

বিষধর সাপের কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনার আমতলীতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে । গৃহবধূর নাম রেজিমোন এবং মৃত্যুকালে তার
বয়স হয়েছিলো ৫০বছর।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের মধ্য আঙ্গুলকাটা গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর থেকেই গুলিশাখালী ইউনিয়নের সর্বত্র এখন রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক
বিরাজ করছে ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ির পুকুরের ঘাটে অজু
করতে যায়। ওই সময় তার পায়ে সাপে কামড় দেয়। তার ডাক-চিৎকারে বাড়িতে থাকা স্বজনরা এগিয়ে
এসে দেখতে পায় রেজিমোন মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে এবং তার পায়ে সাপে কাটার চিহ্ন রয়েছে।
মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি অজ্ঞান হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। স্বজনরা তাকে তাৎক্ষণিক
পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। ধারণা করা
হচ্ছে তাকে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দিয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সাপের কামড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২৪৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন দয়াপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ সোহাগ (২৬)
এবং ২। মোঃ হাসান (২৬) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ২৪৪ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ সোহাগ (২৬)
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ মোসলেম মিয়া এর ছেলে এবং ২। মোঃ
হাসান (২৬) ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ ইয়াছিন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কাভার্ড ভ্যান যোগে দেশের
বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের দাপট। বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম জেলা। কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অপর দিকে ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত উপেক্ষা করে বাড়ী থেকে বের হলেও কাজ পাচ্ছে না অনেকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। এ সময় উওরীয় হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ - শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মিরাজুল বলেন, এই ঠান্ডায় বাইরে কাজ করতে যাচ্ছি। খুবই সমস্যা হচ্ছে,দুদিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছি। শীতকালে ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় সংসার চালানোয় মুসকিল হয়েছে। অভাবের সংসার, ছেলেদের গরমের কাপড় কিনবো তাও পারছি না।
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান বলেন, ধরলা নদী বেষ্টিত এই ইউনিয়ন। এখানকার মানুষ বেশীরভাগ দিনমজুর। এখানে এ যাবত সরকারিভাবে ৩১০ টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৫ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
“চলো করি বৃক্ষরোপণ, গড়ে তুলি সবুজ ভুবন” এই স্লোগানে চাঁদপুরের কচুয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ পাঠান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুপারি ও বিভিন্ন জাতের গাছের বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার উপজেলার পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মজুমদার।
এসময় মাদ্রাসার বিভিন্ন আঙ্গিনায় সুপারি গাছের চারা রোপন করা হয়।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ পাঠান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রকিবুল হাসান জেমস, মরহুম আব্দুর রশিদ পাঠানের সহধর্মনী জোৎসা বেগম, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুর রাজ্জাক আনোয়ারী, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সৌরভ, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান অভি, ছাত্রলীগ নেতা অন্তুর হোসেন, রাফি মজুমদার ও সজিব সরদার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের উদ্যোগে ২০২৪ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর ১২নং ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণীর ৪০জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের সভাপতি মোঃ জানে আলম ও সদস্য মোঃ রাতুলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক লুৎফুন্নাহার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান, সরোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, অভিভাবক সদস্য মোঃ মহসিন, মোঃ আলমগীর হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আয়োজক সূত্রে জানায় নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের সদস্য প্রবাসী মোঃ আরিয়ান ফরহাদ, মোঃ শরীফ, সাহারাজ, শাওন, মোঃ নিলয়, হৃদয় হাসান, রায়হানের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মোঃ রাহাদ, মোঃ রাতুল, মোঃ সোহরাব,মোঃ বিকনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি জানে আলম জানায়, প্রতিবছরের ন্যায় নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাব বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন। এলাকায় মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করে থাকেন, অসহায় হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন বলে জানান এবং এ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের ধারাবাহিকতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


পটুয়াখালীতে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এসব তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ট্রাক-ট্রলি ও ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাতে ব্যস্ততা দেখা গেছে চাষিদের মাঝেও।
এসব দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ ক্ষেতে। চাষিরা জানান, জেলার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বরি মৌসুমে অল্প সময়ে তরমুজ আবাদ ও লাভজনক হওয়ায় পটুয়াখালীর চাষিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
একই এলাকার চাষি সেলিম হাওলাদার (৪২) বলেন, তরমুজ চাষের জন্য অন্যের কাছে থেকে এক বছরের চুক্তিতে দুই একর জমি লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে চাষযোগ্য ১৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে বীজ ও সার-ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। আর বিক্রি করেছি চার লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরগুলোতে তরমুজ চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ভালো হয়েছে এবং লাভবান হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এ উপজেলায় আট হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসালো ফলটির চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ছয় হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এসব তরমুজ বাজারে বিক্রি দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ও গোলখালী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ। চাষিরা এখন বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি ইউনুচ হওলাদার (৪০) ১৩ বছর ধরে রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে দুই একর জমিতে ফলটি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষেতের কিছু তরমুজ গাছ মারা গেছে, তবুও যা ছিল ফলন ভালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরমুজ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ক্ষেত থেকে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত তরমুজ কেটে নেয়নি।
বৌবাজার এলাকার কৃষক তাসলিমা বেগম মাঝেরচর এলাকায় আট একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ উৎপাদন করে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এখনও ছয় একর জমিতে তরমুজ রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, প্রথমে দাম ভালো ছিল- এখন কিছুটা কম। আজকে রোদের তাপ অনেক, আবহাওয়া এভাবে থাকলে তরমুজের বাড়বে।
সুহুরী ব্রিজ এলাকার কৃষক আলআমিন জানান, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদার ও ব্যাপারীরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদাররা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানীতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন


আব্দুল মোতালেব নিখিল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নগরীর
২১ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর এলাকার নিজবাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত লুৎফা
বেগমের ছেলে শাহীন ও তার স্ত্রীকে লাকি আক্তারকে আটক করা হয়।
নিহতরা হলেন, রামনগর এলাকার আবু তাহেরের
স্ত্রী লুৎফা বেগম (৭০)। ও তার মেয়ে শিল্পী আক্তার (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রামনগর এলাকায়
আবু তাহেরের স্ত্রী লুৎফা বেগম ও তার মেয়ে শিল্পী আক্তারের সাথে শাহীনের স্ত্রী লাকি
আক্তারের পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো।
শনিবার বিকেলেও তাদের মধ্যে জগড়া হয়।
সবশেষ রোববার দুপুরে লুৎফা বেগম ও শিল্পী আক্তারের মৃত্যুর ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে
পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাইফুল
ইসলাম জানান, সুরতহালে নিহতদের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে কি কারনে তাদের
মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে শাহীন ও ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে একটি মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীসহ
৮ জন আহত হয়েছেন। বজ্রপাতে দুইটি গরু মারা গেছে।
জানা গেছে, সোমবার দুপুর চারটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন
স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাত হয়।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হওয়া বজ্রপাতে অন্তত ৮ জন আহত হয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন- উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের তামারহাজি গ্রামের
আনছার শেখের স্ত্রী শেফালী (৩৫), পৌরসভার সোতাশী গ্রামের রহমানিয়া আরাবিয়া মারকাস মাদ্রাসার
শিক্ষার্থী জাকারিয়া (১১), অহিদ (১২), সোহেব (১১), সজিব (১২), হোসাইন (১০), আ. মমিন
(১২) এবং পাশের লোহাগড়া উপজেলার চরশালনগর গ্রামের মুনজিলা (২১)।
হাসপাতালে ভর্তি শেফালী বেগমের স্বামী তামারহাজি গ্রামের আনছার শেখ বলেন, সোমবার
বিকেলে গোয়ালঘরের সামনের নারকেল গাছে বজ্র পড়ে। এতে দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের দুটি
গরু মারা যায়। আর গোয়ালঘরের বারান্দায় ছিল আমার স্ত্রী শেফালী। সে মারাত্মক আহত হয়ে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অপর বজ্রপাতের ঘটনায় রহমানিয়া আরাবিয়া মারকাস মাদ্রাসার
ছয় শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়।আহতদের দেখতে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান
উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক
ডা. শরীফুল ইসলাম বলেন, আহত রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার
অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
কবি সাহিত্যিকেরা বলে গেছেন, যদি কখনো মনের ব্যামো হয়, তাহলে আবহাওয়ার বদল করতে হয়। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাহিত্যের অঙ্গনে ছেলেমেয়েরা কবি সাহিত্যিকদের দেয়া সেই প্রেসক্রিপশনই অনুসরণ করলেন। তাইতো তারা নিয়মিত ক্লাস, এসাইনমেন্ট, পরীক্ষার একঘেয়েমি থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার জন্য বান্দরবানের প্রকৃতি থেকে ঢু মেরে আসলো।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাতে প্রকৃতির অনন্য নিদর্শন বান্দরবানের এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাসফরের শুভকামনা এবং সাময়িক বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আলী হোসেন চৌধুরী।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে শিক্ষাসফরের বাসটি বান্দরবান পৌঁছায়। সেখান তারা অপরূপ সৌন্দর্যে বেষ্টিত মেঘবাড়ি রিসোর্টে অবস্থান নেন। পাহাড় ঘেরা সবুজ মেঘের রাজ্যে সবাই মিলে একসাথে তাদের সকালের নাস্তা শেষ করেই তারা বেড়িয়ে পড়েন প্রকৃতির টানে। চাঁদের গাড়িতে করে পাহাড়ের বুক চিড়ে তারা ছুটে চলে নীলগিরি আর নীলাচলের দিকে। পথিমধ্যে তারা বিভিন্ন ঝর্ণা, এবং পাহাড়ী ছড়ার মায়াবী সৌন্দর্য উপভোগ করে। উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ এর কথা মাথায় রেখেই “considers man and nature as essentially adapted to each other, and the mind of man as naturally the mirror of the fairest and most interesting properties of nature.” তারা গিরিবালার সৌন্দর্য অবলোকন করেছেন, সেখানকার ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। শুধু পাহাড় দেখেই তারা তৃপ্ত হয়নি, ফিরতি পথে তারা সমুদ্র সৈকতে (পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত) তাদের পদচিহ্ন এঁকে দিয়ে এসেছে।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর :
মা বাবার বুকের ধন ছোট্ট শিশু ফরহাদ। ছয় মাস বয়সের দুধের শিশু। ফুটফুটে এ শিশুটি জন্ম থেকেই পায়ুপথের সমস্যায় ভুগছেন। সংকীর্ণ পায়ুপথের বাঁধায় নিয়মিত পায়খানা হয় না ।পেট ফুলে যায়। ৮-১০দিন পরপর ওষুধ দিয়ে পায়খানা করাতে হয়। যন্ত্রণায় ছটফট করে সারাক্ষণ কাঁদে শিশুটি। মা বাবা ব্যস্ত হয়ে পড়েন শিশুটিকে নিয়ে। কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ । চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই মা বাবার। চিকিৎসকরা তিনটি অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এদের মধ্যে ধার দেনা ও সর্বস্ব বিক্রি করে দেড় লক্ষ টাকায় একটি অপারেশন করিয়েছেন। তাতে সুস্থ হয়নি শিশুটি। আরো দুটি অপারেশন দরকার। এর জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। কিন্তু কোথায় পাবেন এ টাকা। এর চিন্তাই নির্ঘুম রাত কাটে বাবা মায়ের।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের বালাটারি গ্রামের মোকছেদুল হক ও ফরিদা বেগম দম্পতির সন্তান ফরহাদ। বাবা রিক্সা চালাতেন। ছেলে চিকিৎসার জন্য তাও বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার আয়ে ৪ সদস্যের পরিবার চলে। এখন ছেলের চিন্তায় কাজও ঠিকমতো করতে পারেন না। সম্বল বলতে তিন শতক জমির উপরে হাফ ওয়াল করে টিনশেডের দুই রুমের বাড়ি। ছেলের চিন্তায় অস্থির। তার ওপর মেয়ে বড় হচ্ছে। মহা বিপাকে দম্পতি। কি করবেন, কোথায় যাবেন। কুলকিনারা পাচ্ছেন না। শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্য চান। তাদের সাহায্যে চিকিৎসায় বেঁচে যেতে পারে তাদের বুকের ধন। শিশু ফরহাদের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠানোর জন্য তার বাবা মোকছেদুল হকের বিকাশ নাম্বার ০১৭৯৫৭০৬৯২৫।
এলাকাবাসী আশরাফুল হক, ইমান আলী ও আকলিমা বেগম জানান, শিশু ফরহাদের বাবা-মা গরিব মানুষ কোনভাবে কাজ কামাই করে সংসার চালায়,তাদের শিশু সন্তানটি জন্ম থেকে অসুস্থ,তাকে তো করতে অনেক টাকার প্রয়োজন, আমার সবার কাছে তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফরহাদের বাবা ও মা জানান,আমাদের কোন জমা জমি নেই মাত্র তিন শতাংশ জমির উপর একটি ঘর করে বসবাস করে আসছি,আমাদের শিশু সন্তানটি জন্মের পর থেকে অসুস্থ, তাকে সুস্থ করতে ধারদেনা করে একটি অপারেশন করেছি, ডাক্তার বলেছে আরও দুটি অপারেশন করতে হবে, একটি অপারেশন করতেই ধার-দেনা করেছি, বাকি দুটি অপারেশন করতে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে আমরা এত টাকা কোথায় পাবো, তাই সমাজের সকলের কাছে আবেদন সকলে যদি আমাদেরকে একটু সহযোগিতা করত তাহলে আমাদের শিশু সন্তানকে বেঁচে যেত।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ালীউল্লাহ মন্ডল জানান, বাচ্চাটাকে দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চাটা খুব অসুস্থ, তাদের পরিবার খুব গরিব তারা আবেদন করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন