

কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে একটি পিকআপ ভ্যানসহ ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় গাঁজা জব্দ করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)। গতকাল রবিবার (২১ এপ্রিল) ভোররাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার মথুরাপুর বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মথুরাপুর বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল সীমান্ত শূন্য রেখা থেকে আনুমানিক ১,০০০ গজ অভ্যন্তরে রাজেশপুর ডিসির বাড়ির মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করা হয়। পিকআপটি তল্লাশি করে ১০০ কেজি ভারতীয় গাঁজা পাওয়া যায়, যার আনুমানিক মূল্য ১৫,৫০,০০০/- (পনেরো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা।অভিযানে কাউকে আটক করা না গেলেও বিজিবি বলছে, মাদকের উৎস ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। জব্দকৃত পিকআপ ও গাঁজা পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


বৃহস্পতিবার
(২৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরবেলা কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ এর খাসকামরায় কুমিল্লা সিভিলকোর্ট
কমিশনারদের মাঝে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) বিতরণ করা হয়।
এসময়
কুমিল্লা সিভিলকোর্ট কমিশনার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আরমান হোসেন (মোশারফ) ও সাধারণ
সম্পাদক কাজী মোঃ জাকির হোসেনসহ সিভিলকোর্ট কমিশনারদের হাতে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড)
তুলে দেন সদ্য বিদায়ী কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন। এসময়
উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ আহছান উল্লাহ খন্দকারসহ
কুমিল্লা সিভিলকোর্ট কমিশনার এসোসিয়েশনের সকল সদস্যগণ।
এসময়
জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন- এ পরিচয়পত্র গুলো আমার স্বাক্ষরিত আপনারা এমন
কোন কাজ করবেননা যে আমার সন্মান ক্ষুন্ন হয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল:
দীর্ঘ
পাঁচ বছর পর আবারও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অনুষ্ঠিত হলো বাংলা নববর্ষের বর্ণাঢ্য
আয়োজন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর, প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত
অংশগ্রহণে রঙিন হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
উৎসবের সূচনা হয় সকাল সাড়ে ৯টায়, ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে বর্ষবরণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সকাল
১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে শুরু হয় বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। ছেলেদের
জন্য আয়োজন করা হয় মোরগ লড়াই আর মেয়েদের জন্য ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা, যা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
সকাল
সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন লোকগান, নৃত্য,
কবিতা আবৃত্তি ও নাটিকা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ বাংলা নববর্ষকে ঘিরে
নিজ নিজ স্টলে পরিবেশন করে ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি — পাটিসাপটা, চিতই, দুধচিটা, মালপোয়া
প্রভৃতি।
ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, “বাংলা নববর্ষ এদেশের সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা। এটি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আয়োজন নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম ও সংস্কৃতি চেতনা জাগ্রত করবে।”
প্রো-ভাইস
চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, “বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার
দায়িত্ব আমাদের সকলের। এমন আয়োজন সেই দায়িত্ব পালনকে আরও বেগবান করে।”
ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, নতুন বছর আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে
দিয়েছে। অতীতের অন্যায়-অবিচার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রের
পথে।
প্রায়
পাঁচ বছর পর কুবিতে এই আয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা
গেছে। দিনভর চলা নানা আয়োজনে মুখর ছিল গোটা ক্যাম্পাস।
মন্তব্য করুন


মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।
মজুরি ঘোষণার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, বিকেএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে প্রস্তুতিমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মণ্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মণ্ডপে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বৈদ্যুতিক সংযোগ ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন। তিনি পূজা উদযাপন কমিটিকে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। স্বেচ্ছাসেবকদেরও সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তৎপরতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পূজাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। তবে গুজব, অপপ্রচার বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানোর অনুরোধ করছি। তিনি আরও জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যাতে সর্বস্তরের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে উৎসব উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়া, পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিকাপুর কাজী
বাড়ি মাঠে এক প্রাণবন্ত নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জেলা তথ্য
অফিস, কুমিল্লা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় জেলা তথ্য
অফিসের পরিচালক মীর হোসেন আহসানুল কবীর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণযোগাযোগ
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবদুল জলিল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা তথ্য
অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ নূরুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, পল্লী স্বাস্থ্য
উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কাজী মাহতাব, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কাজী আবুল
কালাম রতন, চৌয়ারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার এবং
হাসমতের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাকলী পারভীন।
বক্তারা নারী শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্য সচেতনতা,
সামাজিক উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীলতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তারা বলেন, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ কার্যক্রমের মাধ্যমে
নারীদের এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা আরও বেগবান হচ্ছে।
নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সমাবেশটি উৎসবমুখর পরিবেশে
সম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন


পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রাজ গোয়ালি মোঃ ইয়াছিন মিয়া (২৫) কে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শাহজাহান মিয়া (৩৭) ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি সেলিম মিয়া (৪৭) হলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন জোলাই কুড়িয়াপাড়া (ফকিরমূড়া) গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
রায় ঘোষণাকালে দন্ডপ্রাপ্ত উভয় আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে ও আদালত সূত্রে জানা যায়- নিহতের খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী মোসাঃ জেসমিন আক্তার (৩৭) এর সহিত আসামি মোঃ শাহজাহান মিয়া'র পরকীয়া প্রেম বাধা দেওয়ায় আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ২০২০ সালের ১৮ মে দিবাগত রাত সোয়া ৯টায় স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ী ফেরার সময় প্রথমে ভিকটিমের বড়ভাই বাদী মোঃ মিজানুর রহমানকে ধারালো চুরি দিয়ে ঘাই মারে পরে ভিকটিম ইয়াছিন মিয়ার বুকে ধারালো অস্ত্র ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর নিহতের স্বজনরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াছিনকে উদ্ধার করে কুমেক হসপিটাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন জোলাই কুড়িয়াপাড়া (ফকিরামূড়া) গ্রামের মোঃ শাহজাহান খানের ছেলে নিহতের বড়ভাই মোঃ মিজানুর রহমান (৩৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আলী মিয়ার তিন ছেলেসহ ৫ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ জসিম উদ্দিন ও কুমিল্লা পিবিআই এসআই (নিঃ) আব্দুর রজ্জাক সর্দার তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ৩ দিনপর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২১ মে আসামি মোঃ শাহজাহান ও ১১ জুন আসামি সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে দন্ডিত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর দণ্ডবিধির ৩৪১/৩২৪/৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি বিচারে আসলে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে এবং আসামি মোঃ শাহজাহান মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামিদ্বয়কে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে দোষী সাবস্ত ক্রমে আসামি মোঃ শাহজাহান মিয়াকে মৃত্যু দণ্ড এবং আসামি মোঃ সেলিম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: সেই সাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন আদালত।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন আমরা আশাবাদী শীঘ্রই উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
এদিকে, এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী এডভোকেট জালাল উদ্দীন টিপু বলেন রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন


৫ অক্টোবর , শনিবার কুমিল্লা শহরের নিউমার্কেট, ঝাউতলাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা এ অভিযান পরিচালনা করে ।
বাজার তদারকির এ অভিযানে ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং অন্যদের সতর্ক করা হয়।
জনস্বার্থে
এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


রবিউল হাসান অমি,প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কুমিল্লা
ইউনিটের ১১ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উক্ত কমিটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে মো:
আমিরুল কায়ছার (জেলা প্রশাসক,কুমিল্লা)। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মোস্তাক মিয়া (বিএনপির
কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ
সম্পাদক), সেক্রেটারি হিসেবে জামিল আহমেদ খন্দকার ( বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক )।
উক্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন
মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, শাহাজাদা এমরান, অধ্যাপক এ,কে , এম এমদাদুল হক মামুন,
সৈয়দ মোতাহের আলী দিলাল, মোহাম্মদ মাসউদ আলম, অধ্যাপক মো.মনিরুল ইসলাম, ফেরদৌস সায়েম
ভূইয়া ও গোলাম ইউসুফ চৌধুরী।
উক্ত কমিটি ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অনুমোদন
করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ড. কবির মো. আশরাফ আলম, এনডিসি। এস.জি(ইউ.এ)-১৮৪৫/০১৩
স্মারকে এই কমিটি অনুমোদন করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চান্দিনায় দিন দুপুরে এক প্রবাসীকে সিআইডি পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় লুট করা হয় প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, আইফোন। পরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। এ ঘটনার পর পৃথক অভিযানে চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদল নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।সোমবার (১৪ জুলাই) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রবাসীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি চক্রের ৫ সদস্য আটক করা হয়। সেদিন রাতেই ৬ জনকে আসামি করে চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. সোহেল সরকার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং মুন্সিবাড়ি এলাকার মৃত আজিজ মুন্সির ছেলে সোহেল মুন্সি (৩৯)। তিনি চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদল যুগ্ম আহবায়ক ও ১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদল সভাপতি।
অন্যরা হলো- মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মালাপদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে সোহাগ আহমেদ (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার হাড়িয়া গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৯), নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার বীর চরমধুয়া গ্রামের মো. লিয়াকত আলীর ছেলে মো. হানিফ (২৭) ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে মো. ফয়সাল (২৭)।
সংঘবদ্ধ এই আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের কাছ থেকে লুট হওয়া প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. সোহেল সরকার নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দক্ষিণ বটতলী গ্রামের মো. জব্বার সরকারের ছেলে। গত ১১ জুলাই রাতে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে সরাসরি শ্বশুরবাড়ি চান্দিনার ছায়কোট গ্রামে আসেন।
তিনি জানায়, গত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ৫-৬ জন লোক আমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আমাকে খোঁজেন। এসময় তারা নিজেদের সিআইডি পরিচয় দেন। আমি ঘর থেকে বের হয়ে আসতেই তারা আমাকে ঝাপটে ধরে এবং আমার কাছে অবৈধ মাল আছে বলে জানায়। পরে তারা আমার শ্বশুরের ঘর থেকে বিদেশ থেকে আনা প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি আইফোন ও একটি স্মার্ট ফোনসহ আমাকে বাড়ি থেকে তুলে আনে। তারা আমাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় এনে ২ লাখ টাকা দাবি করে এবং আমার স্ত্রীকে ফোন দেয়। আমার স্ত্রী চান্দিনা সেনা ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে এবং সঙ্গে সঙ্গে সোহেল মুন্সিসহ ২ জনকে আটক করে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুইজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। এরপর আমরা অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করি। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(সূত্র: ইত্তেফাক)
মন্তব্য করুন


মো. মিজানুর রহমান মিনু :
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ সিএনজি অটো-রিকসা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উদ্যোগে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন, মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম লোকমান হোসাইন। এ সময় থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শকবৃন্দ সহ পুলিশের পৃথক দু’টি টিম। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার ও মিয়াবাজার এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সিএনজি অটো-রিকসা, থ্রি-হুইলার সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটক করে। এ সময় আটককৃত গাড়ীগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন