চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় নিষিদ্ধ নেশার বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ আব্দুর রশিদ (৪৫) এবং আজিজুল ইসলাম (৪৪) নামে দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
বুধবার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা মাঠ এলাকা থেকে এবং চুয়াডাঙ্গা শহরের স্টেশন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশিদ দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং আজিজুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত কাশেম মন্ডলের ছেলে আব্দুর রশিদের কাছ থেকে ৩শ অ্যাম্পুল এবং আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে ১’শ এ্যাম্পুল ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
অপর একটি অভিযানে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে ১’শ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজিজুলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত হিলি সীমান্ত থেকে মাদক নিয়ে আনার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি সড়কের পাটাচোরা মাঠে অভিযান চালায়। এ সময় ব্যাটারিচালিত চলন্ত একটি ইজিবাইকের গতিরোধ করে আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করেশ। গ্রেফতার আব্দুর রশিদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৩শ’ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয় ও চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনা গামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত কাশিম মন্ডলের ছেলে আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে ১’শ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বলেন, আব্দুর রশিদ একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা ছদ্ববেশে ক্রেতা সেজে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ৩শ’ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আব্দুর রশিদসহ আরও বেশ কিছু ব্যক্তি মাদক কারবারির সাথে জড়িত আছে।
চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলাসহ গ্রেফতার আব্দুর রশিদকে দামুড়হুদা মডেল থানায় ও আজিজুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা সদর থািনায় নিয়মিত মামলা দিয়ে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র।
এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট।
এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন।
এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন।
ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদর এলাকায় মুরাদনগর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. জয়ন্ত, মুরাদনগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন ও মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি টিম।
এ নিয়ে জানা গেছে, মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন (লাইসেন্স) বিহীন। এখানে চিকিৎসা সেবা ও রোগ নির্ণয়ের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার নামে নেওয়া হতো অতিরিক্ত টাকা। কেবল তাই নয়, দক্ষ টেকনিশিয়ানও নেই প্রতিষ্ঠানটিতে।এছাড়া ব্যবহার করা হতো মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট।
সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযানে গিয়ে ওইসব অনিয়ম দেখতে পায়। নিবন্ধন না নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও গেলে করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান
আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ফাঁসির আসামিকে নিয়ে রায় দিয়েছেন
যেখানে বলা হয়েছে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে
নেয়া যাবেনা ।
রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি
জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির
মনির। রুল শুনানি শেষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত
হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২
সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের
তিন কয়েদি। তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির
শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার
আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ
প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা
করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের
সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা
অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির
৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে
আপিল করার সুযোগ পান। হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল
বিভাগে আবেদন করতে পারেন।
আপিল বিভাগের রায়েও মৃত্যুদণ্ড
বহাল থাকলে সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা)
আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যু-দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এই আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর
করেন অথবা দণ্ডিত যদি আবেদন না করেন তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে সরকার।
অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যু দণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দী
রাখা হচ্ছে।
রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ
শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার
আইনগত বিধান নেই। এজন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন
নিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের
১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া
শেষ করতে ১০-১২ বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার
পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে বন্দী রাখা হয়। অথচ অনেকের পরবর্তীতে
সাজা কমে। অনেকে খালাসও পান। রুল শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল।
মন্তব্য করুন
বাধ্যবাধকতা স্থগিত করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
প্রধান বিচারপতির নেওয়া এ সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
সিদ্ধান্ত অনুসারে, দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত-ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা এবং আইনজীবীরা ক্ষেত্রমত সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় নির্বাচন
কমিশন (ইসি) ছয় কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে ।
আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন)
মেজর মাহমুদুল হাসান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি নিয়ে জানা গেছে
, উক্ত ছয় কর্মচারী এনআইডি সংশ্লিষ্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস
টু সার্ভিসেসের (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন।
ছয় কর্মচারী হলেন- অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. বুলবুল
আহমেদ ও মো. সজীব আহমেদ, অফিস সহায়ক মো. নুরুজ্জামান, মো. জুলফিকার আলী ও সরদার
আবুল কালাম পাভেল এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাহবুবুর রহমান।
আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্প কার্যালয়ে কর্মরত ছয়
কর্মচারীর বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এবং এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন অনৈতিক
কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রকল্পের চাকরি থেকে অব্যাহতি
দেওয়া হলো।
সম্প্রতি এক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্তত ছয় কর্মচারীকে
বরখাস্ত করেছে ইসি।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার
আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি
হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন,
বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে,
“যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক
ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার
লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম
সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
সমাজের
দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার
কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণ
আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব
নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন
স্বামীর ঘরে রাখলেন ইয়াবা। পরে কল দিলেন ৯৯৯-এ। উদ্দেশ্য- যেকোনো ভাবে ফাঁসাতেই
হবে স্বামীকে।
কিন্তু ভাগ্য হলো না সহায় । স্ত্রী নিজেই গেলেন ফেঁসে। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও
এমন ঘটনাটাই ঘটেছে রাজধানীতে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে ১৪ ইয়াবাসহ রুমা আক্তার
(৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী কাওছার আহম্মেদের কাছে ইয়াবা আছে বলে
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা, কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতে তিনি
নিজেই এই ইয়াবা কিনে সেখানে রেখেছেন।
তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন পিপিএম (বার) এ তথ্য নিশ্চিত করে
জানিয়েছেন, প্রবাসী কাওছার আহম্মেদের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় রুমার। বিয়ের পর থেকেই
তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। ঝগড়া বিবাদের
কারণে কাওছার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। দেশে
ফিরলেও তাদের মধ্যে বিবাদ বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, স্বামীকে ফাঁসাতে জাকির নামে এক মাদক কারবারির নিকট হতে ১৪ পিস ইয়াবা
কিনেন রুমা। সেই ইয়াবা শোবার ঘরের একটি ব্যাগে রেখে ৯৯৯- এ ফোন করেন। তাৎক্ষণিক তেজগাঁও
থানা পুলিশের একটি টিম পশ্চিম নাখালপাড়ার কাওছারের বাসায় যায়। রুমার আচরণ সন্দেহজনক
হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে স্বীকার করেন, স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি
নিজে ইয়াবা কিনে ঘরে রেখেছেন। পরে ১৪ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রুমার দেয়া তথ্য মতে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকিরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে
জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা করে ট্রাফিক
বিভাগ। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষে শুধু মিনিবাস চালকের সাজা হয়।
ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আ.জলিলের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়, ১৯৯২ সালের ১৪
অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় তেজগাঁও পলিটেকনিকের কাছে সাতরাস্তার মহাখালী রোডে একটি মিনিবাস
দ্রুতগতিতে ও বেপরোয়াভাবে চালিত হয়ে একটি বেবিটেক্সিকে ধাক্কা দেয়। এতে বেবি চালকসহ
যাত্রীরা আহত হন। এক যাত্রী ও চালক হাসপাতালে ভর্তি হন। মিনিবাস চালক পালিয়ে
যায়।
মামলার তদন্তকালে বেবি চালক কলিমউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। তদন্ত শেষে মিনিবাস চালক
সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
সেই সাজা থেকে রেহাই পেতে আপিল ও রিভিশন করেন বাস চালক সেলিম। ৩২ বছর শেষে অবশেষে
হাইকোর্ট তার সাজা বহাল রাখেন।
২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়টি দিয়েছেন বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট
বেঞ্চ। সম্প্রতি এই রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো.আশেক মোমিন,
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার।
তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
শওকত আলীর আদালত রায় দেন। রায়ে সেলিমকে পৃথক ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক
হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। জামিনে থাকা সেলিম রায়ের সময় পলাতক
ছিলেন।
পরে মহানগর দায়রা আদালতে আপিল করা হয়। ৩৫৬৯ দিন পর এ আপিল করা হয়। ২০০৫ সালের
৩০ নভেম্বর আপিলটি গ্রহণ না করে সরাসরি খারিজ করেন মহানগর দায়রা জজ মো.মমিন উল্লাহ।
পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন সেলিম। শুনানি শেষে ২০২৩
সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে রিভিশন খারিজ করে হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বহাল রাখেন।
রায় পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আসামিকে
গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ দুই জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন - পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে ও পরীক্ষার্থীর ভাই আব্দুল জলিল।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরু হলেও এক ঘণ্টার পরীক্ষা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে থাকেন। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। পরে সদর ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করত। এটি একটি বিশাল চক্র। তিনি তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করেন। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আটকের চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন