

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বড়ভিটার চর এলাকায় ইলেকট্রিক শক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার সময় দুটি ইলেকট্রিক মেশিনসহ ৬জন জেলেকে আটক করেছে নৌবন্দর থানা পুলিশ।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে আটককৃত জেলেদের চিলমারী মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে নৌবন্দর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী নৌবন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক ইমতিয়াজ কবির।
আটককৃতরা হলো, চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়ারী এলাকার শ্রী শ্রী মিলন চন্দ্র দাশ (৪১),নয়ন চন্দ্র দাশ (৩২), একই ইউনিয়নের ফকিরেরভিটা এলাকার মিলন মিয়া (৩৫) ওই ইউনিয়নের শিমুলতলি বাধ এলাকার আবু বকর সিদ্দিক (২৪) ফকিরেরভিটা এলাকার সাদ্দাম (৩০) সহ ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বড়ভিটা জেলে পাড়া এলাকার শ্রী চন্দন কুমার বিশ্বাস (৩২)।
এর আগে রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ পরিদর্শক ইমতিয়াজ কবিরের নেতৃত্বে নৌবন্দর থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলার বড়ভিটার চর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান চালিয়ে ইলেকট্রিক শক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার সময় ছয়জন জেলেকে আটক করে। এসময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মেশিনও জব্দ করা হয়।
চিলমারী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব সজীব জানান, আটককৃত ছয় জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা সম্পন্ন হলে আসামিদের কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরী। সমাবেশ শেষে মিছিলটি টাউন মাঠ থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে টমচমব্রীজ মোড়ে গিয়ে শেষ করে।
আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এতে সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুস সাত্তার,কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান এডভোকেট, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর একেএম এমদাদুল হক মামুন। মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী মু. মাহবুবর রহমান এর পরিচালনা গণমিছিল পূর্বসমাবেশে বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ভুল বুঝানো হচ্ছে। অথচ পিআর পদ্ধতি হলে বেশী ভোট কাস্ট হবে। মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। জনগণের ভোটের সঠিত মূল্যায়ন থাকবে। তাই আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে। স্বৈরশাসকের সাথে থাকা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জন আকাঙ্খা পূরণ হবেনা। এবং অবিলম্বে কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা দাবি জানান বক্তারা।
গণমিছিল ও সমাবেশ এসময় অংশ গ্রহন করেন, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল,কাউন্সিল মোশাররফ হোসাইন, নাছির আহম্মেদ মোল্লা, কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি হাসান আহম্মেদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি হাফেজ মাজারুল ইসলাম,মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী নাজমুল হাসান পঞ্চায়েত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী নজির আহম্মেদ, অধ্যাপক জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসাইন সবুজ সহ অনেকে।কর্মসূচিতে দলের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় এই মুহূর্তে দরকার পিআর আর সংস্কার, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, দিতে হবে দিয়ে দাও, জামায়াত-শিবির জনতা, গড়ে তোলো একতা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ আরো বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা দাবি জানান। তিনি আগামী নির্বাচনে কুমিল্লা ৬ আসনে সদর -সদর দক্ষিণ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণকে ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিতে নগরবাসীকে আহবান জানান।
মন্তব্য করুন


মুকুল বসু, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরস্থ স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী প্রেসক্লাব।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে বোয়ালমারী চৌরাস্তায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট কোরবান আলীর সভাপতিত্বে এবং আমীর চারু বাবলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম, স্থানীয় সাপ্তাহিক চন্দনা পত্রিকার সম্পাদক ও বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য কাজী হাসান ফিরোজ প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খান, কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, নির্বাহী সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম, ঢাকার ডাক প্রতিনিধি ও প্রচার সম্পাদক এম জামান, সমাজ সেবক সুমন রাফি, যায়যায়দিন প্রতিনিধি দীপঙ্কর অপু, খবর পত্র প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ মিলু, খোলা কাগজ প্রতিনিধি আল মামুন রনি, আমার দেশ প্রতিনিধি এস এম রুবেল, আমাদের সময় ডট কমের প্রতিনিধি সনৎ চক্রবর্তী, নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন, স্থানীয় মানব দর্পণ সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম, প্রতিদিনের খবর প্রতিনিধি মুকুল বসু, কালের খেয়া প্রতিনিধি টুটুল বসু, সাংবাদিক নাগর মিয়া, আহমেদ সোহেল, রবিউল ইসলাম খান, ইমরান হোসেন প্রমুখ।সভাপতি এডভোকেট কোরবান আলী বলেন, সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকাণ্ড শুধু একজন সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ওপর ভয়াবহ হুমকি। আমরা এই বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু বারবার এমন ঘটনা ঘটায় আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অপরাধের বিচার না হলে সমাজে অশান্তি ছড়িয়ে পড়বে। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড মানে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এসময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে বোয়ালমারী বার্তা কার্যালয়ে বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


মোঃ বিল্লাল হোসাইন, মুরাদনগর:
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে গুনজর গ্রামে দাদীর জানাজা শেষে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নাতির মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আরও একজন আহত হয়। নিহত মো. সাকিবুল হাসান (২১) উপজেলার নবীপুর (পূর্ব) ইউনিয়নের গুঞ্জর সরু মিয়া হাজী বাড়ির মো. মৃদন মিয়ার ছেলে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১০ টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বাখরনগর ফুলমালা ব্রিকসের সামনে ভয়াবহ এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
উল্লেখ্য,সে দাদীর জানাজা পড়ার জন্য চট্রগ্রামের পতেংগা (তার কর্মস্থল) থেকে গতকালই এসেছিল।
এ বিষয়ে মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: মঞ্জুরুল আবছার বলেন, মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একজনের মৃতদেহ ও আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় নিহত হয়েছেন একজন।
নিখোঁজ রয়েছেন একাধিকজন। এ ছাড়াও চার শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফুলগাজী, পরশুরাম
ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট
ও বসতবাড়ি। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বন্যাদুর্গতরা। এ দিকে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি।
ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর,
মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম ও পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া,
বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়া ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর, রাধানগর,
শুভপুর ইউনিয়নসহ তলিয়ে গেছে পুরো উপজেলার রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু এলাকায়
মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চাল ছুঁয়েছে বন্যার পানি। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় খুঁজছেন
বাসিন্দারা। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বুধবার (২১ আগস্ট) পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ভয়াবহ এ বন্যায় স্থানীয় পৌরসভা ও উপজেলার
প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। দিনের প্রথম
প্রহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় নৌকা দিয়ে লোকজনকে
উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে
উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার জন্য সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের
সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন লোক নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের
পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ ও আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার
এবং ৫০ টন চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
তানিয়া ভূইয়া বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের প্রায়
অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট)
থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় নৌকা দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার
করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায়
৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সহায়তায় উদ্ধার কাজ
শুরু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পানির উচ্চতা সময়ের সঙ্গে
সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ ও
আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৮ টন চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয়
প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
৮০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৮ মার্চ ভোরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া
থানাধীন তেঁতুলতলা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১। মোঃ আব্দুল
মালেক (৩৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৮০ কেজি
গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ১ টি পিকআপ এবং ১ টি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। তবে
চালক সহ ২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আব্দুল মালেক (৩৮) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার মোস্তফাপুর গ্রামের মৃত আব্দুস
সাত্তার এর ছেলে। আসামী বর্তমানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন থানাধীন বিজয়পুর গ্রামে
বসবাস করে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা,
মুন্সিগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত
অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান
অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
৪০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত
১০ মার্চ র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন মঠ পুষ্কুরুনী সাকিনস্থ কোটবাড়ী বিশ্বরোড
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ ফজল মিয়া (৫৫) নামক একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত ১ টি ব্যাটারী চালিত অটোমিশুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ ফজল মিয়া (৫৫) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার কলাহাটি দুলালপুর গ্রামের
মৃত আক্কাস মিয়া এর ছেলে। আসামী বর্তমানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
বামৈল, শিবের বাজার এলাকায় বসবাস করে।
র্যাব
জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ১০ বিজিবি সদস্যরা মাদক ও
চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১ কোটি ২৯ লক্ষ ২২ হাজার ৯৬০ টাকা মূল্যের
ভারতীয় বাজি উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ) কুমিল্লা
ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) বিশেষ টহলদল এ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে কুমিল্লার
পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের ফুট ওভার ব্রিজের নিচ হতে বিজিবি টহলদল ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৪০
পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার বাজি উদ্ধার করে।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি)
অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ এ কুমিল্লা জেলা পুলিশ সারাদেশে সেরা হবার গৌরব উজ্জ্বল কৃতিত্ব অর্জন করেছে ।
চলমান পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ এর দ্বিতীয় দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স এ ২০২৩ সালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযান ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে কৃতিত্ব অর্জনকারী কুমিল্লা জেলা পুলিশকে পুরস্কার প্রদান করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) পুরস্কার গ্রহণ করেন ।
সারা দেশে পুলিশের সকল ইউনিটের মধ্যে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ১ম স্থান, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে ১ম স্থান ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে ২য় স্থান অর্জন করেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের জন্যে এটি এক গৌরবময় অর্জন।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) জেলা পুলিশের অপরাধ শাখাসহ সকল ইউনিটের সদস্যদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন


ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে দেশের সমুদ্র, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় কঠোর নজরদারি ও অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী চলবে এ অভিযান। এ সময় সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে “ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার” এর আওতায় নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ দেশের ৯টি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযানে চাঁদপুর, কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি, শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল অভিযানে রয়েছে। কক্সবাজার এলাকায় রয়েছে বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত। খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা, চিত্রা ও তিতাস, বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া, আবু বকর, দুর্গম, পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা রয়েছে। বরিশাল এলাকায় বানৌজা পদ্মা, চিত্রা ও তিতাস এবং পটুয়াখালী এলাকায় এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল প্রদান করছে।
নৌবাহিনী জানায়, অভিযানে নৌবাহিনীর জাহাজ, ক্রাফট ও বোটসমূহ সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সকল ধরনের অবৈধ মাছ শিকার প্রতিরোধে যুদ্ধজাহাজ ও অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট দ্বারা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে। এ সময় অবৈধ মাছ ধরায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।- জানায় নৌবাহিনীর ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে তারা সদা প্রস্তুত রয়েছে। এ অভিযান দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি ও সামগ্রিক মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন