প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম সকাল ১০টায় শুরু হবে ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠদান কর্মসূচি পরিবর্তন করে অফিস আদেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়, সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে আর ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা হলে ইতোপূর্বে জারি করা নির্দেশনা যথারীতি বহাল থাকবে।
গত ১৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিধায় যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, সেসব জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালকরা সংশ্লিষ্ট জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের একাডেমিক কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করতে পারবেন (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত)। আর এ আদেশের কার্যকারিতা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আদেশ জারি করে জানানো হয় যে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা যাবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, ‘তাঁর বক্তৃতায় তিনি
বাংলাদেশে গত দুই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন এবং একটি গণমুখী, কল্যাণধর্মী
ও জনস্বার্থমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনরুল্লেখ করবেন
বলে আশা করা হচ্ছে।’
তৌহিদ হোসেন আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা, সম্পদের অবৈধ পাচার রোধ, অভিবাসী অধিকার রক্ষার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মাত্র তিনদিন নিউইয়র্কে থাকবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার
উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। প্রধান উপদেষ্টা পূর্ববর্তী সরকার প্রধানদের মতো চার্টার ফ্লাইটে
নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এই যাতায়াত করবেন।
তৌহিদ বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের
প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের
মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএআইডি প্রশাসক অধ্যাপক
ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তির বছর। একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মাইলফলক উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রফেসর ইউনূসের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই নেতার সময়সূচি না মেলার কারণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে না। তবে হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউএনজিএ’র পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লী কীভাবে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ভাল ‘কাজের সম্পর্ক’ বজায় রাখতে পারে, তা নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি জোট নিরপেক্ষ
আন্দোলনের (ন্যাম) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, ইসলামিক
কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (ওআইসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর
(এলডিসি) বার্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাংলাদেশের
প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এবারের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য “কাউকে পেছনে ফেলে নয় : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।”
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের নতুন
এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন
অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন কিছু গড়ার সক্ষমতা রাখি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়।
সমাবর্তন ভাষণে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, আমরা চাইলে আমাদের মতো
করে এক নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি। তবে, তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকা দরকার-
কেমন পরিবেশ ও সমাজ তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সেই সম্পর্কে।
গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পটভূমি স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, বর্তমানে যে সভ্যতা চলছে তা একটি ধ্বংসাত্মক অর্থনীতির সভ্যতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে অর্থনীতি তৈরি করেছি তা মানুষের জন্য নয়,
বরং ব্যবসার জন্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসাকেন্দ্রিক
এই সভ্যতা আত্মঘাতী এবং তা টিকবে না।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
এসে আনন্দিত। তিনি স্মরণ করেন, ১৯৭২ সালে চবিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এবং কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংক চট্টগ্রামে
দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের সহায়তা করতে গঠিত হয়েছিল তা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়েছিল চবির অর্থনীতি
বিভাগে।
অনুষ্ঠানে, চবি কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসকে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে
দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানসূচক
ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি লিট) উপাধিতে ভূষিত করে।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের
হাতে ডি লিট সনদ তুলে দেন।
সমাবর্তনে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজসহ অন্যান্যরাও বক্তব্য রাখেন।
চবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন
খান এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চবি আজ দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবর্তনের আয়োজন করে, যেখানে
২২,৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের চেতনার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এ চেতনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশিপের প্রশ্নই আসে না।
একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উপদেষ্টা আজ এসব কথা বলেন। (খবর তথ্য বিবরণীর)
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, গতকাল থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে-বই প্রকাশের আগে পুলিশ বা বাংলা একাডেমি পরীক্ষা করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, বই ছাপার আগে পুলিশ বা অন্য কারো সেটা নিরীক্ষা করার প্রশ্নই আসে না। যে পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এটা গতকাল থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সব রকম বিভ্রান্তি দূর করার জন্য জানানো যাচ্ছে- বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশিপের প্রশ্নই আসে না। সরকার মত প্রকাশ ও লেখার স্বাধীনতায় পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ (১৪
ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের
প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো.
সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে তারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর
বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি
বাহিনী ও তাদের এই দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধা শূন্য করতে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের
হত্যা করে।
মন্তব্য করুন
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন প্রার্থীরা।
তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি বাছাই হবে। প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর ভোটের তারিখ ১৪ মার্চ।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। তাই এরই মধ্যে দলগুলো তাদের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে। এতে ভোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সম্প্রতি জানিয়েছেন, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৪৮টি আসন পাবে। আর জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন।
মন্তব্য করুন
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক বিকেলে শুরু হবে। কমিশনের প্রথম বৈঠক বিএনপির সঙ্গে হবে বলে জানা গেছে।
আজ
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন।
বিএনপি জানিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেবেন।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
বলেছেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা শুধু বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত
মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।
‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’ উপলক্ষে
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবি
থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান
মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন,
৭ জুন ‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা
একটি অনন্য মাইলফলক। ৬ দফার মাধ্যমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির
রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন।
তিনি এই মহান দিনে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাঙালির
মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন আমি তাদের স্মৃতির প্রতি
জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতা
বাঙালির সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত
হয়, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের
ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২
সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা
প্রস্তাব পেশ করেন। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব
ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাহিনী গঠনসহ এই ৬ দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল
বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা
ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেফতার
করে। তা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু ৬ দফার দাবি থেকে পিছপা হননি।
রাষ্ট্রপতি জানান, বঙ্গবন্ধু
রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন।
এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নপূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান
জানান।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকান লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে লুন্ঠিত ৬০ ভরি স্বর্ণ, ১৬০ ভরি রুপা, স্বর্ণ বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পাইপ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার এসপি মো.শহীদুল ইসলাম। এর আগে, গত শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ভোর রাতের দিকে কবিরহাট ডাকাতির ঘঠনা ঘটে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন,গত শুক্রবার ১০-১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত ৩টার পর চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে প্রবেশ করেন। ওই সময় অস্ত্রের মুখে নৈশপ্রহরীসহ অন্যান্য চলাচলকারী লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর প্রায় দুই ঘন্টা ডাকাতি সংঘটন করে। এ সময় ডাকাত দলকে বাধা দিলে নৈশ প্রহরী শহীদুল্লাহকে মাথায় আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
মন্তব্য করুন
ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে ১০০ জন
পুলিশের চাকরি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিআইডির প্রধান
কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সিআইডিতে
আজকে আমার একটা নরমাল ভিজিট ছিল। আমার সঙ্গে আইজিপি ছিলেন। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি।
আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছেন। যারা আহত
হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এই বিষয়ে একটা প্রপোজাল পাঠিয়েছি। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে পুলিশে
চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাইকেতো আর পুলিশে নেওয়া যাবে না, তবে একেকজন একেকভাবে
আহত হয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে ১শ’ জনকে আমরা পুলিশ বাহিনীতে নিব।
আমরা দ্রুত এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব। আমরা আপাতত ১শ’ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি,
পরবর্তীতে আমরা এই সংখ্যাটা আরো বাড়াব। আমরা আপাতত পুলিশে শুরু করছি পরবর্তীতে আমরা
আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সকল ডিপার্টমেন্টে এটা করে দিব। ট্রাফিক ব্যবস্থার একটা সমস্যা রয়ে
গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম।
এখন পর্যন্ত ৪শ’ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরো একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম
যে, বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত
করা। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে
আসতে চাইবে। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মত পেয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫শ’ জন দিয়ে
শুরু করি।
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিক
ব্যবস্থাপনার বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা
ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদেরকে আমরা সময়টা কম দিয়েছি। তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে
এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
তারা রাস্তায় ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের
আমলে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল মানি লন্ডারিং। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে
সব থেকে বেশি ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। আমি সিআইডি প্রধানকে বলেছি যে, তিনি যেন দ্রুত বাংলাদেশ
ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেন। বিগত সরকারের আমলে মানি লন্ডারিং সব
থেকে বেশি হয়েছে। আমি সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছি মানি লন্ডারিং এর মামলাগুলোর প্রতিবেদন
যেন দ্রুত দেয়া হয়। তদন্তের
নামে সময়ক্ষেপন করে লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই যে কারা কারা মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে
জড়িত। সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তের নামে দুই তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার
কোন কার্যকারিতা থাকে না।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় দেশবাসীকে সালাম জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাগিয়ে দিয়েছে তা পূরণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শহীদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করতে চাই।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেছেন, আজ আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম মাস
উদযাপন করছি। ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় বিপ্লবের জন্য শত শত ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ
সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের বাংলাদেশকে এর পূর্ণ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত করার
দায়িত্ব আমাদের।
তিনি বলেন, আমি সেই সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবীদের স্মরণ করছি যারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল। স্মরণ করছি আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিকদের। আজ আমি এই বিপ্লবে শাহাদাত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি অভিবাদন জানাই হাজার হাজার মানুষকেও যারা আহত হয়েছেন, প্রাণঘাতী আঘাতের শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, কিংবা চক্ষু হারিয়েছেন।
গত মাসে আমাকে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং সমস্ত জানা এবং অজানা শহীদদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার প্রিয় তরুণেরা, তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ নিয়েছিলে। শহর ও গ্রামীণ জনপদের দেয়ালে আঁকা তোমাদের স্বপ্নগুলো এখনো নানা রঙের সাজ নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।’
তিনি আরো বলেন, বিপ্লবের সময়, তোমরা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ঘুমহীন রাত কাটিয়েছো এবং দিনে নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য পরস্পরের থেকে চির বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছো। বিপ্লব শেষ হওয়ার পর তোমরা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয় পাহারা দিয়েছো এবং সারাদেশে ট্রাফিক পরিচালনা করার দায়িত্ব নিয়েছো। আমি জানি তোমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এখন সময় পড়াশোনায় ফেরার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কেননা বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার।
তিনি বলেন, মাত্র একমাস হলো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা বিপ্লবের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। আমাদের প্রথম কাজ জুলাই ও আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার জন্য আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা এদেশে এসেছেন এবং তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি হল বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো তাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে। আমরা শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মূল তালিকা হয়ে গেছে। এখন শুধু দূর-দূরান্তে যাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলিতে পূর্ণাঙ্গতা দেওয়া হচ্ছে। আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন এখন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে। যাদের শাহাদাতের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে আমরা তাদের কখনোই ভুলবো না।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস সবশেষে বলেন, আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহিদদের রক্ত এবং আহত ভাইবোনদের
আত্মত্যাগকে জাতি হিসাবে আমরা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেবো না। যে সুযোগ তারা আমাদের জন্য
তৈরি করে দিয়েছেন সে সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেবো না। আজ তাদের স্মৃতিময় দিনে
আবারও প্রতিজ্ঞা করলাম তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই। মহান আল্লাহ আমাদের
সকলের সহায় হোন।
মন্তব্য করুন