতির। এ সময় শাসন করতে জোবায়ের তার স্ত্রী লাভলী বেগমকে ২টা থাপ্পড় দেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরে মরদেহের পাশে বসে অনুতপ্তে কান্নায় ভেঙে পড়েন জোবায়ের। খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ লাভলীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং জোবায়েরকে আটক করে।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেছেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হচ্ছে। নিহতের স্বামী জোবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্তের পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

আইনজীবীদের পরতে হবে না কালো কোট গাউন

আইনজীবীদের পরতে হবে না কালো কোট গাউন
সংগৃহীত

বাধ্যবাধকতা স্থগিত করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রধান বিচারপতির নেওয়া এ সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।  বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।  

সিদ্ধান্ত অনুসারে, দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত-ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা এবং আইনজীবীরা ক্ষেত্রমত সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।  

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

বমি পার্টির গুরু গ্রেফতার

বমি পার্টির গুরু গ্রেফতার
সংগৃহীত

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিশ্চিত করেছেন,বমি পার্টির গুরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।


রাজধানীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মো. স্বপন প্রকাশ ওরফে চোরা স্বপন (৫২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


চোরা স্বপন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাসে যাত্রীবেশে উঠে বমি করে যারা ছিনতাই করে তাদের কাছে ‘গুরু স্বপন’নামে পরিচিত চোরা স্বপন। 


স্বপন বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আয়নাল ফকিরের ছেলে। তিনি চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি একসময় চুরি করতেন। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার আটকও হন। এ কারণে গ্রামে সবাই চোরা স্বপন নামেই চেনে তাকে।


ওসি মহসীন আরো বলেন, গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে তিনি ছিনতাই শুরু করেন। প্রথমে অন্য দলের সঙ্গে থাকলেও পরে নিজেই দল গঠন করেন। এরপর তিনি নিজেই বমি পার্টি করেন। তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে ওঠেন। বাসে প্রথমে কৃত্রিম জটলা তৈরি করেন, এরপর কেউ একজন কৃত্রিম বমি করেন। বমি করার পর বাসের মধ্যে এক ধরনের হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। সে সুযোগে এই গ্রুপের সদস্যরা যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যান। তারা চকলেট এবং পানির বিশেষ মিশ্রণে কৃত্রিম বমি করতেন বাসে থাকা যাত্রীদের শরীরে।


তবে কৃত্রিম এই বমি কিন্তু সবাই করতে পারে না। এই বিশেষ বমি করার প্রশিক্ষণ দেন স্বপন। তাই তাকে এই ধরনের ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা গুরু স্বপন নামেই ডাকেন  ।


ওসি বলেন, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ফার্মগেটে একটি বাসে স্বপন তার আরও দুই সদস্য নিয়ে ওঠেন। তারা সেখানে বমি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে যাত্রীরা দেখে ফেলেন। এসময় দুজন পালালেও স্বপনকে আটক করা হয়। 


এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ছুরি ও ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

কুমিল্লায় ৩৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার

কুমিল্লায় ৩৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার
৩৪ কেজি গাঁজা

ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত এসআই (নিরস্ত্র)শফিক উল্লাহ, এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ হেলাল উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকা থেকে ৩৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় ।

শুক্রবার দিনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ৪নং শশীদল ইউনিয়নের পশ্চিম বাগড়া সাকিনে আছমত আলী বেপারী বাড়ির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে পৌঁছামাত্রই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন লোক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় আসামীদের ফেলে যাওয়া ১টি সাদা রংয়ের বিশেষ কায়দায় তৈরী মাছ রাখার ড্রাম তল্লাশী করে ড্রামের ভিতর লুকিয়ে রাখা ১ টি পাটের বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দিয়ে মোড়ানো ১০টি বান্ডেল গাঁজা উদ্ধার করা হয় যারে মোট পরিমাণ ২০ কেজি গাঁজা ।

আরেকটি সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দ্বারা মোড়ানো উদ্ধারকৃত ৭টি বান্ডেল গাঁজার ওজন হয় ১৪ কেজি গাঁজা ।

 সর্বমোট ৩৪কেজি উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে উক্ত ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।

এদিকে ব্রাহ্মণপাড়া থানার মামলা নং- ২০/১০৫ তারিখ- ২৭/০৪/২০২৪খ্রিঃ ধারা ৩৬(১) সারনির ১৯(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ তে রুজু করা হয়।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি
শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

রাষ্ট্রপতির নিয়োগের পর গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।

নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

চায়ের দোকানে ভাইভা পরীক্ষা, চুক্তি ২০ লাখ টাকা

চায়ের দোকানে ভাইভা পরীক্ষা, চুক্তি ২০ লাখ টাকা
সংগৃহীত

চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।


সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।


ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।


গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।


প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।


ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।


গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।


১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।


ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।


তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ
সংগৃহীত

অপহরণের জগতে এ যেন এক নতুন মোড়।


রাজধানীর হাজারীবাগের নিউ মডেল টাউন এলাকায় থাকেন নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশাচালক। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে তাবাসসুম ও আড়াই বছর বয়সী ছেলে তাওসীন খেলতে যায়।এসময় শিশুদের সঙ্গে যায় তাদের নানী। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পরা নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।এর কিছু সময় পর বাচ্চাদের রেখে বাসার ভেতরে যান নানী। এই সুযোগে বোরকা পরা ওই নারী শিশুদের ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেন। চিপস নিয়ে তাবাসসুম বাসায় ফিরে গেলেও তাওসীনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যান তিনি। এভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশু তাওসীন।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে শিশু অপহরণ চক্রের বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর এই চক্রটি নিঃসন্তান কোনো দম্পতির কাছে বাচ্চার অর্ডার পেয়ে শিশু অপহরণ করতো। এরপর শিশুটিকে বিক্রি করে দিতো তারা। তারা হলেন অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২) ও তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) এবং ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)। বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লার লালমাই ও বরুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।



তাওসীন অপহরণের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে শাহজাহানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। শাহজাহান ৫০ হাজার টাকায় সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে ওই শিশুকে কিনে নিয়েছিলেন।


ডিবি জানায়, চক্রটি নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণের জন্য মাঠে নামতো। পরে চাহিদামতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে শিশু চুরি করে বিক্রি করতো। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোরকা পরে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে তাদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। 


ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

২০ টাকা সালামি দেয়াতে স্বামীকে হ-ত্যা-র চেষ্টা স্ত্রীর

২০ টাকা সালামি দেয়াতে স্বামীকে হ-ত্যা-র চেষ্টা স্ত্রীর
সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ঈদ সালামি দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর দায়ের কোপে আহত হয়েছেন স্বামী তাইজুল ইসলাম। 

আহত স্বামী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের চৌপুতি বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী ও স্ত্রী হাতীবান্ধা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, ওই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম ঈদের দিন সকালে তার ভাতিজাদের ২০ টাকা করে ঈদ সালামি দিতে থাকলে তার স্ত্রী রাশেদা বেগম ২০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা দিতে বলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বাগবিতণ্ডা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ অবস্থায় রাশেদা বেগম দা দিয়ে তার স্বামী তাইজুল ইসলামকে কোপ দেয়। এতে তাইজুলের ঘাড়ের নিচে কেটে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা হাসপাতাল পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শনিবার সকালে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় স্বামী তাইজুল বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তাইজুলের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, তার স্বামী তাকে মারধর করে ওই দা নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন। এতে তিনি বাধা দিলে ওই দা তার স্বামী ঘাড়ের নিচে লাগে। এ ঘটনায় স্ত্রীও হাতীবান্ধা থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র রায় জানান, ঈদের সালামি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না : হাইকোর্ট রায়

মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না : হাইকোর্ট রায়
সংগৃহীত

সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ফাঁসির আসামিকে নিয়ে রায় দিয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেয়া যাবেনা ।

রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানি শেষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। 

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি। তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট। 

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত। 

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করার সুযোগ পান। হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। 

আপিল বিভাগের রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যু-দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এই আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন অথবা দণ্ডিত যদি আবেদন না করেন তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে সরকার।  অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যু দণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা হচ্ছে।

রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত বিধান নেই। এজন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়।  

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০-১২ বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে বন্দী রাখা হয়। অথচ অনেকের পরবর্তীতে সাজা কমে। অনেকে খালাসও পান। রুল শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০