সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে— এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে— এ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হচ্ছে, যা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রকৃতপক্ষে সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ (৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওই সেমিনারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অংশীজনদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে গুরুত্বারোপ করা হয়। সেখানে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আলোচিত হলেও এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
অর্থাৎ
এটা পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তর
এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে আজারবাইজানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেইনলি আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় তারা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলন এবং জ্বালানি, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আশা করা হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩২ হাজার মানুষ জলবায়ু অর্থায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত হুসেইনলি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে তিনি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ উন্মোচন এবং আরও বেশি ব্যবসার উপায় খোঁজার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, জুন মাসে বাকুতে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর পর্যায়ে একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস আজারবাইজানের জনগণ, দেশটির নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
মন্তব্য করুন
বন্যাদুর্গত কয়েকটি
উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ড্যামেজ হওয়ার কারণে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে
জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার তথ্য ও
সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে তার বরাত দিয়ে এক বার্তায় এ জানানো হয়েছে, বন্যাদুর্গত
এলাকার ১৩ শতাংশ সাইট ডাউন রয়েছে। কয়েকটি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ড্যামেজ হওয়ার
কারণে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে কয়েকটি জায়গায়। জেনারেটর
ব্যবহার করা হচ্ছে। নেটওয়ার্ক একবারে বিচ্ছিন্ন
হলে ১০টি ভিএসএটি প্রস্তুত আছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ফ্রি করতে তাই
জরুরিভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
উল্লেখ্য,
পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের নয়টি জেলা।
বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো– ফেনী, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা,
চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। এসব জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি ও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ (১৪
ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের
প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো.
সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে তারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর
বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি
বাহিনী ও তাদের এই দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধা শূন্য করতে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের
হত্যা করে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এতে বলা হয়, টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানির কারণে দেশের নয়টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। এতে পানি উঠেছে মহাসড়ক ও রেললাইনে। ফলে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সাথে আরো বলা হয় যে, আকস্মিক বন্যায় সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক জায়গায় রেলপথ ডুবে গেছে। এমন অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সকল আন্তনগর, কমিউটার ও মেইল ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এদিকে
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল,
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে
অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও
কোথাও ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে।
মন্তব্য করুন
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের
সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিষয়টি ঝুলে থাকার কারণে এতে কোনো দেশেরই
লাভ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। (খবর এনডিটিভির)
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেয়া
এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ
নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে। কারণ
পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে অন্তর্বর্তী
সরকার ভারতকে চাপ দেবে কিনা- পিটিআইয়ের এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, চাপ শব্দটি অনেক
বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে
হবে।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে
গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর
ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন নতুন কোনো ইস্যু নয়, এটি অনেক পুরাতন ইস্যু।
বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার কথা বলেছি। এমনকি পাকিস্তান পিরিয়ডেও কথা হয়েছে। আমরা সবাই
চেয়েছি এটির সমাধান করতে, এমনকি ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের
সরকার এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমরা চাই এর সমাধান করতে। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের
পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ।
এসময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের উপর জোর তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যুগোপযোগী করার উপর তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। এসময় তিনি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা নিয়েও তাঁর আশাবাদ পোষণ করেন ।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। আজকের এই বৈঠক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ এর সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বেসামরিক বিমান পর্যটন ও ভূমি উপদেষ্টা
এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিষদের এক বিশেষ সভায় এই শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহিত হয়।
সভায় রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামীকাল
সকাল সাড়ে দশটায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমানের
কবরের পাশে হাসান আরিফকে সমাহিত করা হবে।
সভার শুরুতে উপদেষ্টা হাসান আরিফের
মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ
অন্য উপদেষ্টারা হাসান আরিফের স্মৃতিচারণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আজ ছোট ছোট অনেক কথাই মনে পড়ছে, তিনি সবসময় আমাকে মনে করিয়ে দিতেন- আমরা
কিন্তু সমবয়সী। শিশুর মতো সরল ব্যবহার ছিল তার। যতরকম সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেখানে কোনো
কোন্দল দেখেছেন, তিনি হাজির হয়েছেন তার সমাধানে। এ এক অপূর্ব লোক, আমাদের মাঝ থেকে
চলে গেলেন।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন
আহমেদ বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্ব এবং সদা হাস্যময়।
অতীতের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে
পাট বস্ত্র ও নৌপরিবহণ উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে হাসান আরিফের
মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, এখানে কাজ করতে এসে উনার সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে
উঠেছিলো। উনি আমাদের জন্য ছিলেন এক ইতিবাচক প্রেরণা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা
আখতার বলেন, আজকে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আমরা হাসান আরিফকে মিস করছি। উনাকে
ছাড়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান
খান আইনজীবী হিসেবে হাসান আরিফের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, উনি ছিলেন
মানবাধিকার রক্ষায় সব সময় সোচ্চার।
সভায় আদিলুর রহমান জানান, মানবাধিকার
সংগঠন অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন হাসান আরিফ।
আইন ও বিচার এবং প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন একজন কর্মনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী মানুষ। সবগুলো নথি তিনি
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন,
হাসান আরিফ কখনো কোনো কাজকে কম গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন না।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন অমায়িক এক মানুষ, যেকোনো সমস্যা উনার সঙ্গে আলোচনা
করে সমাধান করা যেত।
জ্বালানি ও সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ
ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের সমাজে বিভেদ অনেক বেশি। এই বিভেদ জোড়া লাগানোর মানুষ
আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। সর্ব মহলে উনার গ্রহণযোগ্যতা ছিল।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় হাসান আরিফের ভূমিকা স্মরণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, উনি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষদের নিয়ে অনেক ভাবতেন। তাঁর মৃত্যুতে
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের।
স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ
মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এসে হাসান আরিফকে চিনেছি, উনাকে সব সময় শিক্ষকের
মতো পাশে পেয়েছি।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, উনার
সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একবারও আমাদের বয়সের পার্থক্য বুঝতে পারিনি। তিনি সবার সঙ্গে আন্তরিকভাবে
মিশতেন।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন,
২০০৮ সালে অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আয়োজনে আন্তরিকভাবে কাজ করতে দেখেছি উনাকে। এবারও
উনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী পরিষদ
সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, বেসামরিক বিমান সচিব নাসরীন জাহান, ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ
আহমেদ।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী
নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টায়
বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ
রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রমবিষয়ক
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে
গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যা উৎসাহিত করি তা হলো শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বাংলাদেশি
নারীর অংশগ্রহণ।
শান্তিরক্ষী
প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ তিন দেশের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭
জন শান্তিরক্ষী ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে কাজ করছে।
জাতিসংঘ
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জানান, নারীদের শান্তিরক্ষায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের
একটি নীতিমালা রয়েছে।
তিনি
বলেন, আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।’ তিনি উল্লেখ করেন
যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সব ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগে সমর্থন দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, প্রয়োজনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ পাঠাতে
প্রস্তুত। তিনি জাতিসংঘের পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (পিপিআরএস)-এর র্যাপিড
ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত পাঁচটি ইউনিটের কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সদর দপ্তর এবং মাঠপর্যায়ে বাংলাদেশি নেতৃত্ব
বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন। জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারেও তারা বাংলাদেশকে সমর্থন
দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘের যাচাই প্রক্রিয়া বাংলাদেশ
কঠোরভাবে মেনে চলে এবং প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতায় জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আরও
সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়, যাতে মানবাধিকার প্রতিপালন আরও জোরদার হয়।
প্রধান
উপদেষ্টাকে জানানো হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল
আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের
সম্মেলনে অংশ নেবে।
মিয়ানমারে
চলমান সংঘর্ষ, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা, বেসামরিক নাগরিক হতাহত এবং নাফ নদী সংলগ্ন
এলাকায় জীবিকা বিঘ্নিত হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি
সতর্ক করেন, এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে তা আরও অবনতি হয়ে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি
করতে পারে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে
অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, তার এই সফর রোহিঙ্গাদের নিরাপদ
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নতুন করে আশা জুগিয়েছে।
মন্তব্য করুন
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ।
এ সরকারে ১৫ জন সদস্য থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, সংকট কাটিয়ে দেশে আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি করব। সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে। কেউ গুজবে কান দেবেন না।
এসময় তিনি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের কাজের প্রশংসা করেন এবং ছাত্রদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব ইতিবাচক কাজ অব্যাহত রাখারও অনুরোধ জানান।
এছাড়া সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশ সক্রিয় হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। পরিস্থিতি দিনদিন উন্নতি হচ্ছে, আশা করছি দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত রাতে কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. সালামা দাউদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অধ্যাপক ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মাহমুদ সিদ্দিক।
মন্তব্য করুন