মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মাদ্রাসাতুস সাহাবা ও হাজী মর্জিনা মহিলা মাদ্রাসায় পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ ও পানির মোটর প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার সামাজিক সংগঠন রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যান সংস্থার উদোগে এসব কুরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
তাছাড়া এ সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা,ঘর নির্মান,খাদ্য সহায়তা,বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়,রক্তদান, অসুস্থ রোগীদের আর্থিক সহায়তা সহ নানান কর্মসূচী করে আসছেন। বিশেষ করে করোনার সময়ে প্রান্তিক পর্যায়ে অক্সিজেন সেবা,খাদ্য সহায়তা সহ বিভিন্ন সেবার কার্যক্রম করেছেন।
এসময় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাজী আব্দুর নুর মজুমদার,অধ্যক্ষ মুফতী মাহাবুবুর রহমান মজুমদার,রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশরাফুল আলম রিজন পাটওয়ারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ।
আগামীকাল দ্বিতীয় ধাপের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০-২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে টিকিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেন তারা।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন-জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুস্তম আলী, মো. ইশান ইমতিয়াজ, গোকুল, বগুড়া সদর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রোকনুজ্জামান। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত লিখিত পরীক্ষার প্রাক্কালে জালিয়াতিচক্রের এ ধরনের প্রলোভনে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। জালিয়াতি চক্রের কোনো তৎপরতার সন্ধান পাওয়া গেলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্বের পরীক্ষার সময়ও এ ধরনের চক্র সক্রিয় ছিল। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সজাগ ও সতর্ক ভূমিকার কারণে তাদের অপপ্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে
যথারীতি মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে
বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার থেকে যথারীতি মাধ্যমিক
পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার জন্য আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছিল আদালত। সে
অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হয় মাধ্যমিক স্তুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মন্তব্য করুন
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী ২৯ জানুয়ারি শুরুর কথা থাকলেও তা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে,ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখ ও বিস্তারিত সময়সূচি পরিবর্তিতে জানানো হবে ।
গত ২৪ জানুয়ারি রাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্ণাঙ্গ কারিগরি প্রস্তুতি ও পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার পর অত্যন্ত বাস্তবসম্মত কিছু বিষয় সমন্বয় করার জন্য জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখ ও সময়সূচি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখ পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্তের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান।
আগামী ৩১ জানুয়ারি বিকেলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সম্মেলন কক্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় পরিবর্তিত ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখ ও সময়সূচি পুনঃনির্ধারণ করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এইচএসসি পরীক্ষা এক মাস পেছানোর বিষয়ে একটি নোটিশ ঘুরছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে। নোটিশটি ভুয়া।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া নোটিশটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশারের স্বাক্ষর ব্যবহার করে শুক্রবারে ছড়ানো হয়।
নোটিশটিতে বলা হয়, ‘আগাম ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও দুই দফা ছাত্র-ছাত্রীদের দেশব্যাপী আন্দোলোনের ওপর ভিত্তি করে আগামী ৩০ শে জুন অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ শে জুলাই বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত শর্ট সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, শিগগিরই ২০২৪ সালের ৩০ শে জুলাই অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশিত হবে। ’
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, পরীক্ষা আগের রুটিন অনুযায়ী হবে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে।
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২৪ এর জন্য পৃথক ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা মিরপুরে। আর মাধ্যমিকের বই উৎসব হবে কুমিল্লায়। উৎসব শুরু হবে সকাল ১০টায়।
নিয়মানুযায়ী, এক দিন আগে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে নতুন এই পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর পরদিন পহেলা জানুয়ারি পৃথক পৃথক ভেন্যুতে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ বলেন,প্রাথমিকের বই উৎসব এবার মিরপুরের ন্যাশনাল (সকাল-বিকাল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে। এটা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাশেই অবস্থিত।
আর মাধ্যমিকের বই উৎসব সম্পর্কে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো বছরের প্রথম দিন বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। মাধ্যমিকের বই উৎসব কুমিল্লার সোয়াগঞ্জ তোফাজ্জল আহমেদ চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হবে।
বই ছাপানোর অগ্রগতি বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকের সব বই গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এছাড়া নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রায় সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অষ্টম শ্রেণির সব বই গত মঙ্গলবার প্রেসে দেওয়া হয়েছে। আর নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের একটি বই গত শনিবার প্রেসে দিয়েছি। সামাজিক বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের আরেকটি বই আজ সোমবার প্রেসে যাবে।
জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি পাঠ্যবই ও শিক্ষক সহায়িকা (টিজি) বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ৩০ লাখ ৮০ হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮টি পাঠ্যবই। প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৪ জনকে দেওয়া হবে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৬৯৭টি পাঠ্যবই। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৫ হাজার ৭২২ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১টি পাঠ্যবই। এছাড়া প্রাথমিক স্তরের ইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৬টি পাঠ্যবই।
মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭টি পাঠ্যবই। দাখিল ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হবে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২টি পাঠ্যবই। ইংরেজি ভার্সনের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৭টি পাঠ্যবই। কারিগরি ট্রেডের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হবে ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭০২টি পাঠ্য বই। এসএসসি ভোকেশনালের ৬ হাজার ১৫ জন শিক্ষার্থীকে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৫টি পাঠ্য বই দেওয়া হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে ৭২৮টি বই। এছাড়া শিক্ষকদের জন্য ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি শিক্ষক সহায়িকা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
যারা উদ্যমী এবং প্ররিশ্রমী কোন বাধা বিপত্তিই তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। তার এক উজ্জল দৃস্টান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী সজীব। লেখাপড়া শেষ করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সেবা করতে চায় সে। কিন্তু তার এই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে দরিদ্রতা। আদেও কি তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে কিনা এমন দু:শ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।
সজীব মহম্মদপুর আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের স্নাতক বর্ষের ছাত্র। ২০২০ সালে মহম্মদপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২২ সালে বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করে এ বছর স্নাতক পাশ কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে সে শিক্ষক হয়েই শিক্ষার মানোউন্নয়ন এবং সমাজ গঠনে অবদান রাখতে চায়। এখনো প্রর্যন্তু পঙ্গুত্ব এবং অভাব তার শিক্ষার অগ্রযাত্রা কে বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি। তবে আদৌকি তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে কিনা এমন দু:শ্চিন্তায় দিন কাটছে তার পরিবারের।
সজীব মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খাদুনা গ্রামের হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রী সুনীল মন্ডলের ছেলে। বাবা-মাসহ ৫ সদস্যের সংসারে দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে মেজো। বড় বোন চন্দ্রিকা মন্ডলের বিয়ে হয়েছে গেছে। ছোট বোন অনিন্দিতা এ বছর এইসএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। টাকার অভাবে এখনো সে ভর্তি হতে পারেনি। বাবা সুনীল মন্ডল মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়ে। মা স্বপ্না রাণী মন্ডল গৃহীণি।
তিনি বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ছেলে এবং মেয়ের লেখাপড়ার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। অনেকেই সহযোগিতা করেছে। আমি আমার ছেলে এবং মেয়ের লেখা পড়ার জন্য মানুষের বাড়িতেও কাজ করেছি। এতদিন অনেক কষ্টো করে তাদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে এসেছি কিন্তু এখন আর পারছি না। আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য সমাজের সকলের সহযোগিতা চাই। কারন, কারন, সজীবের বাবারও আগের মত কাজ করার শক্তি এখন আর নাই।
বাবা সুনিল মন্ডল বলেন, ছেলের লেখাপড়ার করার ইচ্ছা আমাকে সাহস যোগায় কিন্তু সামর্থের কাছে বারবার হেরে যায় আমি। তবু তার তার ইচ্ছে পূরণে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারি সহায়তা পেলে আমার ছেলেটা তার শিক্ষা জীবন শেষ করে হয়ত কিছু একটা করতে পারতো। তারপর আবার মেয়েটা বড় হয়ে হয়ে গেছে তাকেও সময় মত বিয়ে দিতে হবে। নানান চিন্তায় মাঝেমধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়ি আমি।
প্রতিবন্ধী সজীব মন্ডল বলেন, ছোট বেলায় মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে গিয়েছি। বড় হয়ে ভ্যানে। কলেজে উঠলে ভগ্নিপতির সহযোগিতায় একটি ব্যাটারি চালিত হুইল চেয়ার কিনে আসাযাওয়া করতাম। এখনো হুইল চেয়ার চালিয়েই কলেজে আসা যাওয়া করি। নিজের নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা আছে তা দিয়ে এবং বাবার সহযোগিতায় ডিগ্রীতে ভর্তি হয়েছে। আমার খুব ইচ্ছে লেখাপড়া শেষ করে একজন আদর্শবার শিক্ষক হওয়ার। তার ইচ্ছে পূরণে সে সমাজের মানবিক বিত্তবান এবং সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
এ বিষয়ে আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারি তরুণ কুমার গুহ পিকিং বলেন, উদ্যমি সজীবের আগ্রহের কথা জেনে আমরা সীমিত খরচে তাকে ডিগ্রীতে ভর্তি করে নিয়েছি। অধ্যক্ষ শওকত বিপ্লব রেজা বিকো বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ইউএনও পলাশ মন্ডল বলেন, আমি তার খবর পেয়ে অফিসে আসতে বলেছে। তার লেখা পড়া চালিয়ে যেতে সর্বচ্চো সহায়তা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সি আর আবরার
(চৌধুরী রফিকুল আবরার)।
তিনি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন ।
মঙ্গলবার
(৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অধ্যাপক
সিআর আবরার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নামকরা শিক্ষক ছিলেন উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন,
কাল (বুধবার) উনি শপথ নেবেন। প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনেক দিন ধরেই বলছিলেন, উনি
একসঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয় কাজ করতে পারছেন না। যেহেতু উনি অ্যাডভান্সড স্টেজে, প্ল্যানিং
মিনিস্ট্রিতে অনেক বড় দায়িত্ব ওনার। এজন্য অধ্যাপক সি আর আবরার যুক্ত হচ্ছে উপদেষ্টা
পরিষদে।
প্রসঙ্গত,
বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পরিকল্পনা
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করে আসছেন।
তবে
নতুন কতজন উপদেষ্টা শপথ নেবেন সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন
মাহমুদ অনেকদিন যাবত বলে আসছিলেন, তার পক্ষে একই সঙ্গে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে তার বদলে অধ্যাপক আবরারকে সম্ভবত শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম সকাল ১০টায় শুরু হবে ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠদান কর্মসূচি পরিবর্তন করে অফিস আদেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়, সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে আর ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা হলে ইতোপূর্বে জারি করা নির্দেশনা যথারীতি বহাল থাকবে।
গত ১৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিধায় যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, সেসব জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালকরা সংশ্লিষ্ট জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের একাডেমিক কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করতে পারবেন (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত)। আর এ আদেশের কার্যকারিতা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আদেশ জারি করে জানানো হয় যে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা যাবে।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল (২৬ নভেম্বর) রবিবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তরের পর বেলা ১১টায় স্ব স্ব কলেজ ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আর এবার শিক্ষার্থীরা কলেজে না গিয়ে ঘরে বসেই ফল দেখতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা কলেজ নোটিশ বোর্ড ছাড়াও বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে ।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমে www.educationboardresults.gov.bd এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলেই শিক্ষার্থী তার রেজাল্ট শিট দেখতে পারবে।
ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে www.dhakaeducationboard.gov.bd রেজাল্ট ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়াও পরীক্ষার্থীরা এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে এইচএসসি (HSC) লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখতে হবে। এরপর ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন ঢাকা বোর্ডের একজন পরীক্ষার্থীকে- HSC DHA 123456 2023 লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী।
মন্তব্য করুন
এইচএসসি
ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ (২৬নভেম্বর)প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় কেউ ফেল করলে অথবা কাঙ্ক্ষিত
ফল না পেলে, তা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন সোমবার(২৭নভেম্বর)
থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শুধুমাত্র এসএমএসের মাধ্যমে এই ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র টেলিটকের প্রিপেইড নম্বর থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।
মন্তব্য করুন