মাদারীপুর জেলার শিবচরে স্বপ্না আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ তার প্রেমিক মুরগি ব্যবসায়ী সাকিল খানের (৩৭) সঙ্গে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী গরু খামারি কামাল ঢালী বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
স্বপ্না আক্তার উপজেলার শিরুয়াইল ইউপির উৎরাইল এলাকার আবীল ফরাজীর মেয়ে ও একই এলাকার কামাল ঢালীর স্ত্রী। আর সাকিল খান শিবচর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যাদুয়ারচর এলাকায় মোহাম্মদ খানের ছেলে। তিনি শিবচর বাজারের একজন মুরগি ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।
অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৭ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করেন কামাল ঢালীকে। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুইটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ৫ মাস আগে ছোট ছেলেটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এ দিকে সাত বছর আগে কামাল ঢালী কাতার প্রবাসী হন। প্রবাসে থাকার সময় স্বপ্নার সঙ্গে পরিচয় হয় সাকিল খানের সঙ্গে। আর সে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর গোপনে কামাল ঢালীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করেন সাকিল খানকে। এ দিকে ৮ মাস আগে দেশে আসেন কামাল। দেশে আসার পরেও কামাল ঢালীর সঙ্গে সংসার করেন স্বপ্না। ১৫ জুন ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে পরিবারের সবার অজান্তে স্বপ্না সাকিল খানের সঙ্গে পালিয়ে যান।
কামাল ঢালী বলেন, স্বপ্না গোপনে সাকিলকে বিয়ে করেছে। এতোদিন আমার সঙ্গে সংসারও করেছে। বিদেশ থেকে এসে আমার ভাইয়ের সঙ্গে একটি গরুর খামার করি। ঈদের আগে খামারের গরু বিক্রির ৯ লাখ টাকা স্বপ্নার কাছে দেই। সেই টাকা ও স্বর্ণসহ সাকিলকে নিয়ে পালিয়ে যায় স্বপ্না। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এই বিষয়ে শিবচরের নিলখী তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের আজ শেষ সময়
।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ
১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই শুরু ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে
আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়
২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল
কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফশিলও ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
দ্বিতীয় ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই
২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা
প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ
হবে ২১ মে।
তবে এবারই প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করা
হয়েছে। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে ‘হিজড়া’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ হিজড়ারা
চাইলে হিজড়া পরিচয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। অন্য নির্বাচনে এই বিধান আগেই করা
হয়েছিল। উপজেলায় তা সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এত দিন
২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক সই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো। কিন্তু এবার সে বিধান
বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটারদের সমর্থনসূচক সইয়ের তালিকা আর
দিতে হবে না।
এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো পদে একাধিক প্রার্থী সমান ভোট পেলে আবার
ভোট করার বিধান ছিল। এখানে এবার সংশোধনী আনা হয়েছে। একাধিক প্রার্থী সমান ভোট পেলে
ফলাফল নির্ধারণ করা হবে লটারিতে।
প্রসঙ্গত, এবার দেশের ৪৮১টি উপজেলায় ভোট হবে চারটি ধাপে। বাকি দুই ধাপের তফশিল
এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
কেউ গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, কেউ দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা পুরাতন মালামাল ক্রেতা কিংবা রাজমিস্ত্রী। আছে সবজি বিক্রেতাও। কিন্তু ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা-পরিচয়। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ।
এসব ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। প্রত্যেকেই জেল খেটেছেন। বেরিয়ে আবারো জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব এবং লেভেল হাই এর অন্যতম মূলহোতা মো. শরিফ ওরফে মোহন ও চাঁন গ্রুপ,মাউরা ইমরান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন লেভেল হাই, ৬ জন চাঁন গ্রুপ, ৫ জন লও ঠ্যালা গ্রুপ, এবং ৭ জন মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।
র্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
র্যাব-২ অধিনায়ক আরও বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এসব গ্রুপের গ্রেফতাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদক সেবনসহ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।
গ্রেফতারদের পেশা সম্পর্কে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।
অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব পাটালি গ্রুপ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিল।
গ্রেফতার রানা শিকদার, জুয়েল মিয়া ও সাগর গ্রেফতার ফর্মা সজীবের সহযোগী। তারা গ্রেফতার পাটালি গ্রুপ এর ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।
র্যাব-২ এর সিও আরও বলেন, গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহন লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতো। সে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল।
টাকলা হায়াতের অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার দুলাল, সোহাগ ও তারেক তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। তারা গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতার সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছে।
২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে চাকরির সময়ে চাঁন গ্রুপ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৩টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকের কারবারে গ্রেফতার ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।
২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং মাউরা ইমরান গ্রুপ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
মুরগী রাকিব লও ঠ্যালা গ্রুপের সদস্য । র্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান আরও বলেন, রাকিব ওরফে মুরগী রাকিবের জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি ও ডিসের লাইনে চাকরি করতো। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির সময় লও ঠ্যালা গ্রুপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত দুটির অধিক মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নং ট্রেনে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে ।
লালমনিরহাট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের জোরে ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন।
যাত্রীরা জানান, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নং কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট রেলস্টেশনের প্লাটর্ফমে দাঁড়ায়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে পূর্বের ইঞ্জিন নিয়ে লোকোশেডে চলে যান চালক। পরে লোকো শেড থেকে অপর ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দেওয়ার সময় সজোরে ধাক্কা দিলে কমিউটার ট্রেনটির প্রায় অর্ধশত যাত্রী বগিতেই ছিটকে পড়ে আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় রেলকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট রেল হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে চিকিৎসকরা। পরে আহতদের পুনরায় ওই ট্রেনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়। তবে দুইজন নারী যাত্রী মাথা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের রংপুরে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট স্টেশনমাস্টার লোকো শেড বিভাগের চালক গৌর গবিন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজ বলেন, আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে গুরুতর চারজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ দাস বলেন, ইঞ্জিনের ব্রেক লাগাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইঞ্জিনের গতি ঘণ্টায় দশ কিলোমিটার ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নূরনবী বলেন, একটা ইঞ্জিন বদল হয়ে আরেকটা ইঞ্জিন সংযোগ নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ সেই ট্রেন নিয়ে ইতোমধ্যে রওনা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন, তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
জানতে চাইলে রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যাকানিক্যাল ইন্জিনিয়ার (লোকো) শাহিনুল হক অপু বলেন, আমরা অভিযুক্ত লোকো মাস্টারকে আপাতত আর কোনো ট্রেনের দায়িত্ব দেব না। ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবিত
রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গেলেন রেজাউল খান নামের এক কৃষক।
কৃষক রেজাউলের বাড়ি ফরিদপুর শহরতলীর
আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কাদেরের বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।
শনিবার (২২ জুন) রাতে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের
সামনে এসে জীবিত রাসেল ভাইপারটি সাংবাদিকদের দেখান কৃষক রেজাউল (৩২)।
এ সময় প্রেসক্লাবের সদস্যরাসহ ফরিদপুর
পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন তনু ও স্থানীয় অন্যান্য লোকজন
উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক রেজাউল খান বলেন, শনিবার বিকেলে
জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় এই রাসেলস
ভাইপারটি দেখতে পাই। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সাপটিকে অ্যালুমিনিয়ামের
পাতিলে ভরে ফেলি। পরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিই। স্থানীয়দের
কাছে জেনেছি, জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে ফরিদপুরের নেতারা পুরস্কার দেবেন।
এ কারণেই জীবিত সাপটি ধরে এনেছি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের
একটি মিটিংয়ে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আলোচনা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহ মো.
ইশতিয়াক আরিফ রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার একদিন পরেই সেই
অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। পরদিন ২১ জুন এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেন, সেখানে তিনি উল্লেখ
করেন, কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত ধরতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার
দেওয়া হবে।
আগের বক্তব্যটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে
বিকৃত করে প্রকাশ হয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রসমুহে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার
(২৬ এপ্রিল) এক অফিস আদেশে
১৪৪ ধারা জারি করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
শনিবার
(২৭ এপ্রিল) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের ‘এ’ ইউনিট, ৩
মে 'বি' ইউনিট এবং ১০ মে 'সি'
ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 'এ' ইউনিটের পরীক্ষা
শুরু হবে বেলা ১২টায়। অন্য দুই ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টায় শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে এক ঘণ্টা।
সূত্র
জানায়, কুমিল্লায় 'এ' ইউনিটের ভর্তি
পরীক্ষা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবেরটরি হাইস্কুল, বর্ডার গার্ড পাবলিক বিদ্যালয়, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ ও বার্ড হাইস্কুল;
'বি' ইউনিটের পরীক্ষা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিচার্স ট্রেনিং
কলেজ এবং 'সি' ইউনিটের পরীক্ষা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লার
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, সবগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে করে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে
জন্য ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহে
বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার
(১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে
সদর উপজেলার আলালপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর
থানার এসআই হারুনুর রশিদ
জানান, ঢাকা থেকে শেরপুরগামী
আদিল পরিবহনের একটি বাস আলালপুর
এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা
সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে
চালকসহ ৭জন নিহত হন।
এখনো নিহতের নাম পরিচয় জানা
যায়নি।
এ
বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার
হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও অটোরিকশা
জব্দ করা হয়েছে। যান
চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে
কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরে তিন দিনব্যাপী উপজেলা কৃষি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এই মেলায় মোট ১১ টি স্টল নিয়ে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মাঠে চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় এবং খামারবাড়ি ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তপন রায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইফতেখার নাইম সহ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি-
কুমিল্লা ১০ কেজি গাঁজা ও ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজন নারীকে আটক করেছে।
ডিএনসি
কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপ-পরিদর্শক তামাল
মজুমদার এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১০ কেজি গাজা ও ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ
দুজনকে আটক করা হয়।
আজ
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা
পৌর এলাকাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে চান্দিনা উপজেলা রাস্তার মোড়ে
পাকা রাস্তার উপর শাসনগাছা টু হোমনাগামী একতা বাস তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোসা:
ফারজানা আক্তার(৩০) নামের একজন আসামিকে আটক করে। আটককৃত আসামি কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
থানার কাটাবিল গ্রামের মৃত আলী মিয়ার মেয়ে।
অপর
এক অভিযানে কুমিল্লা টু ঢাকাগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট নামের বাস তল্লাশি করে ২২ বোতল
ফেনসিডিলসহ মোসা: আসমা আক্তার (৪০) নামের একজনকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামি বাগেরহাট
জেলার কচুয়া থানার চরলক্ষীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে।
আসামীদের
বিরুদ্ধে উপ-পরিদর্শক তমাল মজুমদার ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন বাদী
হয়ে চান্দিনা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
গাজীপুরে
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলার
প্রতিবাদে কুমিল্লার দেবীদ্বারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা এনসিপি ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক
ছাত্রসংস।
রোববার রাত ৮ টায় দেবীদ্বার নিউ মার্কেট চত্তর থেকে বিক্ষোভ মিছিল টি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিক্ষোভ জাতীয় নাগরিক পার্টির উপজেলা নেতা নাজমুল হাসান নাহিদ, শামীম কাউসার, ফয়সাল
হোসেন, এমরান হোসেন, আবদুল্লাহ সামি, ফয়সাল মির্জা, জালাল হোসেন, জামাল হোসেন, শাহাদাত
হোসেন শ্যামল, বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের নেতা রাকিবুল হাসান হৃদয়, মোক্তাদির জারিফ সিক্ত,
সাজেদুল রাফসান ও মোঃ হাসান আরও অনেকে।
বক্তারা হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী করেন।
মন্তব্য করুন