মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় দুটি নতুন সেতু নির্মানে বদলে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন ও পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলেছে। বিশেষ করে মেঘদাইর-নাংলা নতুন ব্রীজ ও সহদেবপুর মোড় এলাকায় নতুন বীজের পাশ্ববর্তী এলাকাবাসীরা খুশি। বৃদ্ধি পেয়েছে জীবনযাত্রার মান ও অর্থনীতির চিত্র।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই ইউনিয়নের মেঘদাইর-নাংলা ব্রীজ ও সহদেবপুর মোড় এলাকায় ব্রীজটি ছিলো অকেজো। ফলে দুই ইউনিয়নের যানবাহন চালক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এলজিইডি’র আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এ দুটি ব্রীজ। ফলে বর্তমানে সেতু নির্মান করায় দীর্ঘদিনের চরম ভোগান্তির অবসান হয়েছে। পাল্টে গেছে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগের চিত্র। সেতু নির্মাণ হওয়ায় ভাগ্য বদলেছে দুই ইউনিয়নের মানুষের।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্রীজ দুটি চলাচলে অনুপযোগী ছিল। এতে করে সাধারন মানুষেরা খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সেতুটি নির্মানের ফলে যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে বলেও জানান তারা।
যানবাহন চালকরা জানান, সেতুটি অকোজা হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচল করতে আমাদের খুব ভোগান্তি পোহাতে হতো। সেতু নির্মানের ফলে এখন সহজেই বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে যাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ব্রীজ গুলো নষ্ট হওয়াতে আমরা বিদ্যালয়ে যেতে অনেক সময়ে হিমসিম পোহাতে হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে কাদাযুক্ত কাপড় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়েছে। ব্রীজ দুটি নির্মান হওয়ার পর থেকে আমরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারছি।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলিম লিটন বলেন, দুটি সেতু নির্মানের ফলে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পালাখাল মডেল ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামের স্থানীয়রা খুবই ভোগান্তিতে ছিলেন। দুটি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট ভোগান্তি দুর হয়ে বদলে গেছে জীবনযাত্রা ও যোগাযোগের ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন
সাতক্ষীরার শ্যামনগর
থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মোঃ বশির শেখ (৩৮) নামে এক সদস্যকে অস্ত্র,গাড়ি
সহ আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত দুইটার দিকে শ্যামনগর -কালিগঞ্জ রোডের জাহাজঘাটা নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের মোঃ হোসেন আলী শেখের পুত্র।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার নেতৃত্বে ৫/৬ জন সদস্যর ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্ততির কালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মোঃ বশির শেখকে একটি মিনি ট্রাক সহ আটক করা হয়েছে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নিকট ও নম্বর বিহীন একটি মিনি ট্রাক তল্লাসি করে ২টি বড় হাসুয়া, ১টি বড় কাতারি, ১টি শাবল, ৫টি বাঁশের লাঠি, ১টি লোহার রড, ৩টি হাতুড়ী, ১টি লোহার পাইপ, ৯টি সেলাই রেঞ্জ, ৩টি ছোট-বড় প্লাস, ১টি ছোট কাতারী, ১টি কাঁচি, ৩টি স্ক্রু ড্রাইভার, ৮টি রিং রেঞ্জ, ৩টি টর্চ লাইট, ১৬টি ডাল রেঞ্জ, ৯টি কস টেপ, ৬০ ফিট লম্বা রশি, গাড়ীর নম্বর প্লেট দুটি ও ১টি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করার সময় নিজেই ট্রাকের চালক সেজে পুলিশের গাড়ীকে খাদে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। তার নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, রাহাজানি সহ অন্যান্য ১৪টি মামলা রয়েছে।
শ্যামনগর থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
“জুলাই জাগরণ, নব উদ্যামে বিনির্মাণ” এই শ্লোগানে কুমিল্লায় পালিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফতেহ গণভবনের বর্ষপূর্তি দিবস।
আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালীটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন কুমিল্লা মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আহমেদ,সেক্রেটারি নাজমুল পঞ্চায়েত।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর ছাত্রশিবিরের সংগঠনিক সম্পাদক আকিব আব্দুল্লাহ, ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মনির হোসেনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
র্যালী শেষে শহীদদের স্মরণে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “জুলাই জাগরণ কেবল একটি আন্দোলনের নাম নয়; এটি বৈষম্য, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের দৃপ্ত শপথ। নব উদ্যামে দেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের এই সংগ্রাম চলমান থাকবে।”
এছাড়া কুমিল্লায় জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজনে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’। শহিদ স্মরণ, আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও বিজয় র্যালীতে মুখর ছিল পুরো জেলা।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ১২ কেজি গাঁজাসহ তিন নারী মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার শ্রীরাপুর এলাকা থেকে কচুয়া থানার এসআই মামুন সরকার,দেলোয়ার হোসেন ও এমসআই মোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তল্লাসি চালিয়ে গাঁজাসহ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলো, কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকার ফয়সাল মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৩৫),কোতয়ালী উপজেলার আড়াইওড়া গ্রামের জামাল হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম ও একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রুপা আক্তার।
আটককৃত মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের পর চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা কুমিল্লার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজাসহন করে অধিকমূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাসি চালিয়ে গাঁজাসহ তাদের আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তর, কুমিল্লা অভিযান
পরিচালিত হয়েছে। এই সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ফুড কালার দিয়ে বেকারী
পন্য ও পার্টি কেক তৈরী করায় মাঈনউদ্দিন বেকারিকে ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী
২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর
পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরী ও বাজারজাত করতে ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে।
ভোক্তাদের
স্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়নের রংমিয়া পাড়ার মানুষ বিচিত্র পেশায় জড়িত।
তারা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে মাছের খাবার ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। সেই পাইকারদের হাত ধরেই এসব পিঁপড়ার ডিম বিক্রি হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম,ফেনী ও কুমিল্লায়। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তারা পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করেন।
পাহাড়ি বন-জঙ্গল থেকে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ শেষে তা বিক্রি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে সংসার।
প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কেজি পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করতে পারে বলে জানায় এ কাজের সাথে জড়িত মো. রুস্তম আলী । তিনি আরো বলেন, সকাল হলেই বাঁশ ও ঝুড়ি নিয়ে বের হয়ে গাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করি। বিকেলে এসব ডিম পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। প্রতি কেজি ডিম ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করি।
ডিম সংগ্রহকারী মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সব পিঁপড়ায় ডিম পাওয়া যায় না। এ জন্য প্রয়োজন লাল পিঁপড়ার বাসা। লাল পিঁপড়ার বাসায় মেলে প্রচুর সাদা ডিম। সাধারণত মেহগনি, আম, লিচু, কনক ও কড়ইসহ দেশীয় গাছগুলোয় লাল পিঁপড়ার বাসা পাওয়া যায়।ডিম সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়। পিঁপড়াগুলো সাধারণত মগডালে বাসা বাঁধে। ডিম সংগ্রহ করার সময় কমবেশি কামড় খেতে হয়। সারাদিন বনে-জঙ্গলে ডিমের আশায় ঘুরে বেড়াতে হয়। পিঁপড়ার বাসা খুঁজে পাওয়ার ওপর নির্ভর করে তার আয়।
লাল পিঁপড়ার ডিমের স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় ২০-২৫ জন পাহাড়ি বন-জঙ্গল থেকে লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে আমার কাছে বিক্রি করেন। পিঁপড়ার ডিম কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লায় বিক্রি করি।
মূলত মাছের খামারি ও সৌখিন মাছ শিকারীরা এ ডিম কিনে থাকেন।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে মাদক, বিভিন্ন হাঁট বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি,ট্রাফিক কন্ট্রোল, বাজার নিরাপত্তা ও চেকপোস্ট নিয়ন্ত্রণসহ মাঠে ২৪ ঘন্টা কাজ করছে সেনাবাহিনী।
বুধবার সকাল ১০ টায় শহরের শাপলা চত্বর জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আহাদ জানান কুড়িগ্রামে চাঁদাবাজিবন্ধ,অবৈধভাবে দখল,চোরাকারবারি রোধ,মাদকসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি যাতে না ঘটে এজন্য আমরা সর্বদা সোচ্চার। তিনি আরও বলেন এছাড়া সেনাবাহিনী সারাদেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে এজন্য নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। মানুষের যান ও মালের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় ক্যাপ্টেন খালিদ জানান সর্ব সাধারণ জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যাত্রী সাধারণ যেন ঈদের বাড়তি যানজটের চাপের কারণে কোন ধরনের ভোগান্তির স্বীকার না হন এবং কোন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে লক্ষ্যেই এই টহল ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। দিন রাত এই স্ট্রাইকিং টহল চলবে।
এ সময় পথচারী আফজাল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় যানজট নিরসন ও বাড়তি চাপ কমাতে সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। সেনাবাহিনীর এরকম কার্যক্রম দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
এছাড়া কুড়িগ্রাম সদর এলাকার মটর সাইকেল আরোহী মোকছেদ বলেন- কুড়িগ্রাম সেনাবাহিনী বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় শহরের যানজট কমেছে। আমার ফ্যামেলী নিয়ে সুন্দরভাবে যেতে পারছি। সেনাবাহিনীকে অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান,উভয় সিটিতে সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ।
ময়মনসিংহ সিটিতে এবার দ্বিতীয়বারের মতো ভোটগ্রহণ হবে। অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক ওরফে রিফাত (৬৬) গত ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন বিধি অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়।
ইসি আরো জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ সিটির সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচন আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। একই দিনে বেশ কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন হবে। এছাড়া উপজেলা, জেলা পরিষদ উপনির্বাচন হবে। এর বাইরেও মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া কিছু ইউনিয়ন পরিষদেও নির্বাচন হবে। এই সবগুলো নির্বাচন একই দিনে অর্থাৎ ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। দ্রুতই এসব নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা করা হবে। পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্য নির্বাচনগুলোর ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।
২০১৯ সালের ৫ মে প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হয়। সেবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন ইকরামুল হক টিটু। ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশটির আয়তন ৯১ দশমিক ৩১৫ বর্গকিলোমিটার। সিটি করপোরেশনের মোট জনসংখ্যা চার লাখ ৭১ হাজার ৮৫৮ জন।ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বয়ড়া ও আকুয়া ইউনিয়নের পুরোটা এবং খাগডহর, চর ঈশ্বরদিয়া, দাপুনিয়া, ভাবখালী, সিরতা ও চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের আংশিক এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে এই সিটি করপোরেশনের এলাকা নির্ধারণ করা হয়। এ সিটিতে প্রথম ভোটেও নগরবাসী ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিয়েছিলেন। আর এবারও সেখানে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।
এদিকে ৯ মার্চ যে ৯টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে সেগুলো হলো- জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা, পটুয়াখালী পৌরসভা, রাজশাহী জেলার কাটাখালী পৌরসভা, সাতক্ষীরা পৌরসভা, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা, সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর পৌরসভা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা ও বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা।
তিনি বলেন, উপজেলার যে তালিকগুলো আমরা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। ঈদুল ফিতরের আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই কিছু সংখ্যক নির্বাচন করবো। প্রায় ১০০ উপজেলার নির্বাচনের জন্য এই সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত হতে পারে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আমরা এখনো পর্যালোচনা করছি এবং দেখছি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১২ মার্চ শেষ হবে। আবার ১০ বা ১১ মার্চ শুরু হবে রমজান। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে যে নির্বাচনগুলো করতে হবে, সেগুলো ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কিছু হবে। বাকিগুলো কয়েক ধাপে মে মাসে হবে। কারণ, জুন মাসে এইচএসসি পরীক্ষা। এজন্য আমরা এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চাই।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনের ভোট নিয়ে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। সহসাই হয়ে যাবে। সংসদ নির্বাচনের এক মাসের মধ্যে এ ভোট করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজুত করা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে বরিশাল নগরের ৬ আড়তকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ অভিযান শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চালানো হয় বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র।
এ জরিমানা করেন বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী।
বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র জানায়, হঠাৎ পেয়াঁজের দাম বেড়ে যাওয়ার খবরে বরিশাল নগরীর পেঁয়াজপট্টির পাইকারি বিক্রির আড়তে অভিযান চালানো হয়। সেখানে দেখা যায়, বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে মজুত করা পেঁয়াজ।
বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র আরও জানায়, ৯৪ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে কেনা পেঁয়াজ বতর্মানে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রমাণ পেয়ে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ৬ আড়তকে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে উপজেলার সীমান্তবর্তী শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ আবু হানিফ (৫০) নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে যৌথবাহিনী তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে মাদক কারবারী আবু হানিফ মাদকসহ তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এসময় যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
মাদক কারবারী আবু হানিফ শশীদল ইউনিয়নের আশা বাড়ি গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে।
এ সময় যৌথবাহিনী তার কাছ থেকে ৭ হাজার ৬ শত পিস ইয়াবা টেবলেট ও নগদ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪০ টাকা এবং ৩ টি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। অভিযান পরিচালনা করেন, যৌথবাহিনী এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার এস আই অমর্ত্য মজুমদারসহ পুলিশের একটি দল।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতিক উল্লাহ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। তার বিরুদ্ধে থানার একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খনন করা
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) আশা করছে এ
থেকে দৈনিক এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে ।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি
নিশ্চিত করে বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল
ইসলাম বলেন, ওয়াছেকপুর গ্রামে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের
অস্তিত্ব। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজের পর ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে
সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাস
আছে। এ টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত থাকা মোট গ্যাসের পরিমাণ।
বাপেক্স সূত্রে আরো জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা
হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৯২১ থেকে এক হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, দুই
হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে দুই হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং তিন হাজার ৮১
মিটার থেকে তিন হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তর থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন
ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে
ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেট চারটি জোনের মধ্যে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে
গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।’
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির বলেন, ‘প্রাকৃতিক
গ্যাসের সন্ধানে বাপেক্স দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে
খনন কাজ শুরু এ বছরের ২৯ এপ্রিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায়
আমাদের খনন কাজেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দিনশেষে আমরা সফল হতে পেরেছি।’
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. প্রিন্স আল
হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার
লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু
আশা করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটি খনন করতে আমাদের নানা
প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা আজ আলোর মুখ দেখছি।
একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন
তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
এর আগে, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো
থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং
সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক
সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ
খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।
মন্তব্য করুন