

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মাদ্রাসাতুস সাহাবা ও হাজী মর্জিনা মহিলা মাদ্রাসায় পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ ও পানির মোটর প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার সামাজিক সংগঠন রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যান সংস্থার উদোগে এসব কুরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
তাছাড়া এ সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা,ঘর নির্মান,খাদ্য সহায়তা,বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়,রক্তদান, অসুস্থ রোগীদের আর্থিক সহায়তা সহ নানান কর্মসূচী করে আসছেন। বিশেষ করে করোনার সময়ে প্রান্তিক পর্যায়ে অক্সিজেন সেবা,খাদ্য সহায়তা সহ বিভিন্ন সেবার কার্যক্রম করেছেন।
এসময় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাজী আব্দুর নুর মজুমদার,অধ্যক্ষ মুফতী মাহাবুবুর রহমান মজুমদার,রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশরাফুল আলম রিজন পাটওয়ারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানায়, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে
মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয় ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা
হয়েছে।
এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ
হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ
৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক
শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা
মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।
গত বছরের ১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
মন্তব্য করুন


বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসছে।
নিয়োগ পদ্ধতি শিক্ষক নিবন্ধন সনদের পরিবর্তে সরাসরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া করবে সরকারি কর্ম কমিশনের আদলে গঠিত একটি কর্তৃপক্ষ।
তবে এ নিয়ে বর্তমানে আইন তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এজন্য প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। আর উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তির পর সনদের ভিত্তিতে আবেদন করলে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগে সুপারিশ করে থাকে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আইনটি পাস হলে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো নিবন্ধন সনদের দরকার হবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এনটিআরসিএর জন্য নতুন আইন তৈরি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়।
শিক্ষক নিয়োগে নতুন আইন প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-২) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির কাজ চলমান। আশা করছি, আইনটি পাসের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তোলা হবে।
এদিকে এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নির্বাচন এবং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে সুপারিশ কর্তৃপক্ষ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে। তবে এই নতুন আইন কার্যকর হতে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর এই সময় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আগের নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে হবে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে এনটিআরসিএর সনদধারীরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করলে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। এ ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-৩৫ বা নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছর রয়েছে এমন সব প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পান। ফলে অনেকেই বঞ্চিত হয়ে থাকেন। তবে নতুন আইন কার্যকর হলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়স উল্লেখ থাকবে। এতে বঞ্চিত হতে হবে না কাউকে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছে এনটিআরসিএ। প্রথম দশকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি। তবে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এতে পরিবর্তন আসে। সনদ দেয়ার পাশাপাশি নিয়োগের জন্য সুপারিশের ক্ষমতা দেয়া হয় এনটিআরসিএকে।
মন্তব্য করুন


দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে অবস্থিত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস চলবে।
বুধবার (১৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৮টি বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনের এলাকাভুক্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণিকার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
মন্তব্য করুন


রমজানে
সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলো আগামী ২১ মার্চ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ২৫ মার্চ পর্যন্ত
খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রমজানে
খোলা রাখা বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এ সিদ্ধান্তের কথা
জানানো হয়।
শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ মার্চ - ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি
মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত
বছরের ১৩ ডিসেম্বর সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১
বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।
নতুন
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক
ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।
প্রাথমিক
ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, সরকারি প্রাথমিক
স্কুলগুলো ১০ রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে।
মন্তব্য করুন


‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (০৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
ড. ইউনূস বলেন, ৮ মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদতবরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. উইনূস বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য
সুরক্ষায় আগামীকাল শনিবার (৪ মে) ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ মোট ২৫ জেলায় সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার,
ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের
রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার ৪ মে বন্ধ থাকবে।
মন্তব্য করুন


এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামীকাল
(১৫ অক্টোবর) প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন।
ঘরে
বসে ফলাফল যেভাবে জানা যাবে -
প্রার্থীরা অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে
এসএমএসের মাধ্যমে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC
লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার
স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফলাফল।
এ ছাড়াও,
http://www.educationboardresults.gov.bd, http://www.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইট
থেকেও ফলাফল জানা যাবে। রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে প্রবেশ করে ফলাফল শিট ডাউনলোড
করা যাবে।
এবছর এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু
হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী সাড়ে ১৪ লাখের মতো। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি
চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায়
পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এ ছাড়া ব্যবহারিক
পরীক্ষাও বাকি।
পরে সিদ্ধান্ত হয় যে ১১ আগস্ট থেকে
নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরে তা হয়নি। সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা
বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য
হয় শিক্ষা বিভাগ। মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।
মন্তব্য করুন


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানা (একই উপজেলা/থানার ভেতর) অনলাইন বদলি শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করবেন। ২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যাচাই সম্পন্নকরণ এবং ৩ ও ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই সম্পন্নকরণ হবে।
৫-৭ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্নকরণ, ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সহকারী শিক্ষকের যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের। যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্নকরণ; ১৫-১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় উপপরিচালক কর্তৃক যাচাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করবেন।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র ১ বা ২টি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারিকৃত সর্বশেষ 'সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন।
যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে সংযুক্ত তথ্য ও কাগজপত্রাদি যাচাই করবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যোগ্য আবেদনকারীকে সফটওয়্যারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত করা হয় বিধায় কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন


নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড তৈরির অ্যাপ 'নৈপুণ্যর' আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
গতকাল বুধবার এ অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অ্যাপটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যাপটির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদসহ শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এ অ্যাপটি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অ্যাপটিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। একইসঙ্গে এ অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করবে।
জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালুকৃত মূল্যায়ন পদ্ধতির তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের জন্য ‘নৈপুণ্য’ নামের অ্যাপটি উন্নয়ন করা হয়েছে। এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর দায়িত্বে রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এনসিটিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অ্যাপে শিক্ষকদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমেই বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্বাচন করবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। প্রধান শিক্ষকদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে অ্যাপে লগইন করা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠানো হয়েছে। তা ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষকরা অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। শিক্ষক ব্যবস্থাপনা অপশন থেকে শিক্ষকদের যুক্ত করা যাবে এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্বাচন করা যাবে। কোনো শিক্ষককে যুক্ত করা হলে তার মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড চলে যাবে। যা দিয়ে ওই শিক্ষক অ্যাপের ড্যাশবোর্ডে লগইন করতে পারবেন। এতে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷ এটি ব্যবহার করেই সক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে হবে।
শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আরো বলছেন, এ অ্যাপে শিক্ষকদের শিক্ষার্থীর শিখণকালীন ও সামস্টিক মূল্যায়নের (পরীক্ষা) তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অ্যাপে সংরক্ষিত তথ্য শিক্ষার্থীর একটি আইডিতে সংরক্ষিত থাকবে। যা পরবর্তী শ্রেণিতেও শিক্ষকরা দেখতে পারবেন।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড তৈরির অ্যাপ ‘নৈপুণ্য’ গত শনিবার শিক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ অ্যাপে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল ও মাদরাসার রেজিস্ট্রেশন করতে স্কুল ও মাদরাসাগুলোর প্রধানদের বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বর্তমান পরিস্থিতিতে চলমান এইচএসসি
ও সমমানের অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার ফলাফল কীভাবে হবে, তা পরে
সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান
তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, এসএসসির ফলাফলের সঙ্গে সমন্বয়
করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের দাবিতে সচিবলায়ে বিক্ষোভ করেন এইচএসসির পরীক্ষার্থীরা।
সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। দুপুরের দিকে স্লোগান দিতে
দিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, বন্যা, কোটা সংস্কারসহ
নানা কারণে গত ৫ মাস ধরে পরীক্ষার মধ্যে আছেন। এ ছাড়া কোটা সমন্বয় ও সরকার পতনের এক
দফা আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। এমন পরিস্থিতিতে
বারবার পরীক্ষার পেছানোর ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাই আহতদের রেখে
এ বছর আর পরীক্ষা দিতে চান না তারা।
এ ছাড়াও তাদের এসএসসি ফলাফলের সঙ্গে
সমন্বয় করে দ্রুত এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের দাবিও জানান তারা।
মন্তব্য করুন