

আজ সোমবার ২০ অক্টোবর,চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার আমেরিকা প্রবাসী নুরুল আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বাবলু বড়ুয়াকে (৩৬)- কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১১টায় পটিয়া উপজেলার তেকোটা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাবলু বড়ুয়া বোয়ালখালী উপজেলার উত্তর ভূর্ষি এলাকার দিলীপ বড়ুয়ার ছেলে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম “ মোজাফ্ফর হোসেন” জানান, বায়েজিদ থানার আমেরিকান প্রবাসী নুরুল আলম হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বাবলু বড়ুয়া পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের তেকোটা গ্রামে অবস্থান করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পটিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাংলাদেশ
স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই প্রসাধনী পণ্য
বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে
৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলা
সদর ও সাহেবাবাদ বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।
এতে পৃথকভাবে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম
এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা।
এ সময় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড
টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক (কুমিল্লা) কাজী মো: শাহান ও থানা পুলিশের
একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভারতীয়
ও পাকিস্তানি অবৈধ প্রসাধনী দোকানে রাখা ও বিক্রির দায়ে উপজেলার সদর বাজারের শরীফ কসমেটিকস
নামের এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা ও এমি কসমেটিকস অ্যান্ড গিফট সেন্টার নামের অন্য
এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ রিয়েজেন্ট কেমিক্যাল পাওয়ার অপরাধে সাহেবাবাদ
বাজারের আল বারিয়া বেকারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভারতীয় ও পাকিস্তানি কসমেটিক্সের
বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় অভিযান চলাকালে সদর উপজেলার দুটি মার্কেটের দুটি দোকানে
অননুমোদিত কসমেটিক্স রাখা ও বিক্রয়ের দায়ে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও
উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের এক বেকারি মালিককে নানা অনিয়মের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে রাতে ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করেছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামাল হোসেন।
তিনি গত সোমবার (১৮ই আগষ্ট) রাত ৮.৩০ঘটিকা থেকে রাত ১০.০০ঘটিকা পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম বাজার ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে তিনি দেখতে পান, শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর পড়ার টেবিলে না বসে বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা দিচ্ছে এবং ধুমপান করছে। অভিযানে , শিক্ষার্থীদের সাথে অনেক অছাত্রদের আড্ডা দিতে দেখা যায়, যারা অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারে।
এসময় ইউএনও শিক্ষার্থীদের প্রথম বারের মতো সতর্ক করে তৎক্ষণাৎ বাসায় গিয়ে পড়তে বসার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং রাত ৮ টার পর কেউ যাতে পড়া রেখে বাহিরে অহেতুক ঘোরাফেরা/আড্ডা না দেয় সে বিষয়ে কড়া বার্তা প্রদান করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামাল হোসেন জানান, আগামী দিনগুলোতেও এই ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে রাত ৮ টার পর কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে আড্ডা/অহেতুক ঘোরাফেরা করা অবস্থায় পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং যার বা যাদের দোকানে বসে আড্ডা দিবে সে সকল দোকানীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে জানান তিনি।
উপজেলার সকল অভিভাবকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান যে- আপনার সন্তানের খবর রাখুন, সন্ধ্যার পর পড়ার টেবিলে বসা নিশ্চিত করুন এবং কার বা কাদের সাথে মেলামেশা করছে সে বিষয়ে অধিকতর সংবেদনশীল আচরণ করুন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ভ্যানচালক শফিউল্লাহকে নৃশংসভাবে চোখ উপড়িয়ে হত্যার প্রধান আসামী মোঃ রাছেল হোসেন (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি- ২ ।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ১৭ মে শনিবার রাতে পটুয়াখালী জেলার বাউফলের নগরের হাট এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামী মোঃ রাছেল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সে , দেবীদ্বার উপজেলার আন্দিরপাড় গ্রামের পিতা-মোঃ কিরনের পুত্র।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানী কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ০৬ মে ২০২৫ ইং তারিখ দুপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের কারনে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন ত্রিবিদ্যা গ্রামে মোঃ ছফিউল্লাহ (৪৩) নামে এক ভ্যান চালককে শাবল দিয়ে ভিকটিমের মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাত করে হত্যা ড্রিল মেশিন দিয়ে নির্মমভাবে ভিকটিমের চোখ উপড়ে ফেলে।
মন্তব্য করুন


রফিকুল
ইসলাম বাবু, চাঁদপুর :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার কিশোর অটোচালক মহিন মিয়াজী (১৭) হত্যা মামলায় ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।
আসামীরা হলেন- মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাব্বি (২৬), মো. জসিম (২৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন (৪৪)।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়। তবে প্রধান আসামী সুজন এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।
হত্যার শিকার কিশোর অটোচালক মহিন মিজি উপজেলার উপাদি উত্তর ইউনিয়নের ডিঙাভাঙা গ্রামের নাছিল উদ্দিন মিয়াজীর ছেলে।
মঙ্গলবার চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার বলেন, অটোচালক মহিন
হত্যার ঘটনায় ১ ডিসেম্বর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার সূত্রধরে মতলব
দক্ষিণ থানার ওসি পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করেন। ওই দলটি তদন্ত করে হত্যায় জড়িত
আসামী মো. রাব্বি ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ২ ডিসেম্বর
অভিযান চালিয়ে আসামী জসিম ও ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং ইসমাইলের হেফাজতে
থাকা অটোবাইকের ৪টি ব্যাটারী উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী সুজনকে
গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে পূর্ব পরিকল্পার আলোকে আসামী সুজন মোবাইল ফোনে কিশোর চালক মহিনকে মতলব ধনারপাড় আসার জন্য। ওই চালক তাদের কথামত বাড়ি থেকে ধনার পাড় চলে আসে। সেখানে আসলে সুজনসহ সকল আসমী তার ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা করে নাগদা, আশ্বিনপুর, নারায়নপুরসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরাঘুরি করে। সন্ধ্যার পরে তারা ঘটনাস্থল উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতি গ্রামের গোলগেইল্যা খালের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা কৌশল করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং অটোরিকশাটি চালিয়ে আসামী ইসমাইলের গ্যারেজে নিয়ে আসে। পরে তারা ব্যাটারীগুলো ২৩ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন


২৬ আগস্ট ২০২৪ দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী।
এ দিনটিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বিবিধ অনুষ্ঠান ও উপাসনালয় সমূহের বিশেষ নিরাপত্তায় অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর এ তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী জনগণ।
উল্লেখ্য যে, দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সংঘর্ষ ও অন্যায়কে পরাভূত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা। এই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এই সকলের প্রত্যাশা।
জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাশে আছে এবং থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা চকবাজার এলাকায় সাধারণ পোলাও
এর চালকে "চাষী ভাই সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল" ব্রান্ডের নামে প্যাকেটে
ভরে বিক্রি করা সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি টিমের হাতে ধরা পড়ল।
আজ (৩০মে) কুমিল্লার চকবাজার এলাকায়
অভিযানের সময় দেখা যায়, মেসার্স এস আর রাইছ এজেন্সি নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাজার
থেকে কেনা মদিনাসহ অন্যান্য সাধারণ চিনিগুড়া চাল স্কয়ার কোম্পানির "চাষী"
ব্রান্ডের আদলে "চাষী ভাই" নামের প্যাকেটে নিজেরাই মোড়কীকরণ করে
বিক্রয় করছে। ভোক্তাদের সাথে এমন প্রতারণা করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৬০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়। এ সময় অনুমোদনহীন নকল মোড়ক জব্দ করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি এমন
কাজ আর করবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন।
এছাড়াও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে
আজ চকবাজার এলাকার বিভিন্ন মসলার বাজারও তদারকি করা হয়। নানা অনিয়মের অভিযোগে
মোট তিন প্রতিষ্ঠানকে ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
অভিযান পরিচালনা করার সময় চকবাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সেফটি ট্যাংক থেকে
প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের
ধরে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় ফেরদৌসী বেগমকে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে নিহতের
ঝা সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দক্ষিণগ্রামের জাহাঙ্গীর
আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০) একই গ্রামের মোঃ সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার
(৩০), মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১), খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন
জিল্লু (২৭)।
ওসি জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ
গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন ও ঝা নুরজাহান
বেগম মধ্যে বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার
সুরহা না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঝা নুরজাহান বেগম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার
মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সাথে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী
আনোয়ার হোসেন সাথে মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ
মাইনুদ্দিন জিল্লু এই দুজনকে যুক্ত করেন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৭ জুন শুক্রবার সকালে
ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ফেলে
দেয়। ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিসহ
থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় স্থানীয়রা বাড়ি
থেকে ২শ গজ দূরে একটি নির্জন বাগানের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পেয়ে
বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
সেফটি ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান
বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুড়িচং থানা পুলিশ
প্রথমে নিহতের ঝা নুরজাহান বেগম আটক করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে হত্যার
ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার
করা হয়।এ সময় আসামিদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল, গলার চেইন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে কুমিল্লা
আদালতে পাঠালে আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিদের
কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


ভুয়া র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি
ও অপহরণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় অভিযানে
উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং ভুয়া র্যাব চক্রের ব্যবহৃত সরঞ্জাম
ও একটি মাইক্রোবাস।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান
র্যাব-১০-এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দিদার
(২৯), মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), মিন্টু গাজী (৪৫), মো. জামিল (৩২) এবং স্বপন খান (৪৫)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ
করা হয় ৪টি ‘র্যাব’ লেখা জ্যাকেট, ৩টি র্যাব ক্যাপ, ২ জোড়া হাতকড়া, ১টি স্টেনগান,
১টি পিস্তল সদৃশ গ্যাস লাইট, ২টি ওয়াকি-টকি সেট, ১টি পিস্তল কাভার, মোবাইল ফোন এবং
একটি মাইক্রোবাস।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী জয়দেব
আধ্য (৫৩) ও বিশ্বনাথ আধ্য (৫৭) সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। তারা রাজধানীর তাঁতীবাজার
থেকে জুয়েলারি তৈরির যন্ত্রাংশ কিনে সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া
এক্সপ্রেসে করে সাতক্ষীরার উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দার
জয়বাংলা মোড়ে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস র্যাব পরিচয়ে বাসটি থামিয়ে দেয়। মাইক্রোবাস
থেকে র্যাব লেখা জ্যাকেট পরা ৩-৪ জন ব্যক্তি বাসে উঠে দুই ভাইকে জোরপূর্বক নামিয়ে
মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর তাদের চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
পাশাপাশি ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ২,৭০০ টাকা ও কেনা যন্ত্রাংশ।
র্যাব-১০ এর একটি দল ঘটনাস্থলে
অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহৃত দুই ভাইকে
অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। অভিযানের সময় সাইফুল ইসলাম ও স্বপন খান পালানোর চেষ্টা করলে
উত্তেজিত জনতা তাদের ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা তাদের সেখান থেকে
উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার
দিদারের বিরুদ্ধে রয়েছে ৮টি মামলা, মিন্টু গাজীর বিরুদ্ধে ৩টি, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে
৩টি, জামিলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা এবং স্বপন খানের বিরুদ্ধে রয়েছে চুরি, ডাকাতি,
অস্ত্র ও ৪টি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০
অধিনায়ক কামরুজ্জামান বলেন, বাসে ভ্রমণের সময় যাত্রা শুরু ও গন্তব্যস্থলে ভিডিও ধারণ
বা সিসিটিভি স্থাপন করলে এ ধরনের অপরাধ রোধ করা সম্ভব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কেউ সন্দেহজনক আচরণ করলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে ফারজানা পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রবাস ফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
আজ রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম সরকার (৩২)। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সরকারবাড়ীর বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুরাদনগরগামী ফারজানা পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে বাসের নিচে ঢুকে যায় এবং ঘটনাস্থলেই যাত্রী ইব্রাহীম সরকার মারা যান। গুরুতর আহত চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে সাময়িক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস ও সিএনজি জব্দ করেছি এবং নিহতের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ইব্রাহীম সরকার একজন প্রবাস ফেরত ছিলেন বলে জানা গেছে। বাসচালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গ্রামে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন


রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বসবাসরত সকল নাগরিককে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেন না।
মন্তব্য করুন