কুমিল্লায় বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে দুইদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার (২১ আগস্ট) মারা যান তিনজন, সোমবার (১৯ আগস্ট) মারা গেছেন একজন।
এদের মধ্যে দুইজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ও একজনের মাথায় গাছ পড়ে এবং একজন পানিতে তলিয়ে মারা যান।
জেলার নাঙ্গলকোটে বন্যার পানিতে তলিয়ে কেরামত আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি পৌরসভার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার মধ্যরাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় একটি ব্রিজের নিচে তলিয়ে যান কেরামত আলী। প্রবল স্রোতে অদৃশ্য হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলের অদূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব দাস দেব বলেন, কেরামত আলীকে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ নিয়ে যান। তিনি মাছ ধরতে গিয়ে পিছলে পড়ে স্রোতের কারণে আর উঠতে পারেননি বলে জানতে পেরেছি।
বুধবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন তার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চৌদ্দগ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় মাথায় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া (আদর্শ গ্রাম) পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে।
এর আগে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর সালাউদ্দিন মোড়ে ওই আইনজীবী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যান তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ
এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি কর্মসূচির বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কানেক্টিভিটি বাড়াতে
সম্মত হয়েছেন।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলনুর মাম্মাদভ আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এই বিষয়ে সম্মত হন।
প্রধান
উপদেষ্টা ঢাকায় আজারবাইজানের দূতাবাস খোলা এবং ঢাকা ও বাকুর মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর
ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আজারবাইজান একটি দূরবর্তী
দেশ।
তিনি
বলেন, দেশটিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ‘একটি সরাসরি ফ্লাইট থাকলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
জ্বালানি খাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং আজারবাইজানি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের
টেক্সটাইল খাত থেকে শিখতে আগ্রহী হবে।’
ড.
ইউনূস আরও বলেন, ঢাকায় দূতাবাস খোলা হলে ভিসা প্রাপ্তির জটিলতাও দূর হবে।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে আপনাদের উপস্থিতি বাড়ানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে
আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
সাক্ষাৎকালে
বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি,
শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার
সময় প্রধান উপদেষ্টা গত নভেম্বর মাসে বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে আজারবাইজানের
প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি কপ-২৯ সম্মেলন
সফলভাবে আয়োজন করার জন্য আজারবাইজান সরকারকে অভিনন্দন জানান। তিনি অনুরোধ করেন বাকুতে
অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ যেন একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশে পাঠান।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস আজারবাইজানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান
এবং বাংলাদেশের বিপুল মানবসম্পদ কাজে লাগানোর সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, আমরা আপনাদের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, যার অর্ধেকই তরুণ। তাই আপনি যদি এখানে কোনো শিল্প স্থাপন
করেন, শ্রমিকের কোনো ঘাটতি হবে না।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়,
কারণ দুই বছর পর ঢাকা-বাকু কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫ বছর পূর্তি হবে।
উপমন্ত্রী
মাম্মাদভ বলেন, আমরা আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এখানে এসেছি।
তিনি
প্রধান উপদেষ্টাকে আজারবাইজানের আসান এবং ডোস্ট মডেলের সারাংশ তুলে ধরেন, যা দুর্নীতি
হ্রাস এবং জনসেবায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস আসান এবং ডোস্ট সেবার ধারণার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে এ প্ল্যাটফর্মগুলো
প্রয়োগের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিতব্য ইকোনমিক কো-অপারেশন
অর্গানাইজেশনের ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ
থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় বিদ্যুৎস্পর্শে
পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (২৮) ও মো: মনির হোসেন (২৩) নামে দুই শ্রমিককের মৃত্যু
হয়েছে। এ সময় আরও দুই শ্রমিক আহত হয়। আহতরা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসাধীন।
নিহত জহিরুল ইসলাম উপজেলার ইউসুফপুর
ইউনিয়নের এগারগ্রামের মো: সহিদ মিয়ার ছেলে ও মনির হোসেন মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার
থানার টনকি ইউনিয়নের সোনারামপুর গ্রামের মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে
উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মোগসাইর গ্রামের রঞ্জিত দাসের পুকুরে ত্রুটিযুক্ত সেচ পাম্পের
ইলেকট্রিক মোটর মেরামত করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে পুকুরের পানিতে বিদ্যুৎতায়িত
হয়ে ঘটনাস্থলেই জহিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ জহিরুলের
লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (১০
জুন) বিকাল ৩টার দিকে পৌরসভার চান্দিনা রোডে হিলফুল ফুজুল স্কুলের পাশে সৌদী প্রবাসী
জসিম উদ্দিনের নির্মাণাধীন ভবণের চারতলা ভবনে রশিতে লোহার রড বেঁধে উপরে তোলার সময়
পাশে থাকা ফোর ফোরটি বৈদ্যুতিক লাইনের তারে লেগে মনির হোসেনসহ আরও তিন শ্রমিক আহত হয়।
পরে তাদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
মনির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত শ্রমিক শাকিল ও সাগর বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নিহত মনিরের স্ত্রী রোজিনা আক্তার জানান,
গত ২ বছর ধরে চান্দিনা রোডের একটি ভাড়া বাসায় থেকে নির্মাণ শ্রমিককের কাজ করত আমার
স্বামী। রোববার বিকেলে কাজের ফাঁকে বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার কাজে যায়। আমার
দুই বছর ও ১০ মাসের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আমি এ সন্তানদের নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছি।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো: নয়ন মিয়া বলেন,
বিদ্যুৎস্পর্শে পৃথক দুই ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন। তাদের লাশ সুরতহাল শেষে থানায় নিয়ে
আসা হয়েছে। এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার
যুবলীগ কর্মী, কিশোর গ্যাং ও চোর-ছিনতাইকারি চক্রের সক্রিয় ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার
রাতভর নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানান, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খানের নির্দেশে
নগরীতে অপরাধ দমনে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে থানা পুলিশের একাধিক টিম শুক্রবার রাতভর নগরের বিভিন্ন
স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
এ
সময় পুলিশ কিশোর গ্যাং ৮ সদস্য সহ ও চোর ছিনতাইকারী
চক্রের সক্রিয় ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে -নয়ন, ফয়সাল, তাসকিন,
প্রান্ত, সাগর, ইফতেখার, মকবুল, আরাফাত, যুবলীগ কর্মী টিপু, চাঁদাবাজ শাহজাদা সহ চোর
ছিনতাইকারী চক্রের ১৫ সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের
শনিবার আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ২৩ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন রাঙ্গুরি মধ্যমপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মারুফ হোসেন (২২) ও ২। সাকিবুল হাসান (২১) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মারুফ হোসেন (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার রাঙ্গুরি মধ্যমপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে এবং ২। সাকিবুল হাসান (২১) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বামুইল গ্রামের মোঃ লিটন এর ছেলে।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
জেলা তথ্য অফিস, কুমিল্লার আয়োজনে লাকসাম উপজেলার দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন: ২০৪১, সরকারের অর্জিত সাফল্য ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মাদক, গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপপ্রচার, অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সহকারী তথ্য অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মাজহারুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুমন চন্দ্র দেবনাথ ও দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল কমিটির সভাপতি মো: আবুল কাশেম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্ব জিত চন্দ্র সাহা। নারী সমাবেশের পূর্বে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আপনারা পাচ্ছেন। এখন স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম যেতে হয় না। বাড়িতে বসে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা চলে আসে, স্কুলে উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে চলে আসে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম, শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীর ভূমিকা অপরিসীম। অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, অপপ্রচারকে প্রতিরোধ করতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন ও বিনা মূল্যে বই বিতরণসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বক্তাগন মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ এর প্রতি জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মানুষকে এই অপারাধ গুলির বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। চলমান তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীরা যাতে পানি খেতে ভুলে না যায় সেই লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি ঘণ্টায় ‘পানি ঘণ্টা’ চালু ও পানি সরবরাহের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ চিঠি প্রাথমিক ও জেলা শিক্ষা অফিসার এবং সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও সব গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ পানি ঘণ্টা চালু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান জানান, প্রচণ্ড তাপদাহে শিক্ষার্থীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে আমরা নিজস্ব উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এ পানি ঘণ্টা চালু করেছি। যতদিন তাপপ্রবাহ অধিক থাকবে, পানি ঘণ্টা ততদিন চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার
পর কুমিল্লার ১৮টি থানার কার্যক্রম সোমবার শুরু হয়।
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ
কর্মকর্তা ও সদস্যরা কাজে যোগ দেওয়ায় থানার কার্যক্রমে গতি এসেছে আর এদিকে১ যঙয ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতিতে সড়কে
দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য কমতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩
আগষ্ট) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, গতকাল (সোমবার) থেকে
জেলার ১৮ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় সব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাগণ ডিউটি
করছেন। সেবা গ্রহীতাদের তারা বিভিন্ন সেবা প্রদান করা শুরু করেছেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে
থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় ১০৪ জন
অফিসার ফোর্স কর্মরত আছেন সবাই কাজে যোগদান করেছেন । সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ দুই
দিনে ৬টি অভিযোগ এবং ১৯টি জিডি করা হয়েছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায়। যেকোনো
সেবা প্রত্যাশীরা জিডি কিংবা অভিযোগ অনায়াসেই আমাদের ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে
করতে পারবেন। আমি এবং আমার ডিউটি অফিসাররা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি।
থানার সেবা আমরা চালু করেছি। কোতোয়ালি মডেল থানার কোন হামলা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সৈয়দপুর এলাকায় হোটেল ব্যবসার অন্তরালে গাঁজার বাণিজ্য করছে একটি চক্র।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে হোটেল বা দোকানের বাহিরে ঝোপ ও মাটির স্তুপের মধ্যে ছোট ছোট পুটলি করে গাঁজার লুকিয়ে রাখে। মহাসড়কে চলাচলরত ট্রাক, কার্ভাডভ্যান, যাত্রীবাহী বাসের কিছু চালক ও হেলপারসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মাদকসেবীরা ওইসব হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন হোটেল বা চা দোকানের লোকজন লুকানো স্থান থেকে চাহিদা মাফিক গাঁজার পুটলি তাদের হাতে তুলে দেয়।
শনিবার বিকেল ৩ টা ২২ মিনিটে ঢাকাগামী সিডিএম পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় মহাসড়কের পাশের জোনাকি হোটেল সংলগ্ন (দক্ষিণ পাশে) একটি দোকানের সামনে দাঁড়ায়। পরে গাড়ির সুপারভাইজার থেকে ২০০ টাকা নিয়ে হেলপার সাইনবোর্ড বিহীন হোটেলে যায়। হেলপার যাওয়ার পরে ওই হোটেলের মালিক পাশের মাটির স্তুপ থেকে কয়েকটি গাঁজার পুটলি বের করে নিয়ে আসে।
এমন একটি সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ওসমান গণি সঙ্গীয় অফিসারসহ পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হোটেলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৮)কে আটক করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ও ডান হাতে থাকা নীল রংয়ের পলিথিনের ভিতর রক্ষিত পেপার দ্বারা মোড়ানো ৫০টি গাঁজার রোল উদ্ধার করা হয়। যাহা কাগজ সহ প্রতিটি রোলের ওজন ২০ গ্রাম করিয়া মোট ১০০০ গ্রাম বা ০১ কেজি।
আটককৃত জাহাঙ্গীর উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের উত্তর বাবুচির্র (বসুন্ডা বাড়ি) মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি ত্রিনাথ সাহা সংবাদ মাধ্যমকে জানান। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-সিলেট
মহাসড়কের কুমিল্লার দেবীদ্বারে বাস-ট্রাক ও লরির ত্রিমুখী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত
হয়েছেন। আহতদের দেবীদ্বার উপজেলা সদর ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আজ
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার চরবাকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কের
যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুর্ঘটনার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া।
স্থানীয়দের
বরাত দিয়ে তিনি জনান, কুমিল্লাগামী একটি মালবাহী ট্রাক পাংচার হয়ে মাঝ রাস্তায় থেমে
যায়। এ সময় পেছন থেকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে দেবীদ্বারগামী রয়েল সুপার এসি নামে একটি বাস
ও দেবীদ্বারগামী একটি লরি ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি দুমরে-মুচরে যায়। অপরদিকে
বাস ও লরিটিও রাস্তার পাশে উল্টে যায়।
এতে
তিনটি যানবাহনের চালকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির তথ্য
নেই বলে তিনি জানান।
তবে
তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেতে পারেননি ওসি।
মন্তব্য করুন
শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ কে সামনে রেখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
৮ অক্টোবর থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ১৫০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী। ইতোমধ্যে স্বেছাসেবকগণকে উপজেলা প্রশাসন, আদর্শ সদর এর আয়োজনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, "এই ধরণের জনকল্যাণমুখী স্বেচ্ছাসেবী কাজে তরুণরা এগিয়ে আসছে সেটি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। তরুণদের হাত ধরে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় একটি আমূল পরিবর্তন সূচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।"
শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ এবং তৎপরবর্তী সময়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে রাস্তার উপর থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, অটোর সংখ্যা কমিয়ে আনা, কিছু রাস্তাকে একমুখীকরণ প্রভৃতি অন্যতম।
জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা এবং ট্রাফিক বিভাগ, কুমিল্লা এর এই সমন্বিত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার ফলে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং যানজট কমে আসবে বলে মনে করেন কুমিল্লা মহানগরের অধিবাসীরা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা)নুরুল হক, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামাল পাশা, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শফিকুজ্জামান সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন