আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার অন্তর্গত পুরাতন মেঘাই গ্রামে যমুনা নদীতে রাতভর প্রবল বর্ষণ ও স্রোতের কারণে স্থানীয় বাঁধ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আনুমানিক সকাল ১০ঘটিকায় শহর রক্ষা বাঁধটির ৭০x৩০ বর্গ মিটার এলাকা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। শহর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রভাব পড়বে কাজীপুর এলাকাসহ আশপাশের এলাকায়, এমনকি বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বগুড়া অঞ্চলের সিরাজগঞ্জ জেলায় দায়িত্বরত ১১ পদাতিক ডিভিশনের ৪০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সেনাসদস্যদের একটি দল পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বাঁধটি প্রাথমিকভাবে মেরামত পূর্বক ভাংগনের হাত থেকে রক্ষা করে।
উল্লেখ্য, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা
জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে খাবার খেয়ে ২৮ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এবং ২৫ জন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়) রাত ৯টার পর।
এদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকায় এবং ২৫ জনে বাড়ি রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নে।
তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে।
তারা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে খাবার গ্রহণ করেন। তারা সন্ধ্যার পর থেকে অসুস্থ হতে শুরু করেন। বমি এবং পাতলা পায়খানা করেন অনেকেই।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম জানান, তারা অসুস্থ হয়েছেন ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়ায়। তবে কোন ধরনের খাদ্যে বিষক্রিয়া ছিল, এ চিকিৎসক সেটা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হাসপাতালে ২৫ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর, তবে অনেকের অবস্থা ভালোর দিকে। ঠিক কোন খাবারের বিষক্রিয়া হয়েছে, সেটা আমরা নিশ্চিত নই। নমুনা ল্যাবেটরিতে পাঠালে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আরও ৩ জন ভর্তি রয়েছেন।
অসুস্থরা ধারণা করছেন, তারা অসুস্থ হয়েছেন বিয়ে বাড়ির দধি খেয়েই।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়ির তছলিম পাটওয়ারীর ছেলে মো. মানিকের সঙ্গে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চর মান্দারী গ্রামের তফাদার বাড়ির তোফায়েল আহমেদের মেয়ের বিয়ে হয়। শুক্রবার বউ ভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় রব পক্ষের লোকজন।
বর মানিকের ভাই মো. মাসুম জানান, আমরা বর পক্ষের প্রায় ২০০ অতিথি নিয়ে কনে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের দুপুরের খাবার খাই। বিকেলে চলে আসি। এরপর আমাদের পক্ষের অন্তত ৫০ জন অতিথির বুমি এবং পাতলা পায়খানা শুরু হয়। তাদের মধ্যে ২৫ জনকে রায়পুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আবার অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বিভিন্নভাবে।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসে লোডশেডিং না
দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির করা হচ্ছে
বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রবিবার (২ মার্চ) আসরের নামাজের পর রাজধানীর সার্কিট হাউজ জামে
মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, রমজানে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি
আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করছি রমজান মাসে ইনশাআল্লাহ কোনো লোডশেডিং হবে
না।
তিনি বলেন, আমাদের যে গ্যাস ছিল সেই গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছি। এবারের রোজা কিছুটা
গরমের মধ্যে পড়ছে। এ সময় আমাদের সেচের জন্য অনেক বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। বিদ্যুতের
চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ থেকে ১০ হাজার
মেগাওয়াট। সেচ ও গরমের কারণে এই বিদুতের চাহিদা গরমে ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট
হয়ে যায়। এর মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট লাগে আমাদের সেচ কাজে। কিন্তু সেচ বন্ধ
করা যাবে না। সেচ বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।
বিদ্যুৎ চুরির বিষয়ে উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু
যে বিদ্যুৎ চুরি হয় তা নয়, গ্যাসও চুরি হয়। সেজন্য আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করছি। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, শীততাপ
নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বার জন্য ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে।
এজন্য আমরা ইমাম সাহেব এবং মুসল্লিদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি এসির
তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখার জন্য। এই ২৫ ডিগ্রি বেশ ভালো তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রায়
মানুষ খুব আরামে ইবাদাত করতে পারবে। জুয়েলারি শপেও যেন অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বা না করা হয়। এজন্য আমি
এবং আমার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সহকর্মীরা সবার কাছে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল (৫ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জাতীয়
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন।
বাংলাদেশ
টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ হচ্ছে। অর্থাৎ আজ রাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ইলিশ ধরায়।
ইলিশ সংরক্ষণে প্রজনন মৌসুমে এ সময়কালে সারা দেশেই বন্ধ থাকছে ইলিশ শিকার, বাজারজাতসহ সব কার্যক্রম। এদিকে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাপক প্রস্তুতিও রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের এই ২২ দিনে মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মানদীর বিভিন্ন পয়েন্টে গোপনে ইলিশ শিকার করে অসাধু জেলেরা। পদ্মার পাড়েই অস্থায়ী হাট বসিয়ে দেদারসে বিক্রি হয় সেই ইলিশ। এই সময়ে অবাধে বিপণনে বাধা থাকায় কিছুটা কম দামে ইলিশ বিক্রি হয়ে থাকে। শিবচরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মানুষ মাছ কিনতে পদ্মার পাড়ে ছুটে আসে।
আরেকটি সূত্র জানায়, মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর হয়ে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা নদীতে নামতে পারবেন না। এ সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এ বছর জেলেরা যাতে নদীতে নামতে না পারে সেই লক্ষ্যে জেলা-উপজেলা মৎস্য অফিস, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে। পদ্মার পাড়ে কোনো অস্থায়ী হাট বসলে দ্রুত তা ভেঙে দেওয়াসহ কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
দেশের
সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
প্রধান
উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে
আর্থিক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার
চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো
হলো-
১।
চাহিদা ও জোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে
হবে। এজন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে সরবরাহ পরিস্থিতির
উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ
থেকে স্বস্তি পেতে সবাইকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।
২।
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা
লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
৩।
ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কারের
বিষয়টি চলে এসেছে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে
দ্রুত কার্যক্রম নেওয়া হবে।
৪।
আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সংস্কারের বিষয়ে একটি রূপকল্প তৈরি করা হবে, যা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির সহায়তায় সহজ শর্তে বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বুধবার নিউইয়র্কে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এ কথা জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা জানান, অর্থনৈতিক সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহনে সংস্কারের জন্য ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা) সহায়তা দেওয়া হবে।
এর মধ্যে নতুনভাবে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর আগের ঋণ সহায়তা থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সংস্কার খাতে। বৈঠকে ড. ইউনূস তার নেওয়ার সংস্কারমূলক কাজের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে আরও সহায়তা চান।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন প্রধান
চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) সচিবালয় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ কথা জানান।
এর
আগে তিনি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো আইনশৃঙ্খলা, যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি
করা যায়। আমি কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রয়েছি, সেখানে আমার লক্ষ্য কীভাবে উৎপাদন
বাড়িয়ে লোকজনকে খাওয়াতে পারি বেশি।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা আরও বলেন, জাতিসংঘ থেকে যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসার কথা, সেটা তারা পাঠাবে।
সেক্ষেত্রে তারা আমাদেরকে কোন ধরনের সহযোগিতা করবে, আমরা কোন ধরনের সহযোগিতা চাই-
এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মেশিন আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে
আসতে পারে।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সীমিত ডিকার্বনাইজেশন সক্ষমতা সম্পন্ন
বেশিরভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সবুজ শিল্প বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত
সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও রেয়াতি ডিকার্বনাইজেশন
ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে ক্লাইমেট ক্লাবের সাথে কাজ
করতে ইচ্ছুক।
এখানে
প্রাপ্ত একটি বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে
জার্মানি ও চিলি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ক্লাব নেতাদের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন আরো বেশি দ্রুত
ও টেকসই উপায়ে হ্রাস এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৩ শতাংশ
কমাতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্যে পৌঁছানোর জন্য উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
সীমাবদ্ধ করতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি
বিশেষ করে উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রমাণিত কম নির্গমন প্রযুক্তি
প্রদর্শন ও স্থাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, অনেক ডিকার্বনাইজেশন প্রযুক্তির জন্য উলে¬খযোগ্য অগ্রিম বিনিয়োগের প্রয়োজন। অর্থায়নের
সীমিত সুযোগ রয়েছে এমন দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সবচেয়ে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে
এ ধরণের অধিক মূলধন বিনিয়োগ করা শিল্পের জন্য একটি বাধা হতে পারে।
প্রধান
উপদেষ্টা বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের শিল্পের জন্য
রেয়াতি অর্থের সুযোগ লাভকে উৎসাহিত করে শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের ক্ষেত্রে অর্থায়নের
জন্য আর্থিক ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি
বলেন, প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬.৮ এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি
এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আমদানিতে
সুষম কার্বন খরচ আরোপ করে একটি সুষম ক্ষেত্র তৈরি করতে কার্বন মূল্য নির্ধারণ বা সীমা
সমন্বয় করের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তির উপর জোর দিয়ে, ২০০৬ সালের নোবেল পিস লরিয়েট বলেন,
স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার প্রেক্ষিতে
অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।
শিল্পের
ডিকার্বনাইজেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমন বিশ্বব্যাপী স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তি
ভিত্তিক উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে, কারণ কিছু খাত টেকসই ব্যবস্থা অনুশীলনের
তুলনায় ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, ‘এসব ঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে ডিকার্বনাইজেশন
প্রচেষ্টার ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্বন সীমা সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো নীতিগুলি
অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে, এসব নীতি বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলির প্রতিযোগিতামূলকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অধিক নির্গমন নীতির কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তাদেরকে কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
তিনি
আরো বলেন, ‘অতএব, স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার
কারণে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, খণ্ডিত উপায়ে উচ্চাভিলাষী প্রশমন নীতিগুলো শিল্প কর্মকা-কে এমন অঞ্চলে
নিয়ে যাচ্ছে যেখানে কার্বন মূল্যের কোনো নীতি নেই বা কম কঠোর, যা কার্বন নির্গমনের
দিকে ধাবিত করে এবং এইভাবে সামগ্রিক বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের বৈশ্বিক লক্ষ্যকে
বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি
বলেন, ইইউ প্রস্তাবিত কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম) রপ্তানিকৃত
পণ্যগুলোতে নির্গমনের মান পরোক্ষভাবে প্রয়োগ করে এবং কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ করে সংশ্লিষ্ট
দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু নীতি শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করতে পারে।
তিনি
আরও বলেন, একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবর্তনকে সমর্থন করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও উদীয়মান বাজারে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, এখন থেকে সব মসজিদের সভাপতি হবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইমামদের নিয়োগ বা বরখাস্ত হতে হবে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী।
আজ
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে খুলনার বয়রা এলাকার মেট্রোপলিটন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ইমামদের জনবান্ধব হতে হবে। বাস্তবভিত্তিক ওয়াজ-নসিহত করতে হবে, যাতে মানুষ সচেতন হয়। ‘মব’ তৈরির সংস্কৃতি সমাজের জন্য কতটা ভয়ংকর, তা মসজিদে আলোচনা করা দরকার। মসজিদভিত্তিক শিক্ষাকেও নিতে হবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। যেসব কেন্দ্রে প্রকৃতপক্ষে পাঠদান হচ্ছে না কিংবা ভুয়া কেন্দ্র দেখিয়ে অথবা স্কুল ও মসজিদে একই ব্যক্তি একযোগে শিক্ষকতা করছেন—এমন প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
ধর্ম
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে অপরাধের মাত্রা কমছে না, অপরাধের এত প্রবণতা পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। সমাজে অপরাধ রোধে ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই। যদি সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে অপরাধপ্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
তিনি জানান, সব জায়গা জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. সালাম খান, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ
উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজোল্যুশন (প্রস্তাবনা) সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজোল্যুশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে
শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ
‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজোল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি
ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য আটটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী
কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান রয়েছে এতে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির
নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের
ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার
(২ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত
বাংলাদেশের পক্ষে এটি উত্থাপন করেন। শুক্রবার (৩ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন
এ তথ্য জানায়।
স্থায়ী মিশন বলছে, চলতি বছর
আলোচ্য রেজোল্যুশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা
এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
প্রস্তাবনাটি উপস্থাপনের
সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত
প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা
অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি
ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত
করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।
যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের
নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির
ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য,
বর্ণবাদী অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে।
এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।
এবারের রেজোল্যুশনে শান্তির
সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদ্যাপনের
জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য
অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া এ রেজোল্যুশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের
মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রেজোল্যুশনটির বিবেচনার পূর্বে
শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক
সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য দেয়। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি
বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
সবশেষে প্রতিনিধি দলগুলো
জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক
নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানায়।
মন্তব্য করুন