আশা রহমান :
চলতি বছরে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশে এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ৭৮১ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ২০৪ জনও ফেল থেকে পাস করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পুনর্নিরীক্ষণের এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে ৩০ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী ৭৫০৮৫টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য অনলাইনে আবেদন করে। এরমধ্যে ৭৮১ জনের ফল পরিবর্তন হয়। এরমধ্যে ৭৭ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর ২০৪ জন ফেল থেকে পাস করেন এবং ৫০০ জনের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল করিম বলেন, আবেদনের উত্তরপত্রগুলো পুনর্নিরীক্ষণের নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা ১২ ও ১৩ জুন কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। আর ১৩ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনলাইনে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হয়। এ বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পাসের হার ছিল ৭৯.২৩।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন
(৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে ডান হাত কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি
ওলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মহিউদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম বলেন,
আমার ছেলে মহিউদ্দিন দিনমজুর হিসেবে যখন যে কাজ পেতো, তাই করতো। আমার ছেলে রাজনৈতিক
কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তার কোনো শক্রও ছিল না। কিন্তু কে বা কারা দিনদুপুরে
বসতবাড়িসংলগ্ন মসজিদের কাছে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে
নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা: জান্নাতুল
নাঈম জানান, মহিউদ্দিনকে মৃত অবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তাঁর
ডান হাত পাওয়া যায়নি। কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হাত বিচ্ছিন্ন করার
পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন
অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ
(পরিদর্শক) রোমেন বড়ুয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জেরে এ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তের পরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের
জন্য কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক
সাইদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। হত্যাকারীরা তার
ডান হাত নিয়ে গেছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জমিজমা নিয়ে বিরোধের
জের ধরে মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও মোঃ জামাল হোসেন নামের দুই চাচাতো জ্যেঠাতো ভাইকে ধারালো
দা, ছেনী ও হকিস্টিক দ্বারা কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। সেই সাথে প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড
এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী প্রত্যেককে অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
প্রদান করেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায়
কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ
রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ধনাইতরী গ্রামের মোঃ হাজী আতর আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ তোতা,
মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন, হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে আলমগীর হোসেন, মোঃ ফরিদ
উদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন, মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মোঃ বাবুল ও মৃত আনোয়ার আলীর হারুনুর
রশিদ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ধনাইতরীর মৃত জুনাব আলীর ছেলে হায়দার আলী, হাজী
আব্দুর রহিমের ছেলে আঃ মান্নান, মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন, মৃত আঃ খালেক
এর ছেলে আবুল বাশার, মৃত আঃ রশিদ এর ছেলে জাকির হোসেন, মৃত আঃ খালেক এর ছেলে আব্দুল
কাদের ও মৃত ইউসুফ মিয়া'র ছেলে আব্দুল কুদ্দুস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞ জেলা পিপি
এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষে
নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম ও অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ মজিবুর রহমান বাহার এবং বাদীপক্ষে প্রাইভেট ল'ইয়ার এডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন
আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার
(১০ আগস্ট) বিকেলে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ
জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পরিদর্শন করেন।
এ
সময় কুমিল্লা সেনানিবাসের সিনিয়র কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক
খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো: সাইদুল ইসলাম ।
থানা পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেনের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্য যে, সরকার পতনের পর সারাদেশে হামলা-সহিংসতায় থানাগুলোতে
লুটপাট-ভাংচুর হয়। এর ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর
পাহারা ও সহযোগিতায় থানায় আবার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৬,৮২০ পিস
ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
বাশমঙ্গল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নাজমুল হাসান নামের
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৬,৮২০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট এবং মাদক পরিবহণের
কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ নাজমুল হাসান (২৫) কুমিল্লা জেলার
বুড়িচং থানার আনন্দপুর গ্রামের মোঃ সিরাজ মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত সিএনজি অটোরিক্সাটি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলা’সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
চট্টগ্রাম
বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠলো কুমিল্লা জেলা দল। ১১ মে
ফাইনালে কক্সবাজার জেলা দলের সাথে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
আজ
সোমবার বিকেলে ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ
জোন ফাইনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে ১-০ গোলে হারায় কুমিল্লা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ
জোন ফাইনালে প্রথমার্ধের খেলা গোল শূন্য ড্র ছিলো। পরে খেলার ৭৫ মিনিটে স্বাগতিক দলের
পক্ষে মোহাম্মদ মামুন জয়সূচক গোলটি করেন। খেলায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ বিবেচিত হন গোলদাতা
মামুন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ
বড়ুয়া।
উল্লেখ্য
বিভাগের ১১ জেলা দল নিয়ে দুটি জোনে ভাগ হয়ে ২৪ এপ্রিল টুর্নামেন্টটি শুরু হয়। ১১ মে
কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামে রাঙ্গামাটি জোন চ্যাম্পিয়ন কক্সবাজার জেলা দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
পূর্ণ ফাইনালে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার হয়েছে। আটককৃতদের
থেকে মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার শেষে অপরাধীদের স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানায় সোপর্দ
করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর
২৩ বীর ক্যাম্প জানায়, ৯ মে ভোর ৪ টায় খাটরা এলাকা থেকে ২ কেজি গাঁজাসহ শাহাবুদ্দিন
বাবু (২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস
মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজিসহ বহু অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়ভাবে।
অপর
এক অভিযানে একই দিন ভোরে গুনবতী ইউনিয়নের খাটরায় অভিযান চালিয়ে সুজন মিয়া (২৩) নামের
এক কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি তল্লাশি করে ১টি চাইনিজ কুড়াল,
১টি সাধারণ কুড়াল এবং ১টি দা উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, এই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে
সে বিভিন্ন গ্যাং-সম্পর্কিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
তৃতীয়
অভিযানে, খাটরা এলাকা থেকে আরেক কিশোর গ্যাং সদস্য জাহিদ হাসান (২২) কে গ্রেফতার করা
হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তাকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা যায় এবং
পরে সে গুনবতী ইউনিয়নে গ্যাং কার্যক্রমে জড়িত হয়। সে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী তুয়ানের
সহযোগী ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে জড়িত বলেও জানা যায়।
চৌদ্দগ্রাম
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে আটককৃত তিনজনকে
থানায় সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা শেষে আদালতের মাধ্যমে
জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০১ পিস মোবাইল ফোনসহ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউপির শংকরপুর
সাকিনস্থ আইএফআইসি ব্যাংকের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছাঁলে ডিবি পুলিশ চিনতে পেরে
আসামী একটি প্লাষ্টিকের বস্তাসহ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বস্তাসহ আটক করা হয়। বস্তুা
তল্লাশি করে ১০১ পিস নতুন-পুরাতন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: কুমিল্লা জেলা ব্রাহ্মণপাড়া থানার রানীগাছ গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া’র ছেলে
মোঃ পারভেজ মিয়া (৩০)।
গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৩০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর)
রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শিমপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ
শাকিব আহমেদ নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৩০ কেজি
গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ শাকিব আহমেদ (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার চরপাড়া গ্রামের মৃত বাবুল
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয়
উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের
দ্বিতীয়া তিথিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) কুমিল্লা জগন্নাথপুর শ্রী শ্রী
জগন্নাথ দেবের মন্দির ও নগরী ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরের যৌথ আয়োজনে শ্রী
শ্রী জগন্নাথপুর মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের পূজা ও দর্শন
আরতী, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোম যজ্ঞ, ভজন কীর্তন, বাউল সংগীত ও পদাবলী কীর্তন
এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ ও দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে জগন্নাথ মন্দির হতে চকবাজার-রাজগঞ্জ-কান্দিরপাড়
হয়ে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য শুভ রথযাত্রা।
ওই শোভাযাত্রায় লাখো পূণ্যার্থী ও ভক্তের সমাগম ঘটে। এতে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি
ছিলো চোখে পড়ার মতো। এরপর সন্ধ্যায় গুন্ডিচা মন্দিরে সন্ধ্যারতি কীর্তন ও ভজন কীর্তন
এবং রাত ৮টায় ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত
ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব
হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন
জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয়
না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
আজ কুমিল্লা জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর দুইটায় ধর্ম সভা শেষে সাড়ে ৪টায় বেলুন উড়িয়ে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা-৭ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
রথযাত্রা মহোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
বলেন- অসম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম জাতির মানুষ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা
বিনির্মাণ করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্য্যা করে এই
স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র৷ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো
ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে৷ এই বিভাজন আমরা মানতে পারিনি বলে পরবর্তীতে অসম্প্রদায়িক
চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশে তাই কোন ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না৷
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি
শ্রীমান সুদর্শন দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ধর্মসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার
মু. মুশফিকুর রহমানসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির হতে রথযাত্রার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রাদেবের ৩টি পৃথক রথারোহনের মাধ্যমে মাসির বাড়ি পাথুরিয়া পাড়া আগমন করেন। সেখান তিনি প্রায় আটদিন অবস্থান করার পর পুনরায় উল্টো রথে নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবেন। প্রতি বছর হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাগম ঘটে থাকে রথযাত্রা উৎসবে।
এদিকে, আগামী ১৪ জুলাই রবিবার (উল্টো
রথযাত্রা) গুন্ডিচা মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব এর পূজা ও
দর্শন আরতি, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, ভজন কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং
দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহাহরিনাম সংকীর্তন
সহযোগে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির হতে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও
চকবাজার হয়ে জগন্নাথপুর মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা'র মধ্যদিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা
মহোৎসব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হলো আপন বড় ভাই হানিফ মিয়া (৩৫)।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদ এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দিনা থানার এস.আই মো. গিয়াস উদ্দিন।
নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হানিফ। হত্যাকারি আনিছ মিয়া নিহতের আপন ছোট ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশের একটি অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর গোবর ফেলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই স্থানে গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চরম উত্তেজনার মধ্যে মেঝ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে এক পর্যায়ে তাকে কাঠের চোখা টুকরো দিয়ে আঘাত করায় ওই কাঠের চোখা অংশ বাম চোখের ভিতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিস্কে আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু ঘটে তার।
ঘটনাস্থল থেকে চান্দিনা থানার এস.আই মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপর হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন