

মো; মাসুদ রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় কলা চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন মিজানুর রহমান নামের এক কৃষক। বর্তমানে তার জমিতে চার শতাধিক কলা গাছ আছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া এলাকায় রাস্তার পাশে কলার বিশাল বাগান করেছেন মিজানুর রহমান। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ২০০ কলার ছড়ি আছে। জমি ইজারা নিয়ে কলা চাষের পাশাপাশি হলুদ,মিষ্টি আলু, লাউ,টমেটে ও নানা জাতের সবজির আবাদ করেছেন তিনি।
অন্য ফসল বিক্রিতে কিছু ঝামেলা থাকলেও কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। খুচরা পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যান। সবরি কলার কাঁদি ৪০০-৫০০ টাকা, সাগর কলার কাঁদি পাইকারি বিক্রি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হয়।
কৃষক মিজানুর রহমান কলা চারা রোপনে ব্যয় হয়েছির মাত্র ১০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে বছর খানেক সময় গেলে তার কলা বাগান থেকে আয় হয় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে কলা বাগনে আরো কলার ছড়া রয়েছে। বর্তমানে বাগানে যে কলা আছে তা ৫০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।
তাছাড়া দুই থেকে তিন ফুট লম্বা কলা গাছের চারা লাগানোর ৮-৯ মাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। কলার চারা একবার রোপণ করলে পুনরায় তা আর রোপণ করতে হয় না। গাছের কলা একবার পূর্ণাঙ্গ বয়স হলে কেটে ফেলার কিছুদিন পর ওই গাছের গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়। কৃষক মিজানুর রহমান কলা চাষ করে নিজের পরিবারের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন তিনি। কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তিনি।
কলা চাষিরা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এক বছর আগে প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে করার আবাদ করি। পাঁচ বছরের জন্য ৭২ শতাংশ জমি ইজারা নিয়ে এ জমিতে কলা চাষের পাশাপাশি সমন্বিত সবজির আবাদ করেছি। কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শে কলার ফলন ভালো হায়েছে। প্রথম ৫০ হাজার টাকার অধিক কলা বিক্রি করি।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিটু মহন সরকার বলেন, কলা চাষ তেমন কোনো খরচ নেই। কলা চাষে লাভের অংশ বেশি। এ উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। কম শ্রম, অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলা চাষ। রাস্তার ধারে কিংবা বাগানের পতিত জায়গাকে ব্যবহার করে কলা চাষই সফলতার হাসি এনেছে চাষী মিজানুর রহমান। ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে কলা চাষ। সম্পৃক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে শিক্ষকদের নিয়ে ' সিলেক্টেড কোয়ালিটেটিভ রিসার্চ মেথডস' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল রুমে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
প্রধান অতিথি ও কর্মশালার প্রশিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা জরুরি। সেটা ব্যক্তিগত সম্পর্কে হোক, যৌথ গবেষণা বা সাহায্যের মাধ্যমেই হোক আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করা দরকার। অর্থাৎ আমাদের রিজিওনাল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্ক তৈরি করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ওভারঅল র্যাংকিং-এ টিকে থাকার প্রধান উপায় হচ্ছে পরস্পরকে সাহায্য করা। এটার জন্য আপনাকে আমার দরকার, আমাকে আপনার দরকার। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগটা সবসময় থাকবে।
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, কোয়ানটিটেটিভ রিসার্চ করতে এআই অনেক এগিয়ে গেছে। তাই কোয়ালিটেটিভ রিসার্চে হিউমেন ইনভলবমেন্টা বেশি জরুরি। হিউম্যান বিষয়বস্তুগুলো আইডেন্টিফাই করে সেগুলো যথাযথ বিশ্লেষণ করা জরুরি। সেজন্য আমাদের আজকের সেশনটি খুবই দরকারি।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'রিসার্চ করার ক্ষেত্রে আমরা কোয়ালিটেটিভ রিসার্চই বেশি করি। কোয়ালিটেটিভ রিসার্চের মাধ্যমে মানুষের চিন্তাভাবনা, মনোভাব, সমাজব্যবস্থা এবং সামাজিক বাস্তবতা বিষয়গুলো খুব সহজে বের করে আনা যায়, কিন্তু কোয়ান্টিটিভ রিসার্চে মানুষ ডাটা কালেকশনে সাপোর্ট কম দেয়। বর্তমান সময়ে মিক্সড মেথডটা খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের কোয়ালিটেটিভ রিসার্চের ডাটা কালেকশন এবং এনালাইসিস এ গ্যাপ রয়েছে। আজকের সেশন করার পর আমরা আরও উদ্বুদ্ধ হবো।'
কর্মশালা অনুষ্ঠানের সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এখন থেকে শিক্ষক নিয়োগের পর তাকে আগে এক সপ্তাহব্যাপী টিচিং এন্ড লার্নিং প্রশিক্ষণ নিতে হবে, যেখানে শিক্ষকতা ন্যূনতম নিয়ম-কানুন শিখানো হবে। এছাড়া একাডেমিক অনেষ্টি সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হবে। তারপর ক্লাসে যাবেন। আজকের কোয়ালিটেটিভ রিসার্চের এই সেশনের সাকসেস কামনা করছি এবং যারা অংশগ্রহণ করেছেন আশা করি সবাই ভালোকিছু শিখতে পারবেন।'
কর্মশালায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ। এবছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে কচুয়া উপজেলা কলেজগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে এই কলেজ। মোট ৪১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৩৮৬জন পরীক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়। তন্মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছে ৫৩জন। পাশের হার শতকরা ৯৩.৬৯%। বিশেষ করে ওই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩জন জিপিএ৫ পেয়েছে। শুধু এ বছর নয়, প্রতিবছর এ কলেজ থেকে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে।
এদিকে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকগন আনন্দে মেতে উঠেন। পরে কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষকদের মিষ্টি খাওয়ান। এসময় কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, আবুল খায়ের, আব্দুল কুদ্দুস, বিল্লাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ধনঞ্জয় চক্রবর্তী, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম সবুজ, ইউনুছ মোল্লা, ইয়াছিন মিয়া, শিক্ষানুরাগী মাহবুব আলম, ডা. জাহাঙ্গীর, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সৌরভসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম জানান, কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়, শ্রেনিকক্ষে পাঠদানের কারনে এ বছর ভালো ফলাফল অর্জণ সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. সেলিম মাহমুদ। প্রতিনিয়ত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে শতভাগ ধরে রেখে আমরা মানসম্মত শিক্ষার দিকে নজর দেই। এ কারণেই প্রতি বছর আমরা নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের পরিশ্রম সাফল্যে উদ্ভাসিত হচ্ছে। আগামীতে এই ধারায় নিজেদেরকে ছাড়িয়ে জেলা ও বিভাগের মধ্যে স্থান করে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে কুমিল্লা রেলস্টেশনের উত্তর পাশে শাসনগাছা রেলগেইট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুমিল্লা স্টেশন অতিক্রম করে শাসনগাছা এলাকায় প্রবেশ করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় এক ব্যক্তি অসতর্কভাবে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন। ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
নিহতের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে প্রচুর ভিড় জমে যায়। অনেকে মরদেহটি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে কুমিল্লা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অসতর্কতার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে তদন্ত ও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ার কৃতি সন্তান ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ পাঠানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার মরহুমের পরিবার ও পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার আয়োজনে দোয়া মিলাদ ও স্মরন সভা করা হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুর রাজ্জাক আনোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্যা’র পরিচালনায় স্মরন সভায় বক্তব্য রাখেন, মরহুমের সন্তান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রাকিবুল হাসান জেমস,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন,জাবের মিয়া,সালাউদ্দিন মানিক,পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান,পালাখাল ফাতেমা আইডিয়াল একাডেমীর পরিচালক মাহবুব আলম,প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন মাষ্টার,সাংবাদিক জিসান আহমেদ নান্নু,আলমগীর তালুকদার,শিক্ষক আব্দুল কুদ্দস সহ আরো অনেকে। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল কাশেম ভূঁইয়া। এসময় মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, মাদ্রাসার শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্থী এ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর এই দিনে সবাইকে কাদিঁয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। তিনি ১৯৫২ সানের ৩০ জুন পালাখাল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। জীবদ্দশায় তিনি পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি, কচুয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাবেক সভাপতি সহ বিভিন্ন জনহিতকরন কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
আদর্শ সদরে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কালির বাজার ইউনিয়নের কালির বাজার মডেল
হাসপাতালটি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক
লিটন দেবনাথকে ক্লিনিকটিতে অবৈধভাবে ফার্মেসি, অপারেশন, রোগী ভর্তি, রক্ত সঞ্চালন,
অনুমোদন বিহীন রক্ত পরীক্ষা, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, কোন
চিকিৎসক বা নার্সের নিয়োগ না থাকা এবং নিজেই
চিকিৎসক সেজে রোগীদের প্রেসক্রিপশন প্যাডে চিকিৎসা প্রদান করার কারণে তৎক্ষণাৎ
তাকে গ্রেফতার করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মোবাইল
কোর্টটি পরিচালনা করেন, আদর্শ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
রোমেন শর্মা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউএইচএফপিও ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম, কুমিল্লা
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, (উপ-পুলিশ
পরিদর্শক) ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ি, জীবন চক্রবর্তী (হেলথ ইন্সপেক্টর), আবুল কালাম
আজাদ (স্যানিটারি ইন্সপেক্টর)।
উপজেলা
স্বাস্থ্য অফিস, গ্রামীন কল্যাণ জাগুল ঝুলি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিদর্শনের আবেদনের
ভিত্তিতে পুনঃ পরিদর্শনে গিয়ে, সেখানে পরিচালিত ফার্মেসিটির নিবন্ধন না থাকায় তা বন্ধ
করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রোমেন শর্মা জানান, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। বড় রকমের কোন অসঙ্গতি পেলে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে। আমরা আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মানসম্মত
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে, মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সকল আদেশ বাস্তবায়নে
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সদা প্রস্তুত। কুমিল্লার আদর্শ সদরে প্রতি মঙ্গলবার জনসাধারণের
স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি বিষয়ক অভিযোগ সমূহ উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসে সরাসরি দাখিল এবং
গন শুনানির ব্যবস্থা রয়েছে। বিধি মোতাবেক
সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং বেসরকারি পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের
লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া (চাঁদপুর):
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সুন্দরী খাল কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে এখন তা এলাকাবাসীর দূর্ভেগের কারণ।
ওই দু’ইউনিয়নটিতে ছোট বড় মিলেয়ে প্রায়ই অনেক খাল রয়েছে। তন্মধ্যে সুন্দরী খাল অন্যতম। এই খাল দিয়ে আগে নিয়মিত পরস্কিার পানি ও নৌকা যাতায়াত করত। এই খাল গুলোতে এলাকাবাসী গোসল সহ নানান রকম কাজ কর্ম করতো। কালের বিবর্তনে সেই দৃশ্য হারিয়ে গেছে এখন আর চোখে পড়ে না।
খাল গুলোতে এখন কচুরিপানায় দখলে চলে গেছে। এর ফলে পানি দুষিত হয়ে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষ বসবাস করতে পারে না।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলার বক্সগঞ্জ হয়ে মালচোয়া গ্রামে অতিবাহিত হয়ে পাশ্ববর্তী মতলব উপজেলা সংযুক্ত রয়েছে। তাছাড়া কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে এ সুন্দরী খাল বয়ে গেছে। এই সুন্দরী খালের মাধ্যমে দুটি ইউনিয়নের ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ করায় কৃষক বিনা সেচে রবি শস্য অবাদ করত। আস্তে আস্তে কচুরিপানায় খালটিকে গ্রাস করে ফেলায় ছোট নৌকাও চলাচল করতে পারে না।
স্থানীয় অধিবাসী গোলাপ শাহ, মহিউদ্দিন ও তাজুল ইসলাম সহ একাধিক লোকজন জানায়, সুন্দরী খাল দুটি ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির এখন কচুরিপানায় ভরা। সাপ-বিচ্ছু সহ নানা বিষধর পোকামাকড়ে আতংকিত থাকি সবসময়। এক সময় দুই ইউনিয়নের মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এটি।
এ ব্যাপারে পশ্চিম সহদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই খাল গুলোতে কচুরিপানা পরিস্কারের জন্য সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ আসে না। এই খাল গুলোর কচুরিপানা পরিস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ততা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সুন্দরী খালের কচুরিপানা পরিস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ১৪৪ ক্যান বিয়ারসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
আটকৃতরা হলো: চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের কড়িহাটি গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির মোহাম্মদ উল্ল্যার ছেলে মাহমুদ হাসান সজিব (২৯) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ঘাসের খিল গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির সিদ্দিক উল্ল্যার ছেলে মো. ইউসুফ(৩৫)।
সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ আরও বলেন, আটকৃতরা একই বাড়ির বাসিন্দা। তাদের দুজনের বাড়ি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় বাড়ির এক অংশ চাটখিল উপজেলায় ও অপর অংশ সোনাইমুড়ী উপজেলায় অবস্থিত। এজন্য তাদের দুজনের থানা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে তারা দুইজন একসঙ্গে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি সজিবের বাড়ি থেকে ১৪৪ ক্যান রয়্যাল ডাচ বিয়ার জব্দ করা এবং ইউসুফের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


মুকুল বসু, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরস্থ স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী প্রেসক্লাব।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে বোয়ালমারী চৌরাস্তায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট কোরবান আলীর সভাপতিত্বে এবং আমীর চারু বাবলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম, স্থানীয় সাপ্তাহিক চন্দনা পত্রিকার সম্পাদক ও বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য কাজী হাসান ফিরোজ প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খান, কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, নির্বাহী সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম, ঢাকার ডাক প্রতিনিধি ও প্রচার সম্পাদক এম জামান, সমাজ সেবক সুমন রাফি, যায়যায়দিন প্রতিনিধি দীপঙ্কর অপু, খবর পত্র প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ মিলু, খোলা কাগজ প্রতিনিধি আল মামুন রনি, আমার দেশ প্রতিনিধি এস এম রুবেল, আমাদের সময় ডট কমের প্রতিনিধি সনৎ চক্রবর্তী, নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন, স্থানীয় মানব দর্পণ সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম, প্রতিদিনের খবর প্রতিনিধি মুকুল বসু, কালের খেয়া প্রতিনিধি টুটুল বসু, সাংবাদিক নাগর মিয়া, আহমেদ সোহেল, রবিউল ইসলাম খান, ইমরান হোসেন প্রমুখ।সভাপতি এডভোকেট কোরবান আলী বলেন, সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকাণ্ড শুধু একজন সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ওপর ভয়াবহ হুমকি। আমরা এই বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু বারবার এমন ঘটনা ঘটায় আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অপরাধের বিচার না হলে সমাজে অশান্তি ছড়িয়ে পড়বে। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড মানে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এসময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে বোয়ালমারী বার্তা কার্যালয়ে বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।
কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।
মন্তব্য করুন


মোঃ সুমন ভূঁইয়া, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় রহস্যজনক আগুনে ১ হাজার ৫০০ শ' পোল্ট্রি মুরগিসহ একটি খামার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এখনো অগ্নিকান্ডের কারণ জানাতে পারেনি সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তারা। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোর রাতের দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নলপুর গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো.আবদুল হালিম শাকিল বলেন, ভোর রাতের দিকে স্থানীয় লোকজন আবদুর রহীমের মুরগির খামারে আগুন জ্বলতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে তারা সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্থ মালিকের বরাত দিয়ে তিনি দাবি করেন এতে প্রায় ২ হাজার ৫শ' পোল্ট্রি মুরগি আগুনে পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে খামার মালিক আবদুর রহীমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, আগুন লাগার কারণ এখনই বলা যাবে না। তদন্ত সাক্ষেপে তা বলা যাবে। ধারণা হচ্ছে ১ হাজার অধিক মুরগি আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করে নি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন