শেরপুর
জেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেফতার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়িয়ে
যান ওই তরুণী। তাই ১ম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে ২য় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ।
নিহত সুমন মিয়া (১৭) পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক মো: নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অভিযুক্ত তরুণী আন্নী বেগম (১৭), বাবা আজিম উদ্দিন (৪২) ও দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন (১৭)।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নী বেগমের। সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। রবিন ময়মনসিংহের একটি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পথের কাটা সুমনকে সরাতে ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমনকে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনে আন্নী ও রবিন। এরপর তাকে হত্যা করে নিজ উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে সুমনের মরদেহ।
এদিকে রাতে সুমন বাড়ি ফিরে না এলে পরদিন সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে আন্নী ও তার বাবা-মাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতে আন্নী বেগম ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। পরে আন্নীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মামলা নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আন্নী ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আন্নীর দেওয়া তথ্যমতে রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
রবিউল আউয়াল মাসের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন লক্ষে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে কলেজের আয়োজনে কিরাত নাত,হামদ ও হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনীর উপর কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সিহাদ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন মোল্লা,আবুল খায়ের,ফজলুল হক,প্রভাষক আবু জাফর ও হাসিনা আক্তার সহ আরো অনেকে। এসময় কলেজের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন,ইয়ার আহমেদ মজুমদার,বিল্লাল হোসেন,সেলিম হোসেন,প্রভাষক ইফনুছ মোল্লা,সাইফুল ইসলাম সবুজ,ইয়াছিন মিয়া,লায়লা আরজুমান,নিগার সুলতানা,কবরি হোসেন সহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় এক দিনে ০১ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল আটক করে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কয়েকটি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযান সমূহে বিজিবি টহলদল কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পৃথক পৃথক স্থান হতে গত এক দিনে সর্বমোট ১,১০,১৯,৭৯৪/- (এক কোটি দশ লক্ষ উনিশ হাজার সাতশত চুরানব্বই) টাকা মূল্যের মোবাইল, মোবাইল ডিসপ্লে, বাজি এবং মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানী পণ্য সামগ্রী আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন
কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। কিছুটা বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রাও। তবে আভাস নেই ঘন কুয়াশা কমার।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে দুপুর পর্যন্ত। কুয়াশার কারণে প্লেন চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বসবাস করেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত মধ্যরাতে।মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর সহ নদী অঞ্চলে জেলেদের ইলিশ ধরতে দেখা গেছে।
যৌথ
অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক
টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।
জেলা
মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে
বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট
জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের
মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।
নিষেধাজ্ঞা
শেষে মাছ শিকার নিয়ে নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল
পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯
কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের
মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
জেলা
মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০
কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন,
পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল
হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু
জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
দেশের
ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা
করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে ।
মন্তব্য করুন
"রুখে
দিয়ে ড্রেজার,
নিশ্চিত করি
বাঁচার অধিকার"
এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তিন
ফসলী কৃষি
জমির ক্ষার্থে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন মুরাদনগর উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান খান।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় তিন
ফসলী কৃষি
জমি থেকে
অবৈধ ভেকু,
ড্রেজার মেশিন
দিয়ে মাটি
উত্তোলনের দায়ে
একই দিনে
৫টি স্থান
থেকে ৪ টি অবৈধ
ড্রেজার মেশিনসহ
৩ হাজার
ফুট পাইপ
বিনষ্ট ও অপসারণ করেছে
ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আক্তার হোসেন নামের এক ব্যাক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাস কারাদন্ড প্রদান ও ২ টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়।
দুপুরে
উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ও পশ্চিম
ইউনিয়নের কুরবানপুর, জানঘর, খোঁশঘর, হাটাশ,
মালিপাড়া এলাকায়
ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিচালনা করেন
উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান
খাঁন। এ অভিযানে বাঙ্গরা
বাজার থানা
পুলিশ উপস্থিত
ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন
বলেন, তিন
ফসলী কৃষি
জমি থেকে
অবৈধভাবে মাটি
কাটা, বালু
উত্তোলনের দায়ে
ভেকু ও ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের
মাধ্যমে ড্রেজার
মেশিন, পাইপ,
ব্যাটারি অপসারণ
জব্দসহ জেল
ও জরিমানা
করে এসেছি।
উপজেলার কৃষি
জমি রক্ষায়
অসাধু ড্রেজার
ব্যবসায়ী চক্রকে
নির্মূল করার
লক্ষ্যে আমাদের
এই অভিযান
অব্যাহত থাকবে।
সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান
খান যোগদানের পর থেকে প্রায়
৭ মাসে
১৭০ টি
ড্রেজার ও ১ লক্ষ
২০ হাজার
ফুট পাইপ
অপসারণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিশ্চিত করেছেন,বমি পার্টির গুরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
রাজধানীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মো. স্বপন প্রকাশ ওরফে চোরা স্বপন (৫২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চোরা স্বপন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাসে যাত্রীবেশে উঠে বমি করে যারা ছিনতাই করে তাদের কাছে ‘গুরু স্বপন’নামে পরিচিত চোরা স্বপন।
স্বপন বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আয়নাল ফকিরের ছেলে। তিনি চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি একসময় চুরি করতেন। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার আটকও হন। এ কারণে গ্রামে সবাই চোরা স্বপন নামেই চেনে তাকে।
ওসি মহসীন আরো বলেন, গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে তিনি ছিনতাই শুরু করেন। প্রথমে অন্য দলের সঙ্গে থাকলেও পরে নিজেই দল গঠন করেন। এরপর তিনি নিজেই বমি পার্টি করেন। তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে ওঠেন। বাসে প্রথমে কৃত্রিম জটলা তৈরি করেন, এরপর কেউ একজন কৃত্রিম বমি করেন। বমি করার পর বাসের মধ্যে এক ধরনের হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। সে সুযোগে এই গ্রুপের সদস্যরা যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যান। তারা চকলেট এবং পানির বিশেষ মিশ্রণে কৃত্রিম বমি করতেন বাসে থাকা যাত্রীদের শরীরে।
তবে কৃত্রিম এই বমি কিন্তু সবাই করতে পারে না। এই বিশেষ বমি করার প্রশিক্ষণ দেন স্বপন। তাই তাকে এই ধরনের ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা গুরু স্বপন নামেই ডাকেন ।
ওসি বলেন, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ফার্মগেটে একটি বাসে স্বপন তার আরও দুই সদস্য নিয়ে ওঠেন। তারা সেখানে বমি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে যাত্রীরা দেখে ফেলেন। এসময় দুজন পালালেও স্বপনকে আটক করা হয়।
এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ছুরি ও ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৫০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ।
আজ
(২৬ জানুয়ারী) সকালে কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) ছালাউদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্স
সহ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৪নং আমড়াতলী ইউপিধীন আমড়াতলী সাকিনস্থ কাইয়া
পুকুরের পূর্ব দক্ষিণ কোনের নাজিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর হতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বিল্লাল হোসেন কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: মোঃ বিল্লাল হোসেন(৩১), পিতা-মৃত আলী আকবর, মাতা-সাফিয়া খাতুন
,স্থায়ী: গ্রাম- বড়জালা (মন্টু মিয়ার বাড়ি, পোঃ বামইল ) , উপজেলা/থানা- কুমিল্লা কোতয়ালী,
জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানার মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান ও আবু রায়হানের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
বন্যার্তদের মাঝে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক রাশেদুল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে এসেছি। আমরা এখানে ২০০ পরিবারকে সাহায্য করেছি।
আরেকজন সমন্বয়ক আবু রায়হান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের
শিক্ষার্থীদেরকেই মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা মানুষদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে
এসেছি। আমাদের মত সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে
পারবো। বিপদে আমরা সবাই একসাথে মানুষদের পাশে দাঁড়াবো।
মন্তব্য করুন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় অভিন্ন মানদণ্ডে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী।
মঙ্গলবার (১১জুন ) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন কর্মক্ষেত্রের কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁহাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
নবীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী পেশাদার অপরাধী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি, চোর, ডাকাত ও মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার, জুয়াড়ি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের কাজের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সার্বিক বিষয়ে অবদান রাখায় ১১ জুন মাসে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) মো: খলিলুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ -বাহুবল সার্কেল) আবুল খায়ের,সহকারি পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল)নির্মেলেন্দু চক্রবতী। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী, পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্যারের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এ পুরস্কার আমাদেরকে কাজের স্পিহা ও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে তুলেছে। থানার সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীলতায় ও ভালোবাসায় আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করবো অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য যেন সততার সহিত পালন করতে পারি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় দালাল চক্রের সাত সদস্যকে
আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেবিদ্বার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট
আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা
আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান
আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার,
একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে
ফাতেমা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,
আটক দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি
হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও
তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা
করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল
থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন
এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
পরে আটক সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক
স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা
দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিকে
নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের
সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন