

আগামীকাল জানা যাবে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার কত । ১৪৪৫ হিজরি সনের (২০২৪) সাদাকাতুল ফিতরের হার নির্ধারণে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি সভায় বসছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন জানিয়েছেন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্যরা থাকবেন ।
সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
ইসলামী শরীয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, গম, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন।
নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।
গত বছর (২০২৩ সাল) এর নির্ধারিত ফিতরার হার ছিল উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ১১৫ টাকা, যবের ক্ষেত্রে ৩৯৬ টাকা, কিসমিসের ক্ষেত্রে এক হাজার ৬৫০ টাকা, খেজুরের ক্ষেত্রে এক হাজার ৯৮০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬৪০ টাকা। অর্থাৎ গত বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


গতকাল রাতে সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন জেনেভা ক্যাম্পের সেক্টর ৩, ৭ ও ৮ এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বুনিয়া সোহেল গ্যাং-এর বিরুদ্ধে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এ সময় দীর্ঘ তল্লাশি করেও বুনিয়া সোহেলকে পাওয়া যায়নি। অভিযানকালে, বিপুল পরিমাণ মাদক, নগদ অর্থ এবং সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্য হতে ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং শেখ জিলানিসহ ৭ জনকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও পূর্ব হত্যাকাণ্ডের মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক কিংবা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে এ দীর্ঘসময় সেবা বন্ধ ছিলো ।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় তাই হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে ২ প্লাটুন বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গে দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন ও দর্শনার্থীদের তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। লাঠি, ধারালো অস্ত্র বা জীবনহানি হয় এমন কোনো জিনিস নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছেন। হাসপাতালে আসা রোগীরা টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছেন।
জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, শর্ত সাপেক্ষে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সেবা দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে এবং মূল দাবি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের মারপিট করা দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি আমাদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে সেনাবাহিনী এবং বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। আশা করব, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে।
প্রসঙ্গত
যে, গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা
ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা।
এরই জেরে আজ দিনভর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন


শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও পূজা পরিদর্শন করতে আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আজ বিকেল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন করতে যাবেন। তখন তিনি সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিনিময় সভায় অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ গণমাধ্যমকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা আজ শনিবার বিকেল ৩টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যাবেন।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে এসএসএফসহ
বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী বৃহস্পতিবার (৬
নভেম্বর) চার দিনের সরকারি সফরে তার নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন।
গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার
আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে
পাবনায় পৌছাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর জেলা সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার
গ্রহণ করবেন তিনি। পরে সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন রাষ্ট্রপতি।
পরদিন শুক্রবার (৭ নভেম্বর) আরিফপুরে পিতা-মাতার
কবর জিয়ারত করবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
এরপর শনিবারও (৮ নভেম্বর) সার্কিট হাউজে নিকট আত্মীয়দের
সঙ্গে দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাতে সেখানেই থাকবেন তিনি।
সফরের শেষ দিন রোববার (৯ নভেম্বর) সার্কিট হাউজে
গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয়
নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসককে প্রশাসনিক ব্যবস্থার
সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গবনের দরবার হলে প্রায় ৪০০ অতিথির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি।
ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ।
এদিকে ঢাকার বাইরে থাকায় উপদেষ্টার শপথ নেননি তিনজন। তারা হলেন- বিধান রঞ্জন রায় (চিকিৎসক), ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) ও সুপ্রদীপ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত)।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদে যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব ও পরিচয় প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো:
১.
ড.
মুহাম্মদ
ইউনূস
ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। সেখান থেকে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। পরে ওই ব্যাংককে সাথে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেই থেকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।
২. সালেহউদ্দিন আহমেদ
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর (দরিশ্রীরামপুর) গ্রামে তার জন্ম। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স পাস করেন এবং ১৯৬৯ সালে একই বিষয়ে এমএ পাস করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে কানাডার হ্যামিল্টন শহরে অবস্থিত ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
৩. ড. আসিফ নজরুল
আসিফ নজরুলের জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৬৬। তিনি একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯৯ সালে সোয়াস (স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ) ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময় জার্মানির বন শহরের এনভায়রনমেন্টাল ল সেন্টার থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে একজন কমনওয়েলথ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯১ সালে আসিফ নজরুল একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করতেন। তিনি কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন।
৪. আদিলুর রহমান খান
আদিলুর রহমান খানের জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২। একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। আদিলুর রহমান এবং সুশীল সমাজের অন্য সদস্যরা ১০ অক্টোবর, ১৯৯৪ সালে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার কর্তৃক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২০১৩ সালের শাপলা স্কোয়ার বিক্ষোভের সময় নেতাকর্মীদের অপসারণের অভিযানে নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর’ জন্য খানের বিরুদ্ধে ঢাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
৫. এ এফ হাসান আরিফ
আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। আরিফ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
হাসান আরিফ অক্টোবর ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি জানুয়ারি ২০০৮ থেকে জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।
৬. তৌহিদ হোসেন
মো. তৌহিদ হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ সালে। তিনি একজন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন।
৭. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের জন্ম ১৫ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’ এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’ প্রাপ্ত এবং ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকীর ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী।
৮. মো. নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। নাহিদের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। তার বাবা শিক্ষক। মা গৃহিণী। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
৯. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।
১০. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
এম সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে। তিনি একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার (২০০৭-২০১২)। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত)।
১১. সুপ্রদীপ চাকমা
সুপ্রদীপ চাকমা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা। এ ছাড়া রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা ও কলম্বোতে বাংলাদেশ মিশনেও তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
১২. ফরিদা আখতার
ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক তিনি।
১৩. বিধান রঞ্জন রায়
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ছিলেন তিনি।
১৪. আ ফ ম খালিদ হাসান
আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন (যিনি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন নামে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলাদেশি সুন্নি দেওবন্দি ইসলামী পণ্ডিত। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক।
১৫. নুরজাহান বেগম
তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৬. শারমিন মুরশিদ
ব্রতী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ।
১৭. ফারুক-ই-আজম
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত ওই অভিযানিক দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান। ৬ মে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এই অবস্থায় তিনি একদিন শুনলেন, নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হবে। তিনি লাইনে দাঁড়ালেন। টিকে গেলেন। পলাশীতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১ আগস্ট অপারেশনের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়।
মন্তব্য করুন


উন্নয়ন
প্রকল্প পরিকল্পনার ক্ষেত্রে নদীর পানিপ্রবাহ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে তা নিশ্চিত করার
জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৮ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সমন্বিত অর্থনৈতিক
করিডোর উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জোং ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের
(ইআরডি) কর্মকর্তাদের একটি দল এই প্রকল্পের বিস্তারিত রূপকল্প, কৌশল এবং বাস্তবায়ন
প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার
আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ
এবং মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে নির্দেশ দেন।
তিনি
বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের নদীপ্রবাহকে। বাংলাদেশ একটি
বদ্বীপ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের পানিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের
ক্ষেত্রে ওই এলাকার জনসংখ্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশ বন্যাপ্রবণ।
তাই পানিপ্রবাহ বন্ধ করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে
তুলবে। বন্যার সময় আমাদের দেশের মানুষ উঁচু রাস্তা, সেতু এবং রেলপথে আশ্রয় নেয়। সুতরাং
সেতু শুধু নির্মাণ করলে হবে না, এটি জনগণের জন্য আশ্রয় হচ্ছে নাকি বিপদ ডেকে আনছে সেটাও
বিবেচনা করতে হবে।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তৃতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক সংযোগ। আমরা এ অঞ্চলে একটি ইনভেস্টমেন্ট
হাব তৈরি করতে চাই। সেজন্য প্রকল্প এমন হতে হবে যা নেপাল, ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও
সংযুক্ত করবে।
বৈঠকে
এ উন্নয়ন প্রকল্পে পানি বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে এবং একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির
নির্দেশ দেন তিনি।
মন্তব্য করুন


আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের
উদ্যোগে আয়োজিত শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলন-২০২৪ উপলক্ষে
ঢাকার মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। সেনাবাহিনী
প্রধান সবাইকে শুভ কঠিন চীবর দান উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। সেই সাথে
পার্বত্য জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিটি ধর্মের নিজ নিজ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে
উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণে সদা প্রস্তুত।
একইসাথে তিনি সম্প্রীতির দেশ গঠনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে
অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়
উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য অনুষ্ঠানে আগত ঢাকাস্থ বিদেশী মিশনের সম্মানিত
কূটনীতিকগনকে ধন্যবাদ জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান পার্বত্য জেলা সমূহে শান্তি ও
সম্প্রীতির উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকায়
বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালিদের সচেষ্ট থাকতে অনুরোধ করেন। এছাড়াও প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যমন্ডিত পার্বত্য জেলাসমূহে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি স্থানীয়
ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পার্বত্য জেলাসমূহে অধিকতর স্কুল, কলেজ ও
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতাকে দেশে ও বিদেশে
ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
সবশেষে তিনি সারা দেশব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ
কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীসহ সকল
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করায় বুদ্ধিস্ট
ফেডারেশনের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সেনাসদরে
সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের
প্রতিনিধি দল। সেসময় সেনাবাহিনী প্রধান তিন পার্বত্য জেলায় শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা
ও কঠিন চীবর দান উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার
ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব সমূহ পালন করার
জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান
করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ
বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে এক কোটি টাকার চেক
অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামসহ
সারাদেশে ২৬৬টি বৌদ্ধ বিহারে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ কঠিন চীবর
দান পালিত হয়েছে।
পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব
জেনারেল স্টাফ ও জিওসি ৯ পদাতিক ডিভিশন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সভাপতি
শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাথের মহোদয়, প্রধান ধর্মদেশক ভদন্ত এস লোকজিৎ মহাথের
মহোদয়সহ বিভিন্ন বিহার থেকে আগত পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, ঢাকাস্থ বিদেশী মিশনের কূটনীতিক ও
সর্বস্তরের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী গন এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভবন অবকাঠামোতে শৃঙ্খলা আনতে নতুন করে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসাব সভাপতি নিয়াজ আলি চিশতি, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন প্রমুখ।
নির্মাণে ত্রুটি ও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে ভবনে আগুন লাগে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আগুন লাগার মূল কারণ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট। যে ইলেকট্রিক ক্যাবল ব্যবহার করা হয় তার মান ভালো না, এই ক্যাবলের মান যেন ভালো হয় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া অনেকগুলো ভবনের অবকাঠামো ভালো না। রানা প্লাজায় যে ঘটনা ঘটেছিলো, ভবনটা ধসে পড়ে। তার অবকাঠামোর পরিকল্পনা পাস করা হয় নাই। সেখানেও আমরা ব্যবস্থা করছি।
বিএসটিআইকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, একটা প্রতিরোধমূলক অবকাঠামো করা প্রয়োজন। ঘটনা ঘটার আগে যেন আমরা তা প্রতিরোধ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, অগ্নি নির্বাপণের যন্ত্রপাতি আগে আমদানি করতে হতো। তবে ইসাব (ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) জানিয়েছে এখন ফায়ার বল ও ক্যাবল দেশে তৈরি করছে। কিছুটা আমরা এক্সপোর্টও করছি। দেশে এই ধরনের পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। নতুন আইন করছি সেটা হলো বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড। আইন অনুযায়ী রেগুলেটরি অথরেটি তৈরি হবে, সেটা এখনো হয় নাই। তবে তা তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা করবো। এটা হয়ে গেলে প্রতিরোধমূলক কাজগুলো ওই রেগুলেটরি অথরিটির মাধ্যমে করবো।
ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর আয়োজন করছে ইসাব। প্রদর্শনীতে বিশ্বের ৩০টি দেশের শতাধিক বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে, যারা তাদের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির অত্যাধুনিক পণ্যগুলো প্রদর্শন করছে।
ইসাব সভাপতি নিয়াজ আলি চিশতি বলেন, দেশের অর্থনীতি যত বড় হচ্ছে অগ্নি ঝুঁকিসহ নিরাপত্তার বিষয়টি ততই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও টেকসই অবকাঠামো নির্মাণে অগ্নি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম অগ্নি ঝুঁকি কমাতে নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার না করার আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ এ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, অগ্নি নিরাপত্তার সরঞ্জামগুলো দেশেই উৎপাদন করা সম্ভব। এ জন্য এ খাতে উদ্যোক্তার নীতি সহায়তা দেওয়া যেতে পারে।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব জানিয়েছেন, ভূঁইয়া পার্ট
টাইম হিসেবে শিক্ষার্থীরা চার ঘণ্টা করে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করবে।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর)
পহেলা নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস উদযাপন উপলক্ষে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ
সম্মেলন একথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বলেন, প্রত্যেক সেক্টরেই ছাত্রদের কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে
তাদের এখন থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। এক হাজার যুবক নিয়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক একটি
কোর্স করানো হয়। সেখান থেকেই ৭০০ জন যোগ দিচ্ছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে
৩০০-৪০০ জন নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে ৭০০ জনের নিয়োগ হবে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে
তারা কাজ করবে। সকাল এবং বিকেল এই দুই সময়ে যানজট বেশি থাকে তাই ৪ ঘণ্টা করে তারা এই
সময়ে কাজ করবেন। ছাত্রদের পড়াশোনা শেষ হলে তাদের আগ্রহ থাকলে তাদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি
বিবেচনা করা হবে। ফুল টাইম নিলে সরকারের অর্থ বেশি লাগবে। পার্ট টাইম হিসেবে নিলে শিক্ষার্থীদেরও
আয়ের ব্যবস্থা হলো। বিশ্বের উন্নত অনেক দেশেই শিক্ষার্থীদের সরকারি বিভিন্ন কাজে সুযোগ
দেওয়া হয় বলেও জানান উপদেষ্টা।
যুব উপদেষ্টা আরও
বলেন, সারা দেশে ৬৪টি খাল পরিষ্কার করবে যুব ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে
ঢাকার রামপুরা-জিরানী খাল পরিষ্কার করা হবে। সারা দেশে ২৬ লাখ গ্রাজুয়েট বেকার রয়েছে।
আর মোট বেকারের সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ। আগামী ২ বছরে ৫ লাখ যুবককে কর্মসংস্থান করার
উদ্যোগ নেবে সরকার এবং ৯ লাখ যুবককে ট্রেনিং দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাজারে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি ১১টি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যপণ্য আমদানিতে বিলম্বে বিল পরিশোধের সুবিধা দিয়েছে।
এই পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর। এগুলো এখন ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটে আমদানি করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার (১১ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করা ও রমজানের আগে বাজারে পণ্যের সরবরাহ বজায় রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি কার্যকর থাকবে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
মার্জিন নীতিতেও শিথিলতা
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি এলসি খোলার ক্ষেত্রে আগের ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন রাখার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে। এখন ব্যাংক ও গ্রাহকের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই হার নির্ধারিত হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে এসব পণ্যের আমদানি সহজ করা হচ্ছে, যাতে বাজারে সরবরাহ বজায় থাকে ও দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে এসব পণ্যের আমদানি ঋণপত্রে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, নগদ মার্জিন কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক অর্থের চাপ কমবে। এতে আমদানি ব্যয়ও হ্রাস পাবে, যা ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। সাম্প্রতিক ডলার সংকটে ডাল, ভোজ্যতেল, খেজুর, ছোলা ও মসলা আমদানিতে যে বাধা ছিল, নতুন এই উদ্যোগ তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সরকারের আগাম প্রস্তুতি
এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়। বৈঠকে চিনি, ছোলা ও সয়াবিন তেল আমদানির পাশাপাশি ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার এবং দুই কার্গো এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, রোজার সময় ছোলা ও সয়াবিনের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তাই আগেভাগেই এসব পণ্য আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে বাজারে সংকট না হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এই পণ্যগুলো আমদানি করবে। পাশাপাশি, খেজুর আমদানির বিষয়েও শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাব
সরকারি বৈঠকে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৯২ পয়সা দরে মোট ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকায়,
১০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা প্রতি কেজি ১০৭ টাকা ৩৯ পয়সা দরে মোট ১০১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা,
এবং ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা ১৫ পয়সা দরে ৫৩ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
সারসংক্ষেপ
সব মিলিয়ে, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ঘাটতি এড়াতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক একাধিক আর্থিক ও নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে আমদানিকারকরা স্বস্তি পাবেন এবং সাধারণ ভোক্তাও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন