আগামী ২৬ নভেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২৩ এর ফলাফল প্রকাশিত হবে।
২০ নভেম্বর (সোমবার) বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ফল প্রকাশের জন্য ২৬-২৮ নভেম্বরের মধ্যে সময় চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে ২৬ তারিখ ফল প্রকাশ করা হবে। লিখিত চিঠি পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। সারা দেশে ২ হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল ১২ মে রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা
হবে।
সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে মাধ্যমিক ও সমমান
পরীক্ষা ২০২৪ এর ফলাফল এবং ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান
চৌধুরী নওফেল। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা
বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ১২ মে ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর
সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা এ সংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন।
আর এর পরপরেই সকাল ১১টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ
করা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ও সময়সূচি নিতে প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেন, সেদিন ফল প্রকাশে প্রস্তুতি
নেওয়া হয়।
পরীক্ষার ফলাফল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট wwwdhakaeducationboard.gov.bd-G
Result-এ ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক
রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া www.education boardresults.gov.bdbd ওয়েবসাইটে
ক্লিক করে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট
করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে
স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস
দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়।
এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী
২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা
৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ।
এসময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের উপর জোর তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যুগোপযোগী করার উপর তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। এসময় তিনি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা নিয়েও তাঁর আশাবাদ পোষণ করেন ।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। আজকের এই বৈঠক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ এর সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দেশজুড়ে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে ভুল-ত্রুটি ও অসঙ্গতি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
এসব সমালোচনা ও মতামতকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে মূল্যায়ন করে পাঠ্যপুস্তকের ভুল-অসঙ্গতির সংশোধনী অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
মঙ্গলবার বিকালে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীসহ সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের বইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় আমরা সব শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা অবহিত করতে অনুরোধ করেছিলাম। আপনারা আমাদের আহ্বানে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে একই সাথে আরো বলা হয়, আপনাদের এ তাৎপর্যপূর্ণ মতামত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ণপূর্বক সংশোধনীসমূহ অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে। যারা আমাদের নানান তথ্য-উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি আমরা অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)
থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণ
যা চলবে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
ফরম পূরণ এর ফি নিয়ে শিক্ষা
বোর্ডগুলো বলছে, এবার বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৬৮০ টাকা
নির্ধারণ এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ফি ২ হাজার ১২০ টাকা।
তবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা
শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে নির্ধারিত ফি এর সঙ্গে
অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। আর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০
টাকা যোগ করা হবে।
এ ছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের
ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ডগুলো বলছে পরীক্ষার্থী প্রতি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা
। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। আর বিলম্ব ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে ১০০ টাকা।
তবে কোন শিক্ষার্থী ২৫ তারিখের
মধ্যে ফর্ম পূরণ করতে না পারলে নির্ধারিত সময়ের পর বিলম্ব ফি দিয়ে ২৯ এপ্রিল থেকে ২
মে পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি
ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ২০ জুন হতে শুরু হবে।
মন্তব্য করুন
মাতৃভাষার জন্য জীবন
দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২১
ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার
স্বীকৃতি এনে দিতে আমাদের আত্মত্যাগ করতে হয়েছে অনেক। জাতির মুক্তি সংগ্রামের
ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি
অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত
রচিত হয়।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর
প্রায় সব দেশে নানান দেশের নানান ভাষার কিংবা হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কিছু মানুষ
নাগরিকত্ব গ্রহণ করে কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করে। নতুন দেশের ভাষা তাদের দৈনন্দিন
জীবনে চব্বিশ ঘণ্টার ভাষায় পরিণত হয়ে যায়, কিন্তু তবু সে ভাষা তার মাতৃভাষায় পরিণত
হয় না। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃভাষার চেতনা ও মর্যাদা
রক্ষার প্রেরণা ও এ চেতনার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকতার সূত্রে ২০০১ সালের ১৫ মার্চ
ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। বিশ্বের সব
মাতৃভাষার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণার ইতিবৃত্তকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
ইনস্টিটিউট তার যাত্রা শুরু করে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, একটি নতুন ভাষা শিখলেই পুরনো ভাষায় দুর্বল হয়ে পড়বে এই ধারণার কোনো ভিত্তি
নেই। পৃথিবীর বহু দেশে একই নাগরিক সাবলীলভাবে কয়েকটি ভাষায় কথা বলবে এটা খুবই
স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। তারা শৈশব থেকে নানান ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে যায়।
স্কুলে পড়ার সময় প্রত্যেক ছাত্রকে অন্তত একটি ভিন্ন ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা
হয়। ছাত্ররাও আনন্দ সহকারে সেটা করে থাকে। ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে এমন
কোনো চিন্তা তাদের কারও মাথায় আসে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
আমরা দ্রুত গতিতে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করে যাচ্ছি। এর জন্য মূলত নিত্যনতুন
প্রযুক্তি প্রধানত দায়ী। প্রযুক্তির প্রাধান্যের সঙ্গে আসে ভাষার প্রাধান্য। যে
দেশের প্রযুক্তি পৃথিবীতে প্রাধান্য অর্জন করতে থাকবে তার সঙ্গে প্রাধান্য অর্জন
করতে থাকবে প্রযুক্তিদাতা দেশের ভাষা। সারা পৃথিবী এই ভাষা শেখার জন্য ঝাঁপিয়ে
পড়বে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ভাষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সঙ্গে সাহিত্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান- সরাসরি জড়িত। আমরা যখন মাতৃভাষায় কথা বলি তখন যেন মনে রাখি মাতৃভাষা মানুষের প্রাথমিক ভাষা। সেই ভাষা প্রথম শ্রবণে যতই রূঢ় মনে হোক না কেন তা একদিন তার প্রাথমিক স্তর পার হয়ে বহু দেশের বহু মানুষের অত্যন্ত নমস্য ভাষায় পরিণত হতে পারে। যদি সে ভাষা পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় কৌশলগত ভূমিকা দখল করে নিতে পারে।
মন্তব্য করুন
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুমিল্লার বরুড়ায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শেষে উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়। পাশাপাশি বরুড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ডিসপ্লে পরিদর্শন। অনুষ্ঠানের শেষে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
বরুড়া উপজেলার ইউএনও নু-এমং মারমা মং এর সভাপতিত্বে দিবসটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরুড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আহমেদ হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল হাসান সোহেল, বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন,উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত সুলতানা তনু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা পৌকশলী জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম মোঃ জালাল উদ্দীন।
এই সময় আরো উপস্হিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য জসীম উদ্দীন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিখা, উপজেলা আনসার কর্মকর্তা নাসিমা আক্তার, বাংলাদেশ জুয়েলারী এসোসিয়েশন এর বরুড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহ বরুড়া উপজেলা পরিষদের সকল দাপ্তরিক প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান,সহকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন শাকিলা বরুড়া উপজেলা নারী অধিকার ফোরামের সভাপতি শাকিলা জামান।
মন্তব্য করুন
আজ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে।
সকাল ৯টায় আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় এবং আবেদন কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত।
এনটিআরসিএর উপ-সচিব ওবায়দুর রহমান জানায় ,আবেদন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ আবেদন করতে পারবেন না।
এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, আগ্রহী প্রার্থীরা www.ntrca.gov.bd ও www.ntrca.teletalk.com এ ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩ ধাপের বাছাইয়ের প্রথমেই দিতে হবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
প্রার্থীদের প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এতে পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন। ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ, স্থান ও সময়সূচি পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাখাতে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই জাতির উদ্দেশ্যে তার প্রথম ভাষণ।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করে গেছে বিগত সরকার। আমরা তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেবো। এটা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা জানেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল, নিরাপদ ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমকেও যুগোপযোগী করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে।
তার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হবে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সবাই এ দেশের নাগরিক। সমান আইনের সুরক্ষার অধিকারী।
তিনি বলেন, তাদের সবার মানবিক অধিকারসহ অন্যান্য সব অধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য আমি উপদেষ্টা পদমর্যাদা-সম্পন্ন একজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছি, যার দায়িত্ব হবে জাতীয় সংহতি উন্নয়ন।
মন্তব্য করুন
নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাগ
বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) নেই। ফলে নবম শ্রেণিতেও একই পাঠ্যবই পড়ছে সব
শিক্ষার্থী।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর)
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচির মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার সাক্ষরকৃত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনা থেকে জানা গেছে, নবম শ্রেণির
শিক্ষার্থীর যখন দশম শ্রেণিতে উঠবে, তখন বিভাগ বিভাজনের সুযোগ পাবে। তারা আগের
নিয়মে যেন ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিও
প্রণয়ন করা হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা
হয়েছে, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা
(২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য) নেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা
অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত
পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ
করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব
শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর
আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (২০২৩
শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলিয়ে দুই
শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করবে।
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত বিজ্ঞান,
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এ পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি
প্রণয়ন করা হবে, যেন শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন
করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত
হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ,
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও
অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে,
যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানা (একই উপজেলা/থানার ভেতর) অনলাইন বদলি শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করবেন। ২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যাচাই সম্পন্নকরণ এবং ৩ ও ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই সম্পন্নকরণ হবে।
৫-৭ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্নকরণ, ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সহকারী শিক্ষকের যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের। যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্নকরণ; ১৫-১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় উপপরিচালক কর্তৃক যাচাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করবেন।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র ১ বা ২টি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারিকৃত সর্বশেষ 'সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন।
যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে সংযুক্ত তথ্য ও কাগজপত্রাদি যাচাই করবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যোগ্য আবেদনকারীকে সফটওয়্যারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত করা হয় বিধায় কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন