আর্জেন্টাইন
সুপাস্ট স্টার লিওনেল মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর পরই বদলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের
ফুটবল। আর এবার যুক্তরাষ্ট্রের এনএফএলের (ন্যাশনাল ফুটবল লিগ) চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ
‘সুপারবোল’ও মেসির খ্যাতিকে কাজে লাগাতে চলেছে।
আর
এবারই ১ম সুপারবোলের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন মেসি। ৬০ সেকেন্ডের সেই বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে
১ কোটি ৪০ লাখ ডলার (১৫৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা) আয় করবেন মেসি। সম্প্রতি মেসি একটি বিয়ারের
বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন।
বিয়ার
কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজগুলোয় এরই মধ্যে মেসির বিজ্ঞাপনের একাধিক টিজার
প্রকাশ করেছে। ১৫ সেকেন্ডের একটি টিজারে দেখা যাচ্ছে, সাগরপাড়ে ফুটবল খেলছেন মেসি।
কয়েকজনকে ড্রিবল করে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। পাশে
থাকা পর্যটকেরা তাঁর খেলা মুগ্ধতাভরে দেখছেন।
এই বিজ্ঞাপন আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি লাস ভেগাসের অ্যালেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে ন্যাশনাল ফুটবল লিগে (এনএফএল) সুপারবোলের বিরতির সময় দেখানো হবে। প্রতি ৩০ সেকেন্ড বিজ্ঞাপনের জন্য ৭০ লাখ ডলার (৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা) দিয়ে আসছে বিয়ার কোম্পানি। সে হিসাবে মেসি ৬০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে পেতে যাচ্ছেন এর দ্বিগুণ অর্থ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৩-২৪ আয়োজনের লক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ক্রিকেট কমিটি।
বুধবার সকালে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
এবারের স্কুল ক্রিকেটের আসরে কুমিল্লার ৮টি স্কুল অংশ নিচ্ছে। ক ও খ দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ৮টি স্কুল দল। ক- গ্রুপে রয়েছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল, এ্যাথনিকা স্কুল এন্ড কলেজ, ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ ও কুমিল্লা ইউসুফ হাই স্কুল।
খ- গ্রুপে রয়েছে কুমিল্লা হাই স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা পুলিশ লাইন স্কুল ও কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর ব্যবস্থাপনায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট হচ্ছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম সোহাগ, যুগ্ম সম্পাদক বাদল খন্দকার, কোষাদক্ষ আল আমিন ভূইয়া, সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির, জেলা ক্রিকেট কোচ হাবিব মোবাল্লেগ জেমস ও কোচ সারোয়ার জাহান ও অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলোর ক্রীড়া শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিপিএলের ব্যস্ততা শেষ হয়েছে শুক্রবার। এখন আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরছে দেশের ক্রিকেট।পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে এসেছে শ্রীলঙ্কা দল। তাদের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি দিয়ে।
এই সিরিজের টিকিটের মূল্য ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির সবগুলোই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের টিকিট কেনা যাবে ১৫০০ টাকায়।
সর্বনিম্ন মূল্য গ্রিন ও ওয়েস্টার্ন গ্যালারির, এখানে খেলা দেখতে ২০০ টাকা খরচ করতে হবে। এছাড়া ক্লাব হাউজ ৫০০ ও ইস্টার্ন গ্যালারির জন্য খরচ করতে হবে ৩০০ টাকা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও রিকাভিবাজারের কাউন্টার থেকে টিকিট কেনা যাবে। সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে বুথ।
আগামী ৪ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ম্যাচ ৬ মার্চ, দুটি ম্যাচই হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। ৯ মার্চ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বিকেল তিনটায়। এরপর তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলবে শ্রীলঙ্কা।
মন্তব্য করুন
ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গত মাসের পাঁচ তারিখে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি দিয়ে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। দশ দল নিয়ে শুরু হওয়া এই বৈশ্বিক আসর এসে ঠেকেছে দুই দলে। আহমেদাবাদেই স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে এই বিশ্বকাপের। চরম উত্তেজনাকর এই ম্যাচে আসরের সেরা দলের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা দল।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত দুইদলের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা একটি ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখন পর্যন্ত মোট পাঁচবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আগামীকাল তাদের হেক্সা মিশনের চূড়ান্ত লড়াই। অপরদিকে দুইবার বিশ্বজয় করেছে ভারত। তাদের সামনে তৃতীয় শিরোপা হাতে নেওয়ার সুযোগ।
এই ফাইনালের মঞ্চ ভারত বা অস্ট্রেলিয়া কোন দলের জন্যই অপরিচিত নয়। নিশ্চতভাবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য তো নয়ই, অষ্টমবারের মতো তারা ফাইনালের মঞ্চ মাতাবে। কলকাতা, লন্ডন, জোহানেসবার্গ, বার্বাডোস এবং মেলবোর্নে তারা বিশ্বকাপ তুলেছে এমনভাবে যেভাবে বাচ্চারা তাদের খেলনা সংগ্রহ করে। অনেক দলের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা একটি উপলক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার জন্য, এটি জীবন ধারণের একটি উপায়। তবে এবার এই বিন্দুতে তাদের যাত্রা অনিশ্চয়তার মধ্যেই ছিল।
বিশ্বকাপে তারা তাদের প্রথম দুটি ম্যাচই হেরেছে, ৩৮৮ রান করার পরেও প্রায় হারতে বসেছিল, ২৯২ রান তাড়া করতে যেয়ে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারতে বসছিল এবং সেমিফাইনালের প্রথম ঘন্টার মধ্যে তাদের প্রতিপক্ষকে ২৪/৪ করার পরও প্রায় হারতে বসছিল। তবুও তারা সব বাধা অতিক্রম করে ফাইনালে প্রায় চ্যাম্পিয়নও তারা। এটি এমন এক বছরে যে বছরে তারা ইতিমধ্যেই অ্যাশেজ ধরে রেখেছে এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও ঘরে তুলেছে, ক্রিকেট খেলার প্রতিটি ফরম্যাটে তিন বছরের বিশ্ব শিরোপা পূর্ণ করতে তাদের দরকার শুধু আগামীকালের ফাইনাল জয়। পারবে তো কামিন্সরা?
তবে বিশ্বকাপের সাথে অজিদের এতো ইতিহাস থাকার পরেও প্যাট কামিন্স এবং তার দল স্বীকার করবে যে তাদের প্রতিপক্ষ ফাইনালে ফেভারিট হিসাবে শুরু করবে এবং শুধুমাত্র এই কারণে নয় যে তারা স্বদেশী দর্শকদের সামনে ঘরের মাঠে খেলবে। এমনকি যারা সাধারণত ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে থাকেন তারাও ভারতের এই দলের ক্রিকেটের এই সংস্করণে যে নির্ভুলতা এবং আগ্রাসণের সাথে কাজ করেছে তার প্রশংসা করবে। এই ভারতীয় দলের সাথে অনেকেই ২০০০ সালের পরের সব জয় করা বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে মিল পাবেন।
এখানেই রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড়ের কৃতিত্ব। এই ক্যাপ্টেন-কোচ জুটি একটি দলের সাফল্যের জন্য আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডের খেলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা লুকানোর কোনও চেষ্টা করেনি ,একটি দলে সবার সুনির্দিষ্ট ভূমিকা এবং অসামান্য ব্যক্তিগত প্রতিভা দিয়ে ভারতকে অজেয়তার আভাস দিয়ে রেখেছেন।
তবে দ্রাবিড় এবং রোহিত কথা নয় কাজে দেখাও মনোভাবে বিশ্বাসী। বলিউডের সিনেমায় দেখানো হয় যোগ্যতার পিছনে ছুটতে কিন্তু বাস্তব জীবনে এখনও সাফল্য মাপা হয় সার্টিফিকেট এবং ট্রফি দিয়ে এটি দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি। ভারতের সর্বকালের সেরা ওয়ানডে দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে, রোহিতকে কপিল দেব এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অধিনায়কদের সারিতে রাখার জন্য শুধু স্কোরকার্ড এবং পরিসংখ্যান দিয়ে হবে না।
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতের অসাধারণ অধিনায়কত্বের গল্প, শামির প্রথম বলে উইকেট, কোহলির দুর্দান্ত শতক, রোহিতের প্রায় ১০০ এবং বুমরাহর জাদুকরী বোলিংকে ইতিহাসের পাতায় ভালোভাবে স্মরণ করা হবে যদি আগামীকাল ট্রফিটি রোহিতের হাতে উঠে। ভারতের অবশ্যই সাফল্যের কোন ঐশ্বরিক অধিকার নেই এবং অধিনায়ক এবং কোচ একমত হবেন যে তারা কেবল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করতে পারেন। তবে এখন ভারতের এই দলের নিখুঁত সমাপ্তির স্ক্রিপ্ট করার সর্বোত্তম উপায় হল মাঠে জবাব দেয়া।
এই দুই হেভিওয়েটের চেন্নাইতে তাদের ম্যাচ শুরু না করার আগ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপটি খুব একটা দৌড়াতে পারেনি। এই দুইদলের তাদের চূড়ান্ত বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত এটি শেষ হবে না। মোতেরা থেকে খালি হাতে ফিরে আসা অধিনায়কের কীর্তি হতাশায় আবদ্ধ হবে আর অপর অধিনায়ক একটি ১১ কিলো ভরের সোনা এবং রৌপ্যর প্রলেপ দেওয়ায় ট্রফি দিয়ে লোকগাঁথায় অমরত্ব পাবে।
মন্তব্য করুন
আগামী ৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত
হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ অধিনায়ক
নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরকে সামনে রেখে বিশ্বকাপের সূচি
প্রকাশ করে আইসিসি।
এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এবারের
আসরে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দশটি দল। এর আগে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৮টি দল সরাসরি
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। বাকি দুটি দল উঠে আসবে চলমান বাছাইপর্ব থেকে।
স্বাগতিক বাংলাদেশ পড়েছে বি গ্রুপে।
যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাছাইপর্বের দ্বিতীয়
দল।
অপর গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত,
নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান ও বাছাইপর্বের প্রথম দল।
১৯ দিনের এই আসরে দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত
হবে মোট ২৩টি ম্যাচ। বাংলাদেশসহ গ্রুপ 'বি' এর সকল ম্যাচগুলো হবে ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয়
স্টেডিয়ামে। গ্রুপ 'এ'- এর সবগুলো ম্যাচের ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। ২০
অক্টোবর ঢাকায় ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের নবম আসরের। প্রথম সেমিফাইনালে
সিলেট ও দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে ঢাকায়। নকআউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচের জন্যই থাকবে রিজার্ভ
ডে।
আসরের প্রথম দিন বাছাইপর্ব থেকে আসা
দ্বিতীয় দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), ইউএন এইডস এবং ইউএন ভলান্টিয়ার এর বিশেষ প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে যুব সমাজের উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইউএন এইডস’এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সাইমা খান, ইউএনডিপির উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিজ সোনালী, ইউএনএফপিএ-এর কিশোর কিশোরী ইউনিটের প্রধান ড. ইলিজা আজেই এবং ইউএন ভলেন্টিয়ারের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মিজ সোনিয়া মেহজাবিন।
এ সময় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. শুসান ভেইজ বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যুবসমাজের জীবনমান উন্নয়নে আমরা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদেরকে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে, যেখানে যুবরা তাদের কথা নির্ভয়ে বলতে পারে।
শুসান ভেইজ বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নিয়ে সমন্বয় করে এই কমন প্ল্যাটফর্মের ডিজাইন শুরু করা যেতে পারে।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কণ্ঠস্বর প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সকল দাবি আদায় নিয়ে সচেষ্ট রয়েছে। দেশের যুব সংগঠনগুলো সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যুব অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই প্রশিক্ষণগুলো আরও উন্নতিকরণের চিন্তা করছি। এই বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ বছর পর জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর কুমিল্লা বিভাগীয় উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে খেলার সূচনা হয়। তিন জেলার অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে দুটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে – সবুজ দল এবং লাল দল।
সবুজ দল গঠিত হয়েছে কুমিল্লা দক্ষিণ ও মহানগরের খেলোয়াড়দের নিয়ে, আর লাল দল গঠিত হয়েছে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা মিলে। ২০ ওভারের এই খেলায় টসে জিতে সবুজ দল প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেহেদী হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সবুজ দল।
পরে, জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে লাল দলের প্রথমে নাজুক অবস্থা থাকলেও দলের হাল ধরেন নাহিদ ও সুমন। দুজনের পার্টনারশিপে রানের পার্থক্য কমিয়ে আনেন তারা৷ পরে, সবুজ দলের সানজিদ মজুমদারের বোলিংয়ের সামনে কাবু হয়ে যায় লাল দল। ৪ উইকেট হাতিয়ে নেয় সানজিদ। কিন্তু, লাল দলের নাহিদের ব্যাটিং জড়ে হাফ সেন্সুরি ও নাহিদ-ইয়াসির জুটির কাছে হার মানতে বাধ্য হয় সবুজ দল। ঘুরে দাঁড়ায় লাল দল৷ ৪ উইকেট হাতে রেখে ও ১৯ ওভারে ইয়াসির আরাফাতের বাউন্ডারির মাধ্যমে লাল দল নিজেদের ঝুড়িতে টার্গেট রান তুলে নেয়৷ সবুজ দলের দৃঢ় বোলিংয়ের সামনে লাল দল নিজেদের ব্যাটিংয়ের জড় দেখিয়ে এভাবেই একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জয় তুলে নেয়।
পরে, খেলোয়াড়দের মাঝে একে একে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা৷ উদ্বোধনী এই ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হন লাল দলের ইয়াসির আরাফাত। পরে, একে একে অতিথিদের হাত থেকে পুরষ্কার তুলে নেন দু’দলের খেলোয়াড়রা৷
এসময়, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারি আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম এবং কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা বিভাগীয় এই উদ্বোধনী ম্যাচের সাফল্যের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের বাকি খেলা নিয়ে স্থানীয় খেলোয়াড় ও দর্শকদের মাঝে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্ট ক্রীড়ার মাধ্যমে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের আয়োজনে সকল বয়সের নারী পুরুষদের নিয়ে কুড়িগ্রামে দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করছে।
আজ সকালে কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নে কালে ডাক্তার পাড়া গ্রামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল থেকেই বেশ কৌতূহল নিয়ে ডাক্তারপাড়া গ্রামে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ বয়সী মানুষদের আগমনে মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানটি। এসব খেলা দেখতে এলাকার সব বয়সী মানুষের অংশ গ্রহণে সৃষ্টি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশ। কিছুক্ষণের জন্য অনেকে যেন নিজের বয়স ভুলে ফিরে যান অতীতে কিংবা শৈশবে।
গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে ছিল বিস্কুট দৌড়, হাড়িভাঙ্গা, বালিশ খেলা, সুঁই সুতা, সাঁতার, চোখ বেঁধে হাঁস ধরা, তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে চড়া, পানিতে বলিশ খেলা ও যেমন খুশি তেমন সাজ। সকল বয়সের শতাধিক নারী পুরুষ ৯টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী ৩০জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও পিপি এস এম আব্রাহাম লিংকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান, কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদ, কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরুণ কুমার রায়, বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মিয়া, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার, ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সূর্য, দৈনিক মানবজমিন ও করতোয়ার সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিন্টু, উলিপুর ডট কমের সিনিয়র রিপোর্টার অমিত চন্দ্র পাল প্রমুখ।
খেলা দেখতে আসা মোঃ আব্দুল হাই বলেন, এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের অতীত খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম।
শিক্ষার্থী মোঃ নুর মামুন বলেন, টিভিতে মাঝে মধ্যে এসব খেলা দেখি।আজ স্বচোখে দেখে খুব মজা করছি। আগে গ্রাম গঞ্জে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে বৈশাখী মেলায় গ্রামে গ্রামে এসব খেলা হতো।এখন এগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ও নতুন প্রজন্মদের জন্য এসব খেলা অবহ্যত রাখা উচিৎ।
দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের সভাপতি রেজওয়ানুল হক নুরনবী বলেন, গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আহবায়ক শ্যামল ভৌমিক বলেন, কালের বিবর্তনে গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক যুগে মোবাইল ইন্টারনেটের কারনে এসব খেলা থেকে মানুষজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকার ও সচেতন মহলের উচিৎ গ্রামীণ খেলাধুলাকে বাচিয়ে রাখতে সু দৃষ্টি রাখা।
মন্তব্য করুন
আজ
(২ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকলো
বাংলাদেশ। সাগরীকা দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন।
ম্যাচপূর্ববর্তী
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছিলেন, ১ম ম্যাচে জয় নিশ্চিত
করে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে চান। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছেন মাঠে।
ম্যাচের
শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে আধিপত্য
বিস্তার করে খেলে পুরোটা সময়। এই ম্যাচে সাগরীকা নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন।
ম্যাচের
৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। স্বপ্না রানির ফ্রি-কিক গোলরক্ষক ঝাপিয়ে রক্ষা
করেন। নেপালের গোলরক্ষক সুজাতাতামাংয়ের হাতে লেগে দিক বদলে বারে প্রতিহত হয়। ফিরতি
বলে মুনকি আক্তার বল জালে জড়াতে চেষ্টা করলেও তার শট ডিফেন্ডাররা আটকে দেন।
২
মিনিট বাদেই আবারও আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মুনকি আক্তার। তবে
নেপালের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে তাকে থামান। ম্যাচের ১৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পান পূজা
দাস। তার মাটি কামড়ানো শট অল্পের জন্য পোষ্ট ঘেঁষে বেড়িয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া পূজার বা পায়ের
শট ক্রসবার ঘেষে বেড়িয়ে যায়।
৩৮
মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। গোলকিক থেকে বল পান স্বপ্ন রানী। তার হেডে বক্সের
কাছাকাছি ২ ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরীকা।
২ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের উপর দিয়ে চিপ শটে বল জালে জড়ান সাগরীকা।
ব্যবধান
২গুন করতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ ৪২ মিনিটে মুনকি আক্তারের দর্শনীয় গোলে ২-০ গোলের লিড
নেয় বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে এগিয়ে আসেন নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা। তবে
তার ক্লিয়ার করা বল পান ইতি খাতুন; ক্রস দেন মুনকি আক্তারকে। তিনি বুদ্বিদীপ্ত শটে
গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান। প্রথমার্ধে
ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো বাংলাদেশের। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ।
বক্সের ভেতর সাগরীকাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল
করতে পারেননি আফঈদা খন্দকার। তার শট পোস্টে লাগে। তবে ফিরতি বলে শট নেন সাগরিকা। তবে
নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা গ্লাভস বন্দী করেন। শেষ পর্যন্ত ২ গোলের লিড নিয়েই বিরতীতে
যেতে হয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের।
দ্বিতীয়ার্ধে
আক্রমণের ধার বাড়ায় ২ দলই। ৫২ মিনিটেই এক গোল শোধ করে ম্যাচে ঘুড়ে দাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়
নেপাল। সুকরিয়া মিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল। তবে লিড বাড়িয়ে নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি
বাংলাদেশ। ৫৬ মিনিটে সাগরিকার গোলে ব্যবধান ৩-১ করে সাইফুর বারী টিটুর শিষ্যরা।
পরের
ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
মন্তব্য করুন
ভারতের বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রবিবার(১২নভেম্বর) সকাল ১০টায় দেশে পৌঁছায় টাইগাররা।
শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। এই হারের মাধ্যমেই শেষ হয়েছে টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রা।
এবারে ৯টি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশের অর্জন কেবল চার পয়েন্ট। এছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি সাকিব বাহিনী।
দেশে ফিরে কিছুদিন বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তবে আগামী ২৭ তারিখ থেকে মাঠে গড়াবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। আগামী ২২ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখবেন কিউইরা।
মন্তব্য করুন
৮৫
বছর বয়সে চলে গেলেন আর্জেন্টিনাকে ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানো
ক্যারিশম্যাটিক কোচ সেজার লুইস মেনোত্তি।
এক্স
হ্যান্ডেলে মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানিয়ে এএফএ লিখেছে, আর্জেন্টিনা
ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার
বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!
স্থানীয়
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে,
মেনোত্তিকে মার্চ মাসে গুরুতর রক্তাস্বল্পতা নিয়ে একটি
ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি এপ্রিল মাসে ফ্লেবিটিসের জন্য অস্ত্রোপচার
করেছিলেন এবং পরে দেশে ফিরে আসেন বলে জানা গেছে। আর্জেন্টিনার ফুটবলে তাকে সবচেয়ে
প্রভাবশালী কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মেনোত্তি
একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং আর্জেন্টিনার কমিউনিস্ট পার্টির সহযোগী সদস্য হবার
পাশাপাশি বক্সিং অনুরাগী ছিলেন। তিনি রোজারিও সেন্ট্রাল (১৯৬০-৬৩ এবং ১৯৬৭) এর
একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসাবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তারপরে রেসিং
ক্লাব (১৯৬৪) এবং বোকা জুনিয়র্স (১৯৬৫-১৯৬৬)সহ একাধিক ক্লাবের হয়ে খেলেন।
মেনোত্তি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্ক জেনারেলদের হয়ে খেলেছেন (১৯৬৭), তারপরে ব্রাজিলের
সান্তোস (১৯৬৮) এবং ইতালির জুভেন্টাসের (১৯৬৯-১৯৭০) হয়েও তাকে খেলতে দেখা গেছে।
মেনোত্তি
১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। বিশ্বকাপের
প্রাক্কালে, মেনোত্তি
১৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়েছিলেন-যে সিদ্ধান্তের জন্য
উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি নয়। পরবর্তীতে মেনোত্তি ১৯৯১-৯২ সালে মেক্সিকো
জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। তিনি বার্সেলোনাকেও নেতৃত্ব দেন, যেখানে তার
স্কোয়াডে ম্যারাডোনা ছিলেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, উরুগুয়ের পেনারোল,
ইতালির সাম্পডোরিয়া এবং মেক্সিকোর টেকোসে ছিল তার শেষ কোচিং জীবন। মেনোত্তি
সিগারেটে আসক্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে তার তামাক আসক্তির কারণে তিন দিনের জন্য
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি এই অভ্যাস ছেড়ে দেন।
মেনোত্তি একজায়গায় রসিকতা করে বলেছিলেন, আমাকে না
হারানো পর্যন্ত আমি আমার চুল কাটব না। মেনোত্তির হাত ধরেই সহিংসতাপূর্ণ খেলার
কুখ্যাতি থেকে সরে এসে রোমান্টিক ধাঁচের ফুটবল খেলে সমর্থকদের মন জিতেছে
আর্জেন্টিনা।
মেনোত্তির
মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের
অধিনায়ক লিওনেল মেসি লিখেছেন,
আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং
প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।
মন্তব্য করুন