

এআই ডিপফেক হল এমনই একটি প্রোগ্রাম, যা দ্বারা অডিও, ভিডিও ও ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয়, যা দেখে আসল কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যারা কাজ করে থাকেন তারা আগে থেকেই এআই ডিপফেক নামটির সঙ্গে পরিচিত। অত্যাধুনিক এআই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে যে কোনও মানুষের চেহারা ও আওয়াজসহ সবকিছুই অবিকল অনুকরণ করা যায়। এখন পর্যন্ত সেই ডিপফেক শুধু সেলিব্রেটিদের নিশানা করলেও নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই যে টার্গেট লিস্টে ভবিষ্যতে আপনি থাকবেন না।
ডিপফেক যেভাবে তৈরি করা হয়,
ডিপফেকের অ্যালগরিদম দু’টি মুখের অর্থাৎ আসল ভিডিও’র মুখ এর পরিবর্তে যে মুখ সেখানে বসানো হবে দু’টির মধ্যে মিল খুঁজে বের করে। তারপর তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারজন্য এমনই ভিডিও খুঁজে বের করা হয়, যেখানে ক্লোজ আপ শট প্রায় থকেনা বল্লেই চলে। ডিপফেক ভিডিও’র দৈর্ঘ্য খুব একটা বড় হয় না কারণ এই প্রযুক্তির পক্ষে বড় ভিডিওকে একেবারে হুবহু এডিট করা প্রায় অসম্ভব।
ডিপফেক ভিডিও যেভাবে বুঝবেন,
ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির তাকানো কিংবা মুখের এবং শরীরী ভঙ্গিমাতে অসঙ্গতি থাকে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কথা বলা কিংবা কাজের সঙ্গে তার চাহনির মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্যক্তির মুখ এবং আশপাশের আলোতে সামঞ্জস্যের অভাব থাকে।
অডিওর মানও আর পাঁচটা স্বাভাবিক ভিডিওর চেয়ে আলাদা তকে। তাই কোনও ভিডিও নিয়ে সন্দেহ হলে সেই ভিডিওর অডিওর মান যাচাই করে নিতে হবে। ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির হাত-পা কিংবা মুখের আদল বেশ খানিকটা বদলে যায়। অর্থাৎ দেখতে লম্বাটে কিংবা চ্যাপ্টা লাগে। ভালো করে দেখলে এই বিকৃতভাব চোখে পড়বে।
সূত্র : দ্য ওয়াল।
মন্তব্য করুন


মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আন্তর্জাতিক
মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে
রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ
করেন।
তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের
অন্যান্য পণ্যও আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের মোট
রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায়
বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা,
জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের খাদ্যশস্য এবং সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি
করা হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
অংশীদার।
গত বছর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনেরও বেশি গম
আমদানি করেছে এবং চলতি বছর আমদানির পরিমাণ ইতোমধ্যে ২ মিলিয়ন টন অতিক্রম করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি
কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে এবং দেশের অভ্যন্তরে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ
অনুসন্ধান করতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ
চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী বছর চালু হতে পারে।
তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা এবং দুই দেশের জনগণের
মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মন্তব্য করুন


আশা রহমান :
সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
আইসিটি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উভয় দেশ যৌথভাবে সাইবার ড্রিল এবং সক্ষমতা উন্নয়নের কর্মশালার অয়োজন করবে।
২১ আগস্ট সোমবার ভারতের নয়া দিল্লিতে সার্ট ইন্ডিয়ার প্রধান কার্যালয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (সার্ট ইন্ডিয়া) মহাপরিচালক ড. সঞ্জয় বাহলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
একই দিনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিংসহ নানা ডিজিটাল সেবা প্রধানকারী আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল এর নয়া দীল্লির গীতা নগরিতে অবস্থিত কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (ইউডিএআই) এর প্রধান নির্বাহী কর্নেল নিখিল সিনাহার সঙ্গে বৈঠক করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আধার সিস্টেমের কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকরা, নাগরিক সেবা গ্রহণের পাশাপাশি কীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের এনআইডি সিস্টেমকে আরো ভবিষ্যতমুখী এবং অধিকতর ভাল্যু অ্যাডেড সল্যুশন অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়েও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক মতামত ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন


ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে
আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, আজকের বৈঠকে মৌলিকভাবে এই বিভাগের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলতে চাই, সাইবার সিকিউরিটি আইনের
যে ধারাগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, কোটা
সংস্কার আন্দোলনের সময়ে যেসব স্টার্টআপ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়ায় বিরূপ আচরণের শিকার
হয়েছে, তাদের বিনিয়োগ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক
প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর
জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব গত ১৬ জুলাই বাতিল করে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন
সরকারি সংস্থা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও
আয়মান সাদিক সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষ নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন।
এর পরই বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
এদিকে আন্দোলনকালে ইন্টারনেট শাটডাউন
নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রবিবারে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার
কথা।
এর পেছনে যদি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা
কোনো সংস্থাপ্রধান জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না—তা জানতে চাওয়া হলে নাহিদ ইসলাম বলেন,
অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজকের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন আসবে। এরপর যদি মূল্যায়ন
করে আরও তদন্ত প্রয়োজন হয়, সেটি করা হবে। এতে যদি সরকারের কোনো লোক, সংস্থা বা মন্ত্রী
কেউ জড়িত থাকেন, অবশ্যই বিচার করা হবে। ইন্টারনেটে অবাধে তথ্যপ্রবাহ হয়, এটি মানবাধিকার।
কিন্তু এই ইন্টারনেট বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, শত শত মানুষকে মেরে ফেলা
হয়েছে। এ বিভাগের প্রকল্পে দুর্নীতি ও অবহেলার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন


সোমবার ইসির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানান, ভোট শেষে যেসব এলাকা থেকে ভোট গণনার তথ্য পেতে সমস্যা হবে সেগুলোতে ভেরিফাইড হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ভোট পড়ার হার দুই ঘণ্টা পরপর নির্বাচনি অ্যাপে জানাবে নির্বাচন কমিশন।
৭ জানুয়ারির ভোটের দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি জানান, সেসময় মাঝারি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে৷ ফলে চরাঞ্চল থেকে কুয়াশার কারণে ফলাফলের লিখিত তথ্যের কাগজ আসতে দেরি হতে পারে। এজন্য ফল সংগ্রহে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, তবে ভেরিফাইড হোয়াটসঅ্যাপে যেন তথ্য নিয়ে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা যায় সে চিন্তাভাবনা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির তৈরি স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে ভোটের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান সচিব।অ্যাপটির হালনাগাদ করার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ভোটকন্দ্রের তথ্য এখনই জানা যাচ্ছে, কার ভোটকেন্দ্র কোনটি এবং লোকেশন কোথায়।
নির্বাচনের দিন দেশের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের গতিও কমবে না বলে জানান তিনি বলেন, আমাদের যতগুলো মোবাইল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম আছে সবগুলোই ফুল স্পিডে চালু থাকবে।
তবে অ্যাপটিতে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল পাওয়া গেলেও পার্বত্য অঞ্চলগুলোর মত ২০ শতাংশ এলাকা নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় কেন্দ্রীভূত ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, কোনো কারণে ফলাফল পাঠাতে না পারলে ভোটের পারসেন্টেজে গরমিল হয়ে যেতে পারে। তবে সম্ভব হলে আমরা জানাব। আমরা সেখানে বিজিবি, পুলিশের ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করব।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, নির্বাচনি অ্যাপে প্রায় ৩৯০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল; বাছাইয়ে টিকেছে ২৬টি।
এ অ্যাপ ব্যবহার করে ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম, প্রার্থী, দল ও আসনভিত্তিক তথ্য যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি আইনবিধি, ভোট পড়ার হার, ফলসহ নানা ধরনের তথ্যও জেনে নিতে পারবেন নাগরিকরা।
এতে একজন ভোটার সহজেই ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন। আগের বছরগুলোর মতো কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন তা নিয়ে যেমন জটিলতায় পড়তে হবে না, তেমনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নম্বর খোঁজার বিড়ম্বনার মধ্যেও পড়বেন না।
মন্তব্য করুন


এআই ডিপফেক হল এমনই একটি প্রোগ্রাম, যা দ্বারা অডিও, ভিডিও ও ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয়, যা দেখে আসল কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যারা কাজ করে থাকেন তারা আগে থেকেই এআই ডিপফেক নামটির সঙ্গে পরিচিত। অত্যাধুনিক এআই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে যে কোনও মানুষের চেহারা ও আওয়াজসহ সবকিছুই অবিকল অনুকরণ করা যায়। এখন পর্যন্ত সেই ডিপফেক শুধু সেলিব্রেটিদের নিশানা করলেও নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই যে টার্গেট লিস্টে ভবিষ্যতে আপনি থাকবেন না।
ডিপফেক যেভাবে তৈরি করা হয়,
ডিপফেকের অ্যালগরিদম দু’টি মুখের অর্থাৎ আসল ভিডিও’র মুখ এর পরিবর্তে যে মুখ সেখানে বসানো হবে দু’টির মধ্যে মিল খুঁজে বের করে। তারপর তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারজন্য এমনই ভিডিও খুঁজে বের করা হয়, যেখানে ক্লোজ আপ শট প্রায় থকেনা বল্লেই চলে। ডিপফেক ভিডিও’র দৈর্ঘ্য খুব একটা বড় হয় না কারণ এই প্রযুক্তির পক্ষে বড় ভিডিওকে একেবারে হুবহু এডিট করা প্রায় অসম্ভব।
ডিপফেক ভিডিও যেভাবে বুঝবেন,
ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির তাকানো কিংবা মুখের এবং শরীরী ভঙ্গিমাতে অসঙ্গতি থাকে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কথা বলা কিংবা কাজের সঙ্গে তার চাহনির মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্যক্তির মুখ এবং আশপাশের আলোতে সামঞ্জস্যের অভাব থাকে।
অডিওর মানও আর পাঁচটা স্বাভাবিক ভিডিওর চেয়ে আলাদা তকে। তাই কোনও ভিডিও নিয়ে সন্দেহ হলে সেই ভিডিওর অডিওর মান যাচাই করে নিতে হবে। ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির হাত-পা কিংবা মুখের আদল বেশ খানিকটা বদলে যায়। অর্থাৎ দেখতে লম্বাটে কিংবা চ্যাপ্টা লাগে। ভালো করে দেখলে এই বিকৃতভাব চোখে পড়বে।
সূত্র : দ্য ওয়াল।
মন্তব্য করুন


বুধবার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প দুর্নীতি এবং অনিয়মের আখড়া বলেই জনমনে ধারণা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তথ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, জনগণ এই ধারণা পোষণ করে কারণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়েই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ আসে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে নির্দেশনা দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেকগুলো প্রকল্প নির্ধারিত সময় শেষ হয়নি যার নানা কারণ থাকতে পারে কিন্তু এটা ভালো বার্তা দেয় না। সেজন্য গৃহীত প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অনুরোধ করেছেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনারা সকলেই এই বিষয়ে সচেতন থাকবেন যাতে প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা থাকে এবং কোনো অভিযোগ না আসে। বিভিন্ন সময়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের কথা শোনা যায়, যেগুলো মূলত দুর্নীতি করার জন্যই নেওয়া হয়। এই ধরনের কোনো প্রকল্প যেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে না নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


বিশ্বজুড়ে মেটার আওতাধীন ফেসবুকের সার্ভার ডাউন হয়ে
পড়ে। বাংলাদেশের
ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে
আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে
থাকেন ব্যবহারকারীরা। তবে তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম
ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।
ফেসবুকের
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে
এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন এসপি নাজমুল।
ভিডিও
বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ
বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান
হয়ে যাবে। এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক
অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও
সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে
রাত ১০টার দিকে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরে দেখা যায়, রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫
লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বাতিল করা
হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এর মাধ্যমে এখন থেকে কোনো প্রার্থীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল
আইডি (এনআইডি) কার্ডে থাকা তথ্য অনুযায়ী সরাবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
এদিকে
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অধিকাংশ সময়ই জাতীয় পরিচয়পত্র করার সুযোগ
থাকে না। এ জন্য এই দুই শ্রেণির নাগরিকদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তাদের আবেদন নিরীক্ষার
মাপকাঠি হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এবার তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া
ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নেয়া যাক।
কাদের জন্য কোন নথি
প্রয়োজন
ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের বয়স
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে:
১৮ বছরের নিচে: অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC,
ইংরেজি ভার্সন)।
১৮-২০ বছর: এনআইডি কার্ড বা
অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC, ইংরেজি ভার্সন)
২০ বছরের বেশি: শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড। তবে বিদেশি
মিশনের মাধ্যমে আবেদনকারীরা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে পারবেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে: পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড।
ঠিকানার প্রমাণ: সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ
বা পানি)।
বিশেষ পরিস্থিতি: দত্তক বা অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অনুমোদন।
পেশাভিত্তিক প্রয়োজনীয় নথি
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার: সংশ্লিষ্ট কারিগরি
সনদপত্র।
শিক্ষার্থী: সর্বশেষ শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র/স্টুডেন্ট আইডি
বেসরকারি চাকরিজীবী: প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।
সরকারি চাকরিজীবী: সরকারি আদেশ (জিও), অনাপত্তি পত্র (এনওসি),
প্রত্যয়নপত্র, পিআরএল অর্ডার বা পেনশন বই।
কৃষক: জমির পর্চা।
ব্যবসায়ী: ট্রেড লাইসেন্স।
আবেদনের সময় জমা দিতে হবে
বায়োমেট্রিকের জন্য
নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (প্রিন্ট কপি)।
অনলাইনে নিবন্ধিত পূর্ণ
আবেদনপত্র (প্রিন্ট কপি)।
পাসপোর্ট ফি জমার রশিদ।
৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য
ল্যাব-প্রিন্টেড সদ্য তোলা ছবি (গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে)।
ধারাবাহিকভাবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম :
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ : প্রথমেই ইন্টারনেট ব্রাউজার
ওপেন করে সরাসরি www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর
‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবা আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
করতে হবে। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম নির্বাচন
করতে হবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অধিভুক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নাম নির্ধারিত হবে।
এছাড়া
আলাদাভাবে নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয় চেনার জন্য প্রবেশ করতে পারেন এই লিঙ্কে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট
অফিস নির্ধারণের পর ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এ জন্য
প্রয়োজন একটি ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে
একটি ব্যতিক্রম পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে ই-মেইল
বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আবেদন
ফর্মের প্রতিটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। ন্যূনতম তারকা
চিহ্নিত তথ্যগুলো অবশ্যই সফলভাবে প্রদানের পর পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন আসবে। ফি তাৎক্ষণিকভাবে
অনলাইনে পরিশোধ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রশিদ নম্বর সংযুক্ত হবে। পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক
নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ
তারিখগুলো থেকে পছন্দসই একটি তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন প্রার্থী। এরপরই চূড়ান্ত পর্যায়,
যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েনমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি প্রদর্শিত
হবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যসব কাগজপত্রের
সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ: ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
এসব হচ্ছে- ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে,
ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এবং এমবিএল রেইন্বো। আর অনুমোদিত ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া,
ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আরব-বাংলাদেশ
ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ: পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের
মেয়াদ ও বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মূলত রেগুলার, এক্সপ্রেস
এবং সুপার এক্সপ্রেস, এই তিন ক্যাটাগরিতে সরবরাহ করা হয় ই-পাসপোর্ট।
অধিকতর
দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে সুপার এক্সপ্রেস মাধ্যম। এতে বায়োমেট্রিক
সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবসের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া
যায়। আর রেগুলার ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক সময়সীমা লাগে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের দিন
থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আবেদনপত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া: উল্লেখিত সব কাগজপত্র
নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিন উপস্থিত থাকতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। এদিন আবেদনকারীর ছবি তোলা,
হাতের আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ছবি উঠাতে প্রার্থীকে অবশ্যই
রঙিন পোশাক পরে আসতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। সব কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য
তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেয়া হবে। স্লিপটি আবেদনকারীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র,
এ জন্য এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাইয়ের উপায়: বায়ো নিবন্ধনের দিন
থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা অনলাইনের মাধ্যমে
যাচাই করা যায়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট কোন প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তা দেখা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট
প্রিন্ট এবং তা সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত কিনা, সেটিও দেখা যায়। এ জন্য প্রবেশ করতে
হবে এই লিঙ্কে- https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট
অফিস থেকে দেয়া বিতরণ স্লিপে ১৩ সংখ্যার একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি রয়েছে। আবেদনের বর্তমান
অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি বা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি)
ব্যবহার করতে হবে।
আগে
বায়োমেট্রিক দেয়ার কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদনকারীকে ফোন করা হতো। কিন্তু
এখন থেকে এই কার্যক্রম থাকছে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একদম প্রস্তুত হলে যথারীতি
আবেদনপত্রে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও ই-মেইলে নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে।
আর সেই তারিখে বিতরণ স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে
হাজির হতে হবে।
মন্তব্য করুন


পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথ পরিসেবা রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আজ রাতে ৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের SEA-ME-WE-5 (SMW5) কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার দিনগত রাত ২টা থেকে পরদিন রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৪ ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবল লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখিত সময় SMW5 সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন হতে SEA-ME-WE-4 (SMW4) সাবমেরিন ক্যাবলের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। ওই রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন ইন্টারনেট গ্রাহকেরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
মন্তব্য করুন


বৈশ্বিক স্মার্টফোন সরবরাহে ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্যামসাংকে পেছনে ফেলল বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল।
গেল বছর বিশ্ববাজারে স্মার্টফোন সরবরাহে স্যামসাংয়ের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে আইফোন নির্মাতা অ্যাপল। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করা ফোনের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি ছিল অ্যাপলের।বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর স্যামসাংসহ শাওমি, অপো ও চীনা ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘ট্রান্সশন’ বিশ্ব বাজারের প্রায় ২০ শতাংশ জায়গা দখল করে আছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন।
শাওমি, অপো ও ট্রান্সশনের বৈশ্বিক স্মার্টফোন শিপমেন্ট যথাক্রমে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ, ১০ কোটি ৩১ লাখ ও নয় কোটি ৪৯ লাখ
আইডিসি আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অ্যাপল সারা বিশ্বে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন পাঠিয়েছে, যা পুরো বাজারের ২০ দশমিক এক শতাংশ জায়গা দখল করে আছে। অন্যদিকে স্যামসাং সারা বিশ্বে ২২ কোটি ৬৬ লাখ স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে যা স্মার্টফোন শিপমেন্টে বাজারের ১৯ দশমিক চার শতাংশ।
২০১০ সাল থেকেই শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছিল স্যামসাং। তার আগে শীর্ষে ছিল ফিনিশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ‘নোকিয়া’। এমনকি অ্যাপল তখন শীর্ষ পাঁচেও স্থান পায়নি।
আইডিসি বলছে, গত বছর সামগ্রিকভাবে কমেছে স্মার্টফোনের বিক্রি। ২০২৩ সালে সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ১২০ কোটি যা আগের বছরের তুলনায় তিন দশমিক দুই শতাংশ কম।
এটি এক দশকের মধ্যে স্মার্টফোন বিক্রি হওয়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ। বিশেষ করে করোনা মহামারীর কারণে এবং উচ্চ সুদ হারের কারণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মুখে রয়েছেন অনেক মানুষ। তবে এ বছর বাজার পুনরুদ্ধার হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন