

মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় আপেল বরই কিংবা কুল চাষে সফল হয়েছেন শহীদ বেপারী। প্রথমবারই সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি। প্রতিদিন বিক্রি করছেন বাগানের বরই। কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়া উৎপাদিত এ বরইয়ের বেশ চাহিদা আছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, পালাখাল গ্রামের নয়াবাড়ির অধিবাসী কৃষক শহীদ বেপারী ২২ শতক জায়গায় গড়ে তোলা বরই বাগান পুরোটা নেট দিয়ে ঘেরা। ভেতরে প্রবেশ করে গাছে ঝুলতে দেখা যায় সবুজ-হলুদ ও লালচে থাই-বলসুন্দরী বরই। বিক্রির জন্য শহীদ বেপারীসহ কয়েকজন গাছ থেকে বরই তুলে ব্যাগে রাখছেন। আকারে বড় ও স্বাদে সুমিষ্ট হওয়ায় বাগানেই বিক্রি হয়ে যায় সব বরই।
কৃষক শহীদ বেপারী বলেন, অনেক বছর ধরে কৃষিকাজ করছি। বাড়ির পাশে প্রথমে ২২ শতক জায়গায় বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই গাছ লাগাই। সাতক্ষীরা থেকে চারা সংগ্রহ করেছি। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার বরই বিক্রি করেছি। গাছে যে পরিমাণ বরই আছে, আশা করছি লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কম খরচ ও পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়ায় বরই চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের। বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই অনেক সুস্বাদু। শহীদ বেপারী এ জাতের বরই চাষ করে প্রথম বছরই সফল হয়েছেন। বরই চাষে কোনো কৃষক আগ্রহ হলে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন


ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আলু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে চিনি বোঝাই পিকআপের চালকসহ ৩
জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঘোষবেড় গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে পিকআপ চালক কামরুল ইসলাম (২৫), সন্ধাপুড়া গ্রামের অশন আলীর ছেলের কাদির মিয়া (৪৫), আকদপাড়া গ্রামের মৃত রঞ্জন আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫)। তারা সবাই হালুয়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা
যায়, একটি চিনি বোঝাই পিকআপ হালুয়াঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে ঢাকা-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আলু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক কামরুল ইসলাম মারা যান। এ সময় আহত হন পিকআপের আরও ২ আরোহী। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মিজানুর রহমান ও কাদিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারাকান্দা থানার ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ চালক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চালক পালিয়েছে
তবে ট্রাক জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মিথ্যা মামলায় কুমিল্লা আদালত থেকে
জামিন পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য সাদেকুর
রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ( আমলী আদালত নং ১১) মুমিুনুল হকের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করে আগাম জামিন আবেদন
করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় আদালতে বাদী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সিনিয়র সাংবাদিক সাদেকুর রহমানের
বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে
ডিআরইউ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটির সভাপতি সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এক বিবৃতিতে
সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাংবাদিক সাদেকুর
রহমান জানান, সম্প্রতি জনৈক শাহিনূর বেগম আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট ৮নং আমলী আদালতে ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দ.বি. আইনের ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায়
মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। তাকে আমি চিনি না। তার সাথে আমার কখনো দেখা বা কথা হয়নি।
বিজ্ঞ আদালতের আদিষ্ট হয়ে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ কথিত তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ১ জুলাই
আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। অথচ তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বিপি-৮৮১৪১৬৭৬৫৮,
সাব-ইনস্পেক্টর (নিরস্ত্র), জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা, আমার সাথে কথা বলেন নি বা
কোনো প্রকার যোগাযোগ করেন নি। মামলার আর্জি ও আদালতে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের ভাষা
প্রায় একই রকম, যেন অভিযোগকারী ও তদন্ত কর্মকর্তা একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। আমি খোঁজ
নিয়ে জানতে পারি বাদী ও সাক্ষীগণ পতিত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মামলার পুরো
প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিগত সরকারের আমলে সম্পাদিত হয়। আমার দাদার বাড়ি
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন হলেও জন্ম, বেড়ে উঠা ও কর্মসূত্রে
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় বসবাস করে আসছি। চাচারা আমাদের জায়গা-সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। এ
মামলায় তাদের ইন্ধন থাকতে পারে।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সাদেকুর রহমানকে আদম বেপারী বানিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে এই মামলা থেকে সাদেকুর রহমানকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহীনির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি মানামী লঞ্চ থেকে এক তরুণী কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন ।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বরিশাল নৌ বন্দরে এই ঘটনা ঘটে।
এক যুবক তাকে চড় দিলে অভিমানে ওই তরুণী লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঘটনার পর পর নৌ পুলিশ ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন ওই তরুণীকে নদী থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল।
তিনি বলেছেন, লঞ্চ পন্টুন ত্যাগ করার কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেয়। নৌ পুলিশের সদস্য ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন তাৎক্ষণিক নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই কর্মকর্তা বলেছেন, ওই তরুণী কি কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা পরিবারের পক্ষ থেকে বলেনি।
এমভি মানামী লঞ্চের মাস্টার আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণী লঞ্চের নিচতলার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তারা দুজনে ঝগড়াও করছিলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে একটা চড় দেয় তরুণ। এরপরই তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে এক লোক সঙ্গেসঙ্গেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়া তরুণী এমভি মানামী লঞ্চের যাত্রী ছিলেন না বলে জানান তিনি।
মারুফ নামের এক যাত্রী বর্ণনা দেন, প্রথমে দুজনের মধ্যে উচ্চস্বরে কথাবার্তা শুনি। এরপর চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটলে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দেয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
গাজীপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক তুহিনকে জবাই করে হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার
দেবীদ্বারে মানববন্ধন করেছে উপজেলায় কর্মরত
সাংবাদিকরা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টার সময় স্বাধীনতা চত্বরে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার দেবীদ্বার প্রতিনিধি এ বিএম আতিকুর রহমান বাশার, দৈনিক সমকালের দেবীদ্বার প্রতিনিধি সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল, সাংবাদিক মাসুদ রানা, আনন্দ টিভি'র দেবিদ্বার ব্রাহ্মনপাড়া প্রতিনিধি মাহফুজ আহম্মেদ সরকারসহ অনন্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ফাসিঁর দাবী জানান, সেই সাথে সারা দেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, এদেশের মানুষ দূর্নীতিমুক্ত একটি স্বাধীন বাংলাদেশ চায়। যে দেশে কোনো চাঁদাবাজ,টেহুারবাজ ও দূর্নীতিবাজ কোনো সরকারি কর্মকর্তা থাকবে না। যারা এখনো সরকারি অফিসে বসে বসে দূর্নীতি করছেন আপনি ইস্তেফা দিয়ে চলে যান। এদেশের মানুষ সরকারি টেবিলে আপনাকে আর চায় না। এদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সেই সোনার মানুষ গুলো তৈরি করার জন্য কাজ করছে। তিনি শনিবার বিকালে চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পালাখাল মডেল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করেছে, তাদের বাড়িঘরে বুল্ডাজার দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। তারপরও আমাদের কোনো নেতাকর্মী এদেশ থেকে পালিয়ে যায়নি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তাদের নেতাকর্মীদের এতিম রেখে এদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছে। শেখ হাসিনা এদেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার নাম করে একটি করে লাশ উপহার দিয়েছেন। সেই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেয়ে প্রান হারিয়েছেন। নির্বিচারে শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়েছে। তারা চেয়েছিল এ হত্যা চালিয়ে ক্ষমতা আরো পাকাপক্ত করবে কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলন বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বিজয় হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী পালাখাল মডেল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও জামায়াত নেতা এবায়েদ উল্যাহ’র পরিচালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও হাজীগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী।
বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কচুয়া শাখার আমীর এডভোকেট আবু তাহের মেসবাহ,নায়েবে আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম,সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রমুখ। এসময় ওই ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ঝিনাইদহ সদরে মাছচাষি শরিফুল ইসলাম টুলু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
(৩ মার্চ)রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের একটি পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম টুলু। সে সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, জসিম, খোকনসহ আরও কয়েকজন তাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই সরফুদ্দিন বাদী হয়ে নয়জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমাণ হওয়ায় জাহিদুল ইসলাম, খোকন হোসেন, ইলিয়াস আলী, জসিম উদ্দিন ও সেলিম হোসেনকে এ সাজা দেন বিচারক।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২৮ কেজি ৫শত গ্রাম গাঁজাসহ
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন
কালাকচুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। রিপন শেখ এবং ২। জিহাদ
মোল্লা নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ২৮ কেজি
৫ শত গ্রাম গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। রিপন শেখ (৫১)
গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ থানার কুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আমানত শেখ এর ছেলে এবং ২।
জিহাদ মোল্লা (২৪) গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ থানার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের সিরাজ মোল্লা
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


উজান থেকে নেমে
আসা
পাহাড়ি
ঢল
ও
অতিবৃষ্টির কারণে
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও
দুধকুমার নদীর
পানি
বিপদসীমার উপর
দিয়ে
প্রবাহিত হওয়ায়
সাময়িক
বন্যা
পরিস্থিতি সৃষ্টি
হয়েছে।
এতে
প্রায়
৫০
হাজার
মানুষ
পানিবন্দী হয়েছে
বলে
জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির
ফলে
গত
তিনদিন
ধরে
ঘরের
ভিতর
মাচা
ও
চৌকি
উঁচু
করে
আশ্রয়
নিয়েছে
বানভাসি মানুষ।
চৌকিতে
রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত
কাটছে
তাদের।
বাড়ির
চারপাশে থৈথৈ
পানিতে
অসহায়
দিন
কাটছে
নারী,
শিশু
ও
প্রতিবন্ধী মানুষের।
উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের আসমত ও নুরবানু জানান,
গত
তিনদিন
ধরে
পানিবন্দী অবস্থায় আছি।
ছেলে
মেয়েকে
উঁচু
জায়গায়
রেখে
গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো
কেউ
খোঁজখবর নিতে
আসেনি।
একই ইউনিয়নের ফকিরের
চর
গ্রামের রমিচন
জানান,
ঘরে
পানি।
রান্না
করতে
সমস্যা
হচ্ছে।
গরুকেও
কিছু
খাইতে
দিতে
পারছি
না।
বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে।
একই গ্রামের ফরিদা
জানান,
চারটে
ভাত
ফুটাচ্ছি। তরকারি
নাই।
লবন
দিয়া
খাইতে
হইবো।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান জানান,
আমার
ইউনিয়নের ১০
টি
গ্রামের প্রায়
এক
হাজার
মানুষ
পানিবন্দি রয়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল
গফুর
জানান,
আমার
ইউনিয়নে ১৫শ
মানুষের বাড়িঘর
তলিয়ে
গেছে।
এছাড়াও
৮
হাজার
মানুষ
পানিবন্দী হয়ে
আছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল
হামিদ
শেখ
জানান,
আমার
ওয়ার্ডে দেড়শ
ঘরে
পানি
উঠেছে।
এছাড়াও
এই
ইউনিয়নে প্রায়
৮শ'
পরিবার
পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
ফকিরের চরে একটি
আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায়
৮০টি
পরিবার
আশ্রয়
নিলেও
তারা
বিশুদ্ধ পানি
ও
ল্যাটিন সমস্যায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর
উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
আতাউর
রহমান
জানান,
আমি
বিষয়টি
জানলাম। এখনেই
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে লোকজনকে পাঠাচ্ছি সমাধানের লক্ষে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান,
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৮
এবং
ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ১৯
এবং
পাটেশ্বরী রেল
সেতু
পয়েন্টে দুধকুমার নদীর
পানি
০১
সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর
দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল
আরিফ
জানান,
বন্যা
কবলিত
কুড়িগ্রাম সদর,
চিলমারী, উলিপুর
ও
নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেয়ার
পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত
এলাকায়
এক
হাজার
২শত
পরিবারকে ১০
কেজি
করে
চাল
সহ
অন্যান্য বিতরণ
করা
হয়।
এর
মধ্যে
উলিপুর
উপজেলার থেতরাই
ইউনিয়নে ১০০
জনের
মাঝে
১০
কেজি
হারে
চাল
বিতরণ
চলছে।
চিলমারী উপজেলার রমনা,
নয়ারহাট ও
চিলমারী প্রত্যেকটি পয়েন্টে ১০
কেজি
হারে
মোট
৬
মেট্রিক টন
চাল
বিতরণ
হয়,
উপকারভোগীর সংখ্যা
৬শত।
কুড়িগ্রাম সদর
উপজেলার বিকালে
চরভগবতীপুর, খেয়ার
আলগা,
কালীর
আলগা,
পোরার
চরে
১৫০
প্যাকেট ত্রাণ
বিতরণ
করা
হয়
(প্রতি
প্যাকেটে থাকবে
১০কেজি
চাল,
ডাল
ও
তেল)। নাগেশ্বরী উপজেলার গরুভাসার চর,
ফকিরগঞ্জ, নুনখাওয়ার চরকাপনা ও
নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০০শ পরিবারের মাঝে
পরিবার
প্রতি
১০
কেজি
হারে
চাল,
১
কেজি
ডাল,
১লি:
তেল
ও
১
কেজি
লবণ
বিতরণ
হয়।
এছাড়া
ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটায় ১৫০
জন
পরিবারকে ১০
কেজি
করে
চাল
বিতরণ
করা
হয়।
মন্তব্য করুন


ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র।
এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট।
এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন।
এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন।
ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
আজ রবিবার (১১ মে)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর সামারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ১। মোঃ শাহাদাত হোসেন রবিউল (২৩) এবং ২। মোঃ রবিউল হাসান (২১) নামক দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ১ টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শাহাদাত হোসেন রবিউল (২৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বড় আলমপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর ছেলে এবং ২। মোঃ রবিউল হাসান (২১) একই গ্রামের টিপু সুলতান এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন