মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লাস্থ চাঁদপুর জেলা আইনজীবীদের বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৪ মে ) বিকেলবেলা কুমিল্লা গোমতী নদীর পাড় সংলগ্ন ডুমুরিয়া চান্দপুর গোমতী টাচ্ রিসোর্টে কুমিল্লাস্থ চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই অনুষ্ঠানে শুরুতেই ফোসকা, চটপটি ও চা-কফি খাওয়া পর সাংগঠনিক আলোচনা শেষে নৈশভোজ এর আয়োজন করা হয়। এছাড়াও মিষ্টি থেকে শুরু করে বাহারি রকমের মুখরোচক খাবার পরিবেশন করা হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন- কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির প্রথম মহিলা অ্যাড. সামছুন নাহার বেগম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র অ্যাড. মোঃ নজরুল ইসলাম (৫), জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোঃ সামছুর রহমান ফারুক, সিনিয়র অ্যাড. জসীম উদ্দিন চৌধুরী (শিশু), জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক রিক্রিয়েশন সেক্রেটারি অ্যাড. মোঃ ইলিয়াছ মিন্টু, কুমিল্লা মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা অ্যাড. শাহীন আফরোজ বিজলী, অ্যাড. আয়েশা বেগম, অ্যাড. শামীমা আক্তার জাহান, অ্যাড. মোঃ মফিজুল ইসলাম, কুমিল্লা আদালত অঙ্গনের পরিচিত মুখ অ্যাড. তাপস চন্দ্র সরকার, অ্যাড. এ.এন.এম আহসান শাহরিয়ার, অ্যাড. সুরঞ্জিত পাল ও অ্যাড. মোঃ জাকির হোসেন নয়ন এবং শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোঃ শাহ এনামুল হক কমল প্রমুখ। এছাড়াও অতিথি হিসেবে অংশ নেন- মিসেস ইলিয়াছ মিন্টু, শামীমা আক্তার জাহান এর স্বামী, মিসেস অ্যাড. মোঃ মফিজুল ইসলাম, মিসেস শাহরিয়ার, মিসেস নয়ন ও মিসেস কমল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় নূর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নির্মাণাধীন ভবন ধসে সাইফুল ইসলাম সাগর নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
আজ সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা নোয়াগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইফুল ইসলাম সাগর নূর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে শাকতলা এলাকার অলি আহমেদের বড় ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নূর আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের টিনশেড বিল্ডিংয়ে ক্লাশ করছিল সাগর ও তার সহপাঠীরা। এ সময় হঠাৎ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণাধীন ছয় তলার ওপরের অংশ ভেঙে পড়ে। এ সময় ইট পাথরের নিচে চাপা পড়ে সাগর। স্থানীয়রা সাগরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাসেল খান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক রাসেল জানান, সাগরের মাথায় প্রচণ্ড আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাগরের বাবা অলি আহমেদ জানান, সকালে স্কুলের জন্য বাসা থেকে বের হয় সাগর। তারপর লোকমুখে শুনতে পান স্কুলে ভবন ভেঙে পড়ে তার ছেলে মারা যায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
নাঙ্গলকোটে আলোচিত গণধর্ষনের ঘটনায় জড়িত একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ০৯/০১/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর ১ টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন নুরপুর সাকিনস্থ সেবাখোলা বাজারের খোকন স’মিলের টিনের ঘরের ভিতর দুই নারীকে গনধর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম লাকি বেগম (৪০) বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি গনধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৯ জানুয়ারী দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ধামতী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী মোঃ খোকন (৪২), পিতা-আলী মিয়া, সাং-করের ভোমরা, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম মায়া খাতুন (২০) এর সাথে ১ নং আসামী
সহিদ (২৬) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার দিন সকালে আসামী সহিদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে
ভিকটিমকে দেখা করার জন্য আসতে বলে। তখন ভিকটিম মায়া খাতুন তার সাথে অন্য ভিকটিম লাকি
বেগম (৪০)’কে নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজারে গেলে আসামী সহিদ ভিকটিমদ্বয়কে নিয়ে অটোরিক্সাযোগে
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিম মায়া খাতুন’কে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব
দেয়। ভিকটিম মায়া উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরবর্তীতে
আসামী সহিদ সুযোগ বুঝে ভিকটিমদ্বয়কে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং তার পরিকল্পনা মোতাবেক
সেখানে পূর্ব থেকে ৭-৮ জন অবস্থান করছিল। ভিকটিমদ্বয়কে সেখানে নেয়ার পর আসামী সহিদ’সহ
অন্যান্য ৭-৮ জন আসামী মিলে ভিকটিমদ্বয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ
করে এবং কাউকে কিছু না বলার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা
গ্রেফতার এড়াতে আত্নগোপনে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৬৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।
আজ
(১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণপাড়া
থানায় কর্মরত এসআই শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ১নং মাধবপুর ইউপিস্থ মাধবপুর বাজার এলাকায় কুমিল্লা টু সিলেট
মহাসড়কের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ১টি পিকআপ গাড়ি থেকে
৬৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ওয়াহিদুন নবী ও মোঃ তপন মিয়া কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো:১. ওয়াহিদুন নবী (২৭), পিতা-মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সাং-মাধবপুর(দক্ষিণপাড়া),
থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা। ২. মোঃ তপন মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ কানু মিয়া, সাং-মাধবপুর,
পোঃ-মাধবপুর, ১নং মাধবপুর ইউপি, উপজেলা/থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় ব্রাহ্মনপাড়া থানার মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক কারবারিকে
আটক করা হয়েছে ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা
মোতাবেক শুক্রবার (১৪ ই জুন) বিকাল আনুমানিক ৪টায় কুমিল্লা
সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মিরপুর হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করা
হয়।
আটককৃতরা হলো রোজিনা বেগম (২৮) এবং আলা
আমিন মিয়া (৪২) ।
কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসডকের মিরপুর
হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কুমিল্লা গামী
নিউ সুগন্ধা যাত্রীবাহী একটি বাসে করে ২ জন
মাদক কারবারি ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে যাচ্ছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর হাইওয়ে থানার এসআই বোরহান উদ্দিন তার ফোর্স সহ
উক্ত বাসটি থামিয়ে সে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের তল্লাশীর চেষ্টাকালে
তারা ২জন দ্রুত গাড়ি হতে নেমে পালানোর চেষ্টা
করলে এসআই বোরহান উদ্দিন ফোর্স সহ তাদের ২ জনকে আটক করে স্থানীয় মহিলা সাক্ষী দ্বারা
আসামি রোজিনা বেগমকে তল্লাশি করলে রোজিনা বেগম তার পরিহিত কালো বোরকার নিচে থাকা পরিহিত
পায়জামার কোঁছা হতে মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্তিতিতে উক্ত মাদক গননা করে মিনিটে ৩৫০ পিস ইয়াবা
ট্যাবলেট পাওয়া যায় যা বিকাল অনুমান ৩টা ৫০ এসআই বোরহান উদ্দিন জব্দ তালিকা মুলে জব্দ
করেন।
রোজিনা বেগমের সাথে থাকা অপর ব্যাক্তি আলা আমিন হচ্ছে তার স্বামী।
তারা স্বামী ও স্ত্রী ২জন পরষ্পর যোগসাজসে
উদ্ধারকৃত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট সমুহ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ক্রয় করে অধিক লাভে বিক্রয়ের
জন্য কুমিল্লাগামী বাস যোগে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলো।
উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১টি
মামলা দায়ের করে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে ধানের চারা, টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে এসব বিতরণ করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার সংলগ্ন দরগা বাড়ির সামনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ জন কৃষকের মাঝে বি আর ২২ ও কাটারিভোগ জাতের ধানের চারা বিতরণ করা হয়। একজনকে ৩০ শতাংশ পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করার মতো ধানের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া তাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
পরে ইছাপুর ও বুড়িচং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘর নির্মাণের জন্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা এলাকায় খুঁজে খুঁজে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ধানের চারা ও ঘর নির্মাণের জন্য টিন বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে উপজেলার সীমান্তবর্তী শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ আবু হানিফ (৫০) নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে যৌথবাহিনী তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে মাদক কারবারী আবু হানিফ মাদকসহ তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এসময় যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
মাদক কারবারী আবু হানিফ শশীদল ইউনিয়নের আশা বাড়ি গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে।
এ সময় যৌথবাহিনী তার কাছ থেকে ৭ হাজার ৬ শত পিস ইয়াবা টেবলেট ও নগদ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪০ টাকা এবং ৩ টি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। অভিযান পরিচালনা করেন, যৌথবাহিনী এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার এস আই অমর্ত্য মজুমদারসহ পুলিশের একটি দল।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতিক উল্লাহ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। তার বিরুদ্ধে থানার একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার ও চিকিৎসার নামে
প্রতারণার অভিযোগে 'কলিকাতা হারবাল' নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না মানলে সিলগালা
করা হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ রেফাঈ আবিদ।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এ প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ রেফাঈ আবিদ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেফাঈ আবিদ বলেন, কলিকাতা হারবাল নামক ওই প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ বিজ্ঞাপন দিয়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করছিল। অপচিকিৎসা ও রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না মানলে সিলগালা করা হবে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, উপার্জন করতে পারেন না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেন না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই বড় ছেলে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা মায়ের ঝগড়া লাগতো। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করেন। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-সিলেট
মহাসড়কের কুমিল্লার দেবীদ্বারে বাস-ট্রাক ও লরির ত্রিমুখী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত
হয়েছেন। আহতদের দেবীদ্বার উপজেলা সদর ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আজ
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার চরবাকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কের
যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুর্ঘটনার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া।
স্থানীয়দের
বরাত দিয়ে তিনি জনান, কুমিল্লাগামী একটি মালবাহী ট্রাক পাংচার হয়ে মাঝ রাস্তায় থেমে
যায়। এ সময় পেছন থেকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে দেবীদ্বারগামী রয়েল সুপার এসি নামে একটি বাস
ও দেবীদ্বারগামী একটি লরি ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি দুমরে-মুচরে যায়। অপরদিকে
বাস ও লরিটিও রাস্তার পাশে উল্টে যায়।
এতে
তিনটি যানবাহনের চালকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির তথ্য
নেই বলে তিনি জানান।
তবে
তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেতে পারেননি ওসি।
মন্তব্য করুন