টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র
করে যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক।
তাবলিগ জামাতের যোবায়েরপন্থিদের মিডিয়া
সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান ও মাওলানা সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক আবু সায়েম বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত
৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতরা হলেন আমিনুল
ইসলাম বাচ্চু (৫৫), বেল্লাল হোসেন (৬০) ও তাইজুল ইসলাম(৭০)।
আহতরা হলেন- আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান
(৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ
(৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০),
আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫),
আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।
মন্তব্য করুন
ডিমের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে যশোরে আফিল অ্যাগ্রোসহ ৪ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্স।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এ অভিযান পরিচালনা করা হয় যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে।
ডিমের বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে যশোর শহরের বড়বাজার, চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড় ও আরবপুর এলাকায় অভিযান চালায় বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্স। এ সময় তারা প্রমাণ পান বিভিন্ন দোকানে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করার।
দোকানদারদের দেওয়া তথ্য মতে, পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশি মূল্যে ডিম বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় বড়বাজারের ২ পাইকার ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় পাইকাররা উৎপাদকের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ডিম না পাওয়ার অভিযোগ করলে টাস্কফোর্স শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকায় আফিল অ্যাগ্রোর বিপণন কেন্দ্রে অভিযান চালায়। সেখানে গিয়ে উৎপাদককে খুচরা মূল্যে ডিম বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে শহরের আরবপুরে চাঁদ অ্যাগ্রোর বিপণন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে মনোপলি ব্যবসার প্রমাণ পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানায়, যশোরের উৎপাদকরা নিজেরাই পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী হিসেবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে উৎপাদক হিসেবে ১০ টাকা ৩৮ পয়সা দামে ডিম বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোমবার ৪ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ আবার তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা ফিরে পেয়েছেন। এর সঙ্গে এখন যোগ করতে হবে বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতা। আকাক্সক্ষাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার
(৭ নভেম্বর) ঢাকায় ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন : ঢাকার উত্তরাধিকার’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন
তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের ফসল। তাই আমরা বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখতে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার এবং উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারবো- যেমন আস্থা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছিল বলে তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়েও আইনস্টাইনকে লিখতে পেরেছিলেন। ১৯২৪ সালে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ যেভাবে গড়ে ওঠেছিলো, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমরাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্খারই শতবার্ষিকী পালন করছি। বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আজ আমরা আমাদের দেশের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একজন উজ্জ্বলতম তারকার মহত্তম অবদানের শতবার্ষিকী উদযাপন করতে এসেছি। যিনি ১৯২৪ সালের এমন একটি সময়ে তাঁর আবিষ্কার বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের জন্য বিজ্ঞান ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। আর তিনি এটি করেছিলেন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন অধ্যাপক হিসেবে কার্জন হলের একটি কামরায় বসে, আজো যেটি পদার্থবিদ্যার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত। তাঁর আবিষ্কারের গুরুত্বের কারণে পৃথিবীর নানা দেশের পদার্থবিদগণ এই শতবার্ষিকী উদযাপন করছেন। কিন্তু আমাদের জন্য এই আবিষ্কারের মর্মটাই আলাদা। পদার্থবিদরা বলেন, বিংশ শতাব্দীর ওই পর্যায়ে পদার্থবিদ্যায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিলো কোয়ান্টাম থিওরির মাধ্যমে, এটি ছিল তার মধ্যে একটি বড় সংযোজন। এর মাধ্যমে বসু বিশ্ব-বিজ্ঞানের মানচিত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের ঢাকা নগরীকে উজ্জ্বলভাবে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন। আজ আমরা যখন ছাত্র-জনতার একটি সর্বাত্মক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুন ভাবে গড়ার প্রয়াস নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি, তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদযাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে? ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কি এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। এ নিয়ে গবেষণা চলছেই।
তিনি উল্লেখ করেন, সারা দুনিয়ার পদার্থবিদ্যার ছাত্ররা জানে যাবতীয় পদার্থ-শক্তি সব কিছুর একেবারে মূলে যে মৌলিক কণিকাগুলো এদের শ্রেণী বিভাজনে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে বসুর থিওরির দ্বারা ঠিক করে দেয়া নির্দেশিকা।
প্রধান উপদেষ্টা
আরও বলেন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু শিক্ষার সর্বস্তরে, বিশেষ করে উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক বিতর্ক করছেন, বাংলায় বই লিখছেন, পত্রিকা বের করছেন, নিজের পাঠদানে বাংলা ব্যবহার করছেন। শহরের সাহিত্যানুরাগী সংস্কৃতিসেবীদের কয়েকজনকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠকি আড্ডা গড়ে তুলেছেন। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখনকার ঢাকার সঙ্গে বসুর ঢাকারই মিল বেশি ছিল। কাজেই পরিবেশটি বেশ কল্পনা করতে পারি, ঢাকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই শান্ত ছোট শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরত আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরত আনতে পারি, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে। বোস- আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে একথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোহাম্মদ ইসহাক দার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) বৈঠকে দুই নেতা
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান
বৃদ্ধি, তরুণ প্রজন্মের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সার্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবনের
ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপপ্রধানমন্ত্রী দার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়ে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আন্তরিক
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও উষ্ণ শুভেচ্ছা
জানিয়ে শরিফের সঙ্গে অতীতে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বার আমাদের
সাক্ষাতে সার্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন, সার্ক আমাদের উভয়ের
কাছেই অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।
ইসহাক দার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির
সুযোগ তুলে ধরে বলেন, আমাদের দুই অর্থনীতি পরিপূরক। বহু ক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ
করতে পারি। তিনি দারিদ্র্য বিমোচন ও কমিউনিটি ভিত্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে অধ্যাপক
ইউনূসের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ সৌভাগ্যবান যে, আপনার মতো একজন সরকারপ্রধান
রয়েছে— আপনি এমন একজন নেতা যিনি বিশ্বকে অনুপ্রাণিত
করেন।
সফরকালে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের বাণিজ্য ও জ্বালানি উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আহ্বান
জানিয়ে বলেন, আমি সার্ককে উৎসাহিত করি এবং পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের
সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের একটি হিসেবে দেখি।
তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে
ধরে বলেন, যখন পাকিস্তানি শিল্পীরা বাংলাদেশে গান পরিবেশনা করেন, সবাই তাদের প্রশংসা
করে। এই চেতনার ওপরই আমাদের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
১৩ বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসা পাকিস্তানের
কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে নৌ ও বিমান যোগাযোগ
উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে।
ইসহাক দার বলেন, অক্টোবরের মধ্যে ফ্লাই
জিন্নাহ ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া পিআইএও বেসরকারিকরণের
পর ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে।
বৈঠকে উভয় নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন
যে, বাণিজ্য বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়াকে আরও স্থিতিশীল
ও সমৃদ্ধ করবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক
বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
(সূত্র- বাসস)
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার তৃতীয় ভয়েস
অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত
করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
ভারতের নয়াদিল্লিতে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে এই সামিটে যুক্ত দিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই ড. ইউনূসের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড, যেখানে একাধিক দেশ যুক্ত ছিল। এই সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সামিটে প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম,
অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।
এ সময় ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে গতকাল শুক্রবার
ফোনালাপে সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র
মোদি। তখন আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি হন
প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কাজ শুরু করেছে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ, পুলিশের সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।
সরকার খুব শিগগির একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর
পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন। এর সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে। এই আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নতুন ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক
মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিধি আরও বড় হচ্ছে।
নতুন করে ৫ উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন। এরমধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, লে.ক. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন।
বঙ্গভবন সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাগণ উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, গত ৮ আগস্ট রাতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় গঠিত হলো দেশের বহুল আলোচিত অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় আরও ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে ১১ ও ১৩ আগস্ট আরও তিন জন উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা ঢাকার বাইরে থাকায় পরে শপথ নেন।
অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত
হোসেন, ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ,
ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), আদিলুর রহমান খান, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন
রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার পরে রুট পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে। গাজীপুরের পরিবর্তে টঙ্গী থেকে কিশোরগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহে চলাচল করবে ট্রেন।
দুর্ঘটনার পরে এই রুট পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আজ ১৩ ডিসেম্বর সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।
তিনি বলেছেন, ময়মনসিংহের রুটে আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ওই অঞ্চলের ট্রেনগুলো রুট পরিবর্তন করে চলাচল করছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ট্রেনগুলো ঢাকা-বিমানবন্দর-টঙ্গী-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করছে।
এর আগে আজ (১৩ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৪টার দিকে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল লাইনে বনখড়িয়া ভাওয়াল রেল স্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসটি লাইনচ্যুত হয়।
গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা গ্যাসকাটার দিয়ে রেল লাইন কেটে ফেলায় ইঞ্জিন এবং ৭ বগিসহ লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি।
দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় আসলাম হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
নিহত আসলাম হোসেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার রওহা গ্রামের বাসিন্দা।
রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইন সংস্কার এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর
হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক
চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের
ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে
সহায়ক।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায়
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি
করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে
তুলবে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি,
যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত
হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি
সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন
এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি,
যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি
আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর
জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের
প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয়
যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।
ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি।
এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে,
তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন,
সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার
যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন,
ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
মোকাবিলা করতে পারে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল
বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন
শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে
সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা এলাকায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মো. মনিরুজ্জামান মনির (৫০) নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে।
শেরপুর সদর উপজেলার রাজবল্লবপুর গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের ছেলে নিহত মনিরুজ্জামান। নিহত মনিরুজ্জামান ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এসআই মনিরুজ্জামান মামলার সাক্ষ্য দিতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বিকেলে মাইক্রাবাসে করে ময়মনসিংহ ফিরছিলেন এসআই মনিরুজ্জামান । পথে ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে মাইক্রোবাসটি। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয়রা মনিরুজ্জামানকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ প্রধান উপদেষ্টা ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের বিষয় গুলোতে আলোচনা করেন।
ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, ভ্যাটিকান সিটির আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিভাগের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশের ইসলামি স্কলারদের মধ্যে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ভ্যাটিকানের সহায়তা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বতী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। ইতোমধ্যে এ ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এদিকে তিনি আরো বলেন, অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম মাসেই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন