বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা অনুদান পাবেন। তবে এ অনুদান পেতে আবেদন করতে হবে অনলাইনে ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের এ টাকা দেওয়া হবে। বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল–কলেজ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা এ টাকা পাবেন। অনুদানের টাকা বিতরণে নীতিমালা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের জন্য অনুসরণীয় নীতিমালা সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা পেতে আবেদন করতে হবে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অনুদানের টাকা বিতরণে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে । ওই দিন থেকে অনলাইনে অনুদান পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের এ টাকা পেতে আবেদন করা যাবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ–এর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ টাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ আরো জানিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি, এমপিওভুক্ত ও নন–এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা এবং শিক্ষা গ্রহণের কাজে ব্যয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, রোগগ্রস্ত, অস্বচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর এলাকার শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র সংগ্রহ, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার স্থাপন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বান্ধব করার জন্য অনুদানের আবেদন করা যাবে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার লেখাপড়ার মান ভালো থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে। আর বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক–কর্মচারীরা দুরারোগ্য ব্যাধি বা দৈব দুর্ঘটনার জন্য অনুদানের আবেদন করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী আগামী বছরের ১০ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।
রুটিন অনুযায়ী, ১০ এপ্রিল থেকে এসএসসি শুরু হয়ে চলবে ৮ মে পর্যন্ত। তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে নির্ধারিত তারিখে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ১০ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১০ মে, ১৮ মে-এর মধ্যে সব ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সপ্তাহখানেক আগেও
কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়েছি। আজ জরুরি ওষুধ যা বন্যা পরবর্তী সময় দরকার হয় ও একদল বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণ
ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষতির পরিমাণ দেখে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে
শনিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের পর এসব কথা
বলেন তিনি। এসময় শিশু ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের হেলথ কেয়ার
প্রজেক্ট কনসালটেন্ট ডা. রেহানা খানমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বন্যায়
অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
আহত হয়ে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ৬ জনের চিকিৎসার
খোঁজ-খবর নিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে বন্যার কারণে অসুস্থদের পরিদর্শন ও
চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নিজ উদ্যোগ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন, পিএসও, এস এস
গ্রুপের ও অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় প্রায় ৭০ হাজার ওষুধ এবং ১০০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য
বিতরণ করা হয়েছে, এর মধ্যে পাউডার দুধ, চকোলেট, ম্যাংগো বার,বিস্কুট, চিপস, চানাচুর
ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম সেনা
ক্যাম্পের লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমতুল্লাহ, সার্কেল
এএসপি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদা বেগমসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা
ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়ায় ওই নবজাতককে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা নবজাতককে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওই ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বিষয়টি জানাজানি হয় বিকেলে।
নবজাতক রেখে পালিয়ে যাওয়া দম্পতি হলো আলমগীর হোসেন ও পাপিয়া খাতুন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নবজাতককে মা-বাবা।
নিজেদের সন্তান হাসপাতালে ফেলে পালানোর বিষয়ে জানা যায়, তিন মেয়ের পর এবার ছেলেসন্তানের আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ দম্পতি। ফের কন্যাসন্তান হলে স্ত্রী পাপিয়াকে তালাকের হুমকিও দেন আলমগীর! কিন্তু এবারও কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন পাপিয়া। তাই তারা হাসপাতালে সন্তান রেখেই পালিয়ে গেছেন।
হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, প্রসব বেদনা উঠলে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে পাপিয়া খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন পাপিয়া। পরে তাকে ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পর নবজাতককে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে রেখে পালিয়ে যান ওই নবজাতকের মা-বাবা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী।
পরে নবজাতকটিকে সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা ওই নবজাতকের নাম রাখেন ‘পুষ্প’।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ওই দম্পতি হাসপাতালে যে নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন তা যাচাই করা হয়েছে। তারা ভুল তথ্য দিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ছবি দেখে ওই নারী ও তার স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
নবজাতকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
মন্তব্য করুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দুবাইয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড পুলিশ সামিট-২০২৪ এ যোগ দিতে দুবাই গেলেন ।
আইজিপি দুবাইয়ে ৫ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় দ্য ওয়ার্ল্ড পুলিশ সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। সামিটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন।
সোমবার (৪ মার্চ) রাতে সরকারি সফরে দুবাইয়ের উদ্দেশে তিনি ঢাকা ছেড়েছেন।
বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পুলিশ প্রধান এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠকে অংশ নেবেন।
আইজিপি সম্মেলন শেষে আগামী ৮ মার্চ দেশে ফিরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (৬ অক্টোবর ২০২৪) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করেন।
১ম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও
লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত
হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সকলকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের
প্রতি।
তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সকল বীর সেনানীদের যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি
চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা,
নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি
নিযুক্তিগত উপযুক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা
প্রদান করেন। এছাড়াও সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন
অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া রাজনৈতিক
মতাদর্শের উর্দ্ধে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য
নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সকল অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার
নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের
মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে
ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ
করেছে বলে তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি; প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি, চীফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কয়েক শহিদ পরিবার আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন, আহত ও শহিদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বীকৃতি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আজকের বৈঠকে শহিদ পরিবারের প্রত্যাশার কথা শুনেছেন এবং সরকারের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন
গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
সরকার পদত্যাগের পর সারাদেশে বিভিন্ন থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ
জনতা। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত ৪ সেপ্টেম্বর
থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। আর এ অভিযানে এখন পর্যন্ত
বিভিন্ন ধরণের ১১১ টি অস্ত্র উদ্ধার ও ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায়
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে
এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের
মধ্যে একে-৪৭ একটি, রিভলবার ৭টি, পিস্তল ৩০টি, রাইফেল ৯টি, শটগান ১৫টি, পাইপগান ৩টি,
শুটারগান ১৬টি, এলজি ১৫টি, বন্দুক ৫টি, গ্যাসগান একটি, চাইনিজ রাইফেল একটি, এয়ারগান
একটি, এসবিবিএল ৩টি, এসএমজি ৩টি ও একটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার রয়েছে।
উল্লেখ্য, যৌথ অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,
পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী,
কোস্টগার্ড এবং র্যাব রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি:
চাঁদপুরে কৃষিই সমৃদ্ধি এই শ্লোগানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ সার ও অর্থ বিতরণ। চাঁদপুরে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে খরিপ-২ মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে শীতকালীন হাইব্রিড শাকসবজির বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা এবং প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি ফসলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
'কৃষিই সমৃদ্ধি' এই শ্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে বুধবার দুপুরে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৭শ' কৃষকদের মাঝে শীতকালীন সবজি বীজ ও ১ হাজার টাকা এবং ৯৭০ জন কৃষকদের মাঝে রবি ফসল (গম, ভুট্টা, সূর্যমুখি, চিনা বাদাম সয়াবিন, পেয়াজ, মসুর)-এর বীজ বিতরণ করা হয়। চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন রায় সুবিধাভোগী কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন,
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। তাই কৃষি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধি করে তোলার চেষ্টা করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মকবুল হোসেন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, সুমি আক্তার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন ও সাদিকা বেগম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হতে ০৯ মার্চ ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বিলাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। উক্ত অভিযানে সেনাবাহিনী কর্তৃক সার্বক্ষণিক নজরদারি ও সর্বত্র প্রভাব বিস্তারের ফলে কেএনএ সহ অন্যান্য সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো লোকালয় ত্যাগ করে। সেনাবাহিনী সফল অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের একাধিক অস্ত্রের অবস্থান, গুপ্তাশ্রয় ও আস্তানা চিহ্নিত ও ধ্বংস করে। এই অভিযানের ফলে কেএনএ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী দলগুলো আরো কোনঠাসা হয়ে পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে স্থানীয় জনগণ। অভিযান শেষে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্ব স্ব ক্যাম্পে প্রত্যাবর্তন করেছে সেনাবাহিনীর টহল দল। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন